OrdinaryITPostAd

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল ২০২২

আর্টিকেল লিখে আয় করুন
বর্তমানে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন  শিক্ষার্থী। আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে। লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. বর্ণ লেখার সঠিক অনুশীলন
  2. হাতের লেখা সোজা করার উপায়
  3. প্রিয়জনকে চিঠি লিখুন নিয়মিত
  4. শুরুতে ধীরে লেখার চেষ্টা করুন
  5. জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট এ লেখার চেষ্টা করুন
  6. ছোট ছোট প্যারায় লেখার অনুশীলন
  7. লেখার ফ্রন্ট সুন্দর করার অনুশীলন
  8. সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 
  10. লেখকের মন্তব্য

১. বর্ণ লেখার সঠিক অনুশীলন | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

আপনার হাতের লেখা সুন্দর করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে সঠিক কাঠামোতে বর্ণ লিখতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা য, ব প্রায় একই রকমে লিখে থাকেন। আবার অনেকের বর্ণ বুঝতে বেশ কষ্ট হয়। তাই আপনার লেখার বর্ণগুলোকে অবশ্যই সুন্দর এবং বোধগম্য হতে হবে। এরপরে কিছু কিছু বর্ণ রয়েছে যেগুলো লেখা বেশ কঠিন । হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল রপ্ত করতে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে ধরুন খ, গ,ক্ষ ইত্যাদি। 
এ সকল বর্ণগুলো বারবার লেখা প্র্যাকটিস করতে হবে। বর্তমানে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছি, আমি ছোটবেলা থেকেই আমার হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেছি তাই সে অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের শেখানোর চেষ্টা করছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে, কীভাবে আপনি আপনার হাতে লেখা সুন্দর করে তুলবেন। আমি যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমাদের শিক্ষক নিয়মিত হাতের লেখার অনুশীলন করাতেন। 
একবার আমি আমার হাতের লেখা যখন স্যারকে দেখাই স্যার বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে এটা আমার হাতের লেখা। তিনি হয়তো মনে করেছিলেন এই লেখাটা আমার বড় ভাইকে দিয়ে লিখিয়ে এনেছিলাম। তারপর আমার শিক্ষক আমাকে আলাদা করে লিখতে বললেন, আমি যখন আলাদা ভাবে লিখলাম স্যার বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে এটা আমার হাতে লেখা। তো আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমার যেটা মনে হয়েছে যে আপনারা যদি আপনাদের হাতের লেখার উপরে যত্নশীল হন অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন।
আমি খুব ভালোভাবে খ বর্ণটি লিখতে পারতাম না। অর্থাৎ অন্যরা পরিষ্কার করে বুঝতে পারত না যে এটা খ বা দেখতেও তেমন একটা সুন্দর হতো না। শুধু এই বর্ণটি নয় এরকম বেশ কিছু বর্ণ ছিল যে বর্ণগুলো আমি সুন্দর করে লিখতে পারতাম না যার দরুন আমার হাতের লেখা তেমন একটা সুন্দর কখনোই ছিল না। হাতে লেখা সুন্দর করার অনেক কৌশল অবলম্বন করেছি কিন্তু কোন ভাবেই হাতের লেখা সুন্দর করতে পারছিলাম না অবশেষে কিছু কিছু বর্ণ রয়েছে যেগুলো আমি সুন্দর করে লিখতে পারতাম না সে সকল বর্ণগুলো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যেতাম বা লেখার প্র্যাকটিস করতাম। যেমন ধরুন, খ বর্ণটি দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা লিখে যেতাম। ঠিক এভাবে যে বর্ণগুলো আমি সুন্দর করে লিখতে পারতাম না সে বর্ণগুলোকে এভাবে বারবার প্র্যাকটিস করে লিখতাম।

২. লেখা সোজা করার উপায় | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো হাতের লেখা সোজা করা। হাতের লেখা সুন্দর ও সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আর্টিকেল এর এই অংশে।

