OrdinaryITPostAd

সাইপ্রাস বেতন কত - সাইপ্রাস ভিসা আবেদন [সর্বশেষ আপডেট]

সাইপ্রাস ইউরোপ মহাদেশের এটি দেশ তবে সেনজেনভুক্ত নয় । এই দেশে কাজ করতে যেতে অনেকেই আগ্রহী থাকেন। তারা অনেক সময় সাইপ্রাস বেতন কত,  সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। আজকের আর্টিকেলে আমরা সাইপ্রাস বেতন কত,  সাইপ্রাস ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই সাইপ্রাস বেতন কত, সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের নিয়ম জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন সাইপ্রাস বেতন কত - সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন 
উত্তর ধাপ ০১.  সাইপ্রাস এ কাজ করতে ওয়ার্ক পারমিট, কাজের ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট এর প্রয়োজন পড়ে
উত্তর ধাপ ০২. সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ও রেসিডেন্স পারমিট সাধারনত চাকরীদাতা কতৃক সাইপ্রাস শ্রম বিভাগ থেকে অনুমোদন করে নিতে হয়
উত্তর ধাপ ০৩. সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের জন্য প্রথমে নিয়োগকর্তা হতে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে, এরপর কাজের ভিসায় আবেদন করতে হবে সবশেষে সাইপ্রাস যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রেসিডেন্স পারমিট নিতে হবে
উত্তর ধাপ ০৪. কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক এর মাসিক বেতন ৩৫০০ ইউরো, মিড লেভেল ম্যানেজার এর ৩৩০০ ইউরো এবং স্টাফ সহ অন্যান্য পদে ১৮০০ ইউরো

অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

  1. সাইপ্রাস ওয়ার্ক ভিসা 
  2. সাইপ্রাস ওয়ার্ক ও রেসিডেন্স পারমিট 
  3. সাইপ্রাস ভিসা আবেদন 
  4. সাইপ্রাস বেতন
  5. লেখকের মন্তব্য 

১.সাইপ্রাস ওয়ার্ক ভিসা - সাইপ্রাস বেতন কত? সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন 

সংক্ষেপ: সাইপ্রাস এ কাজ করতে ওয়ার্ক পারমিট, কাজের ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট এর প্রয়োজন পড়ে।

নন ইউরোপীয় দেশের নাগরিকের জন্য সাইপ্রাসে কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ভিসা পেতে সাইপ্রাসের কোম্পানি কতৃক নিযুক্ত হতে হয়। সাইপ্রাস বেতন কত, সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সাইপ্রাস ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আলোচনা করব। 

সাইপ্রাস এ ইউরোপীয় কোনো দেশের নাগরিকের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ভিসার প্রয়োজন হয় না৷ তবে ইউরোপের বাহিরের কোনো দেশের নাগরিক যদি সাইপ্রাস যেতে চায় তাহলে অবশ্যই তার ওয়ার্ক ভিসা লাগবে। ওয়ার্ক ভিসার সাথে মূলত আর দুইটি পারমিট লাগবে। এই তিনটি পারমিট সম্মিলিতভাবে কোনো বিদেশি নাগরিকের সাইপ্রাসে কাজের সুযোগ দেয়। এগুলো হলো:

  1. ওয়ার্ক পারমিট : সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট যেটা চাকরী প্রদানকারী কতৃপক্ষ কতৃক আবেদন করা হয় এবং সাইপ্রাস এ কাজের জন্য অনুমতি দেয়।
  2. ওয়ার্ক ভিসা: এই ভিসা সাইপ্রাসে কাজের জন্য ভ্রমণ করতে দেয়।
  3. রেসিডেন্স পারমিট : ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে সাইপ্রাসে অবস্থানের জন্য রেসিডেন্স পারমিট এর প্রয়োজন পড়ে।
সাইপ্রাসে নন-ইউরোপিয়ান কোনো দেশের নাগরিক তখনই কাজ করতে পারবে যখন সাইপ্রাসের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হায়ার করা হবে। সাইপ্রাসে যেসব পদে চাকরি করা যাবে তা হলো:
  • কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক 
  • মিড লেভেল ম্যানেজার
  • কেরানি 
  • সাপোর্টিং স্টাফ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর কোনো নাগরিক কর্মী না থাকলে তাদের বদলে)
  • হোটেল কর্মী
  • ক্লিনার 
  • ফুড প্যাকেজিং
  • কনস্ট্রাকশন 
  • ড্রাইভিং 
এসব পদে সাইপ্রাসে আবেদন করলে ওয়ার্ক পারমিট, কাজের ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট পাওয়া যায় খুব সহজেই।  

২.সাইপ্রাস ওয়ার্ক ও রেসিডেন্স পারমিট - সাইপ্রাস বেতন কত? সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন

সংক্ষেপ: সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ও রেসিডেন্স পারমিট সাধারনত চাকরীদাতা কতৃক সাইপ্রাস শ্রম বিভাগ থেকে অনুমোদন করে নিতে হয়।

সাইপ্রাস ওয়ার্ক ভিসা পেতে গেলে সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ও রেসিডেন্স পারমিট এর প্রয়োজন হয়। সাইপ্রাস বেতন কত, সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ও রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট : সাইপ্রাসে কাজের ক্ষেত্রে চাকুরীদাতা ওয়ার্ক পারমিট এর আবেদন করে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট পেতে প্রয়োজনীয় নথি :
  • বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • সাইপ্রাস কাজের ভিসা 
  • সাইপ্রাস ভিত্তিক একটি কর্মসংস্থান চুক্তি
  • নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পূরণকৃত আবেদনপত্র।
  • অস্থায়ী বাসস্থানের আবেদনপত্র (সম্পূর্ণ এবং স্বাক্ষরিত)
  • নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • সাইপ্রাসে আবাসনের বিবরণ এবং প্রমাণ
  • জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে আর্থিক সঞ্চয়ের প্রমাণ
  • টিবি, হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি/এইডস, বা সিফিলিস (গত ৪ মাসের মধ্যে ইস্যু করা) এর মতো কিছু অসুস্থতা না পাওয়ার মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের শংসাপত্র (গত ৬ মাসের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে এমন)
  • স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ
  • আবেদন ফি প্রদানের উপায় নিশ্চিত করে ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ব্যাংক গ্যারান্টি (যদি প্রয়োজন হয়)
  • প্রয়োজনে চাকরীরত ব্যক্তিকে দেশে ফেরত পাঠানোর খরচের নিশ্চয়তা হিসেবে ব্যাংক লেটার (চাকরীদাতা কতৃক)
সাইপ্রাস রেসিডেন্স পারমিট: সাধারনত ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে সাইপ্রাসে অবস্থান করতে রেসিডেন্স পারমিট এর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে চাকুরী প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাইপ্রাসে রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে দেন। রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য যা প্রয়োজন :
  • ইমিগ্রেশন ফর্ম 
  • দুটি (২) পাসপোর্ট আকারের ছবি (বিপরীতে স্বাক্ষর সহ)
  • পুলিশ সার্টিফিকেট 
  • সাইপ্রাসে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের জন্য পাঁচ ৪ অথবা ৬ বছরের বাসস্থান নির্ধারণ 
  • মেডিকেল সনদপত্র (সাইপ্রাসে অস্থায়ী রেসিডেন্সির জন্য আবেদনের  ৪ মাসের আগে নয় এমন )
  • আয়ের উৎস (সাইপ্রাসে অস্থায়ী রেসিডেন্সির জন্য কর্মসংস্থান, পেনশন, বিনিয়োগ, ট্রাস্ট ফান্ড ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত কিনা)
  • সাইপ্রাস থেকে কোনো উদ্দেশ্যে প্রস্থান (যদি প্রযোজ্য হয় ) প্রমাণিত টিকিট
  • দুইটি চারিত্রিক প্রশংসাপত্র।
  • আর্থিক রেফারেন্স 
  • আবেদনকারী স্বত্বাধিকারী কিনা তা নিশ্চিতকরণ (সাইপ্রাসে বাড়ি বা সম্পত্তি থাকলে, এবং  তার ঠিকানা)

৩.সাইপ্রাস কাজের ভিসায় আবেদনের নিয়ম - সাইপ্রাস বেতন কত? সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন

সংক্ষেপ: সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের জন্য প্রথমে নিয়োগকর্তা হতে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে, এরপর কাজের ভিসায় আবেদন করতে হবে সবশেষে সাইপ্রাস যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রেসিডেন্স পারমিট নিতে হবে। এই তিনটি ধাপ পূরন করলেই সাইপ্রাসে কাজ ও বসবাস করা যাবে।

সাইপ্রাস বেতন কত, সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের নিয়ম: সাইপ্রাসে যাওয়ার পরিকল্পনাকারী বিদেশী কর্মচারীদের প্রথমে এবং সর্বাগ্রে একটি ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে। শ্রমিকের পক্ষে এই পারমিটের জন্য আবেদন করা নিয়োগকর্তার দায়িত্ব। নিয়োগকর্তাকে প্রমাণ করতে হবে যে সাইপ্রাসে এমন কোনও যোগ্য চাকরিপ্রার্থী নেই যারা পদটি পূরণ করতে পারে। তাদের শ্রম বিভাগ থেকে সুপারিশের একটি চিঠিও পেতে হবে। প্রয়োজনীয় চিঠি পাওয়ার পর, নিয়োগকর্তাকে সিভিল রেজিস্ট্রি এবং মাইগ্রেশন বিভাগে পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর, কর্মীর ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য  বাংলাদেশের সাইপ্রাস দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যেতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভিসা ইস্যু করার সাথে সাথে আবেদনকারী সাইপ্রাস ভ্রমণ করতে পারবেন।

এরপর কর্মচারীকে সাইপ্রাসে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। এটি করার জন্য, তাদের স্থানীয় পুলিশ বিভাগ বা সিভিল রেজিস্ট্রি এবং মাইগ্রেশন বিভাগের কেন্দ্রীয় অফিসে যেতে হবে। সেখানে আবেদনকারীদের একটি স্বাক্ষর এবং বায়োমেট্রিক ডেটা এবং প্রয়োজনীয় নথি প্রদান করতে হবে।

এই পদ্ধতিতে সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট, সাইপ্রাস ভিসা ও সাইপ্রাস রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ার পরে, কর্মচারী আইনত সাইপ্রাসে বসবাস করতে এবং কাজ করতে পারবে।
সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট 
  • স্নাতক সার্টিফিকেট ( লেবারদের জন্য মেট্রিক পাসের সার্টিফিকেট) 
  • কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  • সাইপ্রাস ভাষা ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট ( ইংরেজি ভাষা জানলেও হবে)
  • জব পাওয়ার কভার লেটার
  • চাকরির চুক্তিপত্র
  • মুল প্রশংসাপত্র যা নিয়োগকর্তা কতৃক দেওয়া হয়েছে 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
  • ভিসা ফি
  • সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট (যেমন : জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট আা জাতীয় পরিচয়পত্র)  
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • ব্যাংক একাউন্ট এর কাগজপত্  

৪.সাইপ্রাস কাজের বেতন  - সাইপ্রাস বেতন কত?  সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন

সংক্ষেপ: সাইপ্রাস কাজের বেতন - কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক এর মাসিক ৩৫০০ ইউরো, মিড লেভেল ম্যানেজার এর ৩৩০০ ইউরো এবং স্টাফ সহ অন্যান্য পদে ১৮০০ ইউরো।

সাইপ্রাস বেতন কত, সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সাইপ্রাস ভিসায় কাজের বেতন সম্পর্কে আলোচনা করব। 

সাইপ্রাসে কাজের বেতন: বিভিন্ন পদে সাইপ্রাসে কাজের বেতন :
  • কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক : মাসিক ৩৫০০ ইউরো এবং বার্ষিক ৪১০০০ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা।
  • মিড লেভেল ম্যানেজার : মাসিক ৩৩০০ ইউরো এবং বার্ষিক ৪০০০০ ইউরো যা বাংলাদেশি প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা।
  • সাপোর্টিং স্টাফ ও অন্যান্য : মাসিক প্রায় ১৮০০ ইউরো এবং বার্ষিক ২১০০০ ইউরো যা বাংলাদেশি প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা  

৫.লেখকের মন্তব্য  - সাইপ্রাস বেতন কত?  সাইপ্রাস ভিসায় আবেদন

আজকের আর্টিকেলে আমরা সাইপ্রাস বেতন কত,  সাইপ্রাস ভিসায় আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সেই সাথে এরকম আরও তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url