লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে? [সর্বশেষ আপডেট]
ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে কাজের জন্য যেতে অনেকেই আগ্রহী থাকেন। তাই লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা জানতে চান। আজকের আর্টিকেলে আমরা কাজের ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও অন্যান্য ভিসায় যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা সম্পর্কে আলোচনা করব।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে |
উত্তর ধাপ ০১. | লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে IELTS ৬ পয়েন্ট লাগে এবং প্রতিটি ব্যান্ডে ৫.৫ পয়েন্ট থাকতে হয়, আর ওয়ার্ক ভিসায় যেতে ৫.৫ ও ৬ পয়েন্ট লাগে এবং প্রতিটি ব্যান্ডে আলাদা করে ৪.৫ পয়েন্ট থাকতে হয়। |
উত্তর ধাপ ০২. | যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে প্রথমেই অনলাইনে যুক্তরাজ্যের ভিসা ফর্ম পূরন করতে হবে, এরপর আবেদন ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। তারপর বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যের ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে। |
উত্তর ধাপ ০৩. | লন্ডন ভিসা আবেদনের জন্য বৈধ পাসপোর্ট, টিকেট, ভিসা আবেদনেত্রসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার প্রমানপত্র, কাজের ভিসার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের বিবরন, রেসিডেন্স পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। |
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- লন্ডন ভিসা টাইপ অনুযায়ী IELTS পয়েন্ট
- লন্ডন ভিসা আবেদন
- লন্ডন ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.লন্ডন ভিসা টাইপ অনুযায়ী IELTS পয়েন্ট - লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
সংক্ষেপেঃ লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে IELTS ৬ পয়েন্ট লাগে এবং প্রতিটি ব্যান্ডে ৫.৫ পয়েন্ট থাকতে হয়, আর ওয়ার্ক ভিসায় যেতে ৫.৫ ও ৬ পয়েন্ট লাগে এবং প্রতিটি ব্যান্ডে আলাদা করে ৪.৫ পয়েন্ট থাকতে হয়।
লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর। ভিন্ন ভিন্ন ভিসায় লন্ডন যেতে ভিন্ন পয়েন্ট লাগে । আর্টিকেলের এই অংশে আমরা বিভিন্ন বিষয় লন্ডন যেতে প্রয়োজনীয় IELTS পয়েন্টস উল্লেখ করব।
- স্টুডেন্ট ভিসা : লন্ডন বা ইউকে এর স্টুডেন্ট ভিসা হলো ছাত্রদের জন্য যারা যুক্তরাজ্যে পড়তে চান। দুই বছরের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য যারা স্নাতক বা সমমান অধ্যয়ন করেছেন এবং মাস্টার্স এর জন্য ইউকে তে অবস্থান করতে চান। স্টুডেন্ট ভিসায় IELTS প্রতি ব্যান্ড এ ন্যুনতম ৫ দশমিক ৫ করে এবং মোট স্কোর ৬ থাকতে হবে। আর IELTS প্রতিটি ব্যান্ড এ ৪ দশমিক ৫ করে মোট ৫ থাকলে ফাউন্ডেশন কোর্স এ অথবা ডিপ্লোমা কোর্স এ আবেদন করা যাবে।
- ওয়ার্ক ভিসা : যুক্তরাজ্যে ওয়ার্ক ভিসার কয়েকটি ধরন রয়েছে যেমন চাকরির প্রস্তাব সহ দক্ষ কর্মীদের জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা, এক বছরেরও কম সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে অস্থায়ী কর্মীদের জন্য অস্থায়ী কর্মী ভিসা, ১৮-৩০ বছর বয়সী যুবকদের জন্য ইয়ুথ মোবিলিটি ভিসা ২ বছরের ওয়ার্ক পারমিট। ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে চাকরির ধরন অনুযায়ী IELTS পয়েন্ট এর কিছু পার্থক্য রয়েছে।যেমন : আইটি ডেভেলপার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স ইত্যাদি পদে আবেদনের জন্য IELTS প্রত্যেক ব্যান্ডে সর্বনিম্ন ৫ এবং সর্বমোট স্কোর ৬ হতে হবে। আর শেফ, ওয়েলডার, মেকানিকাল ফিটার ইত্যাদি পদে আবেদনের জন্য IELTS এর প্রতি ব্যান্ডে ৪.৫ পয়েন্ট এবং সর্বমোট ৫.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে।
- টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা : যারা ভ্রমনের জন্য যুক্তরাজ্য বা লন্ডনে যেতে চান তারা স্বল্প মেয়াদি লন্ডন টুরিস্ট ভিসা নিতে পারেন। এই ভিসার জন্য তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। লন্ডনে টুরিস্ট ভিসায় যেতে IELTS পয়েন্ট এর প্রয়োজন হয় না। তবে ইংরেজি জানা থাকতে হয়। বিজনেস এর জন্য লন্ডন যেতে চাইলে বিজনেস ভিসার অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরন করলেই হয়, IELTS পয়েন্ট এর প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২.লন্ডন ভিসা আবেদন - লন্ডনে যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
সংক্ষেপেঃ যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে প্রথমেই অনলাইনে যুক্তরাজ্যের ভিসা ফর্ম পূরন করতে হবে, এরপর আবেদন ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। তারপর বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যের ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে।
লন্ডন হলো যুক্তরাজ্যের রাজধানী তাই লন্ডনে যেতে হলে যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং লন্ডনে যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা জানতে হবে।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
