OrdinaryITPostAd

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম

বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশ ভারত অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যাবস্থা এর অনুসরণে ১৯২১  সালে স্থাপিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।১লা জুলাই ১৯২১ সালে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 
উত্তর ধাপ ০১.
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধা ও মনন বিকাশের একমাত্র পদচারন।

উত্তর ধাপ ০২.  প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ৮৭৭ জন,  ৬০ জন শিক্ষক, ৩টি ফ্যাকাল্টি ও ১২টি বিভাগ।
উত্তর ধাপ ০৩. বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১,৮০৫ জন শিক্ষক,৩৮,০০০ শিক্ষার্থী,  ৮৩ টি বিভাগ এবং ১৩ টি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। 

আর্টিকেল সূচিপত্র - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 

  1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 
  2. হলে থাকার সুবিধা অসুবিধা    - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 
  3. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 
  4. লেখকের মন্তব্য - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রত্যেক ছাএছাএী হলের সাথে যুক্ত থাকে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য  ১৪ টি এবং মেয়েদের জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে।এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল সম্পর্কে জানতে পারবেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নামসমূহ:

রোকেয়া হল:

রোকেয়া হল ১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম ১২ জন নারী শিক্ষার্থী নিয়ে আবাসিক নারী শিক্ষার্থী হল হিসেবে যাএা শুরু করে।১৯৬৪ সালে এই হলের নামকরণ করা হয় 'রোকেয়া 'হল নামে।ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী জাগরনের অগ্রদূত হচ্ছেন বেগম রোকেয়া। এই হলের আবাসিক ছাএীরা পাকিস্তানি সেনা ও দালালদের হাতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।সক্রিয় আন্দোলনে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।

রোকেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ছাএী হল।রোকেয়া হলে রয়েছে চারটি ভবন-
  1. শাপলা ভবন (প্রধান)
  2. অপরাজিতা (বর্ধিত)
  3. চামেলী(নতুন)
  4. ৭ই মার্চ ভবন।
এই ভবনগুলো মূলত স্নাতক সম্মান শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে।ফয়জুন্নেসা ভবন নামে আরেকটি ভবন রয়েছে যেটা স্নাতকোত্তর ও এম.ফিল শিক্ষার্থীদের জন্য। রোকেয়া হলের ৪ টি ভবনে মোট ৫২০টি কক্ষ সংখ্যা রয়েছে এবং ছাএী রয়েছে ২,৭০০। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ১০০৮ আসন বিশিষ্ট ৭ই মার্চ ভবনটি উদ্বোধন করেন।রোকেয়া হল মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর 'রোকেয়া স্বর্ণপদক 'প্রদান করে।

শামসুন নাহার হল:

শামসুন নাহার হল হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ছাএী হল।এই হলের নামকরণ করা হয়েছে কবি শামসুন  নাহার মাহমুদের নামে।'New Women’s Hall' নামে ১৯৭১সালের ১২ জানুয়ারি এই হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মোজাফ্ফর  আহমেদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ২রা আগষ্ট এই হল উদ্ভোধন করেন।

অনার্স, মাস্টার্স ও বর্ধিত ভবন নামে ৩ টি ভবন রয়েছে শামসুন নাহার হলে।এখানে পড়াশোনার সুবিধার জন্য রয়েছে একটি গ্রন্থাগার এবং একাধিক পাঠকক্ষ। এছাড়াও রয়েছে একটি অডিটোরিয়াম যেখানে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।সামসুন নাহার মাহমুদ বৃত্তি এবং ফাতেমা ইকবাল  ট্রাস্ট বৃত্তি ফান্ড বৃত্তিপ্রধান অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশ - কুয়েত মৈত্রী হল:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস থেকে দূরে নিউ মার্কেটের পিছনে বিজিবি ৩ নং গেইটের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত।সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট এই হলের পাশেই অবস্থিত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় নারী হল হচ্ছে কুয়েত মৈত্রী হল। ১৯৮৯ সালে এই হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় কুয়েত সরকারের অর্থনৈতিক সহায়তায় এবং যাএা শুরু হয় ১৯৯০ সালের ১৯ মে।

এই হলে রয়েছে হল সংসদ অফিস,অডিটোরিয়াম, প্রার্থনা কক্ষ, ক্রীড়া কক্ষ, দুটি প্রধান ব্লক, কমনরুম, নৃত্যকক্ষ, পাঠকক্ষ, গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ল্যাব,ওয়াইফাই সংযোগ,আইপিএস ইত্যাদি। যাএীদের যাতায়াতের জন্য হল থেকে ক্যাম্পাসে বাসের ব্যাবস্থা আছে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল:

