OrdinaryITPostAd

বাংলা বিভাগের ভাইভা অভিজ্ঞতা

 





ভাইভা নিয়ে চিন্তিত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ভাইভা বোর্ডে অন্যদের কী কী প্রশ্ন  করা হয়?  তাদের অভিজ্ঞতা কেমন? এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী অনেকে। আজকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাইভা অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে তুলে ধরব। অভিজ্ঞতা সমূহ শিক্ষার্থীরা নিজেই পাঠিয়েছেন।

  মাকসুদা আক্তার বলেন,

ভাইভা বোর্ডে টিচার ছিল ৪জন

ভীষ্মদেব চৌধুরী 

গিয়াস শামীম

মুনিরা সুলতানা

রাফাত আলম

টিচারদের অবস্থানরত কক্ষ থেকে একটা আওয়াজ হবে তারপর আপনি ঢুকতে পারবেন। দরজাটা খুলে টিচারদের বলেছি আসবো স্যার, ওনারা বলেছে আসো। পরে সালাম দিয়েছি। রাফাত আলম স্যার বলল বসে তোমার নামের পাশে সিগনেচার করো। সিগনেচার করার পর গিয়াস শামীম স্যার বলল, 

মাকসুদা তোমার নামের অর্থ কী?

ঃআমি বলেছি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। 

পরীক্ষা কেমন হয়েছে?

ঃবলেছি মোটামুটি।

বিজয়গুপ্তের কোন জিনিসটা তোমাদের পাঠ্য ছিল?

ঃপদ্মাপুরাণ

পদ্মাপুরাণের মনসার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য বলো।

ঃকুটিল এবং মাতৃরূপিও বলা যায়।

মনসার সাথে কার দ্বন্দ্ব ছিল?

ঃচাঁদ সওদাগর

মনসার কাহিনি মূলত কি নিয়ে?

ঃসর্পদেবী মনসার পূজা প্রচারের ঘটনা এতে বর্ণিত আছে।

 মনসা কোথায় পূজা প্রচার করতে চেয়েছে? 

 ঃউচু কূলে

আচ্ছা তুমি যেতে পারো।

শরীফ মির্জা বলেন,

ভাইভাতে যাওয়ার আগে অনেকটা ভয়, দ্বিধা কাজ করতো, যে স্যাররা কি না কি জিজ্ঞেস করে তবে এটা জীবনের প্রথম সরাসরি ভাইবা যদিও অনলাইনে আগে দিয়েছিলাম। তবে ভাইবাতে স্যারদের আন্তরিকতা দেখে এতটা ইতস্তত বোধ হয়নি। প্রথমে নাম, জেলা অর্থাৎ পরিচয় জিজ্ঞেস করল। তারপর বলল কালকেতু সম্পর্কে পড়েছি কিনা। বললাম হ্যাঁ। পরে বলল কোন কোন বই থেকে, উত্তর দিলাম। পরে কালকেতু উপাখ্যানের কতগুলো চরিত্রের নাম সম্পর্কে জানতে চাইলো বলেছি তবে সবগুলোর উত্তর করতে পারিনি কিছু কিছু মনে পড়ছিল না। তবে ভালো লাগার বিষয় হল স্যাররা খুবই আন্তরিক ছিলেন।  না বলতে পারলে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন। আর ভাইবার আগে ফর্রমাল ড্রেস পড়ে গিয়েছিলাম যেটা নিজের মাঝে একটু অদ্ভুত অনুভূতির সঞ্চার করেছিল ভাইবা শেষে পিক তুললাম বন্ধুদের নিয়ে কারণ এই সময়ে সবাই ফর্মাল ড্রেস পড়ে আসে তাই পিক তুলতেও চায় সবাই।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ,

আমি একটু দেরি করে ভাইভা দিতে আসি তাই আমার মধ্যে উত্তেজনা ছিল।  ভাইভাতে নিজের সাক্ষর করার জন্য একটি কলমের প্রয়োজন হয় তাই আমি পাঞ্জাবির পকেটে কলম নিই। আমার পূর্ববর্তী জনের ভাইভা শেষ হলে সে বের হয়ে আসে এবং কিছুক্ষণ পর একটা বেল বাজে এবং আমি কক্ষে প্রবেশ করি। আমাকে একটি পেপারে সাক্ষর করতে বলেন।  আমি সাক্ষর করার জন্য কলম খুঁজে না পাওয়াই আমাকে বলেন তুমি বের হয়ে পরবর্তীজনকে প্রবেশ করতে বলো এবং তুমি সবার শেষে আসবে। 

তাই কলম হাতে নিয়েই প্রবেশ করবেন। এবার সবার শেষে সালাম দিয়ে প্রবেশ করি। আমাকে বসতে বললেন। আমি বসলাম। স্যার বললেন, 


পরীক্ষার সময় কলম সঙ্গে নিয়ে আসবে।

- জি স্যার

তোমার নাম কী?

- বললাম।

তোমার জেলা কোনটি?

- নাটোর। 

তোমার জেলা কেন বিখ্যাত?

- বললাম।

বনলতা সেন নিয়ে কোন কবি লিখেছেন?

- বললাম।

জীবনানন্দ দাসের কয়েকটি কবিতার নাম বলো।

- বললাম।

বনলতা সেন নিয়ে কোন কবি কবিতা লিখেছেন?

- বললাম।

জীবনানন্দ দাসের কয়েকটি কবিতার নাম বল।

- বললাম।

কয়েকজন আধুনিক কবির নাম বলো?

- বললাম

সুকান্তের  কয়েকটি  কবিতার নাম বলো।

- একটা বললাম। আর মনে ছিল না।

কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকের নাম বল?

- দুইটার নাম মনে ছিল শুধু।

তোমার পাঞ্জাবিতে যে ফুল আছে এমন একটি ফুলের নাম দিয়ে কাব্যগ্রন্থ বলো যেটা নজরুল রচিত।

- পারিনি ভাইয়া।

কয়েকটি নজরুলের কাব্যগ্রন্থের নাম বল।

- বললাম।

রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম বল।

- বললাম,  তারসাথে একটা উপন্যাসেরও নাম ভুলে বলেফেলি।

আচ্ছা নামাজ পড়তে যাবে বললাম, জি।

আচ্ছা এখন তুমি যাও


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url