OrdinaryITPostAd

ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট

ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট  সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে। নবীর ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট  সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. ঈদে মিলাদুন্নবী কী?
  2. ঈদে মিলাদুন্নবী ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও উক্তি
  3. নবীর জন্মদিন নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস ও উক্তি
  4. ঈদে মিলাদুন্নবী কত সাল থেকে পালন করা হয়
  5. ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল
  6. ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ
  7. ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়?
  8. ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত?
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  10. লেখকের মন্তব্য

১. ঈদে মিলাদুন্নবী কি? ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকে বুঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়। সহজ ভাষায় বলা চলে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী (সাঃ) এর জন্ম বা আগমন।

সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। নবীজীর পবিত্র শুভাগমনে খুশী উৎযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

২. ঈদে মিলাদুন্নবী এর ফেসবুক স্ট্যাটাস ও উক্তি | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক স্ট্যাটাস এখানে তুলে ধরা হলো। স্ট্যাটাস গুলো আপনি আপনার টাইমলাই
ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক স্ট্যাটাস এখানে তুলে ধরা হলো। স্ট্যাটাস গুলো আপনি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করতে পারেন:
  1. যাকে সৃষ্টি না করলে স্রষ্টা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতেন না। আমার সেই নবী (স) আজকের দিনে ইহজগতে এসেছেন। শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় রাসূল (স)❤️
  2. আলহামদুলিল্লাহ, আজকে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল, আমাদের বিশ্ব নবী, প্রাণের নবী, মায়ার নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শুভ জন্মদিন। হে আল্লাহ, আজকে এই পবিত্র দিনের উছিলায় আমাদের সকলের জীবনের গোনাহগুলো কে আপনি ক্ষমা করে দিন। আমিন।
  3. জগৎ জুড়ে আমার নবী মোহাম্মদই প্রিয়, প্রাণের প্রিয় রাসুল আমার লাখো সালাম নিয়ো।
  4. সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' পবিত্র ইদ-এ মিলাদুন্নবী।
  5. মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' 
  6. সকলকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ❤️


  1. যাকে সৃষ্টি না করলে স্রষ্টা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতেন না। আমার সেই নবী (স) আজকের দিনে ইহজগতে এসেছেন। শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় রাসূল (স)❤️
  2. আলহামদুলিল্লাহ, আজকে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল, আমাদের বিশ্ব নবী, প্রাণের নবী, মায়ার নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শুভ জন্মদিন। হে আল্লাহ, আজকে এই পবিত্র দিনের উছিলায় আমাদের সকলের জীবনের গোনাহগুলো কে আপনি ক্ষমা করে দিন। আমিন।
  3. জগৎ জুড়ে আমার নবী মোহাম্মদই প্রিয়, প্রাণের প্রিয় রাসুল আমার লাখো সালাম নিয়ো।
  4. সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' পবিত্র ইদ-এ মিলাদুন্নবী।
  5. মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' 
  6. সকলকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ❤️

৩. ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

  1. যাকে সৃষ্টি না করলে স্রষ্টা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতেন না। আমার সেই নবী (স) আজকের দিনে ইহজগতে এসেছেন। শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় রাসূল (স)❤️
  2. আলহামদুলিল্লাহ, আজকে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল, আমাদের বিশ্ব নবী, প্রাণের নবী, মায়ার নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শুভ জন্মদিন। হে আল্লাহ, আজকে এই পবিত্র দিনের উছিলায় আমাদের সকলের জীবনের গোনাহগুলো কে আপনি ক্ষমা করে দিন। আমিন।
  3. জগৎ জুড়ে আমার নবী মোহাম্মদই প্রিয়, প্রাণের প্রিয় রাসুল আমার লাখো সালাম নিয়ো।
  4. সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' পবিত্র ইদ-এ মিলাদুন্নবী।
  5. মহান আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লাহ-ল-আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল 'সিরাজাম মুনিরা' অর্থাৎ প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ রূপে। ' 
  6. সকলকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ❤️

৪. ঈদে মিলাদুন্নবী কত সাল থেকে পালন করা হয়? | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

ঈদে মিলাদুন্নবী কত সাল থেকে পালন করা হয় এ নিয়ে অনেকেই অনুসন্ধান করে থাকেন। ঈদে মিলাদুন্নবী কত সাল থেকে পালন করা হয় এ ব্যাপারে বিশ্লেষকদের মতভেদ রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী কত সাল থেকে পালন করা হয় এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করব মতভেদ নিয়ে আলোচনা করব না।
ধারণা করা হয় ঈদে মিলাদুন্নবী শিয়াদের হাত ধরেই পালন করা শুরু হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে মিশরে পালন করা শুরু হয়।

