অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩
এই অনলাইনের যুগে দেশের মানুষ ফ্রিলান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে। দেশের মানুষ এখন অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ সালে খুঁজছে যে কিভাবে দেশীয় সাইট থেকে আয় করা যায়। কিন্তু তারা সঠিক গাইডলাইন না পাওয়াতে তারা ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারছে না। তাদের জন্যই মূলত এই অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ নিবন্ধনটি লেখা। একজন মানুষ কিভাবে এখনকার সময়ে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে তা খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ এই নিবন্ধনের মাধ্যমে জানতে পারবে।
অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- বিল্যান্সার অনলাইন সাইট থেকে আয়
- জে.আই.টি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয়
- গ্র্যাথোর ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয়
- অনলাইনে কাজ করতে কি কি লাগে
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.বিল্যান্সার অনলাইন সাইট থেকে আয় । অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩
বাংলাদেশি ফ্রিলান্সারের জন্য একটি অনলাইন উপার্জনের ডেডিকেটেড সাইট হচ্ছে বিল্যান্সার। এইখান থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন তা জানতে পারবেন অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ নিবন্ধনের এই পর্যায়ে। বিল্যান্সার সাইট সাধারণত বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সাধারণত এটি কাজ করে থাকে । এখানে খুব অল্প টাকার কাজ থেকে শুরু করে অনেক বেশি টাকার কাজ পাবেন। একজন বাংলাদেশী হিসাবে আপনি চাইলে খুব সহজে বিল্যান্সারে অ্যাাকাউন্ট খুলে আপনার নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
এখান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ (ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি) পেয়ে যাবেন, এবং কাজের রেটও ভালো এই মার্কেটপ্লেসে শুধু মাত্র বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার থাকলেও বাহিরের দেশের যেমন আমেরিকা ইংল্যান্ড থেকে ক্লায়েন্টও আনার সর্বাত্বক চেষ্টা চলছে। আ[পনি আপনার কাজ করার পরে চাইলে বিকাশে, বা তাঁদের অফিস থেকে,বা ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এরকম বাংলাদেশি ভাইদের জন্য আরো বাংলায় বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি বাংলা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হলো-
- কাজ কি ডটকম।
- স্বাধীন কাজ ডটকম ইত্যাদি
এসকল ওয়েবসাইটে কাজ করতে গেলে প্রথমে উক্ত কাজের জন্য আপনাকে তৈরী করতে হবে। এরপর এই সকল ওয়েবসাইটে নিজের নাম দিয়ে একটা অ্যাাকাউন্ট খুলতে হবে। নিজের জন্য একটি মানসম্মত প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। এরপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার (প্রকল্পগুলি) পেতে পারেন এবং যত বেশি অর্ডার পাবেন এবং কাজ করবেন, তত বেশি অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।
এবং এইভাবে এসকল দেশীয় সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।এগুলি যেহেতু বাংলাদেশী অনলাইন আয়ের সাইট, তাই এখানে গ্রাহকদের অনলাইন আয় বিকাশ দেওয়া হয়।সুতরাং আপনি যদি শিক্ষার্থী হন তবে পড়াশোনা বাদে আপনি অনলাইনেও এই জিনিসগুলি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে ভাল কাজ করতে শিখতে হবে। কারণ দক্ষতা ব্যতীত এই সমস্ত বাজারে টিকে থাকা অসম্ভব। তাই নিজের দক্ষতা থাকলে অবশ্যই নিজের একটি ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব।
২.জে.আই.টি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় । অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩
জে.আই.টি একটি বাংলাদেশী অনলাইন আয় সম্পর্কিত ব্লগ ওয়েবসাইট। এই অনলাইন ব্লগ থেকে কিভাবে আর্টিকেল লিখে আয় করবেন তা জানতে পারবেন অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ লিখার এই ধাপে। জে.আই.টি বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইটিতে খুব সহজে নিবন্ধন লিখে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি প্রতিদিন চাইলে এখান থেকে বাংলা নিবন্ধন লিখে খুব সহজে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট আপনাকে প্রতিটি নিবন্ধের জন্য তারা আপনাকে 500 থেকে 4000 নম্বর দিয়ে থাকে। এবং এখানে 1000 পয়েন্ট = 20 টাকার সমতুল্য। অর্থাৎ প্রতিটি পাবলিশড করা আপনার নিবন্ধের জন্য 10 থেকে 80 টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন । এবং আপনার টাকার পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার নিবন্ধনের লেখার মানের উপর এবং তাতে কয়টি ক্লিক পরেছে তার উপর।
