OrdinaryITPostAd

নারীদের ঘরে বসে কাজ করার বিশ্বস্ত উপায় ২০২২

 

নারীদের ঘরে বসে কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই নারীদের ঘরে বসে কাজ সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব নারীদের ঘরে বসে কাজ সম্পর্কে। নারীদের ঘরে বসে কাজ সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. সেলাই করে ঘরে বসে আয়
  2. অনলাইনে জিনিসপত্র বিক্রি করে আয়
  3. অনলাইনে টিউশন করিয়ে আয়
  4. কুটিরশিল্প নিয়ে কাজ করে ঘরে বসে আয়
  5. ভিডিও তৈরি করে আয়
  6. রান্না করে ঘরে বসে আয়
  7. লেখালেখি করে আয়
  8. গৃহপালিত পশু বা পাখি পালন করে আয়
  9. লেখকের মন্তব্য

১.সেলাই করে ঘরে বসে কাজের মাধ্যমে উপার্জন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

অনেকেই আছেন যারা নকশার কাজে অনেক ভাল। আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে নকশার কাজ করতে পারেন বাসায় বসে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড়, চাদর, টুপি ইত্যাদিতে নতুন নতুন নকশা তৈরি করতে পারেন। যা ঐ সকল কাপড়ে নতুন চাকচিক্যতা আনবে।আপনার যদি সেলাইয়ের বেসিক দক্ষতা থাকে তবে এটি আপনার পক্ষে আয়ের একটি উৎস হতে পারে। নারীদের ঘরে বসে কাজ করে উপার্জনের একটি মাধ্যম সেলাই করা। আপনি বাড়ির প্রবেশদ্বারে কেবল একটি নোটিশ পোস্ট করে প্রবেশদ্বারে প্রতিবেশীদের আপনার পরিষেবাগুলি অফার করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের আপনার পরিচিতি, পরিচিতজন, আত্মীয়দের কাছে অফার করুন। এভাবে আপনার প্রচারণা আস্তে আস্তে বাড়বে এবং সাথে আপনার উপার্জনও বাড়বে। সেলাই করে উপার্জন অনেক পুরাতন একটি পদ্ধতি।
  • হাতে সেলাই করে উপার্জনঃ
নারীরা ঘরের কাজের পাশাপাশি পোশাকে হাতে সেলাই করে নকশা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। আবার দেখা যায়, অনেক সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান নারীদের সহযোগীতার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে তোলে। এই সকল সংগঠন হাতে সেলাই এর কাজ দিয়ে থাকে এবং সেলাই এর মজুরি দিয়ে থাকে। নারীদের ঘরে বসে কাজের এটি একটি উত্তম উপায়। উল দিয়ে আপনি নিজেই অনেক ধরনের জামা কাপড় বানাতে পারেন। যাতে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন মন মাতানো নকশা। যা সবাইকে আকর্ষণ করবে। নকশা করার অনেক মাধ্যম আছে। যেগুলো করে আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। হাতে সেলাইয়ের কাজ বলতে শুধু জামা কাপড় তৈরি নকশা কে বোঝায় না। আপনি কুশন, টেবিল ক্লথ , নকশি কাঁথা, চাদর ইত্যাদি সেলাই করে উপার্জন করতে পারেন।
  • মেশিনের মাধ্যমে সেলাই করে উপার্জনঃ    
মেশিনের মাধ্যমে সেলাই বলতে পোশাক তৈরি, বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে উপার্জন করা যায়। নারীদের ঘরে বসে কাজের মধ্যে এটি একটি উপায়। যেমনঃ- মেয়েদের থ্রি পিস্  সেলাই ,  ছেলেদের শার্ট তৈরি ইত্যাদি। পোশাক মানুষের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হয়। নারীরা ঘরে বসে কাজ শেষে মেশিনে সেলাই করে পোশাক বানিয়ে উপার্জন করতে পারেন। আপনার যদি সেলাইয়ের বেসিক দক্ষতা থাকে তবে এটি আপনার পক্ষে আয়ের একটি উৎস হতে পারে। তাই সবার আগে বেসিক দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করবেন। শুরুতেই জটিল আদেশ গ্রহণ করবেন না। সহজ জিনিস দিয়ে শুরু করুন। একবারে অনেকগুলি অর্ডার নেওয়ার চেষ্টা করবেন না, প্রথমে ধীরে ধীরে তবে দক্ষতার সাথে কাজ করা ভালো। 

