লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ [সর্বশেষ আপডেট]
বাংলাদেশিদের কাছে বর্তমানে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনেক জনপ্রিয়। প্রতি বছর হাজার হাজার শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে লিথুনিয়া যাচ্ছে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং শেয়ার করব কিভাবে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হয়। এজন্য মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা |
উত্তর ধাপ ০১. | বর্তমানে অনেকেই লিথুনিয়া যাওয়ার আগ্রহ পোষন করছেন। লিথুনিয়া যেতে আপনার খরচ পরতে পারে ৭ লক্ষ টাকার মতো। |
উত্তর ধাপ ০২. | লিথুনিয়াতে একজন শ্রমিক মাসে ৬০০-৭০০ ইউরো আয় করতে পারবেন।তবে প্রথম অবস্থায় একটু কম হতে পারে। |
উত্তর ধাপ ০৩. | লিথুনিয়ার টাকার মান অনেক বেশি। যেমন ১ ইউরো =১১৯ টাকা (বাংলাদেশি টাকায়)। |
আর্টিকেল সূচিপত্র - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- লেখকের মন্তব্য - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আরও পড়ুনঃ জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
১. লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুনিয়া যাওয়ার অনেকগুলো ভিসার মধ্যে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্যতম।আপনি যদি লিথুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে থেকে বিভিন্ন কাজ অথবা চাকরি করতে চান তাহলে আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য যেসব কাজের ভিসা রয়েছে সেগুলো হলো:
- EU Blue Card যা দক্ষ কর্মীদের জন্য কাজের ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণ কর্মীদের জন্য
- সিজনাল কাজের ভিসা
- ইন্ট্রা কোম্পানির কাজের ভিসা
আপনি যদি EU Blue Card নিয়ে লিথুনিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে।যেসব কর্মীরা EU কার্ড নিয়ে লিথুনিয়া যায়, তারা অবাধে কাজ করতে পারে । তবে তাদেরকে তিন মাস পর পর নিবন্ধন আপডেট করতে হবে।
আপনি যদি EU Blue Card পাওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে আপনি লিথুনিয়াতে কাজ করার পাশাপাশি এখানে আপনি অস্থায়ীভাবে দুই বছর বসবাসের অনুমতি পাবেন।আপনি যেকোন কাজের ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া কাজ করতে যেতে পারবেন তবে সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরণ ও নিয়োগকর্তার উপর।
লিথুনিয়াতে আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে চান তাহলে আপনাকে জাতীয় ডি ভিসার আবেদন করতে হবে এবং এই ডি ভিসা দিয়ে আপনি লিথুনিয়াতে ১ বছর পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।এছাড়াও আপনি যদি সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যান তাহলেও আপনি কাজ করার পাশাপাশি কিছুদিন থাকতে পারবেন।
লিথুনিয়ার যে কোম্পানির আপনি চাকরি বা কাজ করতে চান সেই কোম্পানির নিয়োগকর্তা যদি আপনার সকল ডকুমেন্টস দেখে আপনাকে নির্বাচন করে তাহলে আপনি যেকোনো দেশ থেকে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
লিথুনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপএ:
আপনি যদি লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। যেমন-
- বৈধ পার্সপোর্ট (যার মেয়াদ হবে কমপক্ষে ৬ মাস)এবং দুটি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে।
- রঙিন ছবি (পার্সপোর্ট সাইজের)
- লিথুনিয়ার নিয়োগকর্তার চিঠি বা আমন্ত্রণপএ
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি
- আপনার আয়ের উৎসের প্রমাণপএ
- আপনার মেডিকেল রিপোর্ট
- আপনি যেই কাজের দক্ষতা অর্জন করবেন তার বৈধ প্রমাণপএ
আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো ইংরেজি অথবা লিথুনিয়ান ভাষায় অনুবাদ করে অ্যাপোস্টিল সিলসহ জমা দিতে হবে।
লিথুনিয়া ইউরোপের একটি দেশ।লিথুনিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী হচ্ছে ভিলনিয়াস।লিথুনিয়া অরণ্য এবং নদীতে পরিপূর্ণ। সুন্দর এই দেশটিতে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন।লিথুনিয়াতে অনেক বাঙালি রয়েছে। তারা নিজ নিজ পেশায় অনেক ভালো আছে।বাঙালিরা মূলত ক্লিনার, ড্রাইভার, হোটেল, মেসন, পাইপ ফিটিং, টাইলস ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
লিথুনিয়া একটি সুরক্ষিত দেশ যা সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে। লিথুনিয়ার মানুষ ইংরেজিতে কথা বলতে পারে, আপনি যদি ইংরেজি পারেন তাহলে আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।লিথুনিয়া একটি ছোট দেশ হলেও এর রয়েছে সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান, খাবার, এবং সহজ সরল মানুষ। সুতরাং বলা যায় যে, আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লিথুনিয়া যান তাহলে আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
ওয়ার্ক পারমিট :
লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।আপনি আপনার নিয়োগকর্তার কাছে থেকে অনুমতি পাওয়ার পূর্বেই আপনি আপনার ডকুমেন্টস গুলো প্রদান করে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করুন।অনেক সময় লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন পরে না।
এম্বাসিতে যোগাযোগ:
আপনি যদি আপনার ভিসা পেয়ে যান তাহলে আপনাকে নিকটতম কোনো লিথুনিয়ান এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।এম্বাসিতে গিয়ে আপনি আপনার ভিসার আবেদন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেওয়া,ভিসা প্রসেসিং এসব তথ্য জেনে নিন।
আবেদন ফরম:
ভিসার আবেদন করার জন্য আপনি বাংলাদেশে অবস্থিত লিথুনিয়া কনস্যুলেটের সাহায্য নিতে পারেন অথবা অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।আবেদন ফরমে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। আপনাকে ফরম পূরন করার সময় অবশ্যই ভিসার ধরন উল্লেখ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
আপনাকে ভিসা আবেদনের জন্য আপনার পার্সপোর্ট,জাতীয় পরিচয় পত্র, রঙিন ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, নিয়োগকর্তার আমন্ত্রণপএ আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ:
আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফরম পূরন করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপএ একসাথে নিয়ে এম্বাসিতে যোগাযোগ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করুন।
ভিসা প্রসেসিং:
আপনার সকল কাগজপএ জমা দেওয়া যদি সম্পূর্ণ হয় তাহলে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।সাধারণত ভিসা প্রসেসিং হতে ৭-১৪ দিন সময় লাগে।তবে আপনার কাগজপএে কোনো জটিলতা থাকলে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
উপরোক্ত পদক্ষেপমতো আপনি এভাবেই আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারেন এবং সহজেই আপনার স্বপ্নের দেশ লিথুনিয়া যেতে পারবেন।ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ বোয়েসেল ফিজি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
৩. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
প্রশ্ন ১: লিথুনিয়া একজন শ্রমিককে কতক্ষণ কাজ করতে হয়?
উত্তর:লিথুনিয়া একজন শ্রমিককে ৮-১০ ঘন্টা কাজ করতে হয়।ওভারটাইম করলে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করতে হয়।
প্রশ্ন ২:লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ কতদিন?
উত্তর:লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১বছর।
প্রশ্ন ৩: লিথুনিয়ার ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন লাগে?
উত্তর:লিথুনিয়ার ভিসা প্রসেসিং হতে ৭-১৪ দিন সময় লাগে।তবে জটিলতা থাকলে একটু সময় বেশি লাগতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?
১০. লেখকের মন্তব্য - লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করলাম লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকমই আরো তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট the du speech ভিজিট করতে পারেন।
লেখক: মোসা: কবিতা
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url