OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে?

সাউথ কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণাংশে উত্তর -পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ।বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীদের কাছে কোরিয়া এখন পছন্দের গন্তব্য। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে এরং কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে। বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে তা জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 
উত্তর ধাপ ০১.  বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে হবে ওয়ান স্টপ ফ্লাইটে এবং যেতে সময় লাগবে ১৮ ঘন্টা থেকে ১ দিন ২২ ঘন্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
উত্তর ধাপ ০২. বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ার দূরত্ব ৩,৮২৭ কিলোমিটার। সাউথ কোরিয়া যাওয়ার কোনো নন স্টপ ফ্লাইট নেই। এজন্য সময় বেশি লাগে।
উত্তর ধাপ ০৩.  একটি বাণিজ্যিক বিমানের জন্য 500 মাইল প্রতি ঘণ্টার গড় ফ্লাইট গতি অনুমান করা হয়, যা হয়ে থাকে 805 কিমি/ঘন্টা বা 434 নট এর সমতুল্য। বিমান টেক-অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের জন্য অতিরিক্ত 30 মিনিট সময় যোগ করা হয় । সঠিক সময়  অনেকাংশে বাতাসের গতি উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

আর্টিকেল সূচিপত্র - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 

  1. বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 
  2. সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়  - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 
  3. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 
  4. লেখকের মন্তব্য - বাাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 

১. বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময়  লাগে 

প্রবাসগামী বাংলাদেশী কর্মীদের সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে। বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার ননস্টপ কোনো ফ্লাইট নেই।বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দূরত্ব ৩,৮২৭ কিলোমিটার। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া ওয়ান স্টপ ফ্লাইটে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে ১৮ ঘন্টা থেকে ১ দিন  ২২ঘন্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

বাংলাদেশ থেকে কতগুলো বিমান নিয়মিত কোরিয়া যাতায়াত করে। এরকম কতগুলো ফ্লাইট হলো:ফিন এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ইত্যাদি। আপনি চাইলে এসব ফ্লাইটে করে সাউথ কোরিয়া যেতে পারবেন। 

কোরিয়া যেতে কর্মীদেরকে কমপক্ষে এসএসসি পাশ হতে হবে এবং তাদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৯ বছর।বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে সবচেয়ে বেশি লোক নেওয়া হয় উৎপাদন খাতে।যেমন -কাঠশিল্প,পোশাক শিল্প, মেশিনারিজ,কাগজশিল্প, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি। 



২. সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়  - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময়  লাগে 

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ সাউথ কোরিয়া যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। চারটি সহজ উপায়ে আপনি সাউথ কোরিয়া যেতে পারবেন। নিচে তা দেওয়া হলো:
  1. স্টুডেন্ট ভিসা
  2. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 
  3. টুরিস্ট ভিসা
  4. বিজনেস ভিসা
আপনি এই চারটি পদ্ধতির যেকোনো একটি দিয়ে সাউথ কোরিয়া যেতে পারবেন। আপনি যেভাবেই যেতে চান না কেন আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে এবং সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।পরীক্ষা দিয়ে যদি আপনি উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনি সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যেতে পারবেন। 

আপনি যদি সাউথ কোরিয়া যেতে চান, তাহলে আপনাকে সাউথ কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে সাউথ কোরিয়া মানুষ নিয়ে থাকে। প্রতিবছর সাউথ কোরিয়া যাওয়ার জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।আপনি যদি পরীক্ষা ও ভাইভা উভয়ে উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনি সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে সাউথ কোরিয়া যেতে আপনার খরচ পরবে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ এর মতো।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :

