OrdinaryITPostAd

সরকারীভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায়?

বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাদের নিজস্ব ভাষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে সেসব দেশে ইংরেজি ভাষার ও তেমন চাহিদা নাই।এর মধ্যে জাপান অন্যতম ,জাপানে যেতে হলে অবশ্যই জাপানী ভাষা শিখতে হবে।তাই আমরা অনেকেই সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় আছে এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় সে সম্পর্কে । তাই সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. জাপানী ভাষা শিক্ষা সম্পর্কে
  2. সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রসমূহ
  3. টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( টিটিসি ) কার্যপ্রণালী
  4. অন্যান্য জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র
  5. জাপানী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব
  6. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  7. লেখকের মন্তব্য

১.জাপানী ভাষা শিক্ষা সম্পর্কে|সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় 

জাপানে তাদের নিজস্ব জাপানী ভাষা ও দক্ষতা ছাড়া কাজ পাওয়ার কোনোরূপ সুযোগ নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে খুব সহজেই -কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) এর অধীনে প্রায় ২৬টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অর্থাৎ (টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার) দীর্ঘ ৪ মাস ব্যাপী জাপানি ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করেছে।সরকারি ছাড়াও বেসরকারি ভাবে রয়েছে বেশ কিছু কারিগরি ও ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

২. সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রসমূহ|সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় 

সরকারীভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র গুলো নিম্নরূপ -

বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (মিরপুর), বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (চট্টগ্রাম), শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা টিটিসি (মিরপুর),খুলনা টিটিসি, পাবনা টিটিসি,রাজশাহী টিটিসি, রংপুর টিটিসি, রাঙামাটি টিটিসি, বান্দরবান টিটিসি, ময়মনসিংহ টিটিসি, নোয়াখালী টিটিসি, নীলফামারী টিটিসি, মৌলভীবাজার টিটিসি,যশোর টিটিসি, নরসিংদী টিটিসি, মাগুরা টিটিসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিটিসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিটিসি, মাদারিপুর টিটিসি, গাইবান্ধা টিটিসি, ঝিনাইদহ টিটিসি, প্রবাসী কল্যাণ ভবন (ঢাকা),জয়পুরহাট টিটিসি, দিনাজপুর টিটিসি,জামালপুর টিটিসি ও কুষ্টিয়া টিটিসি,নেত্রকোনা টিটিসি।
এইগুলো ছাড়াও রয়েছে পাবনা টিটিসিতে ৪ মাস ব্যাপী কেয়ার গিভার কোর্স এবং মিরপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা টিটিসি কেন্দ্র।

৩. টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( টিটিসি ) কার্যপ্রণালী|সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় 

টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( টিটিসি ) কার্যপ্রণালী:
সকল টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) একই সময়ে জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স শুরু হয় না।একেক কেন্দ্রে একেক সময়ে শুরু হয় অর্থাৎ কোর্স শুরুর মধ্যে কিছুটা ব্যবধান রয়েছে। এছাড়া যার যার সুবিধা মত এলাকার টিটিসিতে যোগাযোগ করলে অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানা যাবে যে সেখানে কবে নাগাদ কোর্স শুরু হবে। টিটিসি তে জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স এর চার মাসের জন্য ভর্তি বাবদ মোট ১ হাজার টাকা দিতে হবে।এবং এরূপ টিটিসি তে ভর্তি হলে কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে তার তথ্য টিটিসি ডেটাবেজে সংরক্ষণ থাকবে। এর ফলে পরবর্তীতে টিটিসি যেসব সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো প্রশিক্ষন গ্রহণকারীরা পাবে।

৪. অন্যান্য জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র|সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় 

