OrdinaryITPostAd

মানুষ জন্মগতভাবেই একা!

 


এই ধারণার বিরোধিতা সবসময় করে এসেছি ।তবে এখন আমার ভুল ভাঙতে শুরু করেছে। যেভাবেই চিন্তা করি না কেন সব সময়ই একটা প্রশ্নের উত্তর কানে ভেসে আসত: মানুষ কখনো একা হতে পারে না, মানুষ তার সমাজের বাইরের কেউ নয়। মানুষকে সমাজ,তার পরিবেশ, পরিবার, রাষ্ট্র, বিশ্ব সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। এই দিক থেকে মানুষ যখন নিজেকে একা মনে করবে তখন সে নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করবে, কিংবা কোন এক সময় হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটাবে। সমাজ এবং মানুষের বৃহৎ স্বার্থে  কাজ করবে না। 

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে সকল স্টেশনের ভাড়া তালিকা নির্ধারিত হয়েছে!

এবার আসি কেন আমার এখন মনে হয় মানুষ জন্মগতভাবে একা। মানুষ যখন চিন্তা করবে,আমি একা আমাকে আমার নিজের জন্য বাঁচতে হবে তখন সে অন্যের প্রতি তার চাওয়া-আকাঙ্ক্ষা,পাওয়া এগুলো কমিয়ে দিবে। আমাদের জীবনের বড় একটি সমস্যা আমরা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের জীবনকে চালানোর চেষ্টা করি। 

আরো পড়ুন: সকল ব্যাংক ও সংস্থার শিক্ষাবৃত্তির আপডেট তথ্য

মনে করুন, আপনি আপনার বন্ধুদের দ্বারা এমন কোন ব্যবহার প্রত্যাশা করেন না, যা আপনাকে দিনশেষে কষ্ট দেয় কিংবা পরিবারের কাছ থেকে বা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করেন না যা আপনাকে মানসিক পীড়া দেয়। এই যে আপনার প্রত্যাশার জায়গা অর্থাৎ, আপনি মনে করছেন তাদের ভালো ব্যবহার থেকে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন অর্থাৎ তাদের কাছে আপনার প্রত্যাশা'র জায়গা থেকে যায়। আর এই প্রত্যাশা যখন বাস্তবায়ন হয় না অর্থাৎ পূরণ হয় না তখনই আপনার জীবনে আসে দূুর্বিষহ মানসিক বেদনা যা আপনার বেঁচে থাকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আর এসব কারণেই আপনি হয়ে যান নিরবিচ্ছিন্ন, মন্ মরা।

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে আর্টিকেল রাইটিং জব অফার!

ফলশ্রুতিতে, আপনি বেছে নেন ভয়ংকর সেই আত্মহত্যার পথ। কিন্তু একটি বিষয় চিন্তা করুন তো, আমরা যদি ভাবি আমি একা, তাহলে মানুষের প্রতি আমাদের যে প্রত্যাশার জায়গা সেটি কমিয়ে দিতে হবে, অর্থাৎ আমরা ভাববো না আমার কাছের বন্ধুটি আমার সাথে এমন ব্যবহার কেন করল কিংবা আমার কাছের কেউ আমার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করল। যেহেতু সমাজ এবং পরিবেশ ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না।

আরো পড়ুন: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম!

তাই আমরা সমাজ এবং পরিবেশের মানুষের কাছে আমাদের প্রত্যাশা রাখবো না। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপনি যাদের কাছে প্রত্যাশা রাখবেন, তারা দিনশেষে আপনার সাথে ধোঁকাবাজি করবে। তারা হয়তো আপনাকে এমন ভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করবে, যাতে আপনি অন্যদের চোখে হয়ে যান অন্যরকম। আপনি হয়তো তাদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করেননি, কিন্তু তারা এটা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এটি হতে পারে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর দ্বারা অথবা আপনার পরিবারের কোন কাছের মানুষ দ্বারা।

আরো পড়ুন: পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির উপায়!

সব আলোচনার মূল কথা একটাই, আপনি কারো প্রতি কোন ধরনের প্রত্যাশা রাখবেন না। আর যখন আপনি কারো প্রতি কোন প্রত্যাশা রাখবেন না,আপনার নিজের মধ্যে হতাশা আসবে না! নিজের মধ্যে  কোন দুঃখ-বোধ কাজ করবে না এবং দিনশেষে আপনি আত্মহত্যা কিংবা তার মতো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না।  আপনি বাঁচবেন আপনার নিজের জন্য। আগে নিজে ভাল থাকুন পরে অন্যের ভালোর জন্য কাজ করুন।অবশ্যই নিজে ভালো থাকতে গিয়ে আইন বহির্ভূত কোন কাজ করব না এটাই প্রত্যাশা। কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা রাখবো না যেমন তেমনি আমি নিজ অবস্থান থেকে সমাজের জন্য ক্ষতি বা হুমকি এমন কোন ধরনের কাজ করবো না অর্থাৎ সমাজের জন্য ভালো করার চেষ্টা আমার প্রতিনিয়তই থাকবে।

আরো পড়ুন: অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ!

তবে  ওই যে একটা জায়গা যেখানে বারবার কথা বলছি,"প্রত্যাশা"র যে জায়গাটা সেটি আর রাখছি না কারো প্রতি। অনেকেই হয়তো আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। বর্তমান এই বিশ্বে, আপন কল্যাণে ভাবা আবশ্যক। মানুষ আপনার ভালো সময় পাশে থাকবে ঠিকই কিন্তু খারাপ সময়ে আপনাকে নিন্দা করতে কখনো পিছপা হবে না। মোটকথা,আপনি আমার মতামতের সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন এটা আপনার অধিকার। তবে আমি বলব আপনি যে মতের অধিকারীই হন না কেন!নিজেকে কখনো প্রশ্ন করে দেখেছেন কি? 

  "আপনি নিজে ভালো আছেন তো? "

আরো পড়ুন: মাথা ব্যাথা কমানোর উপায়!

ইব্রাহিম মুন্সি ইফতি 

শিক্ষা ও গবেষণায় ইনস্টিটিউট 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url