OrdinaryITPostAd

জমি খারিজ করার পদ্ধতি [সর্বশেষ আপডেট]

জমি খারিজ করার পদ্ধতি ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক  করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ঘরে বসেই জমির খাজনা পরিশোধ, জমির খতিয়ান দেখা এবং ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম করা যায়।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব জমি খারিজ করার পদ্ধতি এবং কিভাবে জমি খারিজ করা যায়।জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন জমি খারিজ করার পদ্ধতি 
উত্তর ধাপ ০১.  জমি কিনার পর প্রথম কাজ হচ্ছে জমিটি আপনার নামে নামজারি করা।
উত্তর ধাপ ০২.  জমি কিনার পর আপনি যদি নামজারি না করেন তাহলে অনেক সমস্যায় পরতে হবে। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জমি খারিজ করার আবেদন করতে হবে।
উত্তর ধাপ ০৩. একটি জমি খারিজ করতে ২৮-৩০ দিনের মতো সময় লাগবে।

আর্টিকেল সূচিপত্র - জমি খারিজ করার পদ্ধতি 

  1. জমি খারিজ করার পদ্ধতি 
  2. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - জমি খারিজ করার পদ্ধতি  
  3. লেখকের মন্তব্য - জমি খারিজ করার পদ্ধতি 

১. জমি খারিজ করার পদ্ধতি  

জমি খারিজ :

জমির খারিজ বলতে মূলত জমির নামজারি করা বোঝায়।আপনি কোনো জমির মালিক দানসূএে,উওরাধিকারসূএে অথবা ক্রয়সূএে পাওয়ার পর তার মালিকানা যদি আপনার নামে করা থাকে সেটাই হলো জমি খারিজ। মূলত জমি মালিকের নামে রেকর্ড করা হয়।এখন অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই জমির খারিজ করা যায়।অনলাইনে জমি খারিজ করা এখনমাএ কিছু সময়ের ব্যাপার। অনলাইনে পুরানো মালিকের নাম পরিবর্তন করে নতুন মালিকের নাম বসিয়ে জমি খারিজ করা হয়।

অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতিকে ভূমি সংক্রান্ত ভাষায়  ই-নামজারি বলা হয়।এটাকে আবার জমি খারিজও বলা হয়।অনলাইনে জমি খারিজ করতে আপনার যেকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা হলো:
  • ছবি (সদ্য তোলা)
  • আপনার স্বাক্ষর 
  • আপনি যে জমি কিনেছেন তার দলিল
  • ওয়ারিশ সনদ (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) 
  • খতিয়ান(আপনি যে জমি কিনেছেন তার) 
  • আপনার জাতীয় পরিচয়পএ

খারিজ করার নিয়ম:

আপনি যদি অনলাইনে জমি খারিজ করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো স্ক্যান করতে হবে।আপনার এই স্ক্যানকৃত ডকুমেন্টস অনলাইন ই-নামজারি আবেদন ফরম পূরন করার সময় আপলোড করতে হবে।আপনি যে ফাইলগুলো আপলোড করবেন সেগুলো অবশ্যই JPG অথবা PDF ফাইলে হতে হবে।অনলাইনে জমি খারিজ করার জন্য আপনাকে সরকার কর্তৃক কিছু নির্দেশনা মানতে হবে।জমি খারিজ করার সময় দলিলে সাল, নাম্বার,ঠিকানা সব তথ্য স্পষ্ট থাকতে হবে।

আপনি ভূমি মন্ত্রনালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে জমি খারিজের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন খারিজ করার সময় আপনার কাছে থেকে আবেদন ফি নিবে ২০/-,নোটিশ জারি ফি নিবে ৫০/-,আপনাকে মোট ৭০/- যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে  যেমন-নগদ,বিকাশ, রকেট, উপায় পরিশোধ করতে হবে।অবশ্যই জমি খারিজের আবেদন করার পূর্বে ভালোভাবে নির্দেশিকা পড়ে নিবেন। ওয়েবসাইটে ই- নামজারি করার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া থাকবে।

এটা পড়ে যদি না বুঝেন তাহলে আপনি ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। ই-নামজারি আবেদন ফরম পূরন প্রক্রিয়াটি নিচে দেওয়া হলো:

ই-নামজারি সিস্টেমে প্রবেশ:

