OrdinaryITPostAd

কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ (নতুন বিজ্ঞপ্তি)

দেশের অনেকেই এখন কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান। আধুনিকতার যুগে এসে এখন কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সম্পর্কীয় তথ্য জানতে এখন আর তৃতীয় ব্যক্তি বা দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, এখন ঘরে বসেই  কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সকল তথ্য (যেমনঃ সিঙ্গাপুরে যেতে কত টাকা লাগে, ভিসার প্রাইস, শ্রমিকদের বেতন কত, যোগ্যতা কেমন লাগে ইত্যাদি ) সম্পর্কে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।



অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

১.কানাডায় কয়টি ভিসায় যাওয়া যাবে?কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩

কানাডা কৃষি ভিসায় ২০২৩ সালে এসে যদি কৃষি ভিসার অধীনে আপনি যেকোনো প্রফেশন থেকে জব অফার আনতে পারেন তাহলে কানাডার দুইটা ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। 

  • প্রথমটির নাম কানাডা এগ্রি ফুড পাইলট প্রোগ্রাম। এই এগ্রি ফুড পাইলটের অধীনে কৃষি ভিসা রিলেটেড যে সমস্ত প্রফেশন আছে সেই প্রফেশন গুলো থেকে কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সালে এসে ২৭৫০ জন ব্যক্তিকে আগামী এক বছরের মধ্যে ক্যানাডিয়ন সরকার নিবে। আপনি যদি এই কৃষি প্রফেশনে যুক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কানাডা এগ্রি ফুড পাইলট  প্রোগ্রামে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। এটা এক ধরনের কৃষি ভিসা।
  • আরেকটা প্রোগ্রাম হচ্ছে আরএন.আই.পি (রুরাল এ্যান্ড নরর্দান ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম) এটা হচ্ছে যতগুলো পাইলট প্রোগ্রাম আছে তার মধ্যে একটা পাইলট প্রোগ্রাম এবং এই আরএন.আই.পি.র প্রোগ্রামে এলিজিবল করা কানাডাতে যেই ক্যাটাগরিগুলো জব আছে জিরো, এ, বি, সি,ডি. অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম ডি ক্যাটাগরির জব গুলো হচ্ছে কৃষি রিলেটেড, বা এগ্রিকালচার রিলেটেড জব। এই যে ক্যাটাগরি জব যেহেতু কানাডা গ্রহন করছে তার মানে আপনি যদি এ ক্যাটাগরি বা কৃষি রিলেটেড কোন প্রফেশন থেকে জব অফার আনতে পারেন তাহলেই কিন্তু আপনি আর.এন.আই.পির প্রোগ্রাম বা ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

২.কোন পেশার মানুষ কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে?কানাডা কৃষি ভিসা ২০২২

কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সালের সার্কুলারে থেকে জানা যায় যে, আসলে সব ধরনের পেশার মানুষ ভিসার জন্য এ্যাপ্লাই করতে পারবে না। কারা পারবে তা জানানো হবে কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ এই নিবন্ধনের পরবর্তী অংশে।
  1. ফার্ম সুপারভাইজারঃ  কোন এগ্রিকালচারাল ফার্মের সুপারভাইজার আছেন বা ডেইলি ফার্মের সুপারভাইজার আছে বা কোন নার্সারি ফার্মের সুপারভাইজার আছে তার মানে এই সকল প্রফেশনে যারা আছে তারা কিন্তু এই কৃষি বিষয়ের অধীনে জব পাবে। 
  2. বুচার্স বা মিটকাটারঃ যাদেরকে বাংলায় আমরা কসাই হিসাবে জানি বা যারা মাংস কাটে। এরা যুক্ত আছে। বাংলাদেশের মার্কেটের কথা যদি বলা হয় তাহলে সুপার সপস, (এগোরা, স্বপ্ন, বেঙ্গল মিট, মিনাবাজার,) এই সমস্ত সুপার শপ গুলোতে যে সকল ব্যক্তিরা মিট কাটার বা কসাই হিসাবে যুক্ত আছেন তারা কিন্তু এই কৃষি বিষয়ের অধীনে আপনি জব অফারে এনে কানাডাতে কিন্তু যেতে পারবে।
  3. ফুড প্রসেসিং কর্মী এবং জেনারেল ফার্ম ওয়ার্কারঃ ফুড প্রসেসিং কর্মী হল- স্পেশালি যারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এগ্রিকালচার রিলেটেড সেক্টরে কাজ করে, ফুড প্যাকেজিং করেন, ফুল ফুড পিক করে গাছ থেকে, তারপর সেগুলোকে বাইন্ডিং করে বা সেগুলোকে বস্তায় ভরে বা সেগুলোকে প্যাকেজিং করার যে কাজগুলো আছে. সেই কাজগুলোর সাথে যারা রিলেটেড আছেন. তাঁরা কিন্তু এই ফুড প্যাকেজিংএর আওতাভুক্ত হয়ে যাবেন। এবং যারা গার্ডেনিং কাজের সাথে যুক্ত তারাও কিন্তু এই ফুল নিয়ে এই ফুড প্যাকেজিং এর কাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন।
  4. জেনারেল কর্মীঃ জেনারেল কর্মী হচ্ছে সাধারণভাবে যে সকল কৃষকরা ক্ষেতে কাজ করেন. যেমন  ক্ষেতে পানি দিতে হচ্ছে বা শেচ প্রকল্পর অধীনে চাষ কাজ করতে হচ্ছে. বা ক্ষেতের দেখাশোনার কাজ করতে হচ্ছে. বা ক্ষেতগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হচ্ছে. এই সমস্ত প্রফেশনেও যারা বিভিন্ন জায়গায় দেশে দেশের বাইরে কর্মরত আছেন. তারা কিন্তু এই সকল কাজ দেখিয়ে ক্যানাডা থেকে জব অফার লেটার এনে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। 
  5. হারভেস্টিং  কর্মীঃ হার্ভেস্টিং কর্মী যারা ফসল কাটা বা মারার কাজে যুক্ত আছেন তারা ভিসার জন্য এ্যাপ্লাই করতে পারবেন।  
  6. ফার্মিং কর্মীঃ যারা বিভিন্ন এগ্রিকালচারের ল্যান্ডের মালিক। বা যাদের বিভিন্ন রকম ফার্ম আছে বা বাংলাদেশ সরকার কিছু ফার্ম আছে, তাঁদের অধীনে বিভিন্ন অঞ্চলে বড় বড় কিছু কৃষি ফার্ম আছে. এই সকল ফার্মে যারা কাজ করেন তারা কিন্তু এলিজিবল হবেন। এবং একই সাথে যাদের ব্যক্তি মালিকানায় বিভিন্ন ফার্ম আছে, যেমন অনেকের ৩০০ বিঘা জমি বা ৪০০ বিঘা জমি আছে এবং তাঁদের জায়গা বিভিন্ন এগ্রিকালচার প্রজেক্টের অধীনে বা এগ্রো প্রজেক্টের অধীনে দিয়ে দিয়েছে. বা এগ্রিকালচারাল কাজ এই সকল ল্যান্ড মালিক যারা আছে তারাও কিন্তু এই কৃষি ভিসার অধীনে যেতে পারবে কানাডায়। 
  7. কৃষি কন্ট্রাক্টরঃ যারা এগ্রিকালচারাল কন্ট্রাক্ট দিয়ে থাকেন। এগ্রিকালচারাল কন্ট্রাক্ট হচ্ছে- একজন থেকে কাজ নিয়ে নেওয়ার পরে কিছু শ্রমিক দিয়ে কাজ করালাম। কাজ করিয়ে তাদের থেকে  কাজটা উদ্ধার করে নিলো, অর্থাৎ যেই এই কৃষিকাজকে বাস্তবায়ন করার জন্য যে কন্ট্রাক্ট আছে যারা কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন তারাও কিন্তু এই প্রোগ্রামগুলোর অধীনে এলিজিবল হবে।

৩.কানাডা ভিসায় পেতে কিছু দিক লক্ষ্যনীয় রাখা।কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩

কানাডা কৃষি ভিসায় আবেদনের সময় কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে সেগুলো কি তা জানবেন কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ লেখার এই অংশে। প্রথমত আপনি যদি অপ্রতিষ্ঠানিক কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে কিন্তু ভিসা প[বেন না। নরমালি আমরা বাংলাদেশের মানুষ এই সকল কাজগুলো সবাই করে থাকি. কিন্তু আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি নাই। ফলে আপনি কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলে কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ সালের জন্য এপ্লিকেশন করতে পারবেন না। এবং আপনাকে কিন্তু কোন কানাডিয়ান কোম্পানি জব অফার দিবে না। তার মানে আপনি যদি প্রাতিষ্ঠানিক রিলেটেড কোন ফার্মে এই অভিজ্ঞতা আপনি দেখাতে  পারেন তাহলে কিন্তু আপনি জবের জন্য এলিজিবল হবেন।

