OrdinaryITPostAd

থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস | থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে সবাইকে স্বাগত। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। থার্টি ফাস্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনার সাথে আলোচনা করবো। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস এর পাশাপাশি থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. থার্টি ফার্স্ট নাইট বলতে কি বুঝায়
  2. থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস
  3. থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ইসলাম কি বলে?
  4. বাংলাদেশে থার্টি ফার্স্ট নাইট
  5. থার্টি ফার্স্ট নাইট হালাল নাকি হারাম
  6. থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে সতর্কতা
  7. লেখকের মন্তব্য

১.থার্টি ফার্স্ট নাইট বলতে কি বুঝায় | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

থার্টি ফার্স্ট নাইট হল খ্রিস্টীয় বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে 31 ডিসেম্বর দিবাগত রাত। পহেলা জানুয়ারির প্রথম প্রহর। 31 ডিসেম্বর এই দিনে রাত 12 টার পর থেকে সারাবিশ্বে শুরু হয়ে যায় উৎসবমুখর পরিবেশ। নতুন বছরকে বরণ করতে পালন করা হয় নানা ধরনের অনুষ্ঠান, আতশবাজি, নাচ ও নিত্য ইত্যাদি। কিন্তু কিছু মুসলমান রাষ্ট্রে এই দিনটি পালিত হয় না। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন থার্টি ফাস্ট নাইট কি।

থার্টি ফার্স্ট নাইট ইংরেজি শব্দ। থার্টি অর্থ ত্রিশ। ফার্স্ট অর্থ প্রথম এবং নাইট অর্থ রাত। থার্টি ফাস্ট নাইট অর্থ কি? অর্থাৎ থার্টি ফাস্ট নাইট অর্থ একত্রিশ এর রাত। ইংরেজি নতুন বর্ষকে বরণ করার লক্ষে এই দিবস পালন করা হয়। বিভিন্ন দেশে এই দিনটিতে পাবলিক হলিডে পালন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের উৎসবের পালনের মাধ্যমে মুখরিত করা হয় এই দিনটি।খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে এই দিবস পালন করা হয়। এই রাত পেরোতেই নতুন বছরের সূর্য উঠে। নতুন বছরের প্রথম দিনটি পুরনো দিনগুলোর স্মরণার্থে এবং নতুন দিনগুলোকে আগমন জানতে পালন করা হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইটকে নিউ ইয়ার ইভ ও বলা হয়।

২. থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার এর হাত ধরে সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হয়। পরবর্তীতে পারস্য সম্রাট জমশিদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রচলন করেন। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস বিরল। এই ধারাবাহিকতায় পারস্যে এখনো নওরোজ ঐতিহ্যগত জাতীয় উৎসব পালন করা হয়। তারপর পারস্য হতে ধীরে ধীরে বাহিত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে, মুসলিম দেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এই উৎসব পালিত হয়।কিন্তু বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী এই উৎসব পালন করা হয়। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো মহাবিষুবের দিন 20 মার্চ। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দি পর্যন্ত 21 ডিসেম্বর। এভাবে বিভিন্ন রীতিনীতি অনুযায়ী পালন করা হতো নববর্ষ। এই সব তথ্য থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় রীতি অনুযায়ী সারাবিশ্বে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 31 ডিসেম্বর এই দিনে নববর্ষ পালন করা হয়। শুধুমাত্র মুসলিম দেশগুলো ব্যতিরেকে। ইংরেজি সাল গননার বিষয়টি ইংরেজদের আবিষ্কার নয়। একটি গ্রেগরিয়ান বা খ্রিস্টানদের আবিষ্কার। তাই এটিকে ইংরেজি নববর্ষ নয় গ্রেগরিয়ান নববর্ষ বলা হয়। 1752 সালে ইংরেজরা ১লা জানুয়ারিকে ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস থেকে বোঝা যায় এটি গ্রেগরিয়ান নববর্ষ।

