জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? [সর্বশেষ আপডেট]
ইউরোপের দেশ জার্মানিতে কাজের জন্য অনেকে যেতে আগ্রহী। কিন্তু জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা না জানার জন্য অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও জার্মানিতে যেতে পারেন না। আজকের আর্টিকেলে আমরা জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি, জার্মানি যাওয়ার আবেদন ফর্ম, আবেদন করার নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি |
উত্তর ধাপ ০১. | জার্মানিতে টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, আইটি ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভিং, রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ ও মেকানিক্যাল, হোটেল বয় মেডিকেল ক্লিনার ও সিকিউরিটি গার্ড কাজের চাহিদা বেশি। |
উত্তর ধাপ ০২. | জার্মানি কাজের ভিসায় আবেদনের জন্য প্রথমেই সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। এরপর অনলাইন থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। সবশেষে এম্বাসিতে গিয়ে জমা দিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে। |
উত্তর ধাপ ০৩. | জার্মানি ভিসা আবেদন করতে আবেদন ফর্মে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ভ্রমনসংক্রান্ত সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। |
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- জার্মানিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি
- জার্মানি কাজের ভিসা আবেদন
- জার্মানি ভিসা আবেদন ফর্ম
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.জার্মানিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি - জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সংক্ষেপেঃ জার্মানিতে টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, আইটি ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভিং, রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ ও মেকানিক্যাল, হোটেল বয় মেডিকেল ক্লিনার ও সিকিউরিটি গার্ড কাজের চাহিদা বেশি।
জার্মানি যাওয়ার আগে যে কাজটা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো জার্মানিিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা। তাহলে কাজ পাওয়া সুবিধা হবে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়ে আলোচনা করব।
জার্মানিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি :
- টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট : জার্মানির বিভিন্ন কোম্পানিতে টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট পদে বিদেশি নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই পোস্টে চাকরির জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে। টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট পদে বেতন ৩১০০ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৬৮৫৯০ টাকা প্রায়।
- আইটি ইঞ্জিনিয়ার : এই পদে জার্মানির কোম্পানিগুলোতে চাকরি পেতে অবশ্যই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ডিগ্রি থাকতে হবে। আইটি ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৩১০০ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৬৮৫৯০ টাকা প্রায়।
- সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার : এই পদে বেতন ৩২০০ যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩,৮০,০০০ টাকা। জার্মানির কোম্পানিগুলোতে সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতে গেলে অবশ্যই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ডিগ্রি থাকতে হবে।
- ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার : জার্মানির কোম্পানিতে ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেতে অবশ্যই ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর স্নাতোক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এই পদে বেতন ৪০০০ ইউরো বা ৪,৩০,০০০ বাংলাদেশি টাকা।
এছাড়াও ড্রাইভিং, রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ ও মেকানিক্যাল এই কাজগুলোর বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছে এবং বেতন ২,৫০০ ইউরো থেকে ৩,০০০ ইউরো পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় ২,৯৫,০০০ টাকা থেকে ৩,৫৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। হোটেল বয়, মেডিকেল ক্লিনার, সিকিউরিটি গার্ড এই কাজগুলোর উপর জার্মানিরা বাংলাদেশি টাকার সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২.জার্মানি কাজের ভিসা আবেদন - জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সংক্ষেপেঃ জার্মানি কাজের ভিসায় আবেদনের জন্য প্রথমেই সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। এরপর অনলাইন থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। সবশেষে এম্বাসিতে গিয়ে জমা দিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে।
জার্মানিতে কাজের জন্য যেতে ভিসা আবেদন করতে হবে। প্রথমেই জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ সিলেক্ট করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
জার্মানি কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া : বাংলাদেশ থেকে একটি দীর্ঘমেয়াদী জার্মান ভিসা পেতে, প্রার্থীদের অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে দূতাবাসে যেতে হবে, তাদের নথিপত্র উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণ করতে হবে:
