পর্তুগাল কৃষি ভিসা | পর্তুগাল কৃষি ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানুন

বর্তমানে অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার পর্তুগাল কর্মী সংকটে

পড়েছে ব্যাপকভাবে। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগালে প্রবেশ মিলছে না বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের। এতে বর্তমানে শিল্পের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছে। দেশটিতে  দিন দিন বাড়ছে কঠিন সংকটের হার এবং প্রতিনিয়ত কৃষি শিল্পের উপর রপ্তানি আয় নিম্নমুখী ঝুকে যাচ্ছে। ব্যাবসায়ীদের অনেক লোকসান হচ্ছে। তাই বর্তমানে পর্তুগাল সরকার বাংলাদেশ ,ভারত , মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এ সমস্ত দেশ থেকে কৃষি শ্রমিক নেবে বলে তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে। অন্যদিকে পর্তুগালের পাশাপাশি ইউরোপের জনপ্রিয় প্রাচীন পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কৃষি-শিল্প চালু থাকলেও কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। ফলে দেশটির আন্তর্জাতিক মান একেবারেই ধসে পড়ছে ।তাই এই অনুন্নত পরিকল্পনা প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যমে। বর্তমানে কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষি শিক্ষাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বিচারব্যবস্থা পুনরায় আবার সাজানো হচ্ছে। 

পর্তুগাল কৃষি ভিসা আবেদন করতে হলে নির্ধারিত কিছু  কাগজপত্র প্রয়োজন ।এই সমস্ত কাগজপত্র অনুযায়ী কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে তা আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম।

এই অংশে আলোচনা করা হবে পর্তুগাল কৃষি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে। পর্তুগাল কৃষি বিষয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এই অংশটি ভালোভাবে পড়ুন।পর্তুগালের কৃষি ভিসা এর জন্য আবেদন করতে  চাইলে বাংলাদেশি বিভিন্ন এজেন্সির রয়েছে তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আবেদন করতে পারবেন অথবা বাংলাদেশের বোয়েসেল অথবা বিএমইটির মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তাছাড়াও বর্তমানে দিল্লির মাধ্যমে পর্তুগালের কৃষি ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দিল্লিতে সরাসরি গিয়ে আপনাকে কথা বলতে হবে ।এইখানে দালালের মাধ্যম ছাড়া কথা বললে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে আর যদি দালালের মাধ্যমে করতে চান তাহলে ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন একটি ব্যাপার। কারণ তারা আপনার থেকে টাকা নিবে কিন্তু কাজ করে দিবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।

পর্তুগালের কৃষি ভিসা এর দাম নির্ধারিত ভাবে কথা উল্লেখ নেই। এটি সরাসরি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে হবে। বর্তমানে তারা বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক হোটেল খরচ এবং ভিসা ফি কত টাকা পড়বে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ হবে। কেননা বর্তমানে করণা মহামারীর কারণে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য যাবতীয় খরচ বাড়ার কারণে ভিসার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিমান ভাড়ার দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অবশ্যই আগে থেকেই কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হবেন বর্তমানে পর্তুগালের কৃষি ভিসার দাম কত এই বিষয়ে।

পর্তুগাল কৃষি ভিসা এর বেতন সম্পর্কে যারা জানতে চান এই অংশটি পড়লে পর্তুগাল কৃষি বিষয়ে বেতন সম্পর্কে জানতে পারবেন।পর্তুগালে কৃষিকাজে বেতন এভারেজ 800 ডলার। তাছাড়াও পার্টটাইম কাজ সহ অন্যান্য কাজ মিলিয়ে মাসে 1300 থেকে শুরু করে 1400 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাই। তবে বেতনের বিষয়ে অবশ্যই আপনি যেই কোম্পানির মাধ্যমে পর্তুগালের যাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি করে নেবেন ।তারা কত ঘন্টা ডিউটি দেবে এবং মান্থলি কত টাকা বেতন দিতে পারবে এই বিষয়টা নিয়ে আগে থাকতেই জেনে নিবেন।

