OrdinaryITPostAd

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে জানুন

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসে দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে  সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে।দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  2. ভিসা পাওয়ার উপায়
  3. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  4. কাজের বেতন
  5. চাহিদাসম্পন্ন কাজ
  6. সতর্কতা
  7. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  8. লেখকের মন্তব্য

১.দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

প্রবাসী শ্রমিকদের স্বপ্নের দেশ হলো দক্ষিণ কোরিয়া যেখানে ভালো পরিমাণ বেতনে চাকরি পাওয়া যায় এবং কম সময় ডিউটি করতে হয়। দক্ষিণ কোরিয়া তে খুবই অল্প সময় ডিউটি করা লাগে এখানে দৈনিক ৪ ঘণ্টা ডিউটি টাইম। দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা। এক্ষেত্রে যারা এশিয়া মহাদেশের যেমন সৌদি আরব কাতার মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশগুলোতে কাজ করে তাদের বেতন আনুমানিকভাবে অনেকটাই কম এবং বেশি পরিমাণ কাজের সময় দেওয়া লাগে।

তাই এই হিসাবে যারা বর্তমানে কোরিয়াতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে তাদের সুযোগ সুবিধা বেশি এবং বেতনের পরিমাণ টা অনেকটা বেশি এবং ওই হিসাবে শুধু মাত্র আট ঘন্টা কাজ এবং যাতায়াত খরচ সহ অন্যান্য বোনাস সহ প্রদান করে। এবং যাওয়ার ব্যাপারে একেবারেই সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া তে যাওয়া যায়।

২.ভিসা পাওয়ার উপায় | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনাকে সরাসরি বাংলাদেশের বোয়েসেলের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হবে। আর দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার প্রসেস একেবারেই সরকারি মাধ্যমে। অন্য ভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া সম্ভব না।সরকারি মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হলে খরচ পড়বে ৯০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে এবং বিলের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে EPS বা E9 ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যাবে।

যারা দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা এর জন্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের এই মাধ্যম গুলো ফলো করেই যেতে হবে এবং এই ভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পরেই আপনাকে রেজাল্টের জন্য ওয়েট করতে হবে যদি রেজাল্ট পেয়ে যান এবং আপনি যাওয়ার জন্য এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। এসকল প্রসেস গুলো সম্পন্ন করবে একেবারে সরকারিভাবে। তবে আপনাদের মনে রাখা উচিত যে বর্তমানে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা দিচ্ছে না। শুধুমাত্র সরকারি মাধ্যমেই দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা নেওয়া সম্ভব।

৩.প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা দিয়ে যেতে হলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। কাগজপত্রগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
  • পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদনপত্র
  • রঙিন ছবি
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস

৪.কাজের বেতন | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা দিয়ে  যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি প্রশিক্ষণ দরকার আছে। যাদের দক্ষতা রয়েছে এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলতে গেলে এখানে আপনি যদি বিদেশে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং তার প্রমাণ হিসেবে যদি দক্ষতা দেখাতে পারেন তাহলে আপনাদের সুযোগ সুবিধা বেশি হবে এবং আপনাদের বেতন আনুমানিক দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হবে।

৫.চাহিদাসম্পন্ন কাজ | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা দিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। যেমন কৃষি, প্যাকেজিং, ফ্যাক্টরি, কনস্ট্রাকশন, গবাদি পশু পালন, খামার,বাগানবাড়ি, কেয়ারিং, ক্লিনিং, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, পাইপ ফিটিং, নার্স, সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ বর্তমানে বিদ্যমান আছে হারে সমস্ত কাজ নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।

তবে এই কাজগুলো তে সাধারণত বেতন ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়াও কোম্পানির আপনাদের বিভিন্ন ধরনের বোনাস সহ যাতায়াত খরচ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য অনেক কিছুই বহন করে থাকে। তাই বলা যায় দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা এর মাধ্যমে যারা যেতে চাচ্ছেন তাদের উপরোক্ত বিষয়গুলো দক্ষতা অর্জন করেই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর আপনারা দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৬.সতর্কতা | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত যে বর্তমানে সরকারি ভাবে ছাড়া বেসরকারি পদ্ধতিতে কোন ভাবেই দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমে পরিচালিত বুয়েসেল এর মাধ্যমেই যাওয়া সম্ভব। তাই কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেও আপনাদের কোন কাজ হবে না তারা যদি আপনাকে বড় ধরনের টাকার মাধ্যমেও নিয়ে যাই ।তারপরে আপনাদের যাওয়া উচিত হবে না এক্ষেত্রে সম্পূর্ণটাই বৃথা যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার সহজ কোন মাধ্যম নেই। আপনাকে অবশ্যই ভাষা শিখতে হবে এবং নির্দিষ্ট একটি কাজের প্রতি দক্ষতা তৈরি করতে হবে ।তারপরে আপনাকে বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করে সরকারিভাবে টিকার পরেই আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা দেওয়া হবে। 



৭. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে আপনাদের বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকে। এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই অংশে।
প্রশ্ন ১: কি কি মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়?
উত্তর: শুধুমাত্র সরকারি মাধ্যমেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়।
প্রশ্ন ২: দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে?
উত্তর: সরকারি মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
প্রশ্ন ৩: দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের বেতন কত?
উত্তর: কাজের ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া গেলে আপনি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে হলে কোন বিষয় জানাটা অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা সম্পর্কে জানা এবং ভাষা সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৫: দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য কি ধরনের ভিসা রয়েছে?
উত্তর:EPS বা E9 ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যাবে।
প্রশ্ন ৬: দক্ষ কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের বেতন কেমন?
উত্তর: দক্ষ কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের বেতন দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা


৮. লেখকের মন্তব্য | দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিজের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন।দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url