OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশি মুদ্রার ইতিহাস

 টাকা হলো বিনিময়ের মাধ্যম। যার মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সেবা গ্রহণ, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করা যায়। এটি বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্য, সেবা পরিশোধের মান, আয়-ব্যয়ের একক।অর্থনীতির প্রধান বাহন হল টাকা। টাকা ছাড়া দুনিয়া অচল। অর্থনীতিকে সচল রাখতে মানুষের জীবনযাত্রা ঠিক রাখতে টাকা অপরিহার্য। আজকের আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশি মুদ্রার ইতিহাস জানবো।


অনুচ্ছেদ সূচি   (যে অংশটি পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. টাকা শব্দটির উদ্ভব 
  2.  টাকার প্রয়োজনীয়তা 
  3. অর্থ বা টাকার উদ্ভব
  4. টাকার ইতিহাস 
  5. কড়ি প্রচলনের ইতিহাস 
  6. বাংলাদেশী মুদ্রার ইতিহাস 
  7. নিজস্ব কাগজি মুদ্রার ইতিহাস 
  8. বাংলাদেশের স্মারক নোট 
  9. পয়সা ও কয়েনের ইতিহাস 
  10. কোন টাকা তৈরিতে কত টাকা খরচ 
  11. টাকশাল বাংলাদেশ 
  12. টাকার ভবিষ্যৎ

টাকা শব্দটির উদ্ভব 

টাকা শব্দটি অনেক প্রাচীন।টাকা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। সংস্কৃত শব্দ টঙ্ক থেকে  এসেছে টাকা শব্দটি। যার  অর্থ রৌপ্য মুদ্রা।প্রাচীনকালে  বঙ্গ  রাজ্যে টাকা দ্বারা যেকোন মুদ্রা বা ধাতব মুদ্রাকে বুঝানো হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল মনে করেন, টাকা  শব্দটি আমাদের ভাষার বিকাশের ইতিহাস। তিনি বলেন,  বাংলা ভাষার শিকড় দুটি-প্রাকৃত ও সংস্কৃত।এ দুটি  ভাষার একটি শব্দ ছিল টংকা। সংস্কৃত ও প্রাকৃত দুটি ভাষাতেই টঙকা শব্দটি থাকায় সেখান থেকে টাকা শব্দটি এসেছে। কারণ শব্দটি আমাদের ভাষার শিকড়। আগে যেকোনো  ধরনের মুদ্রা বা ধাতব মুদ্রা বোঝাতে টাকা শব্দটি ব্যাবহার করা হত।টাকা দ্বারা ঐ সময় অর্থকে বোঝানো হত। চতুর্দশ শতকের শুরুতে বাংলায় এর প্রচলন শুরু হয়।

টাকার প্রয়োজনীয়তা 

মানুষের জন্ম থেকে  মৃত্যু পর্যন্ত টাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। টাকা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তুমি কোন কিছু খেতে চাও, কোথাও যেতে চাও, মোটকথা জীবনে যাই করতে চাই সেজন্য টাকা দরকার। টাকা ছাড়া জীবন অচল। বিনিময়ের মাধ্যম হল টাকা আর টাকা হল মুদ্রার একটি নাম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ভিন্ন ভিন্ন নাম। টাকা, ডলার, দিনার, রুপি,  ইয়েন, রুবল, শেকল, রিংগিত, ইউয়ান, ইউরো ইত্যাদি মুদ্রার নাম। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন টাকা ছিল না। তখনও মানুষের লেনদেনের প্রয়োজন হতো। তখন তারা কীভাবে চাহিদা মেটাত। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ লেনদেনের প্রয়োজনীয়কা অনুভব করছে। তখন তারা বিভিন্ন উপায়ে লেনদেন করেছে। কখনো তারা গাছের পাতা দিয়ে, কখনো বা ধাতব খন্ড দিয়ে লেনদেন করেছে। 

