সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় !
সরকারিভাবে অনেক দেশে আপনি যেতে পারবেন যদি আপনি দক্ষ হোন। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ? অনেকে খুব কম সময়ে দ্রুত টাকা ইনকামের উদ্দেশ্যে প্রবাসে বা বিদেশে পাড়ি জমান সঠিক তথ্য না জেনেই। অনেকে জানেন না যে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ? বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী , বাংলাদেশ হতে দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তির প্রায় 8 থেকে 10 লাখ শ্রমিক প্রতি বছর সরকারিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে যায় কাজের সন্ধানে। তবে এদের বেশিরভাগই শ্রমিকই অদক্ষ। বিশ্বে প্রায় 172 টি দেশে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমায় বাংলাদেশের এই শ্রমিকরা। এবং অন্যান্য সকল ভিসা মিলিয়ে প্রতিবছর গড়ে প্রায় 20 লাখ মানুষ বাংলাদেশ হতে বিদেশ যাই। সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হচ্ছে সৌদি আরব।তাই বুঝতেই পারছেন সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথম দিকেই আসবে সৌদি আরবের নাম। বাংলাদেশ থেকে যেসব শ্রমিকরা সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের খোঁজে বিদেশে থাকে, তাদের জন্য সৌদি আরব এর পাশাপাশি কানাডা, ওমান, সিঙ্গাপুর, কাতার ,কুয়েত ইতালি দেশের শ্রমবাজার অন্যতম উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন দেশ কর্তৃক জনশক্তি নিয়োগের বিজ্ঞাপন অনুসারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরো এর মাধ্যমে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম শুরু ও সম্পাদনের মাধ্যমে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হব।
অনলাইনে যেকোনো দেশের বৈদেশিক চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন নিউজের আপডেট দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
সরকারিভাবে সৌদি আরব যাওয়ার উপায় | সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমজীবী মানুষের গরিষ্ঠ অংশ সৌদি আরব এর শ্রমবাজারে পাড়ি জমায়। আমাদের দেশে অর্থনৈতিক খাতে রেমিটেন্স বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আমাদের দেশের মুখ্য সংখ্যক অভিবাসী শ্রমজীবী মানুষ সৌদি আরবে কাজ করে টাকা আয় করে এবং এতে তাদের পরিবার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়।
2019 সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে প্রায় 3 লাখ 99 হাজার কর্মী গিয়েছে কাজের সন্ধানে এবং 2020 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আরো 1 লাখ 33 হাজার 997 জন কর্মী সৌদি আরবে গিয়েছে। সৌদি আরবে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক গিয়েছে সরকারিভাবে এবং কিছু সংখ্যক গিয়েছে ব্যক্তিগতভাবে।
সরকারিভাবে সৌদি আরবে যাওয়ার প্রাথমিক ধাপ সমূহ
অনলাইনে বৈদেশিক চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন নোটিশ দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
এছাড়া চাকরি প্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চাইলে প্রথমে চাকরি প্রার্থীর নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর প্রবাসী কল্যাণ শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিক কার্যাবলি সম্পন্ন করতে হবে।
সৌদি আরব থেকে কোন চাকরির যদি সার্কুলার দেওয়া হয় তাহলে সেখানে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। পাসপোর্ট তৈরি একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পাসপোর্ট তৈরির জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয় এজন্য আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। তবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ অসচেতনতাবসত অনৈতিকভাবে তৈরিকৃত জাল পাসপোর্ট আপনার জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এজন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অতীব প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি , আবেদন করার জন্য এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ, মেডিকেল টেস্ট করা, জনশক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র ইত্যাদির কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
সরকারিভাবে সৌদি আরবে কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র!
