OrdinaryITPostAd

ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ [সর্বশেষ আপডেট]
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প, সংস্কৃতি, সভ্যতা সমৃদ্ধ  একটি ভূখন্ড ইতালি। অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিকভাবে অসাধারণ এই দেশটিতে কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে চাইলে আপনিও খুব সহজে পাড়ি জমাতে পারেন সুদূর ইতালিতে। ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিম্নের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

এই আর্টিকেলে আরো থাকছে ভিসা সম্পর্কিত তথ্য, ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক, ইতালিতে বাংলাদেশি টাকার মুল্যমান,ইতালিতে কাজের মজুরী ইত্যাদি। 

সূচিপত্র- ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

১. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

ভিসা হলো একটি অনুমতি পত্র যা ব্যবহারের মাধ্যমে একটি দেশের নাগরিক অন্য একটি দেশে প্রবেশ ও বসবাস করতে পারে।অন্যদিকে ওয়ার্ক পারমিট হলো একদেশ থেকে অন্যদেশে গিয়ে কাজ করার অনুমতি পত্র।বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিবছর অনেক লোকসংখ্যা কাজের প্রয়োজনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ব্যবহার করে ইতালি যায়।ইতালিতে চাকরি পাওয়ার জন্য, বাংলাদেশিদের অবশ্যই ইতালিতে কাজের অনুমতি থাকতে হবে। ইতালিতে কাজের অনুমতি বা ভিসা পাওয়ার জন্য, বাংলাদেশিদের অবশ্যই ইতালির একটি কোম্পানির কাছ থেকে একটি চাকরির অফার থাকতে হবে।বর্তমানে ইতালিতে যেসকল কাজের চাহিদা রয়েছে সেগুলো হলো:
  • আইটি ও প্রযুক্তি,
  • স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা,
  • চিকিৎসা,
  • হোটেল ও পর্যটন,
  • শিল্প ও নির্মাণ,
  • বিপণন ও বিক্রয়,
  • কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরন।
প্রতিবছর প্রায় সকল খাতেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হন।তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পান শিল্প ও নির্মাণ খাত এবং হোটেল ও পর্যটন খাতে। এছাড়াও কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার উদ্দেশ্য ইতালিয়ান সরকার তিন বছরে ৪লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২৩ সালের নির্ধারিত ১ লাখ ৩৬ হাজার কর্মীর নিয়োগের আবেদনের প্রাথমিক ধাপ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৮২ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। বাকিদের ইতালি ভিসা প্রসেসিং পর্যায়ক্রমিকভাবে চলবে। একইসাথে ২০২২ সালের কোটায় আবেদনকারীদের প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকও এই বছর ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

২. ইতালি ওয়ার্ক ভিসা পেতে কত দিন লাগে

বাংলাদেশি নাগরিকরা ইতালি পাড়ি জমানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে।আবার অনেকে শেষ সম্বল ভিটে মাটিটুকুও বিক্রি করে সুদূর ইতালি পাড়ি জমায় শুধুৃমাত্র একটি কাজের সন্ধানে।ইতালিতে প্রবেশের জন্য বেশকিছু রকমের ভিসা রয়েছে,যেমন ফ্যামিলি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক ভিসা। উদ্দেশ্যর উপর নির্ভর করে ভিসা তৈরীর প্রক্রিয়া এবং নিয়মাবলি। বিভিন্ন নাগরিক বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে ইতালি গিয়ে থাকেন।
ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নাগরিক ইতালিতে গিয়ে থাকেন।সাধারণত এই ভিসা দুই থেকে তিন বছর পর পর রিনিউ করতে হয়। তা না হলে ভিসা বাতিল বলে গণ্য হয় এবং সেসময় ইতালিতে বসবাসের বৈধতা বাতিল হয়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তিন বছর ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ থাকে। 
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রথমত ভিসা অফিসে সকল প্রকার সঠিক কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল ফি জমা দিতে হবে। তাহলে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আপনার ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হয়ে যাবে। 

