OrdinaryITPostAd

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার নিয়ম



বাংলাদেশের যেসব মানুষ কাজের সন্ধানে বৈধ পন্থায় বিদেশ গমন করছেন, সেসব প্রবাসী লোনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম মেনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং এসোসিয়েশনের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সামনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

এ আর্টিকেলে আরো যেসকল বিষয়ে আলোচনা রয়েছে:
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা।
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন।
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার।
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে।
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম।
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন।
  • আর্টিকেল সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর।
  • লেখকের মন্তব্য।

আর্টিকেল সূচিপত্র - প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম 


১. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা নিম্নরূপ-

  1. বিদেশে গিয়ে এই লোন পরিশোধ করা যায় ।
  2. প্রত্যেক প্রকারের লোনে সুদের হার ৯%।
  3. প্রবাসে থাকাকালীন কোনো প্রবাসী সমস্যায় পড়লে এই ব্যাংক লোন প্রদান করে সাহায্য করে থাকে।
  4. কোনো প্রবাসী দেশে ফিরে আবার বিদেশে যেতে চাইলে এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে যেতে পারে।
  5. দেশে ফিরে কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। পুনর্বাসন লোনের আওতায় এই সুবিধা পাওয়া যায়।
  6. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা গ্ৰহণ করে যেকোনো বৈধ প্রবাসী বিনা জামানতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা গ্ৰহণ করতে পারেন। জামানত প্রদান সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
  7. ভিসা থাকলে মাত্র তিন দিনেই ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া লোন ইস্যু করতে পারবেন।
  8. বিদেশগামী, প্রবাসী ও বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের সহজ শর্তে লোনের সুব্যবস্থা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে যেকোনো প্রবাসী শুধু পাসপোর্ট, ভিসা ও নিয়োগপত্রের ফটোকপি জমা দিয়ে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন। এতে এক টাকাও খরচ হবে না।
আরও পড়ুনঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক এর শাখা সমূহ [সকল শাখার তথ্য]

২. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদনের কোনো পদ্ধতি নেই।তবে অনলাইন থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেই ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ফরম জমা দানের দিন ফরমের সাথে জমা দেয়ার মাধ্যমে একজন প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করার কোনো পদ্ধতি নেই। লোনের জন্য আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন এবং লোন সম্পর্কে এই  লেখাটির মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন । আশা করি লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পড়বেন।

অভিবাসন লোন পেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন 

  1. পাসপোর্ট - যে দেশে যাবেন সে দেশের বৈধ পাসপোর্ট।
  2. ভিসা- যে দেশে কাজ করতে যাবেন সে দেশের বৈধ ওয়ার্কিং ভিসা।
  3. কোম্পানির নিয়োগপত্র - যে কোম্পানির অধীনে কাজ করবে সে কোম্পানির বৈধ নিয়োগপত্র।
  4. আবেদনকারীর সত্যায়িত চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  5. নাগরিকত্বের সনদ।
  6. ম্যানপাওয়ার স্মার্টকার্ডের ফটোকপি।
  7. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  8. লোন পরিশোধে সক্ষম স্থানীয় ২জন জামিনদার।

জামিনদারদের যা যা জমা দিতে হবে 

  1. এক কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  2. NID কার্ডের ফটোকপি।
  3. সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত নাগরিকত্বের সনদ।
  4. জামিনদারদের যেকোনো একজনের স্বাক্ষর করা ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা।
  5. লোন পরিশোধের অঙ্গীকারনামা।

পুনর্বাসন লোন পেতে করণীয়

  1.  আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ছবি।
  2. জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
  3. আবেদনকারী ও জামিনদার এর পৌরসভা বা ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদ।
  4. ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে।
  5. জামানত সম্পত্তির ডকুমেন্টসের ফটোকপি।
  6. ঋণগ্ৰহীতার বিনিয়োগের ঘোষণাপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  7. ঋণগ্ৰহীতার স্বাক্ষরসহ তার ব্যাংক একাউন্টের ৩টি চেক পাতা।
  8. বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন সংক্রান্ত ডকুমেন্টস।
  9. প্রকল্পের সকল তথ্য সহ গত ২ বছরের আয় ও ব্যয়ের বিবরণী।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন পেতে করণীয় 

  1. আবেদনকারীর ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  2. ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হতে পারে।
  3. জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
  4. ব্যবসা বা প্রকল্পের স্থান ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে লিজের চুক্তিপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  5.  আবেদনকারী ও জামিনদার এর পৌরসভা ও ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদ।
  6. প্রকল্পের ১ বছরের আয় ও ব্যয়ের সকল বিবরণী সহ বিস্তারিত তথ্য।
  7. ৩টি চেকের পাতা স্বাক্ষর করে ব্যাংকে জমা করতে হবে।
  8. কোনো স্থান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে উক্ত স্থান থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের কপি।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের আবেদনের যোগ্যতা 