সরকারিভাবে সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করার জন্য ভিসা পেতে কিছু যোগ্যতার ও কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় । আপনি সরকারিভাবে সৌদি আরব গিয়ে টাকা উপার্জন করতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা( নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে)
- আবেদনকারীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য ধারা অনলাইন ফরম পূরণ
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে
- আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে।
- আবেদনকারী বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
- যে কোন চাকরির কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ও অভিজ্ঞতার সনদ বা প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
সরকারিভাবে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে আবেদনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি ও পরিসংখ্যান ব্যুরো ডাটা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এরপরে ক্রমান্বয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ ,মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত করা ,পাসপোর্ট তৈরি করা ইত্যাদি সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তারপর সরকারিভাবে সৌদি আরবে গিয়ে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করতে হবে।
সরকারিভাবে সৌদি আরবে যাওয়ার পরে আপনার অভিবাসী হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপ
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা (নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- সৌদি আরবে গিয়ে বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন তথ্য সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
তারপর সৌদি আরবের অভিবাসী আবেদন গ্র্যান্ড হলে আপনি সেখানে অভিবাসী হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এবং আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন সেখান থেকে যে পারিশ্রমিক পাবেন তা নিজের পরিবারের কাছে প্রেরণ এর মাধ্যমে পরিবার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়!
অভিবাসীদের অন্যতম সুযোগ-সুবিধা প্রদানকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে কানাডা। প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য সরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় তিন লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কানাডা। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনি চাইলে কম খরচে সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে টাকা আয় করার সুযোগ আছে।
চাকুরীজীবী হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
কানাডায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু রয়েছে যেখানে আবেদন করে সরকারিভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে কানাডা যাওয়া যায়। যে সব পদে আবেদনের মাধ্যমে সরকারিভাবে দ্রুত কানাডা যাওয়া যায় তা হচ্ছে-
- সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- ম্যানুফ্যাকচারিং এ দক্ষ
- একাউন্টেন্ট
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার
- ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজার
- অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ইত্যাদি।
কানাডায় চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়, যে সকল কাজের জন্য আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারবেন। কানাডা গত 2020 সাল পর্যন্ত গত তিন বছরে প্রায় 10 লাখ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে শ্রমিক হিসেবে।
কানাডায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়াও স্বল্প অভিজ্ঞতায় শ্রমিক হিসেবে আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ সরকারিভাবে শ্রমিক হিসেবে কানাডা যায় কাজের সন্ধানে।প্রায় 347 টি পেশায় এই জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে কানাডা। যার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারি, বিক্রয়কর্মী ,হেয়ার স্টাইলিস্ট ইত্যাদি।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কানাডায় গিয়ে চাকরি বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও IEC অর্থাৎ (ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা) এর আওতায় 15 থেকে 35 বছর বয়সী মানুষ চাকরির লেটার ছাড়াই কানাডা যেতে পারে। তবে এদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে নিজ খরচে বা সরকারিভাবে কানাডা যেতে হতে পারে।
সরকারিভাবে কানাডা কাজের ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে?
আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান ,তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। কানাডায় অধিকাংশ সময়ই অভিজ্ঞতা যোগ্যতা ও দক্ষতা ভিত্তিক কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়ায় ,সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে কাজ করার জন্য ভিসা পেতে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় । আপনার মধ্যে যদি সেসব যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি সরকারিভাবে কানাডা গিয় টাকা উপার্জন করতে পারেন। কানাডা কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।