৫. ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

অনেকেই হয়তো ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করাকে বিদআত মনে করেন। আবার ভাবেন নবীজী যেখানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করেননি, সেখানে ভণ্ড সুন্নীরা নতুন ঈদের সৃষ্টি করেছে। মুসলমানের ঈদ দুইটি- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। 

এবিষেয়ে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করা হলো ... 
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। - (সূরা ইউনুস-৫৮) 

এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১) 

 আরেক আয়াতে বলা হয়... 
“হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯) 

এই তিনটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যাবে আল্লাহর নবী আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। তাই তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেদিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি পালন করা উচিত। আর এই কাজটিকেই বলা হয় ঈদ ই মিলাদুন্নবী। অর্থাৎ নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করা। খুশী বলতে গান বাজনাকে বলা হয় নাই, খুশী মানেই নবীর শানে দরুত পড়া, জিকির করা, নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি। 

এবার আসা যাক আমাদের প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিজেই মিলাদুন্নবী পালন করেছেন কিনা? 

হ্যাঁ, নবীজী নিজেই নিজের মিলাদের দিনকে পালন করতে মুসলিম শরীফের একটি হাদিস দিয়েই তার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্নিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? 

উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জম্ম গ্রহণ করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।

(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খণ্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খণ্ড ২৯৬পৃঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খণ্ড ৫২ পৃঃ)"
এখন আপনি কোনটা মেনে চলবেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।

৬. ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ: সাধারণত যেদিন ঈদ হিসেবে পালন করা হয় সেদিনে নামাজের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকে সাধারণ দিনের তুলনায়। আমরা যখন শুক্রবারের জুম্মার  নামাজ আদায় করি, তখন জহরের চার রাকাত নামাজের পরিবর্তে আমরা জুম্মার দুই রাকাত সালাত আদায় করি। আবার ঠিক একই ভাবে মুসলিমদের দুই ঈদের দিনে দুই রাকাত করে ঈদের সালাত আদায় করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বারই রবিউল আউয়াল গোটা মুসলিম বিশ্ব আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে। অনেকের মতে এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন যদিও এ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে তবে বারই রবিউল আউয়াল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন এ বিষয়ে বিশ্লেষকদের কোন মতভেদ নেই। 
তাই এই দিনে উদযাপন করা এবং আনন্দে নামাজ আদায় করা প্রকৃতপক্ষে দৃষ্টিকটু কেননা এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু বরণ করেন। 
সাহাবীগণ এবং তাবেই তাবেঈগণ এই দিনে ব্যথিত থাকতেন। এই দিনে সাহাবীগণ এবং তাবেই তাবেঈগণ দরুদ পাঠ করতেন। অনেকেই হয়তো অনুসন্ধান করছেন ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ সম্পর্কে। কিন্তু ১২ই রবিউল আউয়াল মিলাদুন্নবী নামাজ পালন করা অনেকের দৃষ্টিতে বিদআত।

৭. ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকে বুঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়। সহজ ভাষায় বলা চলে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী (সাঃ) এর জন্ম বা আগমন।

সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। নবীজীর পবিত্র শুভাগমনে খুশী উৎযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

৮. ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত? | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত এটা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে এবং সাধারন মানুষদের মধ্যে বিভেদ এবং মতানৈক্য রয়েছে। বর্তমানে ফেসবুকে যে যার মত করে এটাই মিলাদুন্নবী কি বেদআত এটা নিয়ে লেখালেখি করছেন।
আফসানা মিমি নামের এক লেখক লিখেছেন, " পড়ার অনুরোধ🙏
আজ বারোই রবিউল আউয়াল। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ( সাঃ) এর জন্মদিন। যদিও এটা নিয়ে মতানৈক্য আছে। তবে মহানবী (সাঃ) এর উফাত ১২ই রবিউল আউয়ালে হয়েছে এ বিষয়টি হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখিত। এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
আমরা মুসলিম উম্মাহ হিসেবে এ দিনকে ইদের সাথে তুলনা করছি, আনন্দ উৎসব করছি!  তা আমাদের জন্যে লজ্জাজনক নয় কি! এই দিনটিকে জন্মদিন করে আপনি হাসছেন, তেমনি উফাতের কথা মনে করে তো আপনার কাঁদাও উচিৎ!

