পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানুন
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)
- পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
- পর্তুগালে কেন পড়াশোনা করতে যাবেন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভিসা আবেদন
- খরচ
- স্কলারশিপ
- কোর্স এবং আবেদন
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগালে অনেক উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এইসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি- সকল ধরণের কোর্সই করতে পারবেন পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে গিয়ে। এছাড়া এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হরেক রকমের সাবজেক্ট যেমনঃ সাইন্স, ইকোনমিকস, বাণিজ্য, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, একাউন্টিং, মেডিকেলসহ বহু ধরণের কোর্স। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগীজ ভাষায় কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। তাই, কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার আগে দেখে নেবেন সেখানে ইংরেজী মাধ্যমে কোর্স অফার করা হয় কি না।ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের ভারতের দিল্লি যেতে হবে এবং সেখানে পর্তুগাল দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়া ও ইন্টারভিউ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২.পর্তুগালে কেন পড়াশোনা করতে যাবেন | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ পড়াশুনার জন্য অনেকেরই পছন্দ- কারণ, এদেশে পড়তে যাবার জন্য ইংরেজীতে পারদর্শিতার কোন সার্টিফিকেট দিতে হয় না। তাই যারা IELTS দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য এই দেশ হবে উচ্চশিক্ষার অন্যতম ডেস্টিনেশন। কিন্তু, ইংরেজীতে কথা বলার দক্ষতা ও সার্টিফিকেট থাকলে আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য বেশী যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এদেশে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে উচ্চ মাধ্যমিক, মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।
অন্যান্য দেশগুলির মতো, পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২২ তার বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিটেকনিকগুলিকে দুটি বিভাগে বিভক্ত করেছে। যেগুলি গবেষণায় ফোকাস করে এবং যেগুলি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণে বেশি ফোকাস করে৷বেশিরভাগ কোর্স পর্তুগিজ ভাষায় অফার করা হয়, তবে মাস্টার্স লেভেলের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কোর্স ইংরেজিতে পড়ানো হয়।অন্যদিকে, পর্তুগালের একটি স্টুডেন্ট ভিসা তাদের সেমিস্টারে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা এবং স্কুল থেকে বিরতি এবং ছুটির সময় প্রতি সপ্তাহে 40 ঘন্টা কাজ করার অনুমতি দেয়।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
প্রথমে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণের সঙ্গে সবশেষ একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্টের স্ক্যান কপি, ইউরোপাস সিভি, পাসপোর্টের কপি, ছবি, আবাসন ব্যবস্থা বা রিকোমেনডেশান লেটার, মটিভেশনাল লেটার এবং চাকরির অভিজ্ঞতার সনদ সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন ফি হিসেবে ৫০ থেকে ২৫০ ইউরো নিদিষ্ট হিসাবে আই বান ট্রান্সফার, পেপল অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জমা দিতে হবে । নির্বাচিত হলে পুরো টিউশন ফির একটি নিদিষ্ট পরিমাণ অংক পরিশোধ করতে হবে। অনলাইন পোর্টাল ছাড়াও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো পাঠাতে পারেন।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যে সব কাগজপত্র দিতে হবে তার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত প্রমাণাদি ও টিউশন ফি প্রদানের কাগজপত্র, সত্যায়িত মূল শিক্ষা সনদ ও নাম্বারপত্র, পাসপোর্ট, সাইজ ৩৫-৪০ মি.মি সাইজের ২ কপি ছবি। মূল শিক্ষা সনদ ও নাম্বারপত্র প্রথমে বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সত্যায়ন, এরপরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করতে হবে। দিল্লি যাওয়ার পরে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আবার সত্যায়ন করে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