৩. ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কি কি ডকুমেন্টস লাগে

প্রত্যেক দেশের ভিসা করতে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়।সাধারণত ভিসার ধরন অনুযায়ী কাগজপত্রের ধরনে ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলো
১. ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।
৩. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 
৪. ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
৫. পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
৬. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
৭. সকল কাগজ পত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্চনীয়।
৮. সরকার থেকে স্বীকৃত দেওয়া মেডিকেল ফিটনেস এর সনদ পত্র। 
৯. স্পনসর এর আকামার কপি।
১০. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

৪. ইতালিতে ওয়ার্ক ভিসা করতে কতটাকা লাগে

চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেকটি দেশের আলাদা ভিসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ রয়েছে অর্থাৎ ভিসা তৈরী করতে ভিন্ন পরিমাণ এর টাকা খরচ হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক বাংলাদেশী নাগরিকরা ইতালি তে পাড়ি জমাচ্ছে। কাজের ক্ষেত্র বিশেষ বিভিন্ন সময়ে এই প্রাইজ পরিবর্তন হয়ে থাকে। সাধারণত ভিসা বাবদ আপনার ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
যারা বা যেসব কোম্পানি ওর্য়াক ভিসা স্পন্সর করে তাদের ইচ্ছার উপর অনেকখানি নির্ভর করে কতটাকা প্রয়োজন হবে। ক্ষেত্রবিশেষে বেশি টাকার প্রয়োজনও হতে পারে।

৫. ইতালিতে বাংলাদেশি টাকার মুল্যমান

ইতালিতে টাকার মান যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।তবে ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতালির টাকার রেট হচ্ছে ১১৬.৩৬ টাকা। 
অর্থাৎ, বাংলাদেশের ১১৬ টাকা ৩৬ পয়সা সমান ইতালির ১ ইউরো।

৬. ইতালিতে কাজের মজুরী কেমন

ইতালি সমৃদ্ধশালী একটি উন্নত দেশ। ইতালি দেশটি দক্ষিণ ইউরোপের দেশ হিসেবে জনপ্রিয়। তারা প্রতি বছর কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে থেকে প্রতি বছর বহু-সংখ্যক লোক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যায়। কিন্তু অনেকেরই জানা থাকে না যে ইতালিতে কোন কাজের বেতন কি রকম।
কাজের উপর ভিত্তি করে একেক কাজের মজুরী একেক রকম হয়।একজন সাধারণ শ্রমিক প্রতি মাসে ১০০০ ইউরো থেকে ১৫০০ ইউরো উপার্জন করতে পারে। আবার অনেকে আছে যারা প্রফেশনাল কাজ পারে তাদের প্রতি মাসে ৩০০০ ইউরো থেকে ৫০০০ ইউরো পর্যন্ত ও উপার্জন করতে পারে। 
  • রেস্টুরেন্ট কর্মী ৮০ হাজার টাকা।
  • ড্রাইভিং কর্মী ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • কনস্ট্রাকশন কর্মী ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
  • ফুড প্যাকেজিং কর্মী ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • কৃষি কাজের বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

৭. প্রশ্ন - উত্তর

প্রশ্ন ১ঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কতটাকা লাগে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে ২০২৪ এ খরচ হচ্ছে প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা

প্রশ্ন  ২ঃ ইতালি ভিসা কত প্রকার?

উত্তরঃ ইতালি ভিসা সাধারণত দুই প্রকার।সিজনাল ভিসা এবং নন সিজনাল ভিসা।

প্রশ্ন ৩ঃ ইতালি ইমিগ্রেশন আবেদন শুরু হবে কবে?

উত্তরঃ শুরু হলেই জানিয়ে দেওয়া হবে

প্রশ্ন ৪ঃ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালির ভিসা অনুপাত কতো?

উত্তরঃ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার সাফল্যের হার 98.23%।


৮. লেখকের মন্তব্য

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে একজন পাঠক ইতালিয়ান ওয়ার্ক পারমিট  ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে উপরোক্ত আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আশা করছি এটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url