টাকা ছাড়া কোন কিছু চলবে না। টাকা ছাড়া দুনিয়া অচল। মানুষের জীবনটা টাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। জীবনের সবক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন। টাকার প্রয়োজন অপরিসীম। মানুষ টাকার জালে এমনভাবে আবদ্ধ যে মানুষ এখন  টাকা ছাড়া কিছুই দেখেনা। এখন মানুষ টাকাকে জীবন মনে করে। কথায় আছে টাকাকে বলা হয় দ্বিতীয় গড। তবে টাকা দিয়ে সব সময় সবকিছু কিনা যায় না। টাকা দিয়ে শরীর সুস্থতা কেনা যায় না।কিন্তু আজীবন সুস্থ থাকার জন্য টাকা অপরিহার্য।

 অর্থ বা টাকার উদ্ভব 

রোমের সাত পাহাড়ের অন্যতম একটি পাহাড় ক্যাপিটোলাইন পাহাড়ের জুনো মন্দির থেকে অর্থ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে। প্রাচীনকালে জুনো প্রায়ই অর্থের সাথে সংযুক্ত হত।প্রাচীন রোমের টাকশাল জুনো মনেটার মন্দিরে অবস্থিত ছিল। 

টাকার ইতিহাস 

প্রাচীনকালে অর্থনীতিতে টাকার কোন প্রচলন ছিল না। তখন বিনিময় প্রথা চালু ছিল। মানুষ একে অপরের সাথে পণ্য বিনিময় করত।এরপর একটা সময় এসে চালু হয় স্বর্ণমুদ্রা।স্বর্ণমুদ্রা প্রচলনের যুগে ধাতুর তৈরী টাকা ব্যবহার করা হত।কিন্তু ধাতুর তৈরী টাকা ক্ষয় হয়ে যেত।এছাড়া স্বর্ণমুদ্রা সাথে থাকলে ঝুঁকি থাকত আর এগুলো পরিবহন করা কষ্টসাধ্য ছিল। এরপর একটা সময়  আসে যখন  মানুষ স্বর্ন স্বর্ণকারের কাছে  দিয়ে আসত। আর স্বর্ণকারের কাছ থেকে রসিদ নিয়ে আসত। তারা লেনদেন করলে ঐ রসিদ ধরিয়ে দিত। এই রসিদ জমা দিলে স্বর্ণকার তাকে ধাতুর মুদ্রা দিতে বাধ্য থাকত। কারণ রসিদে লেখা থাকত,  "চাহিবামাত্র ইহার বাহককে মুদ্রা দিতে বাধ্য থাকবে।" একটা  সময় আমেরিকা, এশিয়া আফ্রিকার  অস্ত্রেলিয়া সমাজে ব্যবহৃত হত শেল অর্থ কড়ির ।হেরোডোটাস এর মত অনুসারে লিডিয়ানসরা স্বর্ণ ও সিলভার কয়েনের ব্যবহার করত। সং ডাইনেস্টি এর সময় চীনে প্রথম টাকা বা ব্যাংক নোট উদ্ভব  হয়। এই ব্যাংকনোট জিয়াজি নামে পরিচিত যার সপ্তম শতাব্দী হতে এর ব্যবহার শুরু হয়। ভ্রমণকারী মার্কো পোলো ও উইলিয়াম অব রাবরাগের হিসাবে  মাধ্যমে ইউরোপে  প্রথম কাগজের মুদ্রা পরিচিত পায় । স্টকহোলমস বেনকো ইউরোপে সর্বপ্রথম ব্যাংক নোট ইস্যু করে সপ্তদশ শতাব্দীতে।  সোনার মানে আর্থিক ব্যবস্থায় বিনিময়ের মাধ্যম ছিল ব্যাংক নোট। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ সোনার মান গ্রহণ করে। নির্ধারিত পরিমাণ সোনার সাথে তারা  বৈধ মূল্যমানের নোট সমর্থন  করেন। ব্রেটন উডস সম্মেলন ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর অধিকাংশ দেশ প্রচলন করে ফিয়াট মুদ্রা। যা নির্ধারিত ছিল আমেরিকান ডলারে।আমেরিকান ডলার পরিবর্তিত হয় তা নির্ধারিত সোনার মানে।কিন্তু আমেরিকান সরকার  ১৯৭১ সালে আমেরিকান ডলারের  স্বর্ণে পরিবর্তন হওয়া বাতিল করে। এর ফলে  অনেক দেশ তাদের মুদ্রা আমেরিকান ডলারে স্থির রাখে।