পর্তুগাল কৃষি ভিসা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব কৃষি ভিসায় কেন আপনারা পর্তুগাল যাবেন এই সম্পর্কে।পর্তুগাল কৃষি ভিসা এর মাধ্যমে পর্তুগাল গেলে আপনারা কি কি সুবিধা পাবেন এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।সুতরাং এই অংশটি ভালোভাবে পড়লে সুবিধা ও সম্পর্কে জানতে পারবেন। বর্তমানে পর্তুগালের কৃষি ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য এশিয়া মহাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য কান্ট্রি থেকে কৃষি কাজের লোক নিয়োগ দেবে বলে নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। এবং অন্যান্য কাজের জন্য যারা আছে তারা ভালো পরিমাণ বেতন পাচ্ছে সেই তুলনায় কৃষিকাজেও ব্যাপকভাবে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যাবে বলে নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এইজন্য অনেকেরই স্বপ্নের জায়গাতে কৃষিকাজে যদি কেউ যেতে পারে তাহলে তার জন্য অনেকটাই সুবর্ণ সুযোগ। তাই যারা কৃষি কাজে দক্ষ তারা খুব সহজেই  যেতে পারবে। এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে পর্তুগালে কৃষি কাজ করে।

যেসব খাতে দক্ষ কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো হলো- কৃষি, নির্মাণ, মৎস্য উৎপাদন, বনায়ন, পর্যটন খাত, খাবারের দোকান ও ফ্রিল্যান্সার। কর্মী নিয়োগের ভিসা ক্যাটাগরির নাম দেওয়া হয়েছে জব সার্চ ভিসা বা চাকরি খোঁজার ভিসা।প্রাথমিক পর্যায়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের ১২০ দিনের (৪ মাসের) ভিসা দেওয়া হবে, পরে ক্ষেত্র বিবেচনায় ভিসার মেয়াদ ৬০ দিন বা দুই মাস বাড়ানো যাবে। উল্লিখিত খাতগুলোতে কোনো আবেদনকারীর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থাকলে তাকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পর্তুগাল কৃষি ভিসা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব পর্তুগালের কৃষি বিষের মাধ্যমে গেলে কি ধরনের কাজের চাহিদা বেশি। সুতরাং পর্তুগাল কৃষি বিষয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ সম্পর্কে জানতে এই অংশটি ভালোভাবে পড়ুন। বর্তমান কৃষি বিষয়ে যে সমস্ত কাজের লোক নিবে তা হল, খামার, বাগানবাড়ি, মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন, বাগান, ফল বাগান, সহ বিভিন্ন কৃষি খাতে বর্তমান লোক নিবে ।তাই সেই অনুযায়ী আপনারা আবেদন করতে পারবেন। তবে বর্তমানে কৃষিকাজে লোকসানের কারণে দ্রুত সেখানে কর্মী সংগ্রহ করবে বলে নিশ্চিত করেছে তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে থেকে অনেক কৃষক সেখানে গিয়ে কৃষিকাজে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে তারা নিজেরাই জমি লিজ নিয়ে সেখানে কাজ করছে এবং পর্তুগালের বাজারগুলোতে তারা শাকসবজির সাপ্লাই দিচ্ছে। এবং তারা নিশ্চিত করছে যে যারা বর্তমানে কৃষি ভিসা নিয়ে আসতে পারবে তারা ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবে।

পর্তুগাল কৃষি ভিসা নিয়ে আপনাদের অনেকে অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। এই অংশে পর্তুগাল কৃষি বিষয়ে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এই অংশটি ভালোভাবে পড়লে আপনাদের প্রশ্নগুলো উত্তর পেতে পারেন।

প্রশ্ন ১: পর্তুগালে কৃষিকাজে বেতন কত?

উত্তর:পর্তুগালে কৃষিকাজে বেতন এভারেজ 800 ডলার।

প্রশ্ন ২:প্রাথমিক পর্যায়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের কত  দিনে ভিসা দেওয়া হবে?

উত্তর:প্রাথমিক পর্যায়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের ১২০ দিনের (৪ মাসের) ভিসা দেওয়া হবে।

প্রশ্ন ৩: ক্ষেত্র বিবেচনায় ভিসার মেয়াদ কত দিন বাড়ানো যাবে?

উত্তর:ক্ষেত্র বিবেচনায় ভিসার মেয়াদ ৬০ দিন বা দুই মাস বাড়ানো যাবে।

 

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে পর্তুগাল কৃষি ভিসা  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পর্তুগাল কৃষি ভিসা  সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন।পর্তুগাল কৃষি ভিসা সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।