২. অনলাইনে জিনিসপত্র বিক্রি করে ঘরে বসে উপার্জন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

বর্তমানে সকল কিছুই অনলাইন প্লাটফর্মে ধাবিত হচ্ছে। তাই অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব। ঘরে বসে উপার্জন করার নিশ্চিত সুযোগ রয়েছে। শুধু দরকার কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন। অনলাইন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এখন অনলাইনের মাধ্যমে পন্য বেচা কেনা হয়েছে অনেক সহজ। 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পন্যের গুনগত মান তুলে ধরে খুব সহজেই ঘরে বসে ব্যবসা করা যায়। ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খুলে সেখানে পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেন। নারীদের ঘরে বসে কাজের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের আজকের তথ্য প্রযুক্তি। তাই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসে সহজেই উপার্জন করতে পারেন নারীরা। অনলাইনের মাধ্যমে নারীদের ঘরে বসে কাজ করে উপার্জন পদ্ধতিকে কাজে লাগানো উচিত। একজন নারী সাবলম্বী হলে দেশও এগিয়ে যাবে। 

একজন নারী স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না। বরং ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র বা জিনিসপত্র বিক্রি করে স্বাবলম্বী হতে পারে।একজন নারী চাইলে অনলাইনে হস্তে তৈরী কুটির শিল্প, শারীরিক পন্য, ফ্যাশন আইটেম,ইলেকট্রনিক পন্য,শিশুর পন্য, মশলা বা ভোজ্য আইটেম সহ আরও বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র বিক্রি করতে পারে।আমরা প্রথমে কুটির শিল্প নিয়ে বলতে পারি।মেয়েরা চাইলেই ঘরে বসে স্বহস্তে বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প তৈরী করে বিক্রয় করতে পারে।
যেমন নকশীকাঁথা, শীতল পাটি,কাঁসা পিতল শিল্প,মৃৎ শিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প ইত্যাদি। বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় এই পন্যগুলোর চাহিদা ব্যাপক।তারপর শারীরিক পন্য যেমন শ্যাম্পু, সাবান,মাথার তেল,পারপিউম,লোশন ইত্যাদি পন্য অনলাইনে বিক্রি করেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়।এরপর শিশুদের জনপ্রিয় কিছু পন্য বিক্রি আছে,যা বিক্রি করে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করা যায়।
তাছাড়া গৃহস্থালী প্রয়োজনীয় অনেক পন্য রয়েছে যেমন বিভিন্ন মগ,জগ,ওয়ালমেট ইত্যাদি পন্য গুলোকে বিভিন্নভাবে মডিফাই করে দৃষ্টিনন্দন আকৃতি দিয়ে বিক্রয় করা যায়।আবার বিভিন্ন মশলা বা ভোজ্য আইটেম রয়েছে, যা অনলাইনে বিক্রয় করে যেকোন নারীই স্বাবলম্বী হতে পারে।ঘরে প্রস্তুতকৃত প্রাকৃতিক উপাদান, মরিচ,হলুদ,ধনিয়া,কালোজিরা এগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে চাহিদাসম্পন্ন বিভিন্ন মশলা বা ভোজ্য আইটেম অনলাইনে বিক্রয় করা যেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন বই, খাতা,জামাকাপড়, জুতা, মোবাইল সারঞ্জামাদী ইত্যাদি অনলাইনে ঘরে বসে বিক্রয় করে একজন নারী ভালো মানের অর্থ উপার্জন বা স্বাবলম্বী হতে পারে। 