অদৃশ্য মার্জিন

আপনার পাশে থাকা স্কেল ব্যবহার করে খাতায় মার্জিন  করবেন। এখন অনেকে বলতে পারেন মার্জিন তো আমরা সবসময়ই করি। এখানে একটু পার্থক্য আছে আপনি এখানে কলম ব্যবহার করে মার্জিন করবেন না আপনি কাটা কম্পাস দিয়ে অথবা হাতের নখ ব্যবহার করে মার্জিন করবেন যেন তার বোঝা যায় তবে দূর থেকে বোঝা না যায়। অর্থাৎ মার্জিন এর দাগ যেন দৃশ্যমান না হয়।
অনেকেই আপনারা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীতে বাংলা খাতা দেখে থাকবেন যেখানে মার্জিন সোজা করার জন্য পূর্ব থেকেই দাগ টানা থাকে। ঠিক একই ভাবে একইভাবে আপনি টাকা কম্পাস বা হাতের নখ ব্যবহার করে খাতায় দাগ দিবেন এবং সে দাগের উপর দিয়ে মার্জিন দেওয়ার চেষ্টা করবেন বা আপনার লাইনগুলো দেখার চেষ্টা করবেন। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ এবং আপনাকে বারবার এই ট্রিকস ফলো করে লিখতে হবে। বেশ কিছুদিন আপনি প্র্যাকটিস করলে দেখবেন আপনার হাতের লেখা সোজা হয়ে গেছে। 

ধীরে লিখুন

উপরের নিয়ম গুলো ব্যবহার করে আপনি ধীরে ধীরে লেখার চেষ্টা করুন। হাতের লেখা সোজা করার উপায় গুলো ভালোভাবে মেনে চলার চেষ্টা করুন। অনেকে আছেন খুব দ্রুত লেখার চেষ্টা করেন হাতে লেখা সুন্দর করা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া আপনি চাইলেই ২-৩ দিন পর থেকেই খুব দ্রুত এবং সুন্দর হাতের লেখা লিখতে পারবেন না। আপনাকে নিয়মিত অনুশীলন করে যেতে হবে।
আবার দেখা যায় বিভিন্ন প্রয়োজন আমাদেরকে নোট বা লেখালেখি করতে হয় অনেকে আছে তখন দ্রুত লিখতে গিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার চেষ্টাও করে না। এমন করলে হাতের লেখা খুব দ্রুত সুন্দর কখনই হবে না। আপনার হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অবশ্যই লেখার প্রতি আপনাকে যত্নশীল হতে হবে। আপনি যাই লিখুন না কেন তা সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন।

শুরুতে হয়তো আপনার হাতের লেখা ধীরে হবে তবে সময় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি দ্রুত লিখতে পারবেন। যখনই আপনার হাতের লেখা লিখুন না কেন খুব ধীরে মনোযোগ দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র কৌশল হল আপনার হাতের লেখার প্রতি আপনাকে মনোযোগী হতে হবে যত্নশীল হতে হবে।

৩. প্রিয়জনকে চিঠি লিখুন | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

হাতের লেখা সুন্দর করার কার্যকরী কৌশল হলো প্রিয়জনকে চিঠি লেখা। আপনি যখন আপনার প্রিয়জনকে বা মনের মানুষকে চিঠি লিখতেন তখন অবশ্যই আপনার মনোযোগ বা যত্ন সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করে আপনার মনের মানুষকে চিঠি লিখবেন। যখন আপনি নিয়মিত আপনার প্রিয়জনকে চিঠি লিখবেন তখন খুব দ্রুতই আপনার হাতের লেখার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে। 
প্রিয়জনকে হাতে লিখে নিয়মিত চিঠি প্রদান করলে সেও যেমন খুশি হবে পাশাপাশি আপনার হাতের লেখাও অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। হাতের লেখা সুন্দর করার এই কৌশল অবলম্বন করলে আপনার হাতের লেখা ব্যাপক পরিবর্তন আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। এতে প্রিয়জনদের প্রতি আপনার স্নেহ, মায়া ও মমতা যেমন বাড়বে পাশাপাশি সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রেও আপনি অনন্য হয়ে উঠবেন।
আবার প্রিয়জনকে খুশি করার জন্য হাতে লেখা একটা চিঠিই যথেষ্ট। আপনাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন যেমন হবে পাশাপাশি হাতের লেখার মাহির ও বেশ পরিবর্তন সাধিত হবে। তাই হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল হিসেবে নিয়মিত বিবেচনা কে চিঠি লিখুন বা লেখার চেষ্টা করুন তবে মনে রাখবেন আর্টিকেল লেখার সময় দ্রুত লেখার চেষ্টা করবেন না মনোযোগ দিয়ে সুন্দর করে চিঠি লিখুন।

৪. শুরুতে ধীরে লেখার চেষ্টা | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল


 অনেকেই অনেক দ্রুত হাতের লেখা সুন্দর এবং কম সময়ের মধ্যে লিখতে চান, কিন্তু শুরুতেই আপনাকে বুঝতে হবে এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। হুট করেই আপনি সুন্দর এবং দ্রুত লিখতে পারবেন না । সুন্দর এবং দ্রুত লিখতে হলে আপনাকে বারবার অনুশীলন করতে হবে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা খুব অত দ্রুত লিখতে চায় বা লেখার প্রবণতা আছে তাদের হাতের লিখা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
অন্যদিকে যারা ধীরে ধীরে লেখার চেষ্টা করে, তাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে সুন্দর হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন লেখালেখির প্রথম পর্যায়ে থাকবেন বা সুন্দর হাতের লেখা লিখতে চান  বা অনুশীলন করছেন এমন যদি হয়ে থাকেন তাহলে শুরুতে খুব দ্রুত না লিখে ধীরে ধীরে লেখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার হাতের লেখা সুন্দর হবে যদিও সময় লাগবে তুলনামূলকভাবে বেশি।
আবার আপনি যখন ধীরে ধীরে আপনার হাতে লেখা সুন্দর করার চেষ্টা করবেন বা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করবেন দেখবেন শুরুতে আপনি যতটুকু ধীরে ধীরে লিখছেন ক্রমান্বয়ে আপনার হাতের লেখা এমনিতেই দ্রুত হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনাকে দ্রুত লেখার জন্য বাড়তি টেনশন করতে হবে না। যখন আপনি যেকোনো কিছু লিখবেন , তখন অবশ্যই টেনশন ফ্রি থাকতে হবে। এবং কোন ধরনের চিন্তা করা যাবে না এতে দেখা যায় অনেকেরই ব্লক হয়ে যায় আর লিখতে পারে না।

৫. জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে লেখা | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

অনেকেই সুন্দর করে লিখতে পারেন কিন্তু সাজিয়ে গুছিয়ে না দেখার কারণে অনেক সময় তাদের লেখা দেখতে খুব বেশি সুন্দর মনে হয় না। আবার এমন অনেকেই আছেন যাদের হাতের লেখা খুব বেশি সুন্দর নয় কিন্তু তারা সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে তাদের হাতের লেখা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এখানে আপনাকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করে লেখা। 
এমন অনেকে আছেন যারা জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না। জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট কি এবার এটাই আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনারা যখন আপনাদের পাঠ্য বই পড়েন তখন দেখবেন সেই বইয়ের ডানপাশে এবং বাম পাশে উভয় পাশেই লেখাগুলো সমান ভাবে সাজানো থাকে বা মার্জিন করা থাকে। অর্থাৎ লেখাগুলো দুইদিকেই মার্জিন করা বলে মনে হয়। কিন্তু আমরা যে আমরা যখন লিখি অধিকাংশ সময়ই আমরা বামপাশে সমান করে লিখি কিন্তু ডান পাশে সমান করে লিখতে ব্যর্থ হই। আবার আমরা বাম পাশে মার্জিন ব্যবহার করলেও ডান পাশে কিন্তু কেউই মার্জিন ব্যবহার করি না। 
আপনি যদি আপনার হাতের লেখা সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডান পাশে এবং বাম পাশে উভয় পাশেই মার্জিন ব্যবহার করে জাস্টিফাই এলাইমেন্টএ লিখতে হবে। আমি মানবিক বিভাগ থেকে ইন্টারমিডিয়েটে রাজশাহী বোর্ডে ১২ তম হয়েছিলাম এই কৌশল ব্যবহার করে। মানবিক থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিলাম এই কৌশল এর যথার্থ ব্যবহার করার মাধ্যমে। 
এই কৌশলটি রপ্ত করতে আপনার হয়তো বেশ সময় লাগবে তবে। তবে যখন আপনি কৌশলটি রপ্ত করতে পারবেন তখন আপনার লেখা অন্যদের থেকে অনেক গুণ বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আপনার হাতের লেখা যদি খুব বেশি সুন্দর ও না হয় আপনি কাঠামোটি ঠিক রেখে অর্থাৎ জাস্টিফাই এলাইমেন্ট এর সাজিয়ে গুছিয়ে ছোট ছোট প্যারা দিয়ে যদি লেখেন তাহলে আপনার হাতের লেখা দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগবে।

