OrdinaryITPostAd

ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা আলোচনা করবো ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ নিয়ে। ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। আশা করছি এই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত একটি ধারণা লাভ করতে পারবেন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. ওমান ফ্রি ভিসা
  2. ওমান ফ্রি ভিসা দিয়ে যাওয়ার উপায়
  3. ওমান ফ্রি ভিসা প্রসেসিং
  4. ওমান দোকান ভিসা
  5. ওমান দোকান ভিসার দাম ও ভিসা পাওয়ার উপায়
  6. ওমান ড্রাইভিং ভিসা
  7. ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন ও খরচ
  8. ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং
  9. লেখকের মন্তব্য

১.ওমান ফ্রি ভিসা | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান ফ্রি ভিসা হচ্ছে ওমানের কোন কোম্পানির যে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। ওমানে মালিকানা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওমান ফ্রি ভিসা স্পন্সর করেন বিভিন্ন সময়ে। আর এই সকল কাজগুলো হয়ে থাকে এজেন্টদের মাধ্যমে। তখন এজেন্টরা যে লোকটিকে কাজ করার জন্য ওমানের নিয়ে যাবে তার পূর্বে তারা মালিককে জিজ্ঞেস করে তারা সেই কোম্পানিতে কাজ করবে নাকি বাইরে কাজ করবে।

যদি মালিক বলে বাইরে কাজ করবে তাহলে আপনি ফ্রি ভিসার মাধ্যমে প্রমাণ দেবেন আপনার কোন মালিকানা থাকবে না। আর যদি আপনি গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির বা অন্য কোন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে আপনি মালিকানা ভিসায় ওমান যাওয়া হবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফ্রি ভিসা এবং মালিকানা ভিসা সম্পর্কে।

বর্তমান সময়ে আপনি যদি ওমানে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে টাকার এমাউন্ট কম বেশি হয়ে থাকে। কাজের ক্ষেত্রে তিন লক্ষ টাকা লাগে, আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ওখানে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হয় ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ভিসার দাম কম বেশি হয়।

২.ওমান ফ্রি ভিসা দিয়ে যাওয়ার উপায় | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমানে ফ্রি ভিসা বলে কোন ভিসা নেই। এজেন্সি এবং দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে ওমানে যান। তবে সেখানে গিয়ে তারা প্রতারণার মধ্যে পড়ে। ওমান ফ্রি ভিসা একটি দালাল চক্রের বানানো কথা। ফ্রি ভিসাটা বের করা হয় যে কোন একটা দোকানের উপর বা হোটেলের ওপর এক কথায় যেকোনো একটি লাইসেন্সের উপর বের করা হয়।

সেই লাইসেন্সের মাধ্যমে দালাল চক্ররা আপনাকে একটি ভিসা তৈরি করে দেবে এবং আপনি যদি সেই ভিসায় ওমান যান তাহলে আপনি সেই স্থানে বা আপনাকে যে লাইসেন্স এর মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই কোম্পানি বা সেই দোকানে কাজ পাবেন না। অন্য স্থানে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে।

তখন আপনারা প্রথম অবস্থায় গিয়ে সেখানে কোন কাজ পাবেন না যে কারণে আপনারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তবে আপনার যদি কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যম দিয়ে কোন কাজ সংগ্রহ করে নিতে পারেন তাহলে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না।

৩.ওমান ফ্রি ভিসা প্রসেসিং | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমানে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসায় অনেকেই যেয়ে থাকেন। তবে আপনারা চেষ্টা করবেন ওমানে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে না যাওয়া। কেন আপনারা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যাবেন না সে সম্পর্কে আমরা  আলোচনা করেছি। ওমান ফ্রি ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। যেমন আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে, আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে ইত্যাদি। যে সকল ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি ওমান যেতে পারবেন না।

৪.ওমান দোকান ভিসা | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান দোকান ভিসায় গিয়ে আপনারা দোকানে কাজ করতে পারবেন। সেখানে কাজ করে আপনারা বেতন পাবেন প্রায় ২৫ হাজার টাকার মত বা তার একটু বেশি। আপনি যদি দোকান ভিসায় ওমান যান তাহলে আপনার কাজগুলো হবে দোকান দেখাশোনা করা দোকান এর মাল বিক্রয় করা এবং দোকান রিলেটেড যে সকল কাজ গুলো থাকে সব।