- চাকরির অভিজ্ঞতার সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে
- আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে।
- আবেদনকারী বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
- যে কোন চাকরির কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ও অভিজ্ঞতার সনদ বা প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
কানাডায় চাকরির অফার পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে যদি আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।কানাডায় চাকরির অফার পেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে তা নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে
- আবেদনকারীর চার কপি ছবি। [ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা, সাইজ - 35"×45"]
- পাসপোর্ট এর ইনফরশন পেজ এর স্ক্যান কপি
- শিক্ষাগত সকল সনদের স্ক্যান কপি
- অভিজ্ঞতার সনদপত্র সমূহ ইত্যাদি।
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইসিএ সনদ
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আইইএলটিএস স্কোর ইত্যাদি।
উক্ত কাগজপত্র মাধ্যমে আপনি কানাডা গিয়ে অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং অভিবাসন আবেদন গ্রান্টেড হলে আপনি অভিবাসী হিসেবে সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সরকারিভাবে ওমানে যাওয়ার উপায়
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী বিদেশ যাওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ওমান এবং ওমানে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী সরকারিভাবে যাওয়ার সুযোগ পায়। 2019 সালে বাংলাদেশ থেকে ওমানে কাজের সন্ধানে গেছে প্রায় 72 হাজার 398 জন কর্মী। 2020 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে 17 হাজার 398 জন কর্মী ওমান এগিয়েছে কর্মসংস্থানের খোঁজে।
বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যেসকল কর্মীরা ওমানে যায় কাজের খোঁজে তাদের অধিকাংশই সরকারিভাবে বিদেশ যায়।
সরকারিভাবে ওমানের যাওয়ার প্রক্রিয়া
নির্দিষ্ট একটা সময়ে ওমানে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সরকারীভাবে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। বৈদেশিক চাকরির খোঁজখবর পাওয়া যায় এরূপ পত্রিকার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই জানতে পারবেন সরকারিভাবে ওমানে কর্মী নিয়োগ দেওয়ার সময় ও সকল নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি ও পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিবেদন কর্তৃক জানতে পারবেন।
প্রতিবেদন অনুসারে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে ফরম পূরণ ও যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আপনি আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। সরকারিভাবে ওমানে যেতে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা( নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে)
- আবেদনকারীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য ধারা অনলাইন ফরম পূরণ
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে
- আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে।
- আবেদনকারী বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
অনলাইন ফরম পূরণ করে নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত কাগজপত্র গুলো সংযুক্ত করে ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে আপনি আপনার সরকারিভাবে ওমানে যাওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে যেসকল কর্মীরা ওমানে যায় তারা অধিকাংশই শ্রমিক হিসেবে কর্মসংস্থানের খোঁজে যায়। এজন্য প্রথমত তাদের উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বিভিন্ন চাকরির জন্য অন্যান্য সেক্টরের অর্জিত অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ থেকে যেসকল শ্রমিকরা সরকারিভাবে ওমানে গিয়ে কাজ করে তাদের অধিকাংশই অদক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে ওমান এগিয়ে কর্মীদের যে ধরনের কাজ করতে হয় তা নিম্নরূপ-
- নির্মাণকাজ
- ওয়ার্কশপ।
অধিকাংশ সময় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসায় সরকারিভাবে যেসকল শ্রমিকরা ওমানে যায় তাদের মুখ্য অংশই নির্মাণকাজ ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে ওমানে গিয়ে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতার খুব একটা প্রয়োজন হয় না পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও বিভিন্ন চাকরির অভিজ্ঞতার ও প্রয়োজন হয়না।
সরকারিভাবে ওমানে যাওয়ার পর কর্মী বা শ্রমিকদের সবচেয়ে আগে প্রয়োজন হয় অভিবাসন ব্যবস্থা। এজন্য শ্রমিকদের অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে হয় এবং তা গ্রান্টেড হলে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে। অভিবাসনের জন্য শ্রমিকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে হয়।
আপনার কোন উৎস শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বিশেষ সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াও আপনি চাইলে সরকারিভাবে ওমানে গিয়ে টাকা উপার্জন করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার উপায়