সকল আবেদনকারীই এই লোন নিতে পারবেন না। এই লোনের জন্য উপযোগীদের‌ই কেবল লোন দেওয়া হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা নিম্নরূপ -
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও বয়স ১৮ বা তার বেশি হতে হবে।
  • আবেদনকারী যে শাখায় আবেদন করবেন সেই শাখার বাসিন্দা হতে হবে।
  • অন্য কোনো ব্যাংক কিংবা এনজিও এর সাথে ঋণখেলাপির ইতিহাস থাকা যাবে না।
  • আবেদনকারীর সপক্ষে কমপক্ষে দুই জন জামিনদার থাকতে হবে এবং তাদেরকে ঋণ পরিশোধে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে।
  • পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যবসা বা প্রকল্পের ঠিকানা, উদ্দেশ্য সংবলিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
  • অভিবাসন ঋণ পেতে আবেদনকারীর বিদেশে কাজের জন্য বৈধ ভিসা পেতে হবে।
উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি Probashi Kallyan Bank Loan এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

৩.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনে সুদের হার ৯%।সকল ধরনের লোনের ক্ষেত্রে সুদের এই হার প্রযোজ্য ।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বৈধ প্রবাসীদের ৪ প্রকারের লোন সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে -
  1. অভিবাসন লোন - সুদের হার শতকরা ৯%।
  2. পুনর্বাসন লোন - সুদের হার শতকরা ৯%।
  3. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন - সুদের হার শতকরা ৯%।
  4. বিশেষ পুনর্বাসন লোন (২০২০ সাল থেকে)- সুদের হার শতকরা ৯%।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তিন প্রকারের লোন দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো:
  1. অভিবাসন লোন।
  2. পুনর্বাসন লোন,
  3.  বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন।
নিম্নে এগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা প্রদত্ত হলো:

১.অভিবাসন লোন:

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের জন্য এই ঋণ সুবিধা দেয়। বিদেশে গমনের পাসপোর্ট,ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্র প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিয়ে প্রবাসীগণ এ ঋণ গ্ৰহণ করতে পারবেন।প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। এই ঋণ ২ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে।

২.পুনর্বাসন লোন:

আপনি যদি একজন বৈধভাবে বিদেশ প্রবাসী  হয়ে থাকেন এবং দেশে ফিরে আসেন, তাহলে আপনি এই লোন নিতে পারবেন। আপনি যদি বৈধভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং রাজনৈতিক , সামাজিক কিংবা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিপীড়নের শিকার হয়ে ফিরে আসেন এবং পরবর্তীতে স্বাবলম্বী হ‌ওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে থাকেন, তাহলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে এই লোন নিতে পারেন।
এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর। একজন ঋণগ্ৰহীতা জামানত প্রদান সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা এবং জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

৩. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন:

বিদেশে বৈধভাবে চাকরির জন্য ভ্রমণ করার পর একজন প্রবাসী বাংলাদেশির পরিবারের যেকোনো সদস্য যেমন: বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদি,স্ত্রী, সন্তান কিংবা নিকটাত্মীয় কেউ বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন গ্ৰহণ করতে পারবেন। 
এই ঋণ প্রকল্পে একজন বৈধভাবে বিদেশ ভ্রমণকারী জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং জামানত প্রদান সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। ৫ লক্ষ টাকার বেশি লোন গ্ৰহণের জন্য ঋণগ্ৰহীতার স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মর্টগেজ মূল্যে উক্ত ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই ঋণের মেয়াদ প্রায় ১০ বছর।

বিশেষ পুনর্বাসন লোন

এই স্কিম নতুন চালু করা হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারী এর পর থেকে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা চালু করা হয়।
যেসকল প্রবাসী কর্মী করোনার কারণে দেশে ফিরে এসেছেন তাদেরকে অথবা যেসকল প্রবাসী কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিদেশে মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে এই লোন স্কিম চালু করা হয়েছে।
এখানেও একজন গ্ৰাহক জামানতবিহীন সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এবং জামানত প্রদান সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
তবে গ্ৰুপ ঋণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকে ৫ লক্ষ টাকা করে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

৪.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সারা বাংলাদেশেই আছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মোট ৮৬ টি শাখা রয়েছে।আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা গুগলে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন। অথবা "প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা সমূহের ঠিকানা" লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে কিংবা "Probashi Kallyan Bank near me " লিখে গুগলে সার্চ করতে পারেন।