৩. অনলাইনে টিউশনি করে উপার্জন |নারীদের ঘরে বসে কাজ

নারীদের ঘর সামলানোর পাশাপাশি তারা যদি এই অনলাইন জগতে একটা সময় নির্দিষ্ট করে কিছু সময় দিতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কেউ আটকাতে পারবেনা।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে টিউশন করায় প্রতি আসক্ত হয়েছে মানুষ। এর চাহিদা এখন অনেক। তাই ঘরে বসে অনলাইনে টিউশনি করিয়ে উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে এই কাজের মাধ্যমে নারী হতে পারে আত্মনির্ভর।  


প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে অনলাইন টিউশন আরও সহজ করেছে কয়েকটি অ্যাপ। যেমনঃ- ক্রিয়েট টিউটর। নারীদের ঘরে বসে উপার্জনের মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম নির্ভরযোগ্য এবং লাভজনক মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে টিউশনি করার মাধ্যমে উপার্জন করা। শিক্ষামূলক  কন্টেন্ট তৈরী করা,শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে অর্থ উপার্জন করা,আরও বিভিন্ন মাধ্যমকে অনলাইনে টিউশনি এর অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইনের মাধ্যমে শুধু দেশের ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো না  বরং বাইরের দেশের ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো সম্ভব। এছাড়াও বাহিরের দেশের  ছাত্র-ছাত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে সাহায্য করে অর্থ উপার্জন করা যায় যা অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটিও অনলাইনে টিউশনি একটি মাধ্যম।

অনলাইনে ভিআইপি কিড হলো এমন একটি কোম্পানি, যে প্রতিষঠান আপনাকে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করার জন্য ইংরেজি শিখানোর উপর টাকা দিবে। এখানে আপনার নিজস্ব সিডিউল ও রুটিন থাকবে । ছোটো ছেলেমেয়ে থেকে শুরে করে বড়দের সবাই এখানে ইংরেজি শিখতে আসে। এখানে ইংরেজি টিউশন করে প্রতি ঘন্টায় ১০-২০ ডলার করে ইনকাম করতে পারবেন । এখানে ব্যাংক একাউন্ট এড করার সুবিধা আছে। বিভিন্ন ব্যংক যেমনঃ সোশ্যাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক আন্তর্জাতিক কারেন্সী সাপোর্ট করে। বেশিরভাগে শিক্ষকেরা ছেলেমেয়েদের ইংরেজি শিখিয়ে মাসিক ২০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।

ভিআইপি কিডে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা:

মনিটরিংঃ 
প্রথমত ছাত্রদের পড়াশোনার মান উন্নতির দিকে যাচ্ছে কিনা, সে সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো কোনো বিষয়ে পারদর্শী হচ্ছে কিনা, সে দিকে মনিটর রাখতে হবে।

শিক্ষা দেয়ার  ধরণ:
শিখানোর কোয়ালিটি ভালো হতে হবে, তা না হলে কেউ আপনার কাছে পুনরায় শেখার অভিপ্রায়ে আসবে না।

কোচিংঃ
একজন কোচিং প্রফেশনালের মতো করে এখানে ছাত্রদের শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. কুটিরশিল্প নিয়ে কাজ করে উপার্জন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

কুটিরশিল্প এর চাহিদা পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে। তাই নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কুটিরশিল্প নিয়ে কাজ করে উপার্জন করা যায়। অনলাইন এ কুটিরশিল্প নিয়ে কাজ করে ঘরে বসে সাবলম্বী হতে পারেন আপনিও।   নারীরা ঘরে বসে কাজটি সহজেই সম্পন্ন করতে পারেন। কুটিরশিল্পের ভেতর বাঙালি নারীর দীর্ঘায়িত স্বপ্ন, হাসি-কান্না, দুঃখকষ্ট, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। কুটিরশিল্পের নানা নকশার মধ্য দিয়ে বাঙালি জীবনের না বলা উপাখ্যানেরও চমৎকারভাবে প্রকাশ পেয়েছে।কুটিরশিল্প বাঙালি নারীদের সৃজনশীলতাকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে।নারীর অবগুণ্ঠন থেকে এই বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে কুটিরশিল্পের রয়েছে বলিষ্ঠ ভূমিকা। শুধু তাই নয়, কুটিরশিল্প নারীর এগিয়ে যাওয়া ও স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে জোরদার অবদান রেখেছে। কুটিরশিল্প নিয়ে সাবলীল হয়েছেন অনেক অল্প শিক্ষিত নারীরা। এই যুগে আপনি অনেক সহজেই কুটিরশিল্প নিয়ে কাজ করে সাবলম্বী হতে পারেন।আপনার কাজটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ এ শেয়ার করে বিক্রি বাড়াতে পারেন। 