প্রথমে আপনি আপনার ফোন অথবা ডেক্সটপের ব্রাউজারে প্রবেশ করুন।ব্রাউজারে গিয়ে https ;//mutation. land.gov.bd/ লেখাটি টাইপ করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।এটি ই- নামজারি আবেদনের বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইট। 

নামজারি আবেদন :

আপনি যখন ই- নামজারি অপশনে যাবেন তখন আপনি জমি খারিজ সম্পর্কিত বিভিন্ন অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনাকে নতুন নামে জমি নামজারি করার জন্য নামজারি আবেদন লেখা অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। 

প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান:

নামজারি আবেদনের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে আবেদন ফরম পূরন করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।এবার আপনাকে জমির তফসিল এবং গ্রহীতার বিভিন্ন তথ্য, দাতার তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করতে হবে।

যেসব তথ্য দিতে হবে আবেদন ফরমে:

আপনাকে ই- নামজারি আবেদন ফরম পূরন করার সময় যেসব তথ্য দিতে হবে তা হলো:
  • দলিলসূএে আপনি যদি মালিক হন তাহলে আপনাকে  দলিলের তারিখ, দলিলের নম্বর, এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নাম দিতে হবে।
  • খতিয়ানে মালিকগণের পূর্ণ ঠিকানা, নাম, পিতা / স্বামীর নাম দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর পূর্ণ নাম,মোবাইল নাম্বার, ইমেইল, জন্ম নিবন্ধনের সনদ,জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ইত্যাদি দিতে হবে।
  • আপনার যদি যৌথমূলধনী কোম্পানি বা RJSC প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, প্রতিনিধির নাম,প্রতিষ্ঠানের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, পদবি, জেলা, উপজেলা ইত্যাদি দিতে হবে।
  • আপনি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনকারী  হন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, প্রতিনিধির নাম, পদবি দিতে হবে।
  • আপনি যাদের নাম পরিবর্তন করে নামজারির নাম দিবেন তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  • আপনি নিজে আবেদন না করে যদি প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে প্রতিনিধির নাম, ঠিকানা, প্রতিনিধির সাথে আপনার সম্পর্ক, জাতীয় পরিচয়পএের নম্বর দিতে হবে।
  • জমি দাতা যদি মৃত হয় তাহলে তার ওয়ারিশের এবং কোনো প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, ঠিকানা, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, উপজেলা, জেলা,  ইত্যাদি তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। 

দলিল ও কাগজপএ আপলোড:

সবশেষে জমির খতিয়ান কপি ও অন্যান্য সকল ডকুমেন্টস আপলোড দিতে হবে। তবে আপলোড দেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে যে, কাগজপএ PDF Format ব্যাতীত অন্য কোনো Format  আপলোড দেওয়া যাবে না।প্রতিটি PDF ফাইলের সাইজ 1.25 এর মধ্যে হতে হবে।প্রতিটি স্ক্যান করা ফাইল আপলোড করার পর তা কি ধরনের ডকুমেন্ট তা সিলেক্ট করতে হবে।

আবেদন ফি:

সকল ডকুমেন্টস প্রদানের পর আপনাকে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।জমি খারিজের আবেদন ফি ৭০/-,রেকর্ড ফি ১,০০০/-, খতিয়ান ফি ১০০/- মোট ১১,৭০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।সুতরাং উপরের ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি জমি খারিজের আবেদন করতে পারবেন এবং আপনি যদি অনুমোদন প্রাপ্ত হন তাহলে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

২. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - জমি খারিজ করার পদ্ধতি 

প্রশ্ন ১: জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর:জমি খারিজ করতে ২৮-৩০ দিন সময় লাগে।

প্রশ্ন ২:জমির নামজারি করতে কত টাকা লাগে?

উত্তর:জমির নামজারি করতে ১১,৭০ টাকা লাগে।

প্রশ্ন ৩: জমি নামজারি করার ওয়েবসাইটের নাম কি? 

উত্তর:জমি নামজারি করার ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে -

৩. লেখকের মন্তব্য - জমি খারিজ করার পদ্ধতি 

আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করলাম জমি খারিজ করার পদ্ধতি এবং কিভাবে জমি খারিজ করতে হয়।আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট the du speech ভিজিট করতে পারেন। 

এই আর্টিকেলের-


লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে ।  তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url