৪.কানাডা কৃষি ভিসার দাম  কেমন?কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩

কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলের এই পর্যায়ে জানবেন কানাডার কৃষি ভিসার সাধারণ মুল্য কেমন হয়ে থাকে। কানাডার ভিসার দাম সাধারণত ৮ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু যারা কৃষি বিষয়ে পুর্বের অভিজ্ঞতা আছে তাদের ভিসা পেতে সহজ হয়। উপরে উল্লেখিত দাম সার্বজনীন নয়। এজেন্ট এবং কোম্পানিভেদে ভিসার দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিভিন্ন এজেন্সি তারা ভাড়া সহ অন্যান্য সকল বিষয়ে চুক্তি করে থাকেন, তাই ভিসার এতো দাম।এজন্য সঠিক তথ্য পেতে বিভিন্ন এজেন্সি এবং কানাডিয়ান কোন হেল্প সেন্টার এর মাধ্যমে অতি সহজেই কৃষি ভিসার দাম কত এবং কি কি খরচ লাগবে তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

৫.কৃষি ভিসা পেতে কি কি লাগতে পারে।কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩

কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩-সালে এসে যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু কাগজপত্র, ডকুমেন্ট এবং কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।
  1. আপনাকে কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া লাগবে আপনি কৃষি বিষয়ে অন্য কোথাও কাজ করেছেন। আগে যদি অন্য কোন দেশে গিয়ে কৃষি কাজ করে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ে অবশ্যই প্রমাণস্বরূপ ভিসার জন্য দেখাতে হবে।
  2. এনআইডি কার্ডের ফটোকপি 2 কপি।
  3. পাসপাের্ট সাইজের ছবি চার কপি।
  4. 6 মাসের ভ্যালিড পাসপাের্ট অবশ্যই থাকা লাগবে।
  5.  ইংলিশ জানা থাকতে হবে(কোন কোন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়)।
  6. কৃষিকাজে দক্ষতার প্রমাণ ভিসা অথবা সার্টিফিকেট ।
  7. চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র।

৬.কানাডা কৃষিকাজের বেতন কতো?কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩

কানাডা কৃষিকাজের বেতন কেমন হয় তা জানবেন কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩- আর্টিকেলের এই পর্যায়ে।কানাডায় কৃষি কাজের বেতন সাধারণত ২-৩ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আবার আপনি যদি কৃষি খুব বেশী পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেতন হবে আর বেশী । কানাডায় কৃষি কাজের বেতন নির্ভর করে আপনি আপনার কাজে কতটা অভিজ্ঞ। এবং আপনি যে আসলেই অভিজ্ঞ এজন্য কৃষি কাজের উপর ৩ মাসের প্রশিক্ষন নিয়ে তার সনদপত্র নিতে হবে। অথবা অন্যান্য দেশে আগে কাজ করে থাকলে সে দেশের কাজের প্রমান দেখাতে পারবেন। কানাডাতে অন্যান্য ভিসায় যেতে হলে অনেক রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন আছে কিন্তু কৃষি ভিসায় কানাডায় যেতে হলে তেমন কোন কঠিন রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে না।

৭.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর।

১.প্রশ্নঃ কানাডা যেতে কি ইংরেজি জানতে হবে?
উত্তরঃ না, আসলে এইটা নির্ভর করে কোম্পনির ওপর।
২.প্রশ্নঃ কানাডার কৃষি ভিসার দাম কত?
উত্তরঃ সাধারণত ৮-১০ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে
৩.প্রশ্নঃকানাডা কৃষি ভিসা পেতে কি পুর্ব অভিজ্ঞতা থাকা কি জরুরী?
উত্তরঃ জ্বী, ভিসা পেতে আপনার পুর্ব অভিজ্ঞতা থাকা জরুরী, কাজের সনদ থাকলে আরো ভালো
৪.প্রশ্নঃ ভিসা পেতে কয় মাসের প্রশিক্ষন প্রয়োজন?
উত্তরঃ ৩-৬ মাসের  প্রশিক্ষন দরকার।

৮.লেখকের মন্তব্য।

দেশের মানুষ সবসময়ই ভালো জায়গায় কাজের স্বপ্ন দেখে যেমন কানাডা তার মধ্যে অন্যতম। দেশের মানুষের মুল কাজ কৃষি। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে কানাডা যেতে পারবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভূমিকায় অবদান রাখতে পারবে। এবং তাদেরকে উদ্দেশ্য করে মূলত  কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলটি লেখা। আশা রাখা এই নিবন্ধনটি তাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url