৬. ছোট ছোট প্যারায় লেখা | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

এমন অনেকেই আছেন যারা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যান কিন্তু কোন ধরনের প্যারা ব্যবহার করেন না বা প্যারা না দিয়ে একটানা লেখালেখি করেন। আপনার এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে হবে যদি আপনি আপনার হাতের লেখা সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে চান। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল এর মধ্যে ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করা অন্যতম একটি। হাতের লেখা সুন্দর করতে চাইলে ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করার কোন বিকল্প নেই। ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করলে কিভাবে মার হাতের লেখা সুন্দর হবে তা এই অংশ আলোচনা করব।
আপনি যখন বড় বড় প্যারা ব্যবহার করে লিখবেন তখন শিক্ষক আপনার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়বেন। অন্যদিকে আপনি যদি ছোট ছোট ব্যবহার করে লিখছেন তাহলে একজন পাঠ হোক আপনার লেখা পড়ে খুব সহজে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো অনুধাবন করতে পারবে।  অন্যদিকে আপনি যদি ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করে লিখেন তাহলে প্যারার মাঝখানে যে ফাঁকা অংশগুলো থাকবে সে অংশগুলো আপনাকে বাঁচতে করে সময় অপচয় করে লিখতে হবে না অর্থাৎ আপনার সময় সাশ্রয় হবে।
ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করে লিখলে আপনার লেখা দেখতেও বেশ সুন্দর মনে হয়। কেননা লেখাগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ মনে হয় সাধারণত একটা পৃষ্ঠায় তিনটি প্যারা দেওয়া উত্তম। ছোট ছোট প্যারা ব্যবহার করে লিখতে গিয়ে অনেকেই আবার এক পৃষ্ঠাতে ৭-৮টি প্যারা দিয়ে থাকেন। এমন কি করা যাবে না এতে আপনার লেখা জঘন্য মনে হবে। ছোট ছোট বেড়াতে যেমন একটি বেড়াতে আজ থেকে ছয় লাইন বা সর্বোচ্চ সাত লাইন রাখার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ একটি পৃষ্ঠায় আপনি মোট ১৫ থেকে ২০ লাইন লিখবেন।

৭. ফ্রন্ট সুন্দর করার অনুশীলন | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে লেখার ফ্রন্ট সুন্দর না হলে আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন আপনার হাতের লেখা সুন্দর করতে অক্ষম হবেন। বিশেষ করে দেখা যায় ক, খ, গ, ছ, জ, ঠ, প, ম, ল, শ, স ও হ এই সকল বর্ণগুলো স্পষ্টভাবে বা ঠিকমতো লিখতে ব্যর্থ হন। এই সকল বর্ণগুলো ছাড়াও যদি আপনার অন্য কোন বর্ণ লিখতে সমস্যা হয় বা স্পষ্টভাবে লিখতে পারেন না। যদি এমন মনে হয় তাহলে আপনি যে বর্ণগুলো লিখতে ব্যর্থ হন সেই সকল বর্ণগুলোকে বারবার লিখে অনুশীলন করতে হবে।
মনে রাখবেন লেখার ফ্রন্ট ঠিক করা হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশলের মধ্যে অন্যতম একটি। আপনাকে প্রথমেই আপনার হাতের লেখা আছে ফ্রন্ট সেই ফন্ট চেঞ্জ করতে হবে যদি খারাপ থাকে অবশ্যই আপনাকে বারবার পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই ফন্টগুলো সুন্দর করে তুলতে হবে। আপনার কাছে যেগুলো মনে হবে সেই সকল বর্ণগুলোকে বারবার লিখে আয়ত্তে আনতে হবে।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে যেটা মনে হয়েছে সেটা এখন আমি আপনার সাথে শেয়ার করব- আমি আমার ক্লাসের প্রায় সবার হাতের লেখা মনোযোগ দিয়ে দেখতাম, এদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা ভালো তাদের হাতের লেখাটা খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে দেখতাম বিশেষ করে তাদের লেখার ফ্রন্টগুলো। আপনার অবশ্যই বুঝবেন যে একই বর্ণ একেক জন কিন্তু একেক রকম গঠনে লিখে থাকে। যেমন ধরুন 'ম' একটি বর্ণ। এটা একেকজন একেক ভাবে লিখে থাকে। আপনার আশেপাশের যার ম লেখাটা বেশি সুন্দর তার লেখাটা দেখে দেখে বেশ কয়েকদিন অনুশীলন করবেন। এভাবে যে বর্ণগুলো আপনার কাছে খারাপ লাগে সেগুলো ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে ঠিক করে ফেলতে হবে।

৮. সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব | হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

