সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩ - যোগ্যতা [সর্বশেষ আপডেট]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত এই ওয়েবসাইটে আজকে আপনাদের সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩ ও কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। অভিবাসীদের অন্যতম সুযোগ-সুবিধা প্রদানকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে কানাডা। প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য সরকারিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় তিন লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কানাডা। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনি চাইলে কম খরচে সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে টাকা আয় করার সুযোগ আছে। সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ও কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
অনুচ্ছেদ সূচি - কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- চাকুরীজীবী হিসেবে কানাডা
- শ্রমিক হিসেবে কানাডা
- যোগ্যতা
- কাগজপত্র
- অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
1.চাকুরীজীবী হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩
কানাডায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু রয়েছে যেখানে আবেদন করে সরকারিভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে কানাডা যাওয়া যায়। যে সব পদে আবেদনের মাধ্যমে সরকারিভাবে দ্রুত কানাডা যাওয়া যায় তা হচ্ছে-
- সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- ম্যানুফ্যাকচারিং এ দক্ষ
- একাউন্টেন্ট
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার
- ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজার
- অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ইত্যাদি।
2.শ্রমিক হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় - কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
কানাডায় চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়, যে সকল কাজের জন্য আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারবেন। কানাডা গত 2021 সাল পর্যন্ত গত তিন বছরে প্রায় 10 লাখ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে শ্রমিক হিসেবে।
কানাডায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়াও স্বল্প অভিজ্ঞতায় শ্রমিক হিসেবে আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ সরকারিভাবে শ্রমিক হিসেবে কানাডা যায় কাজের সন্ধানে।প্রায় 347 টি পেশায় এই জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে কানাডা। যার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারি, বিক্রয়কর্মী ,হেয়ার স্টাইলিস্ট ইত্যাদি।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কানাডায় গিয়ে চাকরি বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও IEC অর্থাৎ (ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা) এর আওতায় 15 থেকে 35 বছর বয়সী মানুষ চাকরির লেটার ছাড়াই কানাডা যেতে পারে। তবে এদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে নিজ খরচে বা সরকারিভাবে কানাডা যেতে হতে পারে।
3. সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য প্রাথমিক আবেদন - কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
এছাড়া চাকরি প্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইলে প্রথমে চাকরি প্রার্থীর নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর প্রবাসী কল্যাণ শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিক কার্যাবলি সম্পন্ন করতে হবে।
কানাডা থেকে কোন চাকরির যদি সার্কুলার দেওয়া হয় তাহলে সেখানে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। পাসপোর্ট তৈরি একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পাসপোর্ট তৈরির জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয় এজন্য আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। তবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ অসচেতনতাবসত অনৈতিকভাবে তৈরিকৃত জাল পাসপোর্ট আপনার জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এজন্য কানাডা যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অতীব প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি , আবেদন করার জন্য এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিভন্ন ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ, মেডিকেল টেস্ট করা, জনশক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র ইত্যাদির কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
4. কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান ,তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। কানাডায় অধিকাংশ সময়ই অভিজ্ঞতা যোগ্যতা ও দক্ষতা ভিত্তিক কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়ায় ,সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে কাজ করার জন্য ভিসা পেতে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় । আপনার মধ্যে যদি সেসব যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি সরকারিভাবে কানাডা গিয় টাকা উপার্জন করতে পারেন। কানাডা কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।
- চাকরির অভিজ্ঞতার সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে
- আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে।
- আবেদনকারী বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
- যে কোন চাকরির কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ও অভিজ্ঞতার সনদ বা প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
5. কানাডায় চাকরির অফার পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে যদি আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।কানাডায় চাকরির অফার পেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে তা নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে
- আবেদনকারীর চার কপি ছবি। [ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা, সাইজ - 35"×45"]
- পাসপোর্ট এর ইনফরশন পেজ এর স্ক্যান কপি
- শিক্ষাগত সকল সনদের স্ক্যান কপি
- অভিজ্ঞতার সনদপত্র সমূহ ইত্যাদি।
6. কানাডায় অভিবাসন এর জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ো ডাটা
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইসিএ সনদ
- চাকরির অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও প্রমাণপত্র
- আইইএলটিএস স্কোর ইত্যাদি।
উক্ত কাগজপত্র মাধ্যমে আপনি কানাডা গিয়ে অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং অভিবাসন আবেদন গ্রান্টেড হলে আপনি অভিবাসী হিসেবে সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার একটি প্রধান কারণ উচ্চশিক্ষা। প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা উৎসুক অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারিভাবে কানাডা যেয়ে থাকে।কানাডা মূলত উচ্চশিক্ষার জন্য আদর্শ জায়গা। বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রায় সব ছেলেমেয়েরই স্বপ্ন থাকে। সরকারিভাবে কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাওয়া যায়। কানাডিয়ান সরকার প্রতি বছর পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এসব স্কলারশিপে প্রথমে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করার পর। যদি কেউ মনোনয়ন পায় তবে সরকারি ভাবেই কানাডা যাওয়া যাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই।
চাকরি করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে চাকরি।বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে মূলত চাকরি করার উদ্দেশ্যেই মানুষ বিদেশ যায়। কানাডায় রয়েছে চাকরির সুযোগ। চাকরির জন্য যেতে হলে কানাডার কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে এবং সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে চাকুরির অফার লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে। কানাডায় দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। প্রায় ৩৪৭টি পেশায় জনবল নিয়ে থাকে কানাডা সরকার। এর মধ্য নরসুন্দর, বিক্রয় কর্মী এবং প্রশাসনিক সহকারী অন্যতম।
ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন | কানাডা জব ভিসা ২০২৩
কানাডা নবীন উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভিসা দিয়ে থাকে। কারো যদি পর্যাপ্ত পরিমান নগদ টাকা থাকে এবং তা দিয়ে কানাডায় ব্যবসা করতে চায় তাহলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাকে ভিসা দেয়া হতে পারে।ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় মুলধন এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে গাইডলাইন রয়েছে। যদি কেউ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চায় তবে তাকে এসব গাইডলাইন অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে।
স্থায়ীভাবে বসবাস করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন | সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩
ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন - কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
আইইসি'র আওতায় কানাডা গমন |কানাডা জব ভিসা ২০২৩
এছাড়া ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকরা ‘ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা’ (আইইসি) এর আওতায় চাকুরির অফার লেটার ছাড়াও সরকারিভাবে কানাডায় যেতে পারে। তবে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার এই সুবিধা শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
কানাডায় যাওয়ার যোগ্যতা | কানাডা কাজের ভিসা ২০২৩
আপনি কী সরকারিভাবে বিণা ঝামেলায় কানাডায় যেতে চান? কানাডায় যেতে কী কী যোগ্যতা লাগে জানতে চান? নিচের লেখাগুলো ভালো ভাবে বুঝে পড়ুন। তার পর ভেবে দেখুন আপনি কানাডায় যাওয়ার উপযুক্ত কি না?কানাডা কাজের ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে?
আগে মিলিয়ে দেখুন নিচের যোগ্যতা গুলো আপনার আছে কি না? তারপর ভিসার আবেদন করবেন কীভাবে সে নির্দেশনাও পেয়ে যাবেন।
১. কমপক্ষে HSC বা সমমানের পাস থাকতে হবে।
২. IELTS 4.0 (পরবর্তীতে আইএলটিএস সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া রয়েছে)
৩. ১ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা। যে কোন চাকরি হলেই হবে। শুরু প্রপার ডকুমেন্ট থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে হলে ভালো হয়।
৪. পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি। সাধারণত দশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হয়।
কানাডায় জব অফার পেতে যা করণীয় | কানাডা জব ভিসা ২০২৩
প্রায় সবারই উদ্দেশ্য থাকে কানাডায় জব অফার পাওয়ার।কানাডার জব অফার পেতে হলে কি কি করা দরকার এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগে জানতে চান? তাহলে পড়ুন
কানাডায় জব ভিসার জন্য শুধু প্রয়োজন সঠিক ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আপনার সকল তথ্য কানাডা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হতে হবে।
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে হয়ে যাবে আপনার সাকসেসফুল কাজের ভিসা তথা মাইগ্রেশন।
আলোচনার আলোকে আপনি যদি মনে করেন আপনার এই ধরনের কানাডা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা নেই তবে বিজনেস ভিসায় যেতে পারেন। তবে এখানে শুধু টাকাটা বেশি লাগবে। তাহলে আপনার টাকায় কানাডার অর্থনীতি সম্মৃদ্ধ হবে। সুতরাং আর দেরি নয় এই বিনিয়োগের মাধ্যমে একজন সম্মানীয় ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিন এখনই।
কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রাপ্তির উপায়
কানাডায় যাওয়ার ভিসা পাওয়ার উপায় জানতে চান? কানাডার ভিসা পেতে কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন তা জানতে চান? কোন কোন দেশের ভিসা লাগেনা কানাডা যেতে জানতে চান? কানাডার স্টাডি ভিসা পাওয়ার উপায় জানতে চান?
কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসা লাগেনা যেসব দেশের নাগরিকদের | সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩
আমেরিকান, মেক্সিকান এবং বিভিন্ন উচ্চ-আয়ের দেশের লোকদের কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়না।কারণ তারা একটি ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (eTA) অনলাইন থেকে পেয়ে থাকে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে কোন দেশ, আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়াবাহামা, বার্বাডোস, ব্রুনাই, চিলি, হংকং, আইসল্যান্ডইসরায়েল, জাপান, লিচেনস্টাইন, মেক্সিকোমোনাকো, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনিসামোয়া, সান মারিনো, সিঙ্গাপুর, সলোমন দ্বীপপুঞ্জদক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্তআরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ভ্যাটিকান সিটি। কানাডায় প্রবেশের জন্য অন্য সকল দেশের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন হয়।
কানাডার ভিসা মঞ্জুর হয় যেভাবে
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য স্থানীয় কানাডিয়ান কনস্যুলেটে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক্স জমা দিতে হবে, যার মধ্যে ছবি এবং আঙুলের ছাপ রয়েছে। আবেদনকারী যদি দেখাতে পারে যে তার থাকাকালীন সময়ে কোনো সমস্যা হবেনা এবং ভিসার মেয়াদ শেষে কানাডা ত্যাগ করার কারণ রয়েছে, তখন ভিসা মঞ্জুর করা হয়। যারা সরকারিভাবে কানাডায় কাজ করতে বা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের কাজের ভিসা বা স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।এছাড়াও আবেদনকারী তার ভিসার প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করতে পারেন কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে। কানাডার ওয়েবসাইটটি মূলত ইংরেজী এবং ফরাসি ভাষায়, কিন্তু কিছু দরকারী পাতা অন্যান্য সাধারণ ভাষায় রয়েছে।
কানাডা ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
কানাডিয়ান ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রতিটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়, তবে এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়। কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন এবং আপনার বায়োমেট্রিক্স পাওয়ার পরেই আপনার ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করে। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এখানে।
স্টাডি ভিসার আবেদন
প্রথমে আবেদনকারীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে হবে, যা তাকে তালিকাভুক্ত করবে। এর পরে, আবেদনকারীকে একটি কানাডিয়ান স্টাডি পারমিট পেতে হবে, যা তার থাকাকালীন সময়ের জন্য কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা হিসাবে কাজ করে।কানাডিয়ান গভর্নমেন্টের ওয়েবসাইটে স্টাডি পারমিটের জন্য অনলাইনে বা কাগজের আবেদনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
কানাডায় স্থায়ী ভিসার আবেদন
কানাডায় স্থায়ী ভিসার জন্যও আবেদন করতে পারেন।স্থায়ী ভিসার আবেদন করার জন্য দেখাতে হবে তার কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে তিনি যে জায়গায় থাকতে চান তা উপকৃত হতে পারে। আপনি আপনার পরিবারের একজন সদস্যের সাথে পুনরায় মিলিত হতেও বলতে পারেন। এবং আবেদনকারী এটিও প্রদর্শন করতে পারে যে তিনি কানাডায় একটি সফল ব্যবসা শুরু করতে বা চালিয়ে যেতে সক্ষম।স্থায়ী বাসিন্দা মর্যাদা পাওয়ার পরে প্রমাণ হিসাবে কানাডিয়ান সরকার কর্তৃক একটি পিআর কার্ড পাবে। পাসপোর্ট সহ কানাডায় ফেরার পথে এই কার্ডটি দেখানো দরকার। স্থায়ী আবাসিক অবস্থা বিভিন্ন অধিকার প্রদান করে
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া | সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে প্রথমে। তবে আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে আবেদনপত্রের সব ডকুমেন্টে একই ধরনের বানান থাকা উচিত, তা না হলে আপনার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেকসময় একেক পেপারে নামের বানান একেকরকম থাকে, এটা একটা গুরুতর সমস্যা। শুধু নিজের নাম না বাবা-মায়ের নামের বানানও সব জায়গায় এক ধরনের থাকা জরুরি।
⊕আবেদনকারীর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট থাকা জরুরি, অন্তত ছয় মাসের মেয়াদ থাকা লাগবে।আবেদন প্রক্রিয়া চলার মাঝে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস আগে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে প্রথমেই লাগবে আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন। জন্মনিবন্ধন হতে হবে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রকৃত জন্মনিবন্ধন কপিটি।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। প্রতিটি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং মার্কশিট ক্রেডিনশিয়াল করতে হবে। আর এ ক্রেডিনশিয়াল করার গাইড লাইন কানাডার ইমিগ্রেশনের সরকারি ওয়েবসাইটেই দেয়া রয়েছে।
⊕১৮ বছরের উপরের আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে প্রাপ্তবয়স্কদের অবশ্যই নিজ দেশের নাগরিক সনদপত্র দেখাতে হবে।
⊕বিবাহিতদের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নিকাহনামা এবং Marriage Certificate থাকতে হবে। বাংলাদেশে এ দুটি ডকুমেন্ট এখনও বাংলাতে ইস্যু করা হয়।আবেদনের ক্ষেত্রে ইংরেজি কপিটা করিয়ে রাখবেন। তবে যে কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন তার কাছে বললেই একটি নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে তা ইংলিশে অনুবাদ করে দেবেন।
⊕কানাডায় যেতে হলে আবেদনকারীর IELTS করা থাকতে হবে।সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার আগে IELTS স্কোর-এর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে আবেদনের জন্য । প্রায় সব ভিসার জন্য আবেদনকারীরই IELTS দিতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট স্কোর থাকতে হবে এই পরীক্ষায়।
⊕ কানাডায় অভিবাসন হওয়ার যোগ্যতা দেখাতে একটি আবেদনপত্র লিখতে। এতে কানাডার মার্কেটপ্লেস এবং আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে দক্ষ কাউকে দিয়ে লেখাতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে ভিসার জন্য আবেদনকারীকে সেটেলমেন্ট ফান্ড ব্যাংকে দেখাত হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তারা যে পরিমাণ টাকা দেখানোর কথা বলবে সেই সমপরিমাণ টাকা আবেদনকারীর ক্যাশ আকারে ব্যাংকে থাকা লাগবে। এ টাকা বিভিন্নভাবে থাকতে পারে যেমন ফিক্সড ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, চলতি হিসাব, প্রভিডেন্ট ফান্ড, শেয়ারবাজার ইত্যাদি। বাড়তি হিসেবে আবেদনকারীর সোনা-গহনা, নিজ নামে বা সঙ্গীর নামে সম্পত্তি থাকলে তা দেখানো যায়।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য কাজে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না। অভিজ্ঞতার সনদপত্র এক পাতার হলে ভালো হয়। প্রত্যেক জায়গায় যিনি আবেদনকারীকে সনদপত্র প্রদান করবেন তার নাম, পদবি, স্বাক্ষর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইল এড্রেস থাকতে হবে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে আবেদনকারীর চাকরির ব্যাপারে যেকোনো সময়ই খোঁজ-খবর নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় সিঙ্গাপুর থেকে সশরীরে এসে অফিস দেখে যায় এবং আবেদনকারীর উপস্থিতি তারা আশা করে। এতে বেশি ফলপ্রসূ হয় কানাডায় যাওয়ার আবেদনকারীর জন্য।
⊕আবেদনকারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে লোকাল থানার মাধ্যমে দরখাস্ত করলেই হয়। কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন দেয়া আছে তা অনুসরণ করতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে আবেদনকারীর ফেসবুক এবং অন্যসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘাঁটাঘাঁটি করবে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দেয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর মিল অবশ্যই থাকতে হবে।
⊕যেসব কাগজের ফটোকপি দেয়া লাগে সেগুলো নোটারি করে দিতে হবে। কিন্তু যেসব ডকুমেন্টের আসল কপি দেয়া লাগে সেগুলো আসলটাই দিতে হবে, নোটারি করার সুযোগ নেই। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিস যেকোনোভাবে আসল এবং নকল ডকুমেন্টের তথ্য খুজে বের করতে পারে।
কানাডার নিরাপত্তা ব্যবস্থা | সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩
কানাডায় পড়াশোনার সুবিধা
কানাডার আবহাওয়া ও মৌলিক অধিকার
আপনি যদি সরকারিভাবে, বিনা ঝামেলায় এবং সৎ উপায়ে কানাডা যেতে চান তাহলে উপরুক্ত নিয়ম অনুসরণ করুন।কানাডার ভিসা পেতে নিয়মগুলো যথাযথ মেনে চলতে হবে।কানাডার ভিসা পাওয়া তাহলে অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে উক্ত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর গৃহীত হলে বৈধভাবে কানাডার অভিবাসী হওয়া খুবই সহজ ব্যাপার।
বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন-
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়!
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
true
কানাডা যাওয়া নিয়ে একমাত্র বিস্তারিত আর্টিকেল পেলাম। ধন্যবাদ।
ভাইয়া, ওই যে এড দেখলাম ফ্রী কানাডায় যাওয়ার ভিসা আছে, এটা কী সত্য
,
আর কি ভাবে আমি যেতে পারি, একটু জানানোর অনুরোধ করছি
আমার whatsapp নাম্বার 01729106287