লন্ডন ভিসা আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র বা ব্রিটিশ দূতাবাসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্টে যোগ দিতে হবে। ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া :
- ওয়েবসাইট বা iVisa অ্যাপে গিয়ে ভিসা আবেদন ফর্মে আবেদনকারীর ভ্রমণ এবং প্রাথমিক যোগাযোগের বিবরণ প্রদান করতে হবে। ভুল এড়াতে সমস্ত তথ্য যাচাই করতে হবে।
- অনলাইন ভিসা আবেদন ফর্মটি পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে। এরপর ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। iVisa বিশেষজ্ঞরা এটি পর্যালোচনা করবে এবং একটি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করবে।
- বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান করতে ইউকে দূতাবাস বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (VAC) ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টে যোগ দিয়ে সাক্ষাতকারে অংশ নিতে হবে।
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট সম্পন্ন করার ৩০ দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের এম্বাসি :
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য ভিসা প্রসেস করে ব্রিটিশ হাই কমিশন, ঢাকা। ঠিকানা : ইউনাইটেড ন্যাশনস রোড, ঢাকা - ১২১২, ফোন : ০২-৯৮৪২৭০৫
ওয়েবসাইট: https://www.gov.uk/world/bangladesh
আরও পড়ুনঃ লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
৩.লন্ডন ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
সংক্ষেপেঃ লন্ডন ভিসা আবেদনের জন্য বৈধ পাসপোর্ট, টিকেট, ভিসা আবেদনেত্রসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার প্রমানপত্র, কাজের ভিসার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের বিবরন, রেসিডেন্স পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।
লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা লন্ডন যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানব।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
- বৈধ পাসপোর্ট : বাংলাদেশের আসল পাসপোর্ট এবং লন্ডন থেকে আগমনের পর ছয় মাস পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে এমন বৈধ পাসপোর্ট ।
- পূরণ করা ভিসা আবেদনপত্র
- অর্থের প্রমাণ : ভ্রমণের খরচ নির্দেশ করতে হবে এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আর্থিক নথিগুলি প্রদান করতে হবে যা লন্ডনে যাওয়া ও অবস্থান করার খরচগুলি কভার করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
- বসবাসের প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়) : পাসপোর্টে একটি রেসিডেন্স পারমিট, একটি গ্রিন কার্ড বা ভিসা স্টিকার থাকতে হবে।
- ফ্লাইট টিকেট
- বাসস্থানের বিবরণ: ইউকে তে বাসস্থানের প্রমান দেখাতে হবে, যেমন: হোটেল রিজার্ভেশন বা হোস্টের আমন্ত্রণপত্র।
- কর্মসংস্থানের প্রমাণ (কাজের ভিসার ক্ষেত্রে) : নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আবেদনকারীর অবস্থান, বেতন এবং ভ্রমণ সময়ের জন্য অনুমোদিত ছুটি উল্লেখ করে একটি চিঠি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।
- যেকোন ফৌজদারি, দেওয়ানী, বা অভিবাসন অপরাধের বিশদ বিবরণ যা আবেদনকারী পূর্ববর্তী কোনো রকম পুলিশি মামলার অপরাধ করেনি তা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করে।
- স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র।
আরও পড়ুনঃ জার্মান কাজের ভিসা আবেদন
৪.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে তা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
প্রশ্ন ১: লন্ডন ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
উত্তর: লন্ডন ভিসা আবেদন করার পর ভিসা পেতে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে কোনো কারনবশত এর থেকে কম বা বেশি সময়ও লাগতে পারে।
প্রশ্ন ২: লন্ডন যেতে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা লাগে কি?
উত্তর: হ্যাঁ। লন্ডন যেতে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রয়েজন হ। IELTS করা থাকলে ভালে, আর কেউ যদি এটি না করে থাকে তাহলে তাকে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
প্রশ্ন ৩: টুরিস্ট ভিসায় লন্ডন গিয়ে কত সময় থাকা যায়?
উত্তর: টুরিস্ট ভিসায় লন্ডন গিয়ে ৯০ দিন থাকা যায়। তবে এই মেয়াদ বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন পর্যন্ত লন্ডন থাকা যাবে তবে যথোপযুক্ত কারন থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
৫.লেখকের মন্তব্য - লন্ডন যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
আজকের আর্টিকেলে আমরা লন্ডন যেতে কত পয়েন্ট লাগে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই সাথে লন্ডন ভিসা আবেদনের নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে পাঠক উপকৃত হবে। আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন, পরামর্শ কিংবা মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম তথ্যবহুল আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করতে পারেন।
লেখক: মোছাঃ ফাতেমা খাতুন
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: গাইবান্ধা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url