নারীদের ঘরে বসে কাজ কুটিরশিল্পটি আপনাকে সাবলীল হতে সাহায্য করবে। আবার নারীরা নকশার কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। ঠিক নকশী কাথার মত পিঠা তৈরী ও মানুষের অনেক শখ এর একটি কাজ। শীতকাল আসলেই দেখা যায় ব্যস্ত নগরীর কর্মব্যস্ত মানুষ সময়ের জন্য তাদের বাসায় পিঠা বানানোর সময় টুকু বের করতে পারেন না। আর ঠিক তখনই গরম পিঠার স্বাদ আহরনে ব্যস্ত মানুষ ভরসা করেন পিঠা বিক্রেতাদের ওপর। শহরের রাস্তার গলিতে গলিতে অনেক মহিলা এবং পুরুষ পিঠা তৈরিতে নিজের যোগদান দিয়ে উপার্জনের একটি নতুন দরজা উন্মোচন করেছেন নিজেদের জন্য। আপনি নকশি পিঠা তৈরি করে ঘরে বসে অনলাইনে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন। 

তাছাড়া আপনি পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন পিঠার দোকানে এবং ফাস্ট ফুদের দোকানে পিঠা বিক্রি করতে পারেন। এজন্য আপনাকে দোকানের লোকের সাথে কথা বলে নিতে হবে। যদি এরকম কয়েকটি দোকান ঠিক করে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ভাল মানের ইনকাম করতে পারবেন।

হাতের কাজের মাধ্যমে যেসব জিনিস তৈরি করা হয় তা  কুটির শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। কুটির শিল্প নিয়ে কাজ করে শুধু একজন নারী নয় বরং দেশ উন্নত হতে পারে। নারীদের ঘরে বসে কাজের মধ্যে এটি একটি সহজতম পদ্ধতি যা খুবই প্রাচীন। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিভিন্ন জিনিস হাতে তৈরি করে আসছে। ইংল্যান্ড ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও কুটির শিল্প অবহেলিত হয়নি। জাপান যে স্বল্পমূল্যের পণ্য সরবরাহ করে বিশ্বের বাজার দখল করে রেখেছে, তার মূলে কুটির শিল্পের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

কুটির শিল্প আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এই শিল্পের সাথে আমাদের অর্থনীতির উন্নতি অবনতি জড়িত। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণ হলো কুটির শিল্প।

৫. ভিডিও তৈরি করে উপার্জন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

আপনার সুপ্ত গুনকে খুঁজে বের করে তার উপর দ্ক্ষতা অর্জন করে ভিডিও তৈরি করে অনলাইন শেয়ার করতে পারেন। এটা হতে পারে ভালো রান্নার উপর ভিডিও। হতে পারে সেলাই এর উপর আবার হতে পারে  ক্রাফট এর কাজ।নারীরা ঘরে বসে নিজেদের কাজের ভিডিও শেয়ার এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। ব্লগিং এখন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম নারীদের ঘরে বসে কাজ করার। এখন অনেক নারীই সাবলম্বী হচ্ছেন ব্লগিং করে। ব্লগিং করতে হলে আপনাকে জানতে হবে ব্লগিং এর নিয়ম। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে আপনাকে ব্লগিং সাইট খুলতে হবে। নানান ফ্রি ব্লগ সাইট রয়েছে যাতে আপনি আপনার ব্লগ চালু করতে পারেন। নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগে লেখালেখি তথা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগসাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।