কড়ি প্রচলনের ইতিহাস 

প্রাচীনকালে যখন টাকার প্রচলন ছিল না, তখনো কিন্তু বিনিময় প্রথা ছিল। তখন বিনিময় মাধ্যম  হিসেবে ব্যবহার হতো কড়ি, পুতি, লবণ, চামড়া, শস্যদানাসহ বিভিন্ন উপকরণ। মুদ্রা আবিষ্কারের পর বিনিময় প্রথার বিলুপ্ত হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান বিশেষ করে আফ্রিকার বিভিন্ন স্থান, আমেরিকার আদিবাসী জনপদ, ভারত  এমনকি বাংলাদেশেও  মুদ্রার  আবিষ্কার এর পরও কড়ির প্রচলন ছিল। মূলত কড়ি ছিল বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্র শামুক। খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের শাসনামলে মহাস্থান শিলালিপি থেকে পাওয়া যায়, অশোক স্থানীয় গভর্নর কে দুর্ভিক্ষের সময় জনগণকে সাহায্য প্রদানের জন্য  গন্ডক ও কণিকা প্রদানের নির্দেশ দেন।গন্ডক ও কনিকা মূলত কড়ি গণনার একক।পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মুদ্রার বিকল্প হিসেবে কড়ির প্রচলনের প্রমান পাওয়া যায়। তবে বাংলায় কবে নাগাদ কড়ি প্রচলন হয় তা জানা যায়  না। বাংলায় প্রায় ১৯শতক পর্যন্ত কড়ির প্রচলন ছিল। চর্যাপদেও বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কড়ির ব্যাবহারের কথা  উল্লেখ আছে।চৌদ্দ শতকে বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা বাংলায় এসেছিলেন। বাংলা ভ্রমণ নিয়ে বিখ্যাত বই কিতাবুর রিহালাতে তিনি বর্ণনা করেন, এ দ্বীপের(মালদ্বীপের) বাসিন্দারা টাকাপয়সা হিসেবে কড়ির ব্যাবহার করত। তারা বাংলায় অধিবাসীদের কাছে চালের বিনিময়ে কড়ি বিক্রি করতেন। বাংলায়ও এ জিনিস অর্থ  হিসেবে ব্যবহার হতো।পনের শতকে বাংলা ভ্রমণ করেন মা হুয়ান।  তিনি তার ভ্রমন কাহিনিতে লিখেছেন,  বাংলায় তখন রুপার মুদ্রা চালু ছিল।বড় ব্যাবসায়িকরা লেনদেনে  এই মুদ্রা ব্যবহার করত।কিন্তু ছোটখাটো কেনাকাটায় তারা কড়ি ব্যবহার করত। ব্রিটিশ শাসনামলেও বাংলায় কড়ি ব্যবহার ছিল।এছাড়া ব্রিটিশরাও  তাদের দেশে বাংলার কড়ি ব্যবহার করত।  ইংল্যান্ডে দাস দাসী কেনাবেচায় কড়ি ব্যবহার করত।আর সব থেকে  বড়কথা হল এসব কড়ি আমাদের দেশের ছিল না। আগেই বলা হয়েছে এগুলো মালদ্বীপ থেকে চালের বিনিময়ে আনা হত।এসব কড়ি ছিল দুধসাদা রঙের, চ্যাপ্টা আকৃতির।ভাস্করাচার্যের লীলাবতী গ্রন্ধানুসারে,কড়ি গণনা বিধি--২০ কড়ি=১কাকিনি, ৪ কাকিনি=১পণ, ১৬ পণ ১দ্রক্ষ্ম, ১৬ দ্র=১ নিস্ক(স্বর্ণমুদ্রা)=২০৪৮০ কড়ি। সেই যুগে  মুদ্রা হিসেবে কড়ির ব্যপক প্রচলন ছিল।বাংলা  ভাষা ও সাহিত্যে অনেক আগে থেকে  কড়ির ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। একটা সময় বাংলার সামাজিক ও  আর্থিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল কড়ি।