আপনি যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় আমি হাতের লেখার গুরুত্ব ঠিক কতখানি। সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব সম্পর্কে আলাদা করে আর কিছুই আপনাকে বোঝাতে হবে না। খুব সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব কতখানি তা বোঝা যায় যে কোন পরীক্ষার ফলাফল যখন হাতে পাওয়া যায়। কেননা অনেক সময় এমন দেখা যায় যে খুব বেশি পড়াশোনা না করেও খুব ভালো ফলাফল করে থাকে। তাই ভালো ফলাফল করতে সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল অবলম্বন করলে নিশ্চয়ই কিছুদিনের মধ্যে আপনার মুক্তার মত সুন্দর হয়ে উঠবে।
ভালো ফলাফল অর্জনে
ভালো ফলাফল দেওয়ার জন্য হাতের লেখা সুন্দর করার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে আপনার আশেপাশে এমন অনেক বন্ধুবান্ধব আছে যারা অনেক ভালো ফল করে শুধু মাত্র হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার কারণে। আবার এমন অনেকেই আছে যারা অনেক বেশি পড়াশোনা করার পরেও খারাপ ফলাফল করে যার প্রধান কারণ হাতের লেখা সুন্দর না হওয়া। কেননা তারা সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব সম্পর্কে অসচেতন। 
আপনি যখন আপনার পরীক্ষার খাতা সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে লিখবেন, পরীক্ষা আপনার খাতা দেখার সময় বিরক্ত হবে না এতে করে আপনি ভালো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। তাই সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে এবং নিয়মিত অনুশীলন করার মাধ্যমে হাতের লেখা সুন্দর করে তুলুন। পাশাপাশি হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল গুলো অবলম্বন করুন। আপনার আগ্রহ যদি থাকে আশা করছি খুব দ্রুত আপনি আপনার হাতের লেখা সুন্দর করে ফেলতে পারবেন।

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে অনেকেরই অনেক ধরনের প্রশ্ন মনে উদয় হয়। সে সকল প্রশ্ন নিয়ে এবার আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
প্রশ্ন ১: হাতের লেখা সুন্দর করতে কতদিন সময় লাগবে?
উত্তর : নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব তবে আপনি যদি পরিশ্রম করেন আশা করা যায় ছয় মাসের মধ্যে আপনার হাতের লেখা সুন্দর হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন ২: হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল কী?
উত্তর: হাতের লেখা সুন্দর করার একমাত্র কৌশল হলো আপনার লেখার প্রতি আপনাকে যত্নশীল হতে হবে এবং সময় দিতে হবে।
প্রশ্ন ৩: সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব কেমন? 
উত্তর: সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব আসলে আপনাকে বলে বোঝানো সম্ভব নয় সারা জীবন আপনি আপনার সুন্দর হাতের লেখার জন্য প্রশংসিত এবং উপকৃত হবেন সেটা আপনার একাডেমি পরীক্ষা, চাকরি পরীক্ষা অথবা সারা জীবনব্যাপী।
প্রশ্ন ৪: হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় কী?
উত্তর: হাতের লেখা দূরত্ব করার একমাত্র উপায় হল নিয়মিত অনুশীলন করা। আপনি যদি নিয়মিত অনুশীলন করেন তাহলে আপনার হাতের লেখা খুব কম সময়ের মধ্যে দ্রুত হবে। তবে খুব তাড়াহুড়ো করা যাবে না এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন ৫: হাতের লেখা সুন্দর করার দোয়া সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর: হাতের লেখা সুন্দর করতে দোয়া-দুরুদের কোন ভূমিকা নেই। আপনাকে বারবার অনুশীলন করতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর করার দোয়া বা ঝাড়ফুঁক ব্যবহার করে কোন ফল পাওয়া সম্ভব নয়। হাতের লেখা সুন্দর করতে অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই।

১০. লেখকের মন্তব্য

সুন্দর হাতের লেখা শুধু একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয় সুন্দর হাতে লেখা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিচয়ক। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল গুলো মেনে চলবে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার হাতের লেখা আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম হবেন। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল গুলো যেমন আপনাকে মেনে চলতে হবে পাশাপাশি অনুশীলন করার কোন বিকল্প নেই। 
ভালো ফলাফল করতে এবং সুন্দর ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সুন্দর হাতের লেখার কোন বিকল্প নেই। খুব সুন্দর হাতের লেখার কারণে অনেকেই আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে বা আপনার প্রশংসা যখন করবে তখন আপনার অভ্যন্তরে আত্মবিশ্বাসের বীজ অঙ্কুরিতভাবে এবং তা আপনার আত্মবিশ্বাস কে দৃঢ় করে তুলবে। তাই সুন্দর হাতের লেখার কৌশল করে আপনিও সুন্দর হাতের লেখার মালিক হয়ে উঠুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url