জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত
বর্তমানে সকল উন্নত দেশেই স্টুডেন্ট কিংবা অন্যান্য ভিসার চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।এক্ষেত্রে এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশ জাপানের চাহিদা নেহাত কম নয়।তবে এসব উন্নত দেশে যেতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন।তাই জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সে সম্পর্কে । তাই জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)
- জাপানে পড়াশোনা সম্পর্কে।
- জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতাসমূহ।
- জাপানে পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা।
- জাপানে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.জাপানে পড়াশোনা সম্পর্কে|জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- জাপানে শিক্ষাব্যবস্থা :জাপানে বিশেষ কয়েক ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে- প্রফেশনাল ট্রেইনিং স্কুল,গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ অব টেকনোলজি, জাপানিজ স্টাডিজ, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়।এসব প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুযায়ী যোগ্যতা ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে ।
২. জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতাসমূহ|জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- প্রথমত নূন্যতম এস এস সি পাশ যেকোনো বিভাগ থেকে মানবিক বিজ্ঞান বা ব্যবসা বিভাগ।
- বয়স কমপক্ষে ১৮ ও সর্বোচ্চ ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- এছাড়াও প্রার্থীর কমপক্ষে ৫ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে ।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ সবল ও কর্মঠ হতে হবে।
- এবং প্রার্থীকে জাপানী ভাষাশিক্ষার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. জাপানে পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা|জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
স্কলারশিপের সুবিধা- জাপানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ এবং সেই সাথে টিউশন ছাড়ের মত সুবিধা। আর এসব সুবিধার আওতায় আপনি সম্পূর্ণ বিনা খরচেই কোনোরূপ জামেলা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।
- এ ছাড়াও সরকারি বাদেও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
- এবং জাপানে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নিজস্ব স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। ভালো পড়াশোনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী এসব স্কলারশিপের সুযোগ নিয়ে জাপানে পড়াশোনা করতে পারবেন।
- এবং এমন সুবিধা রয়েছে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও স্কলারশিপের জন্য শিক্ষাথীরা আবেদন করতে পারবে ।
৪. জাপানে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র|জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- আবেদনকারীর ব্যালিড পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকা লাগবে)
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি (বিগত ৬ মাসের ভেতর তোলা)
- সঠিকভাবে পূরণকৃত ভিসার একটি আবেদনপত্র
- এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ পত্র যেমন( এসএসসি থেকে সর্বশেষ ডিগ্রি পর্যন্ত- যার যেটা পর্যন্ত আছে; পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও প্রশংসা পত্র)
- জাপানের যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যাবে তার লেটার অফ এক্সেপ্টেন্স
- এছাড়াও লাগবে আবেদনকারীর জাপান থেকে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট অব এলিজিভিটি
- এবং জাপানে কেনো পড়তে যাবে তার কারণসমূহ বর্ণনা করে একটি কভার লেটার
৫. জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র|জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট: এখন থেকে জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্স করা যায়। তুলনামূলক আই এম এল এর এই কোর্সের মাধ্যমে খুব সহজভাবে জাপানি ভাষা শিক্ষা দিয়ে থাকে। এখানে মূলত চারটি কোর্স ভাষা শিখানো হয়ে থাকে।জুনিয়র কোর্স ,সিনিয়র কোর্স ,ডিপ্লোমা কোর্স এবং উচ্চতর ডিপ্লোমা কোর্স
- বাংলাদেশ জাপান ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ( বিজেটিআই): জাপানি ভাষা শিখার জন্য অন্যতম আরেকটি নির্ভরযোগ্য স্থান হলো বিজেটিআই। এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত আছে বাংলাদেশের সোনারগাও রোডের ইস্টার্ন প্লাজায়। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের খুব যত্ন সহকারে শিক্ষার্থীদের মাঝে জাপানি ভাষা শিখার উপায় বেক্ত করে থাকে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন