মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী
বাংলা সাহিত্য যেসব ক্ষণজন্মা লেখক নিজ কর্মে উজ্জ্বল হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা কথাসাহিত্যের অমর পুরুষ। পদ্মানদীর মাঝি কিংবা পুতুল নাচের ইতিকথা যুগ যুগ ধরে বাঙালি মননে মধ্যবিত্ত বা সাধারণ যাপিত জীবনের ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। মানিকের ছোটগল্প গুলোও সাধারণ মানুষের জীবনের খন্ডিত অংশই যেন প্রকাশ করে। আজ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্নিল সাহিত্যজীবনেই জানবো।
আরও পড়ুনঃ রসায়ন সাবজেক্ট রিভিউ
সূচিপত্র✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মপরিচয়
আরও পড়ুনঃ গবেষণায় আবারো শীর্ষ ঢাবি
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পড়াশোনা
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ ও জীবনসঙ্গী
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চা
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাসমগ্র
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমগ্র
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সমগ্র
✪মানিকের লেখায় ফ্রয়েডীয় ভাবনা
✪মানিকের লেখায় মার্ক্সীয় ভাবনা
✪মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মপরিচয়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯ মে মঙ্গলবার (১৩১৫ বঙ্গাব্দের ৬ই জ্যৈষ্ঠ) সাওতাল পরগণার রাজধানী দুমকায় জন্মগ্রহণ করেন।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরের মালপদিয়া গ্রামে।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি একই জেলার গাতদিয়া গ্রামে ছিল। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরদা সুন্দরী দেবী। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন জন্ম হয় তখন তার পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় সাঁওতাল পরগণার দুমকায় সেটেলমেন্ট বিভাগের কানুনগো। হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চৌদ্দ জন সন্তান - আট ছেলে এবং ছয় মেয়ে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে ছোটবেলায়ই মারা যায়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চম পুত্র। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব কম বয়সে তাঁর মাকে হারান। বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।১৯২৪ সালে নিউমোনিয়ায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাতা মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ কাজী নজরুল ইসলামের অজনা তথ্য জানুন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পড়াশোনা
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে। এখানে মানিক তার বড় ভাইয়ের তত্ত্ববধানে ভর্তি হন। তিনি মিত্র ইনস্টিটিউশনের একজন ভালো ছাত্র হিসেবেই গণ্য হয়েছিলেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর পড়াশোনা করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর টাঙ্গাইলে যেয়ে পড়াশোনা করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। টাঙ্গাইল থেকে একসময় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার চলে আসেন কাঁথিতে। এখানে কাঁথি মডেল হাই স্কুলে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়। কালাজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই স্কুলে বেশিদিন পড়াশোনা করতে পারেননি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সুস্থ হয়ে উঠলে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর জিলা স্কুলে। মেদিনীপুর জিলা স্কুল থেকেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ম্যাট্রিকে দুটো বিষয়ে লেটার পেয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া ওয়েসলিয়ন মিশন কলেজে। এই কলেজ থেকে ১৯২৮ সালে প্রথম বিভাগে আই.এস.সি পাশ করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মানিককে গণিতে অনার্স করার জন্য ভর্তি করা হয় কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। এসময় ১৯২৮ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন, ফলে একাডেমিক পড়াশোনায় হয়ে পরেন অনিয়মিত। পরপর দুবার বি.এস.সি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আর একাডেমিক পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি মানিকের পক্ষে।
আরও পড়ুনঃ প্রেমেন্দ্র মিত্রের সংক্ষিপ্ত জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ ও জীবনসঙ্গী
বিবাহ ও সঙ্গী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পরলে ডাক্তার তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। পরে ১৯৩৮ সালে বিক্রমপুর পঞ্চসরনিবাসী সুরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় মেয়ে কমলাদেবীর সঙ্গে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়। আমৃত্যু কমলা দেবীর সঙ্গেই দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চা
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক জীবনের আনুষ্ঠানিক শুরুটা হয় ১৯২৮ সালে। তখন তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র। কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে বাজি লেগে প্রথম অতসী মামী ছোট গল্পটি লেখেন।এটি প্রকাশিত হয় তৎকালীন জনপ্রিয় পত্রিকা বিচিত্রায় ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে। এই গল্পে তিনি মানিক নামটি ব্যবহার করেন। এভাবেই পরবর্তীতে প্রবোধকুমার নামটির পরিবর্তে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে তিনি বাঙলা সাহিত্যে নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে সাহিত্যকর্মকেই পেশা হিসেবে বেঁছে নেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য রচনায় মানিক ছিলেন একনিষ্ঠ। প্রাণান্তকর পরিশ্রম করায় ১৯৩৫ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯৩৬ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃগীরোগ ধরা পড়ে। গৎবাঁধা নিয়মের চাকরিও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে করতে হয়েছে।তবে সেসব চাকরি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।১৯৩৭ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গশ্রী পত্রিকার সহসম্পাদকের পদে নিযুক্ত হন।১৯৩৯ সালের জানুয়ারিতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। বঙ্গশ্রী পত্রিকার চাকরি ছাড়ার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যাশনাল ওয়ার ফ্রন্টে চাকরি পান। অনুমান করা হয় এ চাকরি ১৯৪৩ সালের মে-জুন মাস পর্যন্ত করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ববঙ্গ প্রগতি লেখক ও শিল্পী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৫৩ সালেও প্রগতি লেখক সংঘের ৫ম ও শেষ বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলা বিভাগের ভাইভা অভিজ্ঞতা
