OrdinaryITPostAd

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ সম্পর্কে বিস্তারিত!

অনার্সে ভর্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সাবজেক্ট চয়েজ দিতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়ার পর অনেকেই তাদের নিজস্ব সাবজেক্ট নিয়ে হতাশায় পরে। এজন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ এবং কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ দিতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 
উত্তর ধাপ ০১.  সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়ার সময় টেকনিক্যাল সাবজেক্ট গুলোকে বেশি প্রাধান্য দিন।
উত্তর ধাপ ০২.  আপনি যদি ইংরেজি ভার্সনের সাবজেক্ট চয়েজ দেন তাহলে তা আপনার জন্য অনেক ফলদায়ক হবে।
উত্তর ধাপ ০৩. আপনি এমন সাবজেক্ট চয়েজ দিন যাতে পরবর্তীতে আপনি হতাশায় না পরেন।

আর্টিকেল সূচিপত্র - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 

  1. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 
  2.  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স আবেদনে   করণীয় - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 
  3. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ  
  4. লেখকের মন্তব্য - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 

১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ  - 

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজে ভর্তি হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া একটি বড় ব্যাপার।অনেকেই বলে যে তারা একটি সাবজেক্ট চয়েজ দিবে। আবার অনেকে আছে যাদের এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ১০ পয়েন্ট আছে বা ৯.৫০ পয়েন্ট আছে। অনেকক্ষেত্রে তারাও ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।কারণ  প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫.০০ পেয়ে থাকে। আবেদন করার সময় আপনার যেই সাবজেক্ট ভালো লাগে সেটি আগে চয়েজ দিতে হবে।

আপনি কমপক্ষে ৮/১০ টি সাবজেক্ট চয়েজ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার একটি সাবজেক্ট না আসলেও অন্য সাবজেক্ট অবশ্যই আসবে।

বিজ্ঞান বিভাগ:

  1. পদার্থবিজ্ঞান  
  2. রসায়ন 
  3. গণিত
  4. প্রাণ রসায়ন
  5. প্রাণি বিজ্ঞান 
  6. উদ্ভিদ বিজ্ঞান
  7. পরিসংখ্যান 
  8. কম্পিউটার বিজ্ঞান
  9. ভূগোল ও পরিবেশ 
  10. ইংরেজি (যদি ইচ্ছা থাকে) 
এখান থেকে আপনি আপনার ইচ্ছামতো সাবজেক্ট চয়েজ দিতে পারবেন। 

মানবিক শাখা:

  1. বাংলা 
  2. সমাজকর্ম
  3. সমাজ বিজ্ঞান
  4. রাষ্ট্র বিজ্ঞান 
  5. দর্শন 
  6. ইতিহাস 
  7. ইংরেজি 
  8. অর্থনীতি
  9. নৃ-বিজ্ঞান
  10. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি 

বাণিজ্য শাখা:

  1. অর্থনীতি
  2. সমাজকর্ম
  3. রাষ্ট্র বিজ্ঞান 
  4. সমাজ বিজ্ঞান
  5. মার্কেটিং
  6. হিসাব বিজ্ঞান
  7. ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং
  8. ব্যবস্থাপনা
  9. ইংরেজি 
  10. নৃ বিজ্ঞান 
প্রতিটি শাখার শিক্ষার্থী নিজ নিজ পছন্দের সাবজেক্ট চয়েজ দিতে পারবে এবং তাদের পছন্দের সাবজেক্টে পড়তে পারবে।

২. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স আবেদনে   করণীয়  - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই অনার্সে ভর্তি করানো হয় শুধুমাএ জিপিএ পয়েন্টের উপর নির্ভর করে। আপনি যে জিপিএ এর উপর নির্ভর করে সাবজেক্ট পাবেন এমন নাও হতে পারে।এই আর্টিকেলে আমি সবকিছু সুন্দর করে বলার চেষ্টা করব যাতে আপনি বিরক্ত না হন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পছন্দের বিষয়ে চান্স পাওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে বুদ্ধি খাটিয়ে আবেদন করা।এদিকে দেখা যাচ্ছে বিগত বছর এর মতো এবারও জিপিএ এর মান বৃদ্ধিই আছে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী যারা সাড়ে ৬ বা ৭ পাবে তারা আবেদনই করতে পারবে না।আপনার যদি জিপিএ ভিত্তিক যোগ্যতা থাকেও তাহলেও চান্স পাওয়াতে অনেক ঝামেলা রয়েছে।

আপনার আবেদনকৃত কলেজে চান্স পেতে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে।তা হলো আপনি কোন কলেজে ভর্তি হবেন সরকারি নাকি বেসরকারি। কত পয়েন্ট লাগবে,কলেজে আসন সংখ্যা কত? ইত্যাদি বিষয় নিচে দেওয়া হলো:

জিপিএ :

আপনি জানেন যে, আপনি শুধুমাএ একটি কলেজে আবেদন করতে পারবেন। আপনার পয়েন্ট যদি ৯ হয় তাহলেও আপনি নিরাপদ না। কারন,আপনি দুই কারনে ছিটকে যেতে পারেন যদিও আপনার অবস্থান মেধাক্রম অনুযায়ী ১।একটি হচ্ছে আপনার বয়স আর একটি হচ্ছে আপনার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে আপনার আবেদনকৃত কলেজে আসন সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ হতে হবে। তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। 

এটা সবাই জানে যে সরকারি কলেজে অনেক বেশি কম্পিটিশন হয়।কারন প্রত্যেক শিক্ষার্থীই সরকারি কলেজের সুযোগ নিতে চায়।সরকারি কলেজের অবস্থান যদি শহরে হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। আপনি কত পয়েন্ট হলে সরকারি কলেজে চান্স পাবেন তা মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।আপনার বিভাগ, জিপিএ এবং সাবজেক্ট চয়েজ।
এইচএসসিতে যদি আপনার গ্রুপ বিজ্ঞান হয়ে থাকে তাহলে  সরকারি কলেজে চান্স পেতে আপনার জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।আর যদি আপনি মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হন এবং মানবিকের কোনো বিষয়ে অনার্স করতে চান তাহলে আপনার জিপিএ পয়েন্ট দরকার হবে ৮.৫০। আর ব্যাবসা শিক্ষার্থীর জিপিএ পয়েন্ট হতে হবে ৮.৫০-৯.৫০+। 

শুধু পয়েন্ট হলেই চলবে না, আপনি যে বিষয়ে অনার্স করতে চান সে বিষয়ে আপনার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় মার্ক ভালো থাকতে হবে এবং এইচএসসিতে পয়েন্ট হতে হবে ৪.০০। আপনার পয়েন্ট যত বেশি থাকবে আপনি তত বেশি এগিয়ে থাকবেন।আপনার বিষয়ভিত্তিক মার্ক কম থাকলেও পয়েন্ট বেশি থাকতে হবে অথবা পয়েন্ট কম থাকলে বিষয়ভিত্তিক মার্ক বেশি থাকতে হবে।

আপনি যদি অপেক্ষাকৃত কম চাহিদার সাবজেক্ট চয়েজ দেন তাহলে আপনাকে তেমন কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না। তবে আপনাকে এইচএসসিতে উক্ত বিষয়ে কমপক্ষে ৩.০০ থাকা লাগবে।তবে শহরের সরকারি কলেজে যদি আসন সংখ্যা কম থাকে তাহলে প্রতিযোগীতা অনেক বেড়ে যাবে।

আপনি যদি গ্রুপ চেন্জ করে সাবজেক্ট পেতে চান সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।কারন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য মানবিকে ১৫%,ব্যাবসা শিক্ষা বিভাগের জন্য মানবিকে ৫% আসন বরাদ্দ থাকে।যেমন -কোনো কলেজে যদি ১০০ জন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগে আবেদন করে তাহলে ১৫ জন চান্স পাবে।এক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা। তবে আপনার পয়েন্ট যদি ভালো থাকে এবং আপনি সাধারন কোনো কলেজে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা ৯০% থাকবে।

আপনার যদি ইয়ার গ্যাপ থাকে তাহলেও আপনি ঝামেলাতে পরতে পারেন।ভালো পয়েন্ট থাকলে আপনি আবেদন করুন।নতুবা আপনাকে বেসরকারি কোনো কলেজে আবেদন করতে হবে। আপনার যদি আনুমানিক ৮.০০ পয়েন্টর মতো থাকে তাহলে আপনি উপজেলা কলেজগুলোতে আবেদন করতে পারবেন। 

আপনার যদি ভালো সরকারি কলেজে পড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে এবং আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা যদি ৮০% মনে করেন তাহলে আপনি আবেদন করতে পারেন।আর যদি গ্রুপ পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে ১ পয়েন্ট বাড়াতে হবে অথবা বেসরকারি বা উপজেলা কোনো কলেজে আবেদন করতে হবে।


৩. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 

প্রশ্ন ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটি সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া যায় ? 

উত্তর:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো সাবজেক্ট প্রদর্শিত হবে সবগুলো চয়েজ দিতে পারবেন। আপনি চাইলে একটিও দিতে পারবেন।

প্রশ্ন ২:সাবজেক্ট চয়েজ আবেদন করতে কত টাকা লাগে?

উত্তর:সাবজেক্ট চয়েজ আবেদন করতে ৫০ বা ১০০টাকা লাগে।তবে নিজ কম্পিউটার বা ফোনে করলে কোনো টাকা লাগবে না। 

প্রশ্ন ৩: সাবজেক্ট কি মাইগ্রেশন করা যায়?

উত্তর:অবশ্যই সাবজেক্ট মাইগ্রেশন করা যায়।


৪. লেখকের মন্তব্য - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ এবং কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট চয়েজ দিতে হয়। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট the du speech ভিজিট করতে পারেন। 



এই আর্টিকেলের-


লেখক: মোসা: কবিতা  
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url