যেকোনো কেউই জাপান যেতে চাইলে কিংবা বিভিন্ন কাজে জাপানি ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন হয়। আর এসব প্রয়োজনের কারনেই জাপানী ভাষা শিক্ষা টা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোচিং সেন্টার বা অনলাইনে জাপানী ভাষা শিখতে পারি। নিচে কিছু প্রয়োজনীয় উপায় আলোচনা করা হলো -
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট: এখন থেকে জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্স করা যায়। তুলনামূলক আই এম এল এর এই কোর্সের মাধ্যমে খুব সহজভাবে জাপানি ভাষা শিক্ষা দিয়ে থাকে। এখানে মূলত চারটি কোর্স ভাষা শিখানো হয়ে থাকে।জুনিয়র কোর্স ,সিনিয়র কোর্স ,ডিপ্লোমা কোর্স এবং উচ্চতর ডিপ্লোমা কোর্স।আর এসব কোর্সগুলোর মেয়াদ আনুমানিক এক বছর করে (১২০ ঘন্টা) নিয়ে থাকে।
  • বাংলাদেশ জাপান ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ( বিজেটিআই): জাপানি ভাষা শিখার জন্য অন্যতম আরেকটি নির্ভরযোগ্য স্থান হলো বিজেটিআই। এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত আছে বাংলাদেশের সোনারগাও রোডের ইস্টার্ন প্লাজায়। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের খুব যত্ন সহকারে শিক্ষার্থীদের মাঝে জাপানি ভাষা শিখার উপায় বেক্ত করে থাকে।

৫. জাপানী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব|সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায়

ভাষা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে।বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষাথীদের মাঝে বিদেশি ভাষা শেখার প্রতি রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় ভাষা হিসেবে চাইনিজ ও কোরিয়ান , জাপানিজ ও স্প্যানিশ বিভিন্ন ধরনের ভাষা শিখছে।এর মধ্যে জাপানি ভাষা অন্যতম।

  • বিদেশের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি ও বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি সহজ করে তোলে।এছড়াও ব্যবসার কিংবা চাকরি জন্য ভাষা শিখে থাকে। শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরে ও ভাষা জানার কারণে কাজের সুযোগ অনেকাংশে বেড়ে যায়।
  • বর্তমান এই বিশ্বায়নের যুগে দেখ যায় যোগাযোগ দক্ষতা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ছে।আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির পাশাপশি তৃতীয় কোনো ভাষা জানা লোকদের চাহিদা অন্যদের থেকে বেশী থাকে। বর্তমান সময়ে জাপানী ভাষার চাহিদা সব থেকে বেশি বলা যায়।
  • যেকোনো বিদেশি ভাষা আমাদের নিজদের আয়ত্তে থাকলে সেটা শুধুমাত্র আমাদের ক্যারিয়ারে  শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই রাখবে না বরং ক্যারিয়ারের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে এই তৃতীয় ভাষা শিক্ষা।
  • বর্তমানে জাপানী ভাষা শুধুমাত্র জাপানীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর বিস্তৃতি ব্যাপক । জাপানী ভাষা এখন জাপানসহ বিশ্বের প্রায় ১৩-১৪ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে থাকে ।তাহলেই বুঝাই যাচ্ছে যে জাপানি ভাষা শেখার গুরুত্ব এখন কতটুকু।

৬. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: সরকারী ভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নাম কি?

উত্তর: টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি)।

প্রশ্ন ২: জাপানী ভাষা শিক্ষা ছাড়া কি জাপানে যাওয়া যাবে ?

উত্তর: না , জাপানী ভাষার কোর্স করা লাগবে।

প্রশ্ন ৩: টিটিসি থেকে জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স করতে কি কোনো টাকা লাগে ?

উত্তর: ভর্তি বাবদ ১ হাজার টাকা লাগে।

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ

৭. লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে সরকারীভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সরকারীভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এ সম্পর্কে বা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের কোনো অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন The DU Speech এর সাথেই থাকবেন। সরকারীভাবে জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এ সম্পর্কে হোক বা যেকোনো বিষয়ে আমরা আপনাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবো।



লেখক: খাদিজা খা
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
জেলা: শরিয়তপুর



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url