৪.ভিসা আবেদন | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ দীর্ঘমেয়াদী বা লঙ টার্ম ন্যাশনাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অস্থায়ী অবস্থান (টেম্পোরারি স্টে)ভিসা ও রেসিডেন্স ভিসা এই দুই রকম ভিসা আছে। শিক্ষা বা গবেষণার আবেদনকারীরা অবশ্যই রেসিডেন্স ভিসার জন্য আবেদন করবেন ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের ভারতের দিল্লি যেতে হবে এবং সেখানে পর্তুগাল দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়া ও ইন্টারভিউ দিতে হবে।পর্তুগিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তথ্য ও প্রক্রিয়া http://www.bachelorsportal.eu/ http://www.mastersportal.eu/ লিংক থেকে জেনে নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
৫.খরচ | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ আবেদনকারীর নামে ২০/২৫ লাখ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স (কোন ব্লক অ্যাকাউন্ট নয়) সার্টিফিকেট এবং বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেইটমেন্ট দিতে হবে। সার্টিফিকেট এবং স্টেইটমেন্ট ব্যাংক ম্যানেজারের স্বাক্ষরিত হতে হবে। সোর্স অব ইনকাম সংক্রান্ত যত বেশি কাগজপত্র উপস্থাপন করা যায় তত ভালো। এছাড়া ভিসা ফি ৭২৫১ ভারতীয় রুপি নগদ জমা দিতে হবে। তবে যারা স্কলারশিপ নিয়ে যাবেন তাদের এই ফি মওকুফ।পর্তুগিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম এবং বিশ্বমানের শিক্ষা দিয়ে থাকে যা পৃথিবীর সব দেশে গ্রহণযোগ্য।
তাছাড়াও পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এ পড়াশুনা শেষ করে সহজে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নেওয়া যায়, এখানে অনার্স, মাস্টার্স, পোস্ট গ্রেজুয়েশন ও পিএইচডি করার সুযোগ আছে এবং প্রায় সব বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়।টিউশন খরচ ইউরোপের অন্য দেশগুলো চেয়ে অনেক কম, বছরে খরচ ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো। থাকা, জীবনযাপনের খরচটাও যথেষ্ট সাশ্রয়ী, মাসিক ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে ভালোভাবেই চলা যায়।
৬.স্কলারশিপ | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এ বিভিন্ন স্কলারশিপের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। যেমন, Erasmus Mundus Scholarship, FCT Scholarship এবং বিভিন্ন University Internal Scholarship। এক্ষেত্রে পিএইচডি শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট অনুযায়ী প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের আগের গবেষণাপত্র বা প্রকাশনা পাঠাতে পারেন তাদের কাঙ্ক্ষিত উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭.কোর্স এবং আবেদন | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এ মূলত দুইটি সেশন সেপ্টেম্বর এবং ফেব্রুয়ারিতে আবেদন করার সুযোগ তবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেপ্টেম্বর সেশনে বেশি সংখ্যক বিষয় থাকে আবেদনের জন্য। দুই থেকে তিনটি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে। যেমন প্রথম সার্কেলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না পেলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের জন্য আহ্বান করা হয়।
ব্যাচেলর কোর্সে সরাসরি ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রথমে তাদের ৬ মাস থেকে ১ বছরের প্রাক-ব্যাচেলর কোর্স করতে হবে এবং সফলভাবে শেষ করলেই মূল কোর্সে যেতে পারবে। ব্যাচেলরে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক। তবে মাস্টার্স বা পোস্ট গ্রাজুয়েশন Medium of Instruction Certificate দিয়েও আবেদন করা যায়। তবে আইইএলটিএস হলে ভালো হয়, এতে ভিসার ইন্টারভিউ এবং ভিসা পেতে সুবিধা হয়। ভিসা নিশ্চিত করতে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।
৮. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর।
প্রশ্ন ১:কতো মাসের ব্যাংক স্টেইটমেন্ট দিতে হবে?
উত্তর:বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেইটমেন্ট দিতে হবে।
প্রশ্ন ২:মাসিক কতো ইউরোর মধ্যে ভালোভাবেই চলা যায়?
উত্তর:মাসিক ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে ভালোভাবেই চলা যায়।
প্রশ্ন ৩: ভিসা ফি কতো ভারতীয় রুপি নগদ জমা দিতে হবে?
উত্তর: ভিসা ফি ৭২৫১ ভারতীয় রুপি নগদ জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ
৯. লেখকের মন্তব্য | পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url