আপনি যদি সাউথ কোরিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে সরকারি ভাবে যেতে হবে কেননা ইচ্ছাকৃত ভাবে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সাউথ কোরিয়া যেতে আপনার যেসকল ডকুমেন্টস লাগবে তা হলো:
  • আবেদন ফরম পূরন করতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • কোরিয়ান ভাষায় আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
  • কোরিয়া যেতে যেসকল পরীক্ষা নেওয়া হয় সগুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
আপনার সকল কাজেই এই সকল ডকুমেন্টসের প্রয়োজন পরবে। আপনার যদি আরো কোনো ডকুমেন্টস লাগে তাহলে আপনাকে তা সংগ্রহ করতে হবে।

সাউথ কোরিয়াতে সাধারণত কর্মীদের ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। আপনি যদি ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করতে চান তাহলে সেটা ওভারটাইম হিসেবে ধরা হবে। সাউথ কোরিয়া যেতে আপনাকে অবশ্যই ভাষা শিখতে হবে কেননা কোরিয়ান ভাষা না পারলে আপনি অনেক জায়গায় আটকে যাবেন এবং  স্কলার্শিপ পাবেন না। কোরিয়ার ভাষা না পারলে আপনি কোরিয়াতে প্রবেশই করতে পারবেন  না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সাউথ কোরিয়া ভিসা করার নিয়ম:

ভিসা বাছাই:


আপনি যে ধরনের ভিসায় সাউথ কোরিয়া যেতে চাচ্ছেন সেই ভিসা প্রথমে বাছাই করুন।

প্রয়োজনীয় তথ্য:

আপনার সকল প্রয়োজনীয় তথ্য ভিসার আবেদন পএের সাথে এটাচ করে নিতে হবে।আপনাকে অবশ্যই লিগেল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। 

আবেদন :

সাউথ কোরিয়া যেতে আপনার যে ভিসা প্রয়োজন তা আপনি অনলাইন থেকে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যেহেতু অনলাইনে ভিসা আবেদন করবেন সেজন্য আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ :

সাউথ কোরিয়া যওয়ার ভিসার জন্য আপনার জন্য দরকারী সাক্ষাৎকারটি লিপিবদ্ধ করে নিন।আপনাকে সাক্ষাৎকারটি ভিসা অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। 

পেমেন্ট :

আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তার একটি নির্দিষ্ট টাকা পেমেন্ট করতে হয়, আপনাকে সঠিকভাবে পেমেন্ট প্রদান করতে হবে।পেমেন্ট করার পর আপনাকে একটি রিসিট দেওয়া হবে তা সংগ্রহ  করুন। এই রিসিটটি পরবর্তীতে আপনার প্রয়োজন হতে পারে।

পাসপোর্ট সংগ্রহ :

শেষ পর্যায়ে আপনি আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন।আপনি সাউথ কোরিয়া যাওয়ার ফ্লাইট এর ডেটটি জেনে নিন।

লটারি ছাড়াও বর্তমানে কোরিয়া যাওয়া যায়। প্রতিবছর বোয়েসেল এটার ব্যাবস্থা করে থাকে।প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বোয়েসেল লটারি ছাড়া কোরিয়া যাওয়ার আবেদন ছাড়ে।আপনি যদি কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।এই আবেদনের প্রতি সবার আকর্ষণ থাকে কারন এখানে লটারির ঝামেলা নেই। এই আবেদন করতে আপনাকে বোয়েসেলকে দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা।


৩. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 

প্রশ্ন ১: সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা খরচ পরতে পারে? 

উত্তর:সাউথ কোরিয়া যেতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ পরতে পারে।

প্রশ্ন ২:সাউথ কোরিয়াতে কত সময় কাজ করতে হয়?

উত্তর:সাউথ কোরিয়াতে ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তবে ওভারটাইম আলাদা। 

প্রশ্ন ৩:বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ার দূরত্ব কত? 

উত্তর:বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ার দূরত্ব ৩,৮২৭ কিলোমিটার। 

৪. লেখকের মন্তব্য - বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে এরং সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট the du speech ভিজিট করতে পারেন। 


এই আর্টিকেলের-


লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন  লালমিরহাট নার্সিং কলেজে । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url