OrdinaryITPostAd

অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ | গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থীই তাদের নিজ নিজ সাবজেক্ট নিয়ে অনেক বেশি হতাশায় ভোগে। এডমিশনের সময় বা তারও আগে থেