OrdinaryITPostAd

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত? [নতুন তথ্য]

বর্তমানে কুয়েতের নতুন নতুন কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে যারা কুয়েতের কোম্পানি ভিসাতে কাজ করতে আগ্রহী তারা নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা তৈরি করে কুয়েত কোম্পানি ভিসায় কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা নিয়ে আলোচনা করব। তাই যারা কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় কাজের জন্য যেতে চায় তাদের ক্ষেত্রে আর্টিকেলটি অনেক উপকারী হবে। কুয়েত কোম্পানি ভিসায় বেতন কত তা জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়ুন।

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত 
উত্তর ধাপ ০১.  কুয়েতের কোম্পানিগুলো শ্রমিক নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের এজেন্সির মাধ্যমে যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যার আওতায় বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতের কোম্পানিতে চাকরির জন্য যেতে পারে তাকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বলে।
উত্তর ধাপ ০২.  কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে ক্লিনারের বেতন মাসিক ৭৫ কুয়েতি দিনার, টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট এর বেতন ৪০০ কুয়েতি দিনার, আইটি ইন্জিনিয়ার এর বেতন ৬০০ কুয়েতি দিনার, সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন ৮০০ কুয়েতি দিনার এবং ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৮৬৫ কুয়েতি দিনার। 
উত্তর ধাপ ০৩. কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের জন্য নিয়োগ কর্তাকে প্রয়োজনীয় নথি প্রদানপূর্বক ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে, এরপর নিয়োগকর্তা ওয়ার্ক পারমিট কর্মচারীকে পাঠাবেন এবং কর্মচারী এটি নিজ দেশের কুয়েত এম্বাসি তে জমা দিলেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেয়ে যাবেন।
উত্তর ধাপ ০৪. কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট, ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

  1. কুয়েত কোম্পানি ভিসা 
  2. কুয়েত কোম্পানি ভিসায় চাকরির বেতন 
  3. কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের নিয়ম 
  4. কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি 
  5. লেখকের মন্তব্য 

১.কুয়েত কোম্পানি ভিসা - কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত 

সংক্ষেপ: কুয়েতের কোম্পানিগুলো শ্রমিক নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের এজেন্সির মাধ্যমে যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যার আওতায় বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতের কোম্পানিতে চাকরির জন্য যেতে পারে তাকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বলে।

কুয়েতে কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা জানার আগে কুয়েত কোম্পানি ভিসা কাকে বলে তা জানাতে হবে। তাই কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা থাকছে আর্টিকেলের এই অংশে।

মূলত কুয়েতের যে সমস্ত কোম্পানি রয়েছে ওই কোম্পানিগুলো শ্রমিক নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এজেন্সির মাধ্যমে যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি নাগরিক এজেন্সির মাধ্যমে যখন কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে কাজ করার সুযোগ পায় তাকেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বলে। কুয়েত কোম্পানি ভিসা করার জন্য বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা  পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যায়। যদি কেউ কুয়েত প্রবাসী থাকেন এবং কুয়েতের কোম্পানিতে পোস্ট ফাকা থাকা সাপেক্ষে নিজের লোক নিয়োগের পারমিশন নিয়ে নিতে পারেন তখন ঐ ব্যক্তির দ্বারা মনোনিত ব্যক্তি ভিসার আবেদন না করেই ভিসা পেতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার আওতায় খুব কম সংখ্যক পোস্টে জয়েন করা যায় বাংলাদেশ থেকে গিয়ে। যেগুলো হলো: ক্লিনার, টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, আইটি ইন্জিনিয়ার, সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার,  ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি। ক্লিনার ভিসায় যেতে পড়াশোনার যোগ্যতা থাকা আবশ্যক না হলেও পরের পোস্টগুলোর জন্য স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টাল ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

২.কুয়েত কোম্পানি ভিসায় চাকরির বেতন - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

সংক্ষেপ : কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে ক্লিনারের বেতন মাসিক ৭৫ কুয়েতি দিনার, টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট এর বেতন ৪০০ কুয়েতি দিনার, আইটি ইন্জিনিয়ার এর বেতন ৬০০ কুয়েতি দিনার, সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন ৮০০ কুয়েতি দিনার এবং ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৮৬৫ কুয়েতি দিনার। 

কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার জন্য সবাই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা জানতে চান। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা কুয়েত কোম্পানি ভিসায় চাকরির বেতন নিয়ে আলোচনা করব।

  • ক্লিনার : কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে ক্লিনারের বেতন মাসে ৭৫ কুয়েতি রিয়াল বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২৬৫০০ টাকা। এই বেতন ৮ ঘন্টা ডিউটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ ওভারটাইম করলে বেতন আরও বাড়ে। 
  • টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট : কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট পদে বিদেশি নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই পোস্টে চাকরির জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে। টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট পদে বেতন ৪০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫০০০০ টাকা প্রায়।
  • আইটি ইঞ্জিনিয়ার : এই পদে কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে চাকরি পেতে অবশ্যই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ডিগ্রি থাকতে হবে। আইটি ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৬০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২১১০০০ টাকা প্রায়। 
  • সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার : এই পদে বেতন ৮০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮০০০০ টাকা। কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে সিভিল সাইট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতে গেলে অবশ্যই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ডিগ্রি থাকতে হবে।
  • ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার : কুয়েতের কোম্পানিগুলোতে ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেতে অবশ্যই ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর স্নাতোক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কুয়েত কোম্পানিতে এই পদে বেতন ৮৫০ কুয়েতি দিনার বা ৩০৫০০০ বাংলাদেশি টাকা।  

৩.কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের নিয়ম - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

সংক্ষেপ: কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের জন্য নিয়োগ কর্তাকে প্রয়োজনীয় নথি প্রদানপূর্বক ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে, এরপর নিয়োগকর্তা ওয়ার্ক পারমিট কর্মচারীকে পাঠাবেন এবং কর্মচারী এটি নিজ দেশের কুয়েত এম্বাসি তে জমা দিলেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেয়ে যাবেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানার পর আমাদের কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের নিয়ম জানতে হবে। কেননা আবেদনের নিয়ম না জানলে সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করা সম্ভব নয়।
কুয়েত কাজের ভিসা কুয়েতে কাজ করতে ইচ্ছুক বিদেশী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয়। কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য প্রথমেই একটি কোম্পানী  থেকে কাজের প্রস্তাব প্রয়োজন। নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই কর্মীর পক্ষে ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম :
  • নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই সামাজিক বিষয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। 
  • নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট কপি এবং এনওসি জমা দিয়ে সামাজিক বিষয় ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।
  • ওয়ার্ক ভিসা/পারমিট পাওয়ার পর, নিয়োগকর্তা এনওসি সহ কর্মচারীকে পাঠাবেন।
  • কর্মচারী ২টি নথি পাওয়ার পরে, তাদের নিজ দেশে একটি মেডিকেল পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষাটি কুয়েত কনস্যুলেট দ্বারা স্বীকৃত একটি ক্লিনিকে করতে হবে। 
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মীর নিজ দেশে কুয়েত দূতাবাসে ওয়ার্ক পারমিটের একটি কপি পাঠাবে। নিয়োগকর্তা কর্মচারীকে ওয়ার্ক পারমিটের একটি কপিও প্রদান করবে।
  • কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মীর নিজ দেশে কুয়েত দূতাবাসে ওয়ার্ক পারমিটের একটি অনুলিপি পাঠাবে।
  • কর্মীর নিজ দেশে কুয়েত দূতাবাস না থাকলে, ওয়ার্ক পারমিট এবং এনওসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

৪.কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত 

সংক্ষেপ: কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট, ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

কুয়েতে কোম্পানি ভিসা আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে। কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা জানার পর আবেদনকারীর উচিত আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নথি সংগ্রহ করা। 

কুয়েত কোম্পানি ভিসায় আবেদনে প্রয়োজনীয় নথি-

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের ন্যূনতম দুই (২) বছর আগে বৈধ পাসপোর্ট।
  • কুয়েত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি বর্তমান ভিসা আবেদনপত্র
  • একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • এইচআইভি পরীক্ষা (এইডস পরীক্ষা)
  • স্বাস্থ্য প্রশংসাপত্র: স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন যে রোগীর স্বাস্থ্য ভালো এবং ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্ত। নিম্নলিখিতগুলির জন্য ল্যাব পরীক্ষার ফলাফল: হেপাটাইটিস বি এবং সি, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসিস, সিফিলিস এবং যক্ষ্মার জন্য বুকের এক্স-রে
  • ক্রিমিনাল রেকর্ড অর্থাৎ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • শিক্ষা যোগ্যতার সার্টিফিকেট 
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে, কর্মচারী একটি "অনাপত্তি সনদ" (এনওসি) পাবেন যা তাকে কুয়েতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। কুয়েতে যাওয়ার পরে, আবেদনকারীকে একটি রেসিডেন্সি ভিসা দেওয়া হবে। রেসিডেন্সি ভিসা পাওয়ার ৩০ দিন পরে কর্মচারী একটি কুয়েত সিভিল আইডির জন্য আবেদন করতে পারে এবং আইডি পাওয়ার পর কুয়েতে অবস্থান ও কাজ করতে পারবে।

৫.লেখকের মন্তব্য - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত 

আজকের আর্টিকেলে আমরা কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত, আবেদনের নিয়ম ও আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেল সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সেই সাথে নিজেদের মতামত, পরামর্শ কিংবা অভিযোগ ও জানাতে পারেন। এরকম আরও তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url