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাসমগ্র
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক জীবনের শুরুটা হয়েছে ছোট গল্প রচনার মধ্য দিয়ে। এরপর প্রকাশকের অনুরোধে তার সাহিত্যে প্রাতিষ্ঠানিক পদচারনা শুরু হয়। এরপর উপন্যাস লিখে তিনি সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ুষ্কাল বেশি না হলেও তিনি তার সাহিত্যিক জীবনের প্রথম আট বছরেই জনপ্রিয় সব সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছিলেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমগ্র
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিবিধ ধারার সাহিত্য রচনা করেছেন।তবে এর মধ্যে কিছু উপন্যাসের জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যে অপরাজেয় হয়ে আছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৯টি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম উপন্যাস হলোঃ জননী (প্রকাশকালঃ১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুল নাচের ইতিকথা (১৯৩৬), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), জীবনের জটিলতা (১৯৩৬), অমৃতস্য পুত্রাঃ (১৯৩৮), সহরতলী (১ম পর্বঃ ১৯৪০ এবং ২য় পর্বঃ ১৯৪১), অহিংসা (১৯৪১), ধরা-বাঁধা জীবন (১৯৪৮), চতুষ্কোণ (১৯৪২), দর্পণ (১৯৪৫), চিহ্ন (১৯৪৭), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), আরোগ্য (১৯৫৩) ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সমগ্র
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটগল্পও লিখেছেন। তাঁর কিছু বিখ্যাত ছোটগল্প হলোঃ অতসী মামী (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), মিহি ও মোটা কাহিনি (১৯৩৮), সরীসৃপ (১৯৩৯), বৌ (১৯৪০), সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩), ভেজাল (১৯৪৭), হলুদ পোড়া (১৯৪৫), আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬), পরিস্থিতি (১৯৪৬), খতিয়ান (১৯৪৭), ছোটবড় (১৯৪৮), মাটির মাশুল (১৯৪৮), ছোট বকুলপুরের যাত্রী (১৯৪৯), ফেরিওয়ালা (১৯৫৩), লাজুকলতা (১৯৫৪)।
আরও পড়ুনঃ বাংলা কবিতার ছন্দ নিয়ে বিস্তারিত
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় "ভিটেমাটি" নামে ১৯৪৬ সালে একটি নাটক লেখেন। প্রবন্ধও লেখেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর "লেখকের কথা" প্রবন্ধটি ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। "মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা" নামে ১৯৭০ সালে একটি কবিতার বইও প্রকাশ পায়।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এবং কার্ল মার্ক্সের দর্শণ লক্ষ্য করা যায়। তিনি কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। আমৃত্যু এই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মানিকের লেখায় ফ্রয়েডীয় ভাবনা
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাহিত্য সাধনার শুরুর দিকে মনোবিদ ফ্রয়েডের লিবিডো তত্ত্বের দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত হন।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় সিগমুন্ড ফ্রয়েডের লিবিডো তত্ত্বের প্রভাব লক্ষ্য করার মতো বিষয়।বিংশ শতকের প্রথমদিকে অর্থাৎ, ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে সিগমুন্ড ফ্রয়েড The Interpretation of Dreams এবং Psychopathologyof Everyday Life নামে দুটি বইলিখেন। তিনি মানসিক রোগগ্রস্ত মনের প্রকৃতি বিশ্লেষণকরে স্বাভাবিক মনের ঠিকানা খুঁজতে প্রয়াসী হয়েছিলেন।১৯০৫ সালে ফ্রয়েড যৌনমানস সম্পর্কে একবইয়ে যৌনতার ক্রমবিবর্তন সম্পর্কিত লিবিডো তত্ত্ব প্রকাশ করেন। লিবিডো তত্ত্বের মূল কথাটি ছিল সর্বরতিবাদ। লিবিডো তত্ত্ব অনুসারে শৈশবের সবকিছু ইচ্ছা এবং আচরণই যৌনতা ভিত্তিক। তিনি আরও একটা তত্ত্ব খাড়া করে তার নাম দিয়েছিলেন ঈডিপাস কমপ্লেক্স । এই তত্ত্ব অনুসারে মাতার প্রতি পুত্রের মনে কাম ইচ্ছা জাগে এবং এই কাম ইচ্ছা নিবারনে পিতাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ছেলে। একইভাবে কন্যাও মাতাকে প্রতিদ্বন্দী মনে করে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্রয়েডিয় মনোবিশ্লেষণ প্রয়োগ করে যাপিত জীবনকে স্বাভাবিক করতে চেয়েছিলেন। প্রথম থেকেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় লিবিডোর প্রভাব চোখে পরে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় মার্ক্সীয়
ঊনবিংশ শতাব্দীর দার্শনিক ও বিপ্লবী কার্ল মার্কসের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক অনুশীলন ও সামাজিক তত্ত্বকে মার্কসবাদ বলা হয়। এই মার্কসবাদ হচ্ছে মালিক শ্রেণি বা শাসক শ্রেণির শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন তথা মজুরি-দাসত্ব থেকে শ্রমিক বা শোষিত শ্রেণির মুক্তির মতবাদ। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার লেখায় এই জার্মান দার্শনিকের চিন্তাধারা অনুসরণ করেছেন। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। এবং এই রাজনৈতিক মতবাদ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। যা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় স্পষ্ট। তিনি শোষনহীন সমাজব্যবস্থা কামনা করেছেন তার লেখার মাধ্যমে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
দারিদ্র্য থেকে মুক্তির চেষ্টা, সুরাসক্তি, শরীরে আগে থেকেই বসবাসকৃত রোগ, রক্ত আমাশয় প্রভৃতির সাথে লড়াই করে পরাজিত হন এই কালজয়ী লেখক। অবশেষে ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটায় কলকাতার নীলরতন সরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ উনিশ শতকের বাংলা নাটকের ইতিহাস
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url