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রতিষ্ঠিত হয় মহীয়সী নারী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর নামানুসারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হল প্রতিষ্ঠিত করেন ২০০১ সালের ৭ মে। হলে রয়েছে বাঁধন সংগঠন, লাইব্রেরি, তিনটি পাঠকক্ষ, ডিবেটিং ক্লাব, অডিটোরিয়াম, সংস্কৃতি চর্চা কক্ষ, ইন্টারনেট, লন্ড্রি, ফটোস্ট্যাট, ফোন ইত্যাদি। 

কবি সুফিয়া কামাল হল:

এই হলের নামকরণ করা হয়েছে কবি সুফিয়া কামালের নামানুসারে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হল উদ্বোধন করেন ২০১২ সালের ১৪ই নভেম্বর।কার্জন হলের বিপরীতে কবি সুফিয়া কামাল হল অবস্থিত। দুটি ১০তলা বিশিষ্ট দালান রয়েছে এর উত্তর ও দক্ষিণ দিকে।৪ তলা মাল্টিপারপাস  রয়েছে পূর্বদিকে এবং চার তলা প্রশাসনিক ভবন রয়েছে পশ্চিম দিকে। মেইন গেইট সংলগ্ন একটি রুম তৈরি করা হয়েছে ছাএীদের অভিভাবকের জন্য। ২০টি ফ্ল্যাটে রয়েছে আবাসিক শিক্ষক কোয়ার্টার। ছাএীদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে লাইব্রেরি, পাঠকক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, সাহিত্য কর্ণার ইত্যাদি। 

এই হলে নামাজ পড়ার সুপরিসর কক্ষ আছে।এছাড়াও রয়েছে ছাএীদের জন্য চার বিছানার সিক রুম, নাচঘর ও মিউজিক রুম। ৪টি অতিথি কক্ষ রয়েছে বিদেশি ছাএীদের থাকার জন্য। হলের ভিতরে দর্জি, দোকান, মেডিসিন কর্ণার, ডাইনিং ক্যান্টিন ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে।রাত ১০টা পর্যন্ত ছাএীরা এসব দোকান থেকে সেবা পেয়ে থাকে।একজন মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেয়া হয়েছে হলের ছাএীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য। এই হলের আবাসন সংখ্যা ১,৪০০। 

২. হলে থাকার সুবিধা  অসুবিধা  - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে থাকার অনেক অসুবিধা রয়েছে। নিচে তা দেওয়া হলো:
  • হলে অনেক সময় পড়াশোনার পরিবেশ পাওয়া যায় না। কারণ অনেক চাকরি প্রার্থী সিনিয়ররা লাইব্রেরি, রিডিং রুম দখল করে রাখে।অনেক সময় আপনি বসার জায়গা নাও পেতে পারেন।
  • গণরুমে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ফ্লোরিং করে থাকে।আপনি যে বেড পাবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।এমনও হতে পারে আপনি চার বছরের মধ্যে একটি সিটও না পেতে পারেন।
  • বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে রাজনৈতিক অনেক প্রোগ্রাম হয়। এগুলোতে অংশ নিলে আপনার সব সময় চলে যাবে এবং পড়াশোনা করার সময় পাবেন না।
  • হলে থাকলে আপনার ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে।
  • হলের সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।

হলে থাকার সুবিধা :

  1. আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকেন তাহলে আপনি অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন।এতে করে আপনার কমিউনিকেশন অনেক ভালো হবে।
  2. বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
  3. হলের সুবিধা যেমন-খাবার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি উপভোগ করতে পারবেন। 
  4. আপনি যদি ক্যাম্পাসের খুব কাছাকাছি থাকেন তাহলে আপনি সহজেই লাইব্রেরি, ক্লাস রুম এবং  অন্যান্য জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আপনি হলে উঠবেন নাকি উঠবেন না এটা আপনার একমাত্র নিজস্ব সিদ্ধান্ত। হলে সুবিধা অসুবিধা থাকবেই। কিন্তু আপনার জন্য কোনটি ভালো হবে সেটা আপনার পছন্দ - অপছন্দ, আর্থিক সামর্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

৩. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম 

প্রশ্ন ১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন ২:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের নাম কি?

উত্তর:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে www.du.ac.bd

প্রশ্ন ৩: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হল কতটি?

উত্তর:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হল হচ্ছে ৫ টি।

প্রশ্ন ৪:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে কোন লেখাটি থাকে? 

উত্তর:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে শিক্ষায় আলো কথাটি লেখা থাকে।

৪. লেখকের মন্তব্য - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম  

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নাম,হলের সুবিধা অসুবিধা । আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট the du speech ভিজিট করতে পারেন। 
এই আর্টিকেলের-


লেখক: মোসা: কবিতা  
পড়াশোনা করছেন ঢাকা লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url