সৌদি আরব, কানাডা, ওমানের ন্যায় সরকারিভাবে গিয়েও কর্মসংস্থান খোঁজের সুবিধা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় এর প্রতিবেদন অনুযায়ী কাতার বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য একটি পপুলার ডেস্টিনেশন।
2019 সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী হিসেবে কাতারে গিয়েছে 50 হাজার 292 জন কর্মী এবং 2020 সালে করোনাকালীন সময়ের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ মার্চ মাস পর্যন্ত কাতারে গিয়েছে 3 হাজার 503 জন।
কাতার এ চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়, যে সকল কাজের জন্য আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারবেন। কাতারে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়াও স্বল্প অভিজ্ঞতায় বা অভিজ্ঞতা ছাড়াও শ্রমিক হিসেবে আপনি সরকারিভাবে কাতার যেতে পারেন।
এছাড়াও যেসব পেশায় ভালো মানের চাকরি এর মাধ্যমে আপনি কাতারে ভালো একটি ক্যারিয়ার নির্মাণ করতে পারেন তা নিম্নরূপ
- দক্ষ প্রকৌশলী
- রসায়নবিদ
- ব্যাংকার
- ইমাম ইত্যাদি।
ব্যক্তিগতভাবে কাতারে যাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। এছাড়াও সরকারিভাবে কাতারে যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আপনার বেশি খরচ হবে।
সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার জন্য আপনার সরকারি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় কিছু এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বর্তমানে সরকারিভাবে কাতারে গিয়ে চাকরি করে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাইলে এজেন্সি ছাড়া বিকল্প কোন অপশন নেই।
কাতারে দক্ষ শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে। এজন্য উচ্চশিক্ষিত না হয়েও আপনি শ্রমিক হিসেবে কোন বিশেষ সেক্টরে যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সরকারিভাবে কাতারে গিয়ে আপনি একটা ভালো করে নির্মাণ করতে পারেন।
কাতারে যাওয়া তুলনামূলক ব্যয়বহুল হওয়ায় সরকারিভাবে কাতারে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক কম । এ জন্য সরকারিভাবে আপনি কাতারে যেতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে এবং জনশক্তি পরিসংখ্যান ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে অনলাইন সার্কুলার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
কাতারের সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র নিম্নরূপ
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা( নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে)
- চাকরির ক্ষেত্রে পূর্বে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন সে প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
- আবেদনকারীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য ধারা অনলাইন ফরম পূরণ
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে
- আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে।
- আবেদনকারী বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
অনলাইন ফরম পূরণ করে নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। সরকারিভাবে কাতারে গিয়ে চাকরি করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এজেন্সি। তাই সচেতন ভাবেই একটি বিশ্বস্ত এজেন্সি বাছাই করে পর্যায়ক্রমে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আপনার ব্যাক্তিগত ভাবে বিদেশ যাওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সৌদি আরব কানাডা ওমান ইত্যাদি দেশে আপনি দক্ষ না হয়ে বা স্বল্প দক্ষ হয়েও শ্রমিক হিসেবে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করে দেশের জিডিপি ও ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়াও শ্রমিক বা কর্মী হিসেবে সরকারিভাবে কুয়েত, সিঙ্গাপুর ইত্যাদ দেশে যাওয়া যায়।তবে সিঙ্গাপুর, কুয়েত ইত্যাদি দেশে তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যক শ্রমিক সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের খরচে যাওয়ার সুযোগ পায়। সিঙ্গাপুরে বিশেষত ব্যক্তিগতভাবে যেসকল শ্রমিক কাজের জন্য গমন করে , তাদের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এছাড়াও সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দক্ষ ও তুলনামূলক শিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন হয়। কর্মী ও দক্ষতা ছাড়াও ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে এই দেশে কাজ করার জন্য। আপনার মধ্যে যদি এসকল যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি এসব দেশে গিয়ে তুলনামূলক অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে টাকা আয় করার জন্য একটু সচেতনতা সাথে নিয়মিত সকল বৈদেশিক চাকরির খোঁজখবর রাখতে হবে এবং নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আমি নাজমুল হাসান শেখ।
আমি খুব দরিদ্র পরিবারের এক মাত্র সন্তান।
আমার বাবা কাজ করতে পারে না। আমাকে সংসার চালাতে হয়
আমার কোনো চাকরি নেই। দয়া করে আমাকে একটা কাজ দেন।
আমি খবরে শুনেছি সরকারি ভাবে রোমানিয়া লোক নিচ্ছে।
দয়া করে আমাকে একটা সুযোগ করে দেন। আমি জানি না কি ভাবে আবেদন করতে হবে। আমাকে একটা বার সুযোগ করে দেন।
আমি খুব বিপদে আছি।আমাকে একটা বার সুযোগ করে দেন।
আমি সব ধরনের কাজ করতে পারি। আমি এস এস সি পাশ করেছি।
২০১৮ সালে।
আপনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করুন, কোনো দালালের সাথে যোগাযোগ করবেন না।