বাংলাদেশি মুদ্রার ইতিহাস 

টাকা হল বাংলাদেশের মুদ্রা।বাংলাদেশি টাকার ইতিহাস শুরু সেই ১৯৪৭ সালে। তখন দেশে রুপির প্রচলন থাকলেও কাগজে কলমে  এটিকে টাকাও বলা হতো। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদীরা পাকিস্তানি মুদ্রার একপাশে বাংলাদেশ,অন্য পাশে Bangla Desh লেখা রাবার স্ট্যাম্প ব্যাবহার করত। কিন্তু পাকিস্তানি সরকার বিষয়টি অবগত হয়ে পরবর্তীতে  ১৯৭১ সালের ৮জুন এই মুদ্রাকে অবৈধ ঘোষনা করে। পাকিস্তানি সরকারের নিষেধাজ্ঞা  স্বত্বেও এই মুদ্রা ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত চলেছিল।১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ঐ সময় ৩মাস পর্যন্ত রুপির প্রচলন ছিল। ১৯৭২সালে ১ম কোষাগার মুদ্রা হিসেবে ১টাকার নোট বের করা হয়। তবে এর আগে ঐ বছরেই ৪ মার্চ বাংলাদেশি কারেন্সিকে টাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

নিজস্ব কাগুজে মুদ্রার ইতিহাস 

এক টাকা

বাংলাদশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশকিছুদিন পাকিস্তানি ১রুপি প্রচলিত ছিল।বেশকিছুদিন এই মুদ্রা বাংলাদেশে প্রচলিত ছিল। এরপর ১৯৭২সালের ৪ মার্চ ১ম ১ টাকার নোট বের হয়।আর ১৯৭৩ ২রা মার্চ ১ম জাতীয় প্রতীক সম্বলিত ১টাকার নোট বের করা হয়।  ঐ বছরেই আরেকটি ১টাকার নোট বের হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছাপ সম্বলিত ১ টাকার নোট বের হয়।

দুই টাকা

১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ২ টাকার নোট বাজারে আসে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর নোটের একটি ২টাকার  নোট।১৯৮৯ সালে রাশিয়ার একটি অনলাইন  এন্টারটেইনমেন্ট আউটেলেটে ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২টাকার নোটটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নোটের স্বীকৃতি পায়।

পাচ টাকা

১৯৭২ সালে ৪ঠা মার্চ ১ টাকার নোটের সাথে ৫ টাকার নোটও ছাপানো হয়। ১৯৭৬ সালে   এই নোটের সাথে তারা মসজিদের ছবি ছাপানো হয়। তবে পরবর্তীতে এই ছবি আবার পরিবর্তন করা হয়। তারা মসজিদের পরিবর্তে কুসুম বাগ মসজিদের মেহরাব এর ছবি ইস্যু করা হয় ১৯৭৮ সালের ২রা মার্চ।১৯৯৩ সালে পাঁচ টাকার কয়েন ইস্যু  হয়। ১৯৭৮ সালের ছাপানো নোটটি ২০০৬ সালে আবার ইস্যু করা হয়। তবে ২০০৬ সালে নোটটিতে ৩মি.মি. নিরাপত্তা সুতা ব্যবহার করা হয়। 