৫.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম 

অনলাইনে গুগল থেকে "প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম" সার্চ করে ডাউনলোড করা যায়। ফরম ডাউনলোড করে উক্ত ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ফরম জমা দানের মাধ্যমে একজন বিদেশগামী,প্রবাসী ও বিদেশফেরত বাংলাদেশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অথবা আপনার নিকটস্থ শাখা থেকে লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ব্যাংকে জমা দিবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অনলাইনে ঋণের জন্য আবেদনের কোনো পদ্ধতি নেই। সরাসরি স্থানীয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন কিংবা অনলাইন থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করুন। এরপর Loan Application form সংগ্ৰহ করে ,প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ফরমটি পুনরায় ব্যাংকে জমা দিন।
ব্যাংক আপনার প্রদত্ত তথ্য ও ডকুমেন্টগুলো যাচাই করবে। এরপর আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে। অনলাইনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যায়। ফরম ডাউনলোড করার পর ফরমটি যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ পুনরায় ব্যাংকে জমা দিতে হবে।



৬.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন  

প্রবাসীরা ঘর তৈরির উদ্দেশ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পুনর্বাসন লোনের আওতায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন গ্ৰহণ করতে পারবেন। বৈধভাবে বিদেশ ভ্রমণ করে  রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক অথবা কোম্পানি কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে এসে নিজেকে ও পরিবারকে পুনর্বাসন করার জন্য  এই লোন গ্ৰহণ করতে পারেন।
এই লোন দিয়ে ঘর তৈরির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কাজে ইনভেস্ট করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পুনর্বাসন লোনের সুদের হার শতকরা ৯% এবং এই লোনটি সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে নিতে পারবেন। এই ঋণের আওতায় বিনা জামানতে একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এবং জামানত প্রদান সাপেক্ষে একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা গ্ৰহণ করতে পারবেন।

৭. আর্টিকেল সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর  

প্রশ্ন-১:প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের কি কি সুবিধা রয়েছে?

উত্তর: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুবিধাসমূহ :
  1. চাকরি বা কাজের জন্য বিদেশে অবস্থানকালে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
  2.  প্রবাসে থাকাকালীন কোনো প্রবাসী আর্থিক সমস্যায় পড়লে সেই সমস্যা থেকে উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান করে।
  3. প্রবাসীরা দেশে ফিরে অন্য কাজের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান করে।

প্রশ্ন-২: অনলাইনে কি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদনের কোনো পদ্ধতি আছে ?

উত্তর: না, অনলাইনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদনের পদ্ধতি নেই। তবে অনলাইন থেকে ফরম ডাউনলোড করে সেই ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জমাদানের শর্তে একজন প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
এছাড়া আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে ফরম সংগ্রহ করুন। অনলাইনে আবেদনের বিষয়টি আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি।

প্রশ্ন-৩: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার কত?

উত্তর: সকল ধরনের লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার শতকরা ৯%। এটি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রদত্ত তিন প্রকার লোন তথা অভিবাসন লোন, পুনর্বাসন লোন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন এর ক্ষেত্রে এক‌ই রকম।

প্রশ্ন -৪: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে?

উত্তর: বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। অনলাইনে সার্চ করে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার ঠিকানা জেনে নিতে পারেন। এছাড়া Probashi Kallyan Bank near me লিখে গুগলে সার্চ করতে পারেন।

প্রশ্ন -৫: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি হাউজ লোন প্রদান করে?

উত্তর: হ্যাঁ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য পুনর্বাসন লোনের আওতায় ঘর তৈরির জন্য হাউজ লোন প্রদান করে থাকে। বিনা জামানতে একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদি ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এবং জামানত প্রদান করে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

প্রশ্ন -৬: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি কি লোন দিয়ে থাকে ?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিম্নলিখিত লোনসমূহ প্রদান করে থাকে:
  1. অভিবাসন লোন ।
  2. পুনর্বাসন লোন।
  3. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন।

৮. লেখকের মন্তব্য

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশগামী, প্রবাসী ও বিদেশফেরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পুনর্বাসনের জন্য কম সুদে বিভিন্ন রকম লোনের ব্যবস্থা করে থাকে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসব লোন গ্ৰহণ করে নিজেদের পুর্নবাসন করতে পারেন । বিভিন্ন মেয়াদে প্রদত্ত এসব ঋণ গ্ৰহণ করে একদিকে প্রবাসীরা যেমন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তেমনি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ঋণ‌ও গ্ৰহণ করতে পারছেন।
এতে সেসব বিদেশফেরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি যেমন হচ্ছে, তেমনি মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা অনেক কমেছে। প্রবাসীগণ এখান থেকে সহজ শর্তে কম সুদে বিনা জামানতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারছেন।  পুনর্বাসন লোনের আওতায় জামানতবিহীন সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা গ্ৰহণ করছেন এবং জামানতসহ সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
সম্পূর্ণ লেখাটি নিজের ভাষায় বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত তথ্য থেকে লিখেছি ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url