ওমানে যদি আপনি দোকান ভিসায় যান তাহলে আপনি প্রতি মাসে দোকানের কাজ করে আয় করতে পারবেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। অন্যান্য কাজের তুলনায় দোকানের কাজ অনেক আরামদায়ক। তবে দোকানের কাজের সময় অনেক বেশি ।যেমন আপনাকে ৮ টা থেকে ডিউটি শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত করতে হবে। দোকান এ যারা কাজ করেন তাদের কোন ছুটি থাকে না এটা একটি বড় রকমের সমস্যা।

৫.ওমান দোকান ভিসার দাম ও ভিসা পাওয়ার উপায় | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান দোকান ভিসার দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো হয়ে থাকে। আপনি যে কোনো কাজের ভিসায় ওমান গেলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আশে পাশে। দোকান ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনারা দোকানে কাজ করতে পারবেন। দোকান ভিসায় গিয়ে আপনারা ওমানের কোন একটি দোকানে কাজ করবেন। 

বিভিন্ন এজেন্সি অথবা দালালরা ওমান দোকান ভিসা দিয়ে থাকেন। এই ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনারা সরাসরি কোন একটি দোকানে কাজ পেয়ে যাবেন। অথবা আপনার যদি কোন আত্মীয় ওমানে থাকে তাকে যদি বলা হয় দোকানে কর্মী লাগবে। তাহলে সে মালিকের সাহায্য নিয়ে আপনাকে দোকান ভিসায় নিয়ে যেতে পারবে। এভাবে আপনারা ওমান দোকান ভিসা পাবেন।

৬.ওমান ড্রাইভিং ভিসা | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে অনেকেই কাজ করতে যেতে চান। আমরা সকলে জানি কনস্ট্রাকশন সাইটের কাজের চেয়ে বা গার্মেন্টসের কাজের চেয়ে ড্রাইভিং কাজটি তুলনা মূলক ভাবে সহজ। আবার অন্যান্য কাজের তুলনায় ড্রাইভিং এর চাকরি করে যারা তাদের বেতনও বেশি। যে কারণে মানুষ ওমানে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

বাঙালিরা বিদেশ গিয়ে অনেক রকম কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে যা ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত। অনেক রকম কাজের মধ্যে ড্রাইভিং এর কাজ সহজ এবং বেতন বেশি। যে কারণে আপনি ওমান ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন। আপনি যেহেতু ওমানে যাবেন অর্থ উপার্জন করার জন্য সুতরাং আপনি ড্রাইভিং ভিসায় ওমানে যেতে পারেন।


৭.ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন ও খরচ | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

ওমান ড্রাইভিং ভিসায় গিয়ে একজন শ্রমিক বেতন পাবেন প্রায়ই ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা তার উর্ধ্বে। প্রথম অবস্থায় আপনারা ড্রাইভিং ভিসায় গিয়ে ওমানে মাসিক আয় করতে পারবেন প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তবে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। কোম্পানি ভেদে ড্রাইভিং এর কাজ করে যারা তাদের বেতন সামান্য কমবেশি হতে পারে।

ওমান ড্রাইভিং ভিসার দাম হয়ে থাকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে সকল প্রসেস নিজে নিজে করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনার খরচ প্রায় তিন লক্ষ হয়ে থাকবে। দালালদের মাধ্যমে গেলেও আপনার খরচ পূর্বে প্রায়ই তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।

৮.ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং | ওমান ফ্রি ভিসা | ড্রাইভিং ভিসা | দোকান ভিসা ২০২৩

আপনি দেশে থাকেন কিংবা দেশের বাহিরে যেখানেই থাকেন না কেন আপনার জন্য ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং হয়ে গেছে একেবারেই সহজ বিষয়। কারণ বর্তমানে সরকার ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক করে নিয়েছে। তাই আপনি দেশের বাহির থেকেও খুব সহজে নিরাপদ ভাবে অনলাইন ড্রাইভিং ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন ড্রাইভিং ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে করতে হবে।

যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তবে আপনি বাংলাদেশের যে কোন এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদন করতে পারবেন। তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মধ্যে বেশি কিছু এজেন্সি রয়েছে যারা মানুষকে হয়রানি করে থাকে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ এজেন্সি থেকে ব্যাপকভাবে প্রতারিত হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনি যে এজেন্সি থেকে আবেদন করতে যাচ্ছেন সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নেবেন।

৯. লেখকের মন্তব্য

আজকে আমরা ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে সকল কিছু আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ওমান ফ্রি ভিসা , ড্রাইভিং ভিসা , দোকান ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে আপনারা সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন।এই সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। যে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url