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: আবেদন শুরু করার আগে দূতাবাসের নির্দেশাবলী অনুসারে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি সংগ্রহ করতে হবে ৷ মনে রাখতে হবে যে কোনো নথি ইংরেজি বা জার্মান ভাষায় না থাকলে, সেগুলি অবশ্যই এই দুটি ভাষার মধ্যে একটিতে অনুবাদ করতে হবে।
- অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করা: ডকুমেন্টগুলি ঠিকঠাক থাকলে অনলাইন ভিসা আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে । এর জন্য জার্মান অনলাইন ভিসা আবেদনের ওয়েবসাইটে গিয়ে এবং সাবধানে ফর্মটি পূরণ করতে হবে কেননা কোনো ভুল তথ্য দিলে ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে। অনলাইন আবেদন সম্পূর্ণ করার পর, দূতাবাসে জমা দেওয়ার জন্য ফর্মের একটি অনুলিপি প্রিন্ট করে নিতে হবে ।
- আবেদন ফর্ম জমা এবং বায়োমেট্রিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট: এই পর্যায়ে মুদ্রিত আবেদনপত্র এবং সহায়ক ডকুমেন্টেশন দূতাবাসে জমা দিতে হবে । বায়োমেট্রিক জমা এবং নথি হস্তান্তরের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করতে হবে এবং নথি জমা দিতে হবে।
- ভিসা ফি প্রদান: ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ভিসা ফি দিতে হবে। অর্থপ্রদান নগদে বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড লেনদেনের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
- পাসপোর্ট সংগ্রহ : একবার ভিসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেলে, আবেদন সুবিধা থেকে ব্যক্তিগতভাবে পাসপোর্ট নেওয়া যাবে । আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রদত্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় শনাক্তকরণের পাশাপাশি কোনো রসিদ বা নথিপত্র আনতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
৩.জার্মানি ভিসা আবেদন ফর্ম - জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সংক্ষেপেঃ জার্মানি ভিসা আবেদন করতে আবেদন ফর্মে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ভ্রমনসংক্রান্ত সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
জার্মানিতে যাওয়ার ভিসা আবেদন ফর্ম সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যক। কেননা সঠিকভাবে আবেদন ফর্ম পূরন না করলে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার পাশাপাশি আমাদের আবেদন ফর্ম সম্পর্কে জানতে হবে।
জার্মানি কাজের ভিসা আবেদন ফর্ম :
- আবেদন ফর্মে প্রথমে আবেদনকারীর তথ্য দিতে হবে। ১ম পয়েন্ট এ আবেদনকারীর যেসব তথ্য দিতে হবে তা হলো: আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান, জাতীয়তা, পিতা ও মাতার নাম, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি।
- ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের পর ভ্রমন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন : কোন ধরনের ভ্রমন করবেন, ভ্রমন সংক্রান্ত ডকুমেন্টস এর সংখ্যা, ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ, রেসিডেন্স পারমিট নাম্বার এবং মেয়াদ, ভ্রমনের উদ্দেশ্য ইত্যাদি।
- আবেদন ফর্মের ২-৪ নাম্বার পয়েন্টে আবেদনকারীর পিতা মাতা ও সন্তানের তথ্য প্রদান করতে হবে।
- এরপর রেসিডেন্স সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন : জার্মানির কোন স্থানে বসবাস করতে ইচ্ছুক, কেমন আবাসনে বসবাস করবে, জার্মানিতে বসবাসের উদ্দেশ্য এবং কোনো রেফারেন্স থাকলে তার তথ্য।
- সবশেষে শর্তাবলি পড়ে স্বাক্ষর করে দিলেই আবেদন ফর্ম পূরণ সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারিভাবে জার্মানি যাওয়ার উপায়
৪.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - কি-ওয়ার্ড
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বিমান ভাড়া কত?
উত্তর: ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ টু জার্মানি বিমান ভাড়া ৭৫,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
কাতার এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ টু জার্মানি বিমান ভাড়া ৯৭০০০ থেকে ১,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ টু জার্মানি বিমান ভাড়া ১,৬০,০০০ থেকে ১,৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
প্রশ্ন ২: জার্মানির ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তর: জার্মানির ভিসা পেতে ১৫ দিনের মতো সময় লাগে। তবে বিশেষ কোনো কারনে এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রশ্ন ৩: জার্মানি কাজের ভিসায় যেতে খরচ কত লাগে?
উত্তর: বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় জার্মানিতে যেতে ১২- ১৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুনঃ বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ
৫.লেখকের মন্তব্য - জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আজকের আর্টিকেলে আমরা জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি, চাকরির পদসমূহ, আবেদনের নিয়ম, ও আবেদন ফর্ম নিয়ে আলোচনা করেছি। আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরও তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করতে পারেন।
এই আর্টিকেলের-
লেখক: মোছাঃ ফাতেমা খাতুন
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: গাইবান্ধা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url