৩.থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ইসলাম কি বলে? | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি। এই মহান ধর্মের মধ্যেই কেবল ইহকালে ও পরকালে শান্তি পাওয়া সম্ভব।ইসলাম সর্বদাই মানুষকে কল্যাণের পথে, হেদায়াতের পথে নেয়। পবিত্র ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম”।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআন মাজিদে আরও বলেন, “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে (ইসলাম) পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে সম্পন্ন করে দিলাম এবং আমি তোমাদের দ্বীন ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রইলাম”। হাদীস‌ শরীফে আসছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখে সে
তাদের দলভুক্ত হয়ে যায় এবং তার হাশর-নাশর তাদের সাথে হবে”।

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা শুধু কেবল হারামই নয় বরং শিরক এর পর্যায়ে পড়ে। আর যে ব্যক্তি শিরক করে সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইসলামে কখনোই কু-কালচার বিজাতীয় কৃষ্টি কিংবা অপসংস্কৃতির কোন অনুমোদন নেই। বাংলাদেশের প্রায় 95 ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম। এদেশে বিধর্মীদের কোন চিহ্ন বা সংস্কৃতি এখানে উদযাপন হতে দেওয়া যাবে না।যদি কোন ব্যক্তি বিধর্মীদের সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করে সেক্ষেত্রে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর তাই মুসলিম হিসেবে সবাইকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন এর মত গর্হিত কাজ থেকে সবাইকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরনের আতশবাজি গান-বাজনা কিছুই যাতে এসব কাজ আয়োজন করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

৪. বাংলাদেশে থার্টি ফার্স্ট নাইট | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

ইসলাম কেবল থার্টি ফার্স্ট নাইটকে নিষিদ্ধ বলে তা নয় বরং একজন সচেতন বাঙালি হিসেবে কখনোই একজন ব্যক্তি থার্টি ফার্স্ট নাইটকে বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনা। কারণ 30 লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার এদেশে বাংলা ভাষার মত স্বীকৃত ভাষাকে বাদ দিয়ে বিদেশী ভাষা কিংবা সংস্কৃতি কখনোই প্রাধান্য পেতে পারে না। আর তাই সর্বদাই থার্টি ফার্স্ট নাইটকে অনতিবিলম্বে বর্জন করতে হবে।

৫.থার্টি ফার্স্ট নাইট হালাল নাকি হারাম | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

ইসলামে থার্টি ফার্স্ট নাইট হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ডিসেম্বর এই দিনে রাত বারোটার পর থেকে নববর্ষ উদযাপনের নামে নানা রকম নাচ, গান, আতশবাজি করা হয় অনুষ্ঠানগুলোতে মদ্যপান করার ব্যবস্থা থাকে। তাছাড়া এই দিনে নগ্ন হয়ে ছবি তোলা ও নাচ গান করা হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট স্ট্যাটাস হিসেবে এগুলো আপলোড করা হয়। যেগুলো যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে পরিচালিত করে। যেই মধ্যরাতে এই অনুষ্ঠান পালন করা হয় তখন মুসলমানদের তাহাজ্জুদের সময়। এইসময় আল্লাহতালা নিজে বান্দাদেরকে ইবাদতের জন্য ডাকেন। উনার কাছে সাহায্য, ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ সময় মুসলমানদের জন্য নাচ-গানে মগ্ন থাকা ইহকাল এবং পরকালের জন্য ক্ষতিকারক। যেহেতু 31 ডিসেম্বর এই দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিটি কাজ মুসলমানের জন্য নিষিদ্ধ। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইট হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয় থার্টি ফার্স্ট নাইট স্ট্যাটাস দেওয়া নিষিদ্ধ।

৬. থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে সতর্কতা | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

আপনারা জানতে পেরেছেন থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস এবং কেনো ইসলামে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা বৈধ নয়। আমরা যারা মুসলমান আছি তারা নিশ্চয়ই 31 ডিসেম্বর এই দিনে অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে থার্টি ফার্স্ট নাইট স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি আমাদের আল্লাহ এবং নবীর নির্দেশ। আমাদের অবশ্যই ইহকালের জীবন নবী রাসূলের নির্দেশ মতোই পরিচালিত
করতে হবে।

৭.লেখকের মন্তব্য | থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস

থার্টি ফাস্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাসের পাশাপাশি আজকে আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সেই সম্পর্কে ও আলোচনা করেছি। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। থার্টিফার্স্ট নাইটের ইতিহাস সম্পর্কে আপনার মতামত আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url