দশ টাকা

দশ টাকার নোট  ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ ১ম প্রবর্তন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ছবি সম্বলিত আরও দুটি নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭২ সালের ২রা জুন ও ১৯৭৩ সালের ১৫ অক্টোবর।১৯৭৬ সালে তারা মসজিদের ছবি সম্বলিত নোট ইস্যু হয়। পরবর্তীতে আতিয়া জামে মসজিদএর ছবি সম্বলিত দশ  টাকার নোট বের হয়  ১৯৭৮ সালের ৩রা আগস্ট ও ১৯৮২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর। ২০০০ সালে ১০টাকার নোটের সংস্কার  করা হয়। ঐ সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে পলিমার নোট তৈরি করে আনা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাজার থেকে এই নোট তুলে দেওয়া হয়। দশ টাকার আর একটি নোট ইস্যু করা হয়  ২০০২ সালের  ৭ জানুয়ারি। নিরাপত্তা উপাদান বাড়িয়ে  ২০০৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আগের নোটটি আবার ইস্যু করা হয়। 

বিশ টাকা

প্রথম বিশ টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৯ সালের ২০ আগস্ট। ২০০২ সালের ১৩ জুলাই হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সংযুক্ত করে পুনরায় এই নোটটি ইস্যু করা হয়। 

পঞ্চাশ টাকা

প্রথম পঞ্চাশ টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৬ সালের ১লা মার্চ। পঞ্চাশ টাকার নোটে প্রথম প্রথম স্মৃতিসৌধ এর ছবি যুক্ত করা হয় ১৯৮৭ সালে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট এবং কিছুটা পরিবর্তন করে ২০০৩ সালের ১২মে একই নোট ইস্যু করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত পঞ্চাশ টাকার নোট বের হয় ২০১২ সালের ৭ মার্চ। কিন্তু বানান ভুলের কারণে সেদিনই নোটটি বাজার থেকে তুলে নেই বাংলাদেশ ব্যাংক। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নামের বানান ভুলের কারণে নোটটি বাতিল করা হয়। আবেদিন বানানে আবেদীন ছাপা হয়েছিল। এই ভুল  সম্বলিত পঞ্চাশ টাকার নোট প্রায় ২.২৫ কোটি সংখ্যক ছাপা হয়েছিল। পরবর্তীতে ভুল সংশোধন করে পুনরায় এই নোট বাজারে ছাড়া হয়।

একশত টাকা

প্রথম একশত টাকার নোট ইস্যু করা হয়  ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ। কিছুদিন পরেই  ১৯৭২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর একশত টাকার নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি যোগ করা হয়। ১৯৭৬ সালে একশত টাকার নোটে এই ডিজাইনের মধ্যেই তারা মসজিদের ছবি যুক্ত করা হয়। এরপর একশত টাকার নোটে নতুন ডিজাইন করা হয় ১৯৭৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর। opticai variable ink (OVI) ব্যবহার করে নতুন নোট ইস্যু করা হয় ২০০১ সালের দিকে। একশত টাকার নোটে ২০০২ সালের ৫ জুন স্মৃতিসৌধ যুক্ত করা হয়। পূর্বের নোটের 100 লেখাটিকে সোনালী রঙে পরিবর্তন করা হয় ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই। 

পাঁচশত টাকা 

প্রথম পাঁচশত টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৯৮ সালের ২রা জুলাই এই নোটের নতুন ডিজাইন করে পুনরায় ইস্যু করা হয়। ২০০০ সালের ১০ আগস্ট এই নোটে বঙ্গবন্ধু ছবি যুক্ত করা হয় এবং ২০০২ সালের ১৭ জুলাই স্মৃতিসৌধ এর ছবি সম্বলিত নোট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে  নোটের ৫০০ এর পরিবর্তে পাঁচশত টাকা শব্দে optical variable ink (ovi) ব্যাবহার করে নোট ইস্যু  করা হয়। 