জে আইটি থেকে টাকা আয় করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- বাংলা লিখে আয়ঃ স্বাভাবিকভাবেই নিবন্ধন লিখে আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়াও
- ব্লগ পড়ে আয়ঃ আপনার ব্লগ যতজন পড়বে তার উপর একটি নিদ্রিষ্ট পরিমাণ কমিশনের সুযোগ আপনি পাবেন।
- রেফার করে আয়ঃ আপনার বন্ধু বা সহপাঠী যারা আছেন তাদেরকে রেফার করলে এবং তারা ওয়েবসাইটে এসে ব্লগ পরলে খুবই সহজে বসে বসে টাকা আয় করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
- শেয়ার করে আয়ঃ অর্ডিনারী আই.টি এর মত কিছু অনলাইন ব্লগ আছে যারা সাইটের নিবন্ধন ফেইসবুকে শেয়ারের মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ দেয়। যেমন আপনি যদি ৩০ দিনে ৩০ টি পোস্ট শেয়ার করেন তাহলে মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। এটা শুধু শেয়ার করেই অর্থ উপার্জন করা।
৩.গ্র্যাথোর ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় । অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩
গ্র্যাথোর ব্লগ ওয়েবসাইটটি জে.আই.টি মতো একটি অনলাইন আয় সম্পর্কিত ব্লগ ওয়েবসাইট।কিভাবে এখান থেকে আয় করবেন তা জানানো হবে অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ আর্টিকেলের এই পর্বে। আপনি এই ব্লগ ওয়েবসাইটেও আপনি নিবন্ধন লিখে টাকা খুব সহজে উপার্জন করতে পারবেন।
এবং এর সিস্টেমটি অনেকটা জেআইটি ওয়েবসাইটের মতোই বলা চলে। এটি হাওয়াইয়ের থেকে পরিচালিত একটি বাংলাদেশী অনলাইন আয়ের ব্লগ ওয়েবসাইট, আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অতি সহজে এই ব্লগে নিবন্ধন বা আর্টিকেল লিখে একটি ভালো মানের অর্থ এখান থেকে পেতে পারেন।
গ্র্যাথোর ব্লগ ওয়েবসাইটটি থেকে আয় করার কিছু পথ আছে। সেগুলো হলোঃ
- রেফারেল প্রোগ্রাম থেকে আয়
- নিবন্ধন লিখে আয়
- শেয়ারিং বোনাস
গ্র্যাথোর ব্লগওয়েবসাইটে আপনার নিবন্ধন (আর্টিকেল) গ্রহন করা হলে প্রতিটি গৃহীত নিবন্ধনের জন্য ৮-৫০ টাকা এবং এবং যারা প্রিমিয়াম সদস্য আছে তারা তাদের গৃহীত নিবন্ধনের জন্য ১০-১০০টাকা পান। তাছাড়াও, আপনার লেখা নিবন্ধটির যদি 1000 টি ভিউ পেয়ে জাই তাহলে অতি সহজে আপনি তাদের কাছ থেকে কিছু অতিরিক্ত বোনাস পাবেন।
কোন গ্রাহক বা নিবন্ধন পড়তে আসা ব্যাক্তি যদি আপনার লেখা পোস্টে পঞ্চাশটি মন্তব্য করেন তাহলে আপনি ৫ টাকা করে পাবেন। প্রতিটি রেফারেলের জন্য আপনাকে ২-৪০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। ত বুঝতেই পারছেন কি পরিমাণ অর্থ আপনি গ্র্যাথোর ব্লগ ওয়েবসাইটটি থেকে উপার্জন করতে পারবেন। এবং আরো ভালো খবর হচ্ছে আপনার নিবন্ধন লিখতে ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই,আপনি মোবাইল দিয়েও চাইলে আপনি কাজ করতে পারবেন।
৪.অনলাইনে কাজ করতে কি কি লাগে ? অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩
আপনি যদি অনলাইনে কাজ করতে জান আপনাকে কিছু কিছু জানা লাগবে এবং কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো কি তা জানতে পারবেন অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশী সাইট ২০২৩ এর লেখার এই পর্যায়ে।
অনলাইনে আয় করতে আপনার যে সব জিনিসপত্র প্রয়োজন হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে-
- কাজ করার মন মানসিকতা- আপনি অনলাইনে কাজ করতে চাচ্ছেন কিন্তু দীর্ঘসময় কাজ করার মানসিকতা আপনার নেই তাহলে আপনি চাইলেও অনলাইনে কাজ করে সফলতা পাবেন না। আপনার অবশ্যই কাজ করার মন মানসিকতা থাকতে হবে তাহলেই আপনি সফল হবেন।
- ইন্টারনেট সংযোগ ( মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই যেকোনটা হতে পারে)- যেহেতু আপনি অনলাইনে কাজ করবেন তাহলে বুঝতে পারছেন ইন্টারনেট ছাড়া অনলাইনে কাজ করতে পারবেন না।
- ভাষাগত দক্ষতা (বাংলা, ইংরেজী বা অন্য ভাষা)- অনলাইনে কাজ করতে গেলে আপনাকে অন্যান্য দেশের বাইয়ার বা কাস্টোমারদের সাথে কোথা বলতে হবে ,তাই আপনাকে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি বাষা জানতে হবে। এটা ছাড়া আপনার অনলাইনে কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে পরবে।
- ধৈর্য এবং পরিশ্রম- অনলানে কাজ করতে গেলে আপনার অনেক ধৈর্য এবং পরিশ্রমের পরিচয় দিতে হবে কারন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ঢুকার পর আপনি ১মাস বা ২মাস ধরে কাজ নাও পেতে পারেন। তাই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে হাল ছাড়া যাবে না, কেউ কেউ তো ১বছর ধৈর্য ধরে পরে কাজ পায়, তাই হতাশ না হয়ে ধৈর্য এবং পরিশ্রম করে জেতে হবে
- ব্যবহৃত ডিভাইস (কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা হতে পারে স্মার্ট ফোন)- অনলাইনে আপনাকে কাজ করতে হলে কম করে হলেও আপনার একটা স্মার্টফোন থাকা জরুরী। আর যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আরো ভালো।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url