OrdinaryITPostAd

একাউন্টিং সাবজেক্ট রিভিউ! Accounting Subject Review

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাউন্টিং বা হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তারা একাউন্টিং  নিয়ে ভর্তি হওয়ার পূর্বে একাউন্টিং সাবজেক্ট সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে অনার্স করার পূর্বে সে সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা উচিত। এই একাউন্টিং সাবজেক্ট রিভিউ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট সম্পর্কে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ সহ সকল বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা যাবে।



একাউন্টিং সাবজেক্ট রিভিউ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন-
  • কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স এ পড়াশোনা করা যায়?
  • একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়াকালীন সময়ে কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে?
  •  একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়ার মেয়াদকাল কত বছর?
  • হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনার একাডেমিক চাপ কেমন?
  • হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য কোনো দেশে স্কলারশিপ এর কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা?
  • হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এ পড়াশোনা কালীন সময় টিউশন এর সুযোগ কেমন?
  • একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে জব সেক্টর, ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার সমূহ কি কি?
শিক্ষার্থীদের এই ধরনের সকল প্রশ্ন দূর করার জন্য আজকের এই আর্টিকেল একাউন্টিং সাবজেক্ট রিভিউ। হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট রিভিউ সেসকল শিক্ষার্থীদের জন্য যারা উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। একাউন্টিং সাবজেক্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য জানার জন্য একাউন্টিং সাবজেক্ট রিভিউ আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি, হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট রিভিউ আর্টিকেল এর মাধ্যমে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট সম্পর্কিত আপনার মনে যে সকল প্রশ্ন রয়েছে, তার সকল উত্তর পেয়ে যাবেন।

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এ অনার্স পড়ানো হয়? 
বাংলাদেশের অধিকাংশ পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এ অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়াও পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ কোর্স এর অন্তর্ভুক্ত বিভাগ হিসেবে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট পড়ানো হয়ে থাকে। বিবিএ কোর্সে ফিন্যান্স ও একাউন্টিং বিভাগের প্রশ্ন কদর রয়েছে। অধিকাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট কে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পৃথক বিভাগ হিসেবে অনার্স পড়ানো হয়ে থাকে।

একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়াকালীন সময়ে কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়? 
হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়ার সময় হিসাববিজ্ঞান সহ ব্যবসায় অনুষদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণ করতে হয়। এছাড়াও হিসাববিজ্ঞানের কিছু শাখা প্রশাখা রয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থীরা হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়ে, তাদের প্রতি সেমিস্টারে বা প্রতি বর্ষে কোর্স আকারে হিসাব বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এবং পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কিছু বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট পড়াশোনায় তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ম্যাথ সলভ করতে হয়। ছাড়াও একাডেমিক অ্যাক্যাডেমিক পড়াশোনায় প্রেজেন্টেশন ও প্রজেক্ট ইত্যাদির উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হিসাববিজ্ঞান নিয়ে অনার্স পড়াকালীন চার বছর সময়ে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এর শিক্ষার্থীদের যে সকল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় তা নিম্নরূপ 
প্রথম বর্ষ
  • History of the Emergence of Independent Bangladesh. 
  • Principle of Accounting
  • Principle of Finance  
  • Principle of Management 
  • Principle of Marketing 
  • Micro Economics.

২য় বর্ষের সাবজেক্ট সমূহ
  • Computer and Information Technology  
  • Intermediate Accounting 
  • Taxation in Bangladesh 
  • Business Statistics  
  • Business Mathematics 
  • Business Communication and Report Writing  
  • Microeconomics 

৩য় বর্ষের সাবজেক্ট সমূহ
  • Audit and Assurances 
  • Advanced Accounting - I
  • Cost Accounting 
  • Management Accounting 
  • Business and Commercial Laws
  • Business and Insurance Theories Law and Accounts
  • Entrepreneurship 
  • Financial Management 

৪ র্থ বর্ষের সাবজেক্ট সমূহ
  • Accounting Theory 
  • Advanced Auditing and Professional Ethics  
  • Accounting Information System  
  • organizational Behaviour  
  • Corporate Law and Practices 
  • Working Capital Management and Financial Statement Analysis  
  • Advanced Accounting - ll
  • Investment Analysis and Portfolio Management Research Methodology .
হিসাববিজ্ঞান নিয়ে চার বছর অনার্স পড়াকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের উক্ত বিষয় গুলোর উপর তাত্ত্বিক, গাণিতিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে হয়।

হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়ার মেয়াদকাল কত বছর?
আমাদের দেশের অধিকাংশ পাবলিক-প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজে হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট এ অনার্স পড়ানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার আকারে আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক শিক্ষাবর্ষ আকারে হিসাবে কোন সাবজেক্টে অনার্স করা হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহে সাধারণত বর্ষাকালে সিলেবাস করে অনার্স সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ভিত্তিক শিক্ষাবর্ষ তৈরি করে অনার্স কোর্স করায় সেখানে সাধারণত 4 বছরে 8 টি সেমিস্টার থাকে এবং প্রতি সেমিস্টারে একটি করে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে আটটি সেমিস্টারে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং আট টি সেমিস্টার ফাইনাল এর ফলাফলের গড় ফলাফলকে অনার্সের চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে গণ্য করা হয়। আমার যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষ ভিত্তিক সিলেবাস করে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করা হয় সেখানে প্রতি বছরই একটি করে চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং চার বছরের চারটি চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের গড় ফলাফলকে অনার্সের চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে সিলেবাস সেমিস্টার বা বর্ষ ভিত্তিক যাই হোক, উভয় ক্ষেত্রে সাধারণত চার বছর মেয়াদী হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট এ অনার্স ডিগ্রী প্রদান করা হয়ে থাকে।

একাউন্টিং সাবজেক্ট এ পড়াশোনার চাপ কেমন?
হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এর নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সাথে গণিতের সম্পর্ক কিরূপ। একাউন্টিং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি গণিত বেজড সাবজেক্ট। একাউন্টিং সাবজেক্ট এ ভালো ফলাফল করতে চাইলে আপনাকে গণিতে বেশ দক্ষ হতে হবে। গাণিতিক দক্ষতা ব্যতীত একাউন্টিং সাবজেক্টে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল অথবা ভালো ক্যারিয়ার গঠন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে তাত্ত্বিক বিষয়ে এর চেয়ে গাণিতিক বিষয়গুলোতে বেশি সময় দিতে হয়। তবে h.s.c. পর্যায়ে অ্যাকাউন্টিং ম্যাথ এর দক্ষতা অনার্স হিসাববিজ্ঞানে ভালো ফলাফল করতে বেশ কাজে দিতে পারে।
হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট এ একাডেমিক পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি। বিশেষ করে হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট এ অনার্স এর প্রথম দুই বর্ষের পাঠ্য তালিকায় গাণিতিক তুলনামূলক বেশি থাকে এবং তৃতীয় বর্ষ থেকে তাত্ত্বিক বিষয়গুলো আসতে থাকায় গাণিতিক অংশ কিছুটা কমে যায়।
হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে অনার্স প্রথম বর্ষের গণিত বেস্ড সাবজেক্ট সমূহ-
  • Principle of Accounting
  • Principle of Finance  

হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের গণিত বেস্ড সাবজেক্ট সমূহ-
  • Taxation in Bangladesh 
  • Business Statistics  
  • Business Mathematics

হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে অনার্স তৃতীয় বর্ষের গণিত বেস্ড সাবজেক্ট সমূহ-
  • Advanced Accounting - I
  • Cost Accounting 
  • Management Accounting
  • Business and Insurance Theories Law and Accounts
  • Financial Management

হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের গণিত বেস্ড সাবজেক্ট সমূহ-
  • Working Capital Management and Financial Statement Analysis  
  • Advanced Accounting - ll
  • Accounting Information System  
হিসাববিজ্ঞানে অনার্স পড়াকালীন সময় হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ম্যাথমেটিক্যাল সাবজেক্ট গুলোর উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হয়। একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে ম্যাথমেটিক্যাল সাবজেক্ট গুলো তে সময়ে অধিক প্রয়োজন হয়। এজন্য আপনি যদি গণিতে বেশ দক্ষ হন, তবেই হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট আপনার জন্য উপযুক্ত। নয়তো হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট একাডেমিক বা ক্যারিয়ার কোনো ক্ষেত্রেই আপনার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।

একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন? 

একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স শেষ করে নিজস্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে আমেরিকা, ইউকে, ইউএসএ, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন টপ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি তে ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও বিভিন্ন যাচাই পরীক্ষার মাধ্যমে স্কলার্শিপ দিয়ে থাকে।পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতার থাকলে আপনি সহজেই বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ এর মাধ্যমে একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পেতে পারেন। আর গবেষণা সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এই স্কলার্শিপ আপনাকে বিরাট এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে পিএইচডি এর জন্য স্কলারশিপ প্রদানকারী অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি 
  • ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া 
  • ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া
  • ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া 
  • শিকাগো ইউনিভার্সিটি 
  • টেক্সাস ইউনিভার্সিটি
  • মিশিগান ইউনিভার্সিটি
  • বোস্টন ইউনিভার্সিটির 
  • অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি
  • ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি
  • আইওয়া ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।
একাউন্টিং বা হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে পড়াশোনা করে আপনি চাইলে নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলার্শিপ গ্রহণের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে স্কলারশিপের জন্য সর্বপ্রথম আপনার একাডেমিক পড়াশোনাকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে এবং ভাল ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষভাবে নিচের কোয়ালিটি ডেভলপ করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য আপনাকে নিয়মিত একাডেমিক পড়াশোনা করতে হবে এবং ম্যাথমেটিক্যাল ট্রানক্লাতে বেশি সময় দিতে হবে। কারণ যদি আপনি স্কলারশিপের জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে চান, তখন স্কলারশিপের প্রাথমিক আবেদনের একটি নির্দিষ্ট সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। সেই নির্দিষ্ট সিজিপিএ এর কম সিজিপিএ অর্জনকারি শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পায় না। এজন্য আপনাকে প্রথম বর্ষ থেকে পরিকল্পনামাফিক ভালো সিজিপিএ অর্জন এর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথম বর্ষে সিজিপিএ খারাপ হয়ে গেলে পরে সিজিপিএ তোলা কঠিন হয়ে যায়, এর অন্যতম কারণ শিক্ষার্থীর কনফিডেন্স লেভেল লো হয়ে যায়। এজন্য ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই একাডেমি পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ভালো রেজাল্ট অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন কো কারিকুলাম একটিভিটিসে অ্যাক্টিভ হওয়া জরুরী যাতে  স্কিল ও কোয়ালিটি ডেভলপমেন্টে সহায়তা করে।
উজ্জল ক্যারিয়ার গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্বসেরা টপ ইউনিভার্সিটি একাউন্টিং বা হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্টে মাস্টার্স ও পিএইচডি ইত্যাদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আপনি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।

একাউন্টিং সাবজেক্ট এ পড়াশোনা কালীন সময়ে টিউশন এর সুযোগ কেমন?
পড়াশোনা কালীন সময়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী চায় নিজের খরচ নিজে বহন করতে। এক্ষেত্রে টিউশন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রজীবনে উপার্জন করার অন্যতম হাতিয়ার। ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করার মাধ্যমে নিজের খরচে চালানো সম্ভব। এক্ষেত্রে টিউশনি পাওয়ার জন্য রসায়ন সাবজেক্ট অনেক চাহিদা সম্পন্ন।
ছাত্রজীবনে পড়াশোনা কালীন সময়ে টিউশন পাওয়ার জন্য বিজ্ঞান অনুষদের এর পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রায় সকল সাবজেক্ট এর অনন্য।কারণ বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের তুলনায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক তুলনামূলক ভাবে কম। হিসাববিজ্ঞান গণিত বেজড সাবজেক্ট হাওয়াই টিউশন এর ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট এর চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। হিসাববিজ্ঞান বা একাউন্টিং নিয়ে অনার্স পড়াকালীন সময়ে নবম- দশম ও একাদশ -দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের টিউশন করানোর মাধ্যমে ছাত্রজীবনে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়াও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য একাউন্টিং টিউটর অনেক চাহিদা সম্পন্ন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষতা ও টেকনিক সম্পন্ন শিক্ষক হতে হবে। তাহলে পড়াশোনা পাশাপাশি টিউশন পেশার মাধ্যমে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, পাশাপাশি টিউশন করানোর মাধ্যমে ভালো দক্ষতাও অর্জন করতে পারবেন।

একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে জব সেক্টর, ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার সমূহ কি কি?
একাউন্টিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে যে সকল সেক্টরে জবের অন্যতম সুযোগ রয়েছে তা নিম্নরুপ
  • চার্টার্ড একাউন্টেন্ট
  • মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব
  • কস্ট ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট
  • অডিটর 
  • ব্যাংকের একাউনটেন্ট
  • বিসিএস ট্যাক্স এন্ড অডিট 
  • সিএজি ইত্যাদি।
চার্টার্ড একাউন্টেন্ট
আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে একটা ধারণা, সারা হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে তারা ভবিষ্যতে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হবে। অবশ্য এই ধারণার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে বর্তমানে যত সংখ্যক প্রফেশনাল  চার্টার্ড একাউন্টেন্ট রয়েছে, তামিল অধিকাংশই একাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থী। বিশ্বের অধিক বেতন সম্পূর্ণ টপ টেন জবের মধ্যে একটি হচ্ছে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি ইউজফুল মানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য একাউন্টেন্ট অসুবিধাজনক কারণ চার্টার্ড একাউন্টেন্সি কোর্স এ তিন বছরে যে সকল বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে তার অধিকাংশই বেশি কংস একাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীদের অনার্স কালীন সময় পড়ানো হয়ে থাকে। এজন্য একাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীদের জন্য চার্টার্ড একাউন্টেন্সি পড়া সুবিধাজনক ফলশ্রুতিতে বর্তমান সময়ে হিসাববিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা অধিক হারে প্রফেশনাল ভাবে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ছে।
চার্টার্ড একাউন্টেন্সি পড়ার একটা অসুবিধা হচ্ছে বিবিএ, এমবিএ পড়াশোনা শেষ করে কেউ যখন কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানিতে ভালো মানের সেলারি তে জব করবে, তখনও আপনি চার্টার্ড একাউন্টেন্সি তে শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। তবে পরবর্তীতে তিন বছর পর চার্টার্ড একাউন্টেন্সি শেষ করে আপনি যখন কোন এলিট পর্যায়ের পোস্টে ক্যারিয়ার শুরু করবেন, তখন সেই মাল্টিন্যাশনাল বা অন্যান্য জব করা ব্যক্তির থেকে বেতনের হার এবং মর্যাদা কিছুটা বেশিই হবে।

মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব
একাউন্টিং সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে ভালো মানের স্যালারি জব পাওয়া সম্ভব। আপনি সাধারণত বিবিএ এমবিএ শেষ করার পরেই নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো পোস্ট পেতে পারেন। আর আমাদের দেশের সমীক্ষাতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব এর বেতন অনেকটাই সন্তুষ্টজনক। 

বিসিএস অডিট বা টেক্স
বিসিএস অডিট বা ট্যাক্স বিভাগে যত সংখ্যক নিয়োগ পেয়ে হয়, তাদের অধিকাংশই থাকে একাউন্টিং হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। হিসাববিজ্ঞানের একাডেমিক পড়াশোনা কালীন সময়ে টেক্স, অডিট ভিত্তিক বিভিন্ন সাবজেক্ট পড়ানো হয়ে থাকে যাতে শিক্ষার্থীরা এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। পরবর্তীতে বিসিএস এর অডিট, ট্যাকস বিভাগে একাউন্টিং শিক্ষার্থীরা অনেকটাই সুযোগ পেয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে একাউন্টিং পড়াশোনা করার মাধ্যমে বিসিএস অডিট বা ট্যাক্স অফিসার হয়েও ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ মুড সুইং কী?  
শিক্ষকতা 
একাউন্টিং সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে একাউন্টিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মাধ্যমেও নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।

একাউন্টিং সাবজেক্টে অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স বা পিএইচডি অর্জনের জন্য বিদেশে থেকে বহু স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।একাউন্টিং সাবজেক্টে পড়াশোনার মাধ্যমে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বাইরে দেশে পড়াশোনা শেষ করে আপনি চাইলে বাইরের দেশে ওর নিজের ক্যারিয়ার করতে পারবেন।

আশা করি, হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট রিভিউ আর্টিকেল এর মাধ্যমে হিসাব বিজ্ঞান সাবজেক্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url