এক হাজার টাকা 

এক হাজার টাকার নোট হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানের নোট। এক হাজার টাকার নোট প্রথম ইস্যু করা হয় ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর। এর সামনের অংশে শহীদ মিনার আর পেছনের অংশে কার্জন হলের ছবি রয়েছে। এতে মোট ১১ টি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আছে। 

বাংলাদেশের স্মারক নোট

দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিষয় ও ব্যাক্তিত্বকে স্মরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে ডাকটিকিট ও নোট প্রকাশ করে থাকে। পরিচিত এসব নোটের  বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু নোট ইস্যু করে যা স্মারক নোট হিসেবে পরিচিত। 

২৫ টাকার স্মারক নোট  

দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর ২৫ বছর পূর্তি ছিল ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে  ২৫ টাকার স্মারক নোট প্রকাশ করা হয়। এ নোটের ডিজাইনের বিশেষত্ব ছিল, নোটের সামনের দিকে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি, সাথে ছিল তিনটি হরিণ ও একটি দোয়েল পাখির ছবি।  এতে লাল, নীল এবং বেগুনি রঙ ব্যবহার করা হয়। এর অপর পৃষ্ঠায় রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের হেডকোয়ার্টারের ছবি। এই নোটে ছিল ইলেকট্রোটাইপ ১০ এর জলছাপ। অর্থাৎ ১০ টাকার ব্যাংক নোটের অতিরিক্ত কাগজে মুদ্রিত। 

৪০ টাকার স্মারক নোট 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয় ২০১১ সালে। স্বাধীনতার ৪০ পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ৪০ টাকার স্মারক নোট প্রকাশ করা হয়। এই নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি যুক্ত করা হয়। 

৬০ টাকার স্মারক নোট 

২০১২ সাল ছিল ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০ টাকার স্মারক নোট প্রকাশ করে। ঐ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী ভাষা সৈনিক মর্তুজা বশির আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারক নোটটি অবমুক্ত করে। সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের চিত্রশিল্পীগণ এই নোটটির ডিজাইন করে। 

১০০ টাকার স্মারক নোট 

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ১০০ টাকার স্মারক নোট প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। লাল ও নীল রঙের সমারোহে তৈরি এই নোটটির সামনে অষ্টাদশ শতকের অশ্বারোহীর টেরাকোটার ফলক এবং পেছনে জাতীয় জাদুঘরের প্রতিকৃতি মুদ্রিত রয়েছে। 

পয়সা ও কয়েনের ইতিহাস 

১ পয়সা

প্রথম এলুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ১ পয়সা চালু হয় ১৯৭৪ সালে। এর সামনের দিকে বাংলাদেশ লেখা ছিল আর উপরে নিচে এক পয়সা লেখা ছিল। পেছনের দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। 

৫ পয়সা

প্রথম এলুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি পাঁচ পয়সা চালু হয় ১৯৭৩ সালে। এর মূখ্য দিকের উপরে বাংলাদেশ লেখা মাঝখানের লাঙ্গল প্রতীক ও নিচে পাঁচ পয়সা লেখা রয়েছে।  পয়সার গৌন দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে।১৯৭৫ সালে এই কয়েনটি আবার ইস্যু করা হয় । যাতে মুখ্য দিকের উপরে বাংলাদেশ লেখা,  মাঝখানের লাঙ্গলও ট্রাক্টর প্রতীক আর নিচে ৫ পয়সা লেখা রয়েছে। গৌণ দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। 