আমরা মুসলিমরা মোটামুটি সবাই জানি জন্মদিন উপলক্ষে কোনো উৎসব বা বার্ষিকী ইসলামে যায়েজ নেই। মহানবী ( সাঃ) এর জন্মবার্ষিকী পালন করা, এই দিনকে উৎসবে রূপ দেয়ার কোনো নির্দেশনা কোরআন ও হাদীসে পাওয়া যায়নি। মহানবী( সাঃ) নিজে কোনোদিন এই দিনটি পালন করেননি, কোনো সাহাবা কেরাম তা করেন নি! ইসলামের তিনটি সত্য যুগে কেউ কখনো করেনি! তবে আপনি কেন করছেন? এই দিনটি পালন অতিশয় সওয়াবের কাজ মনে করা স্পষ্ট বিদাআত এবং বিধর্মীদের কালচার। এই দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে গান-বাজনারও আয়োজন ও করা হচ্ছে, নাচানাচি হচ্ছে!  যেখানে ইসলামে গান-বাজনাকে হারাম করা হয়েছে। আপনিও একই সাথে ইসলামের শরীয়তের বিধানগুলো বিধানগুলো অমান্য করছেন, আবার দিনটিকে ঘিরে উৎসব করে মহানবী (সাঃ) এর ও অবমাননা করছেন! 

আল্লাহ তালা সবাইকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুন। বিদাআত থেকে সবাইকে রক্ষা করুন।(আমিন)"

অপর এক পক্ষ বলছে,
"ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন? এই বিষয়ে একটু পরিস্কার ধারণা নেওযা যাক।  

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকে বুঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়। সহজ ভাষায় বলা চলে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী (সাঃ) এর জন্ম বা আগমন।

সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। নবীজীর পবিত্র শুভাগমনে খুশী উৎযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

অনেকেই হয়তো ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করাকে বিদআত মনে করেন। আবার ভাবেন নবীজী যেখানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করেননি, সেখানে ভণ্ড সুন্নীরা নতুন ঈদের সৃষ্টি করেছে। মুসলমানের ঈদ দুইটি- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। 

এবিষেয়ে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করা হলো ... 
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। - (সূরা ইউনুস-৫৮) 

এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১) 

 আরেক আয়াতে বলা হয়... 
“হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯) 

এই তিনটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যাবে আল্লাহর নবী আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। তাই তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেদিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি পালন করা উচিত। আর এই কাজটিকেই বলা হয় ঈদ ই মিলাদুন্নবী। অর্থাৎ নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করা। খুশী বলতে গান বাজনাকে বলা হয় নাই, খুশী মানেই নবীর শানে দরুত পড়া, জিকির করা, নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি। 

এবার আসা যাক আমাদের প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিজেই মিলাদুন্নবী পালন করেছেন কিনা? 

হ্যাঁ, নবীজী নিজেই নিজের মিলাদের দিনকে পালন করতে মুসলিম শরীফের একটি হাদিস দিয়েই তার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্নিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? 

উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জম্ম গ্রহণ করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।

(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খণ্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খণ্ড ২৯৬পৃঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খণ্ড ৫২ পৃঃ)"
এখন আপনি কোনটা মেনে চলবেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট 

প্রশ্ন ১: ঈদে মিলাদুন্নবী কী?
উত্তর: হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম উপলক্ষে উৎসব অনুষ্ঠান।
প্রশ্ন ২: হিজরী কত সাল থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়?
উত্তর: হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়।
প্রশ্ন ৩:  কোন দেশে সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়?
উত্তর: মিশরে সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়।
প্রশ্ন ৪: কত সালে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়?
উত্তর: ৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়।
প্রশ্ন ৫: কাদের হাত ধরে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়?
উত্তর: শিয়া গোষ্ঠীর হাত ধরে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু হয়।
প্রশ্ন ৬: ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিদআত কিনা?
উত্তর:  ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা নিয়ে অনেকের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে তবে অধিকাংশই মনে করেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিদআত।
প্রশ্ন ৭: কত তারিখে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১২ই রবিউল আউয়াল মাসে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ৮: কত তারিখে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১২ ই রবিউল আউয়াল মাসে হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইহলোক ত্যাগ করেন।  অর্থাৎ তার জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন একই তারিখে।
প্রশ্ন ৯: ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ আছে কিনা?
উত্তর: ঈদে মিলাদুন্নবী নামাজ নেই।
প্রশ্ন ১০: ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়?
উত্তর: অনেকেই মনে করেন এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন তাই খুশির দিন হিসেবে তারা এই দিনে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন।

১০. লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট  সহ ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট  সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিজের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন। ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্ট  সহ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url