একজন ব্লগার প্রথম বছর প্রতি মাসে ৫০০ হতে ১,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। তার পরের বছর গুলোতে ব্লগিং আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। একজন ফুলটাইম ব্লগার প্রতি বছর গড়ে ১ লক্ষ হতে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে শুধু প্রতি সপ্তাহে ২০ হতে ২৮ ঘন্টা দিয়ে। একজন ব্লগের প্রকাশক হিসেবে, আপনার অনলাইন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন যোগ করলে সহজে টাকা পেতে পারবেন। বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক। ঠিক একইভাবে বেশিমাত্রায় সার্কুলেট হওয়া সংবাদপত্রিকা বিজ্ঞাপনদাতাদের আরও বেশি চার্জ করতে পারে, আপনার সাইট এবং কন্টেন্ট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগের আয় সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরকরে ব্লগের ট্রাফিকের উপর। আপনার ব্লগ ট্রাফিক যত বেশি হবে ব্লগ থেকে আয় তত বেশি হবে। ব্লগের আয় নির্ভর করে আরও একটি বিষয়ের উপর আর সেটা হল ইমেইল লিষ্টের উপর।আপনার ইমেইল লিষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্লগের আয় বৃদ্ধি পায়। কারন, আপনার ইমেইল লিষ্ট থাকলে সেই লিষ্টের ব্যক্তি গুলোর কাছে আপনার ব্লগের নিউ পোষ্টের প্রচারনা চালাতে পারবেন।

আপনি যে ব্যাপারে পারদর্শী অবশ্যই আপনি সে ব্যাপারে ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন। লক্ষ্য রাখবেন ভিডিওটি মান যেন ভালো হয় সুন্দর হয়। আপনার ভিডিওটি দেখে যদি দর্শকেরা ভালো না লাগে তাহলে ভিডিওটিতে লাইক এবং চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব আসবেনা। একটি ভিডিও তৈরি করে সাথে সাথেই ইনকাম করা সম্ভব নয়। ভিডিওটিতে লাইক শেয়ার সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউয়ার্স বৃদ্ধি পেলে তবে আপনার ইনকাম হতে পারে। যত বেশি ভিউয়ার্স সাবস্ক্রাইবার এবং লাইক বাড়বে আপনার ইনকাম আরো বাড়বে। নারীদের ঘরে বসে কাজের মধ্যে এটি খুব সহজ উপায়।

যেমন ধরুন ভিডিওটি হতে পারে আপনার রান্নার উপর। আপনি যদি কোন রান্না খুব ভালো করতে পারেন, সে ব্যাপারে ভিডিও তৈরি করবেন। ভিডিওটির ভিতর প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ধরুন আপনি কেক বানাতে পারেন কেকটা কে আপনি কিভাবে তৈরি করলেন, কিভাবে সাজালেন, সকল কিছু সুন্দরভবে ভিডিওতে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন অবশ্যই আপনার ভিডিওটি যত সুন্দর হবে ততো ভিউয়ারস বাড়বে।

৬. রান্না করে নারীরা ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

বিভিন্ন ধরনের রান্না রেসিপি ইউটিউবে শেয়ার করে উপার্জন করা সম্ভব।বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয় করার সেরা মাধ্যম হলো ইউটিউব। আপনি ইউটিউব এ চ্যানেল খোলার পর ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিতে হবে। আপনার ভিডিও যত বেশি ভিউ হবে তত আপনার চ্যানেলের ভিউ আওয়ার বাড়বে। পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন। আপনার ভিডিও বেশি সংখ্যক লোক দেখার জন্য মানসম্পন্ন ও সৃজনশীল উপায়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে। আবার রান্না ডেলিভারি দিয়েও ঘরে বসে নারীদের উপার্জন করা সম্ভব।  তবে এর জন্য চাই একটু পরিশ্রম। পিঠা,চানাচুর,লাড্ডু জাতীয় খাবার বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। আধুনিক যুগে অনলাইন খাবার ওর্ডার নিয়ে উপার্জন করা যায়। আমাদের বিশ্বায়ন নারীদের ঘরে বসে কাজ করতে অনেক সাহায্য করে। বিশ্বায়নকে কাজে লাগিয়ে নারীরা ঘরে বসে কাজ করে হতে পারে সাবলীল।