২৫ পয়সা

১৯৭৩ সালে প্রথম পঁচিশ পয়সা চালু হয়। এর মুখ্য দিকে বাংলাদেশ লেখা, উপরে ও নিচে পঁচিশ পয়সা লেখা আর মাঝখানে রুই মাছের ছবি রয়েছে।  পচিশ পয়সার গৌণ দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। স্টীল দিয়ে তৈরি একই পঁচিশ পয়সা চালু করা হয় ১৯৭৫ সালে। পচিশ পয়সাটির মুখ্যদিকে বাংলাদেশ লেখা, উপরে ও নিচে পঁচিশ পয়সা লেখা, আর মাঝখানে রুই মাছ, একটি ডিম, দুটি কলা, একটি লাউ ও সবার জন্য খাদ্য লেখাটি রয়েছে এবং গৌণ দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। 

পঞ্চাশ পয়সা 

১৯৭৩ সালে প্রথম স্টীল দিয়ে তৈরি পঞ্চাশ পয়সা চালু করা হয়। এর মুখ্য দিকে বাংলাদেশ লেখা,  উপরে ও নিচে পঞ্চাশ পয়সা লেখা রয়েছে। মাঝখানে কবুতরের ছবি রয়েছে। আর গৌণ দিকে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। 

এক টাকার কয়েন

নিকেল কপার দিয়ে তৈরি এক টাকার কয়েন প্রথম ইস্যু করা হয় ১৯৭৫ সালে। এক টাকার কয়েনের মুখ্য দিকে মাঝখানে রয়েছে চার সদস্যের একটি পরিবার, ডানে রয়েছে এক টাকা লেখা,  উপরে রয়েছে বাংলাদেশ লেখা আর নিচের দিকে লেখা রয়েছে, "পরিকল্পিত পরিবার  সবার জন্য খাদ্য।" এক টাকার কয়েনের গৌণ দিকে  জাতীয় ফুল শাপলার ছবি রয়েছে। ১৯৯৫ সালের দিকে ১ টাকার কয়েন পুনরায় ইস্যু করা হয় যেটি স্টীল দ্বারা তৈরি করা হয় আর ১৯৯৬ সালের দিকে পিতল দ্বারা তৈরি এক টাকার কয়েন ইস্যু করা হয়। ২০০২ সালের দিকে ১টাকার কয়েন স্টেইনলেস স্টীল দ্বারা তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে এক টাকার কয়েন বেশ পরিবর্তন আনা হয়। স্টেইনলেস স্টীল দ্বারা তৈরি এই কয়েনে মুখ্য দিকের উপরে লেখা হয় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, নিচের দিকে লেখা হয় এক টাকা ও বাংলাদেশ আর মাঝখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ছবি।  গৌন দিকে রয়েছে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি। 

পাঁচ টাকার কয়েন 

বাংলাদেশে প্রথম পাচ টাকার কয়েন চালু হয় ১৯৯৩ সালে। বর্তমানেও এই কয়েন চালু রয়েছে।

কোন টাকা তৈরিতে কত টাকা খরচ 

আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা টাকা বানাতে টাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুদ্রা তৈরি করতেও এর পেছনে টাকা প্রয়োজন হয়। আজকে আমরা বাংলাদেশে কোন মুদ্রা তৈরি করতে কত টাকা প্রয়োজন হয় তা জানব। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এক টাকার একটা কয়েন তৈরি করতে ৯৫ পয়সা খরচ হয,  দুই টাকার কয়েন তৈরি করতে এক টাকা ২০ পয়সা প্রয়োজন হয়। আর পাঁচ  টাকার একটা কয়েন তৈরিতে খরচ হয় ১ টাকা ৯৫ পয়সা।  পাঁচ টাকার নোট তৈরিতে খরচ ২ টাকা, দশ টাকার নোট তৈরিতে ২ টাকা ২০ পয়সা,  ৫০ টাকা ও  বিশ টাকা ছাপাতে আড়াই টাকা ও একশত  টাকার নোট তৈরি করতে খরচ হয় সাড়ে 4 টাকা। কয়েনের মান বেশি হলে সেই তুলনায় খরচ অনেক কম পড়।  যেমন পাঁচশত টাকার নোট তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৬ টাকা। আর এক হাজার টাকার নোট তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৭ টাকা। এই কাগজি নোট গুলো তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেড। বাংলাদেশের এই টাকশাল টি গাজীপুরে অবস্থিত ।  

টাকশাল বাংলাদেশ

ইংরেজি শব্দ মিন্ট এর বাংলা হচ্ছে টাকশাল। টাকশালে ধাতব মুদ্রা কয়েন, কাগজের টাকা বানানো হয়। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়  ১৯৮১ সালে সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস নয় একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে যা 1983 সালে একনেকে অনুমোদন লাভ করে। মুদ্রনালয় স্থাপনে দায়িত্বে ছিল  বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম এক টাকা ও  দশ টাকা মূল্যমানের মুদ্রা চালু করে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়  ১৯৮৮ সালে । পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন এরপর প্রায় দেড় বছর পর বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস এর উদ্বোধন করা হয়। প্রায়ই ছেষট্টি একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় টাকা তৈরি প্রতিষ্ঠান  বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস। এটি বাংলাদেশের অতি নিরাপত্তামূলক কেপিআই১ (এ) মর্যাদাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। তবে বাংলাদেশের টাকশালে কোন কয়েন তৈরি হয় না।আমাদের টাকশালে কয়েন তৈরির এখনো কোন পরিকল্পনা হয় নি। কয়েন উৎপাদন লাভজনক নয় বিধায় এখানে কয়েন তৈরির কোন পরিকল্পনা  নেওয়া হয় নি।মূলত টাকা তৈরির জন্য টাকশাল  প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে সরকারের বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রীও ছাপানো হয়।নিরাপত্তা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাবোর্ড গুলোর পাবলিক পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্র,ব্যাংকের চেক বই, প্রাইজবন্ড, রপ্তানি ব্যুরোর জিএসপি ফরম,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্যাক্স লেবেল, স্মারক ডাকটিকিট, খাম, আদালতে ব্যবহৃত নিরাপত্তা সামগ্রী, আভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের সঞ্চয়পত্র, রাজস্ব স্ট্যাম্প, নন- জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ইত্যাদি। এ ছাড়াও কোন কোন  বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে তাদের শিক্ষা সনদও তৈরি করে থাকে। টাকা তৈরি করা হয় বলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। বৃক্ষশোভিত  এই প্রতিষ্ঠানে, চারপাশে প্রচুর বৃক্ষ থাকায় সবসময় পাখির কলরবে মুখর থাকে।নিরাপত্তা ব্যাবস্থার কারণে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়।প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে হলে চারটি ফটকে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হয়।

 টাকার  ভবিষ্যৎ 

কাগুজে মুদ্রা দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবিতে চালু রয়েছে। কিন্তু কাগুজে মুদ্রার ভবিষ্যত সম্ভাবনা খুবই কম। আধুনিক এই পৃথিবী প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রযুক্তির এই ব্যাপারে মানুষ হয়ত একটা সময় অদৃশ্য মুদ্রার দিকে ধাবিত হবে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ লেনদেন মোবাইল ব্যাংকিং বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, কাগজের বিনিময় হার কমে যাবে। আগামী ৫ থেকে ১০ বছর পরে হয়তো মোবাইল ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন এর হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ উঠতে পারে। এভাবে লেনদেনের হার বৃদ্ধি পেতে পেতে একটা সময় কাগজের মুদ্রা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মানিব্যাগে টাকা রাখার প্রবণতা কোন কবি কমে গেছে বড় প্রতিষ্ঠান সিইউ থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিকরাও কার্ডে দিকে ঝুঁকছে।  ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য টাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হয়তো এমন একদিন আসবে যখন মানুষকে টাকা চিনতে যাদুঘরে যেতে হবে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url