ডিজিটাল যুগে বর্তমান মানুষ অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খেতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আপনি যদি নিজের একটি পেজ খোলেন এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার অর্ডার নেন, খাবার বানিয়ে সেগুলোর ডেলিভারি দেন তাহলে আপনি দিনে নিজের ঘরের পাশাপাশি উপার্জন করতে পারবেন। একটি উদাহরণ স্বরূপ এখানেও কেকের উদাহরণটা দিলাম। যদি কেক তৈরি করে পেজে তার ছবিগুলো ছাড়েন এবং সেখান থেকে অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি দেন তাহলে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। একটি এক পাউন্ডের কেক বানাতে আড়াইশো থেকে তিনশত টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিক্রি করার সময় সাড়ে পাঁচশো  থেকে ছয় শত টাকা নেওয়া হয়। এখানে দ্বিগুণ টাকা উপার্জন হয়। নারীদের ঘরে বসে কাজ এর  মধ্যে লাভজনক পদ্ধতি এটি।

নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নারীরা হতে পারেন স্বাবলম্বী। নারীদের ঘরে বসে কাজ এর লাভজনক একটি পদ্ধতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি রান্নার মাধ্যমে উপার্জন আর্টিকেলটি দিয়ে।

৭. লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

  • নারীরা ঘরে বসে নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে লেখালাখির মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। হতে পারে সেটি বই লেখা। আবার তা হতে পারে অনলাইনে লেখা। বর্তমান যুগে অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করছেন অনেক নারী।  ঘরে বসে কাজ করে এতো সহজে উপার্জন করতে কে না চাই। অনলাইনে লেখালেখি বলতে কন্টেন্ট লিখে নারী ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে প্রচুর কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা রয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে যারা আয় করতে আগ্রহী তারা ওয়েবসাইট অথবা পণ্য সম্পর্কে নানা কন্টেন্ট বানিয়ে থাকে। তাই ঘরে বসে আপনি কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনার লেখার মান অনুযায়ী আপনি কন্টেন্ট এর দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। তাই অল্প সময়ে অধিক আয় করার সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে। পাশাপাশি আপনি যদি কোন সাইট বানিয়ে আয় করতে চান তখন আপনাকে আর টাকা দিয়ে কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ দিতে হবে না। বরং আপনি নিজেই নিজের সাইটের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

  • 500 শব্দে আর্টিকেল লিখলে আপনি 5 থেকে 20 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এর মধ্যে কনটেন্ট লিখে উপার্জন করার জন্য হাজার হাজার জব পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের সন্ধান পাওয়া কষ্টকর। আপনি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হলে ভালো পরিমাণ অর্থ দাবী করতে পারবেন কনটেন্ট লিখে। তাই ভালো আপনাকে ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে হলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মনোযোগ আকর্ষণীয় ভালো কনটেন্ট লিখতে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে প্রশিক্ষণ অর্জন করতে পারেন।  ঘরে বসে কনটেন্ট লিখে উপার্জন করতে ওয়েবসাইটে কমপক্ষে 300 শব্দের একটি কনটেন্ট আপনাকে লিখতে হবে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কনটেন্ট লিখতে হয় । যে বিষয়ে আপনার খুব ভালো জ্ঞান আছে সে বিষয়ে কনটেন্ট লিখে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে হয়।  কনটেন্ট লিখে পাঠক কে তথ্য দিতে হবে। যে বিষয়ে আপনি কনটন্ট লিখছেন ,সে বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান স্বল্প হয়, তাহলে সে বিষয়ে আগে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে তারপর সেই জ্ঞান কনটেন্ট লিখে সকলের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে।

  • একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু নিয়ম আপনাদের সুবিধার্থে উপস্থাপন করা হলো:
  • স্পষ্ট,‌ আকর্ষণীয় ও ছোট টাইটেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  • অবশ্যই হেডিং দিয়ে কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন
  • শব্দ সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচশত থেকে থেকে পনেরশো শব্দের কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন। তবে যদি পনেরশো এর অধিক হয় তাহলে আরো ভালো। যত বিস্তারিত লিখতে পারবেন আপনার রিডার সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।
  • ছোট ছোট প্যারা করে লিখলে মনোযোগ আকর্ষণ হবে পাঠকের তাই ছোট ছোট প্যারা করে লেখার চেষ্টা করবেন। 
  • আর্টিকেলটি আরো আকর্ষণীয় করতে আপনি ছবি ব্যবহার করতে পারেন। পাঠক এতে করে পড়তে আগ্রহী হবেন । 

৮.গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে উপার্জন| নারীদের ঘরে বসে কাজ

গৃহপালিত পশু পাখি পালন একটি পুরাতন পদ্ধতি নারীদের ঘরে বসে কাজ করে উপার্জনের। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে সাবলম্বী হয়েছেন অনেক অল্প শিক্ষিত নারী। এখন শিক্ষিত নারীরাও ঘরে বসে উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছেন  গৃহ পালিত পশু পাখি পালন করাকে। আমাদের দেশে গৃহপালিত পশু পাখি প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মানুষের নানাবিধ কল্যাণে দৈনন্দিন জীবণের প্রয়োজনে ব্যবহার হয়ে আসছে।
 ভূমি হ্রাসের কারণে গ্রামাঞ্চলের কৃষক পরিবারে যে আর্থিক দৈন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে গবাদি পশু-পাখি পালনে।গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁসসহ বিভিন্ন গৃহপালিত পশু-পাখি পালন পৃথিবীর সুপ্রাচীন পেশাগুলোর একটি। সময়ের পরিবর্তনে এগুলোর লালন-পালন প্রক্রিয়া ও ধরণে পরিবর্তন এসেছে বেশ। এখন এককভাবে বা যৌথভাবে গড়ে উঠেছে অনেক ফার্ম। আমাদের দেশেও ছোট-বড় অনেক ফার্ম আছে। আবার প্রাচীনতম পদ্ধতিতে গোয়াল ঘরে, খোঁয়াড়ে, খাঁচায় পশু-পাখি পালনের প্রচলনও রয়েছে আমাদের দেশে। 
এখন শখের পাখি পেলেও সাবলীল হচ্ছেন অনেকেই।  নারীরা ঘরের কাজ এর পাশাপাশি পশু পাখি পালন করতে পারেন। পশু পাখির যত্নের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। কোন রোগ হলে কি খাওয়াবেন, কতো টুকু পরিমান সুষম খাদ্য দিবেন এই গুলো জানা অতি জরুরি।  আপনি যদি সঠিক পরিমাণ খাবার খেতে না দেন গৃহপালিত প্রাণীকে তাহলে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে মুনাফা পাবেন না। আকাংখিত মুনাফা পেতে চাইলে আপনাকে খাবার এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। প্রাচীন কাল হতে বর্তমান পযন্ত গবাদিপশু পাখি পালন করে উপার্জন করতে দেখা যায় অনেক নারীকেই। সাবলীল হতে নারীদের ঘরে বসে এই কাজটি অনেক ভালো উপায়।

৯. লেখকের মন্তব্য

বিভিন্নভাবে নারীদের জন্য ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ আছে কিন্তু সুযোগ থাকলেই হবে না , আপনাকে পরীশ্রমী হতে হবে। আপনি পরিশ্রমী হলে যে কোন কম্পানি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে রাখবেই কেননা আপনার পরিশ্রমের কারণে তাদের প্রতিষ্ঠানের উত্তর উত্তর উন্নতি হবে আর অন্যদিকে আপনি যদি পরিশ্রমী না হন তবে তারা আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে রাখবে না কেননা আপনার মাধ্যমে তাদের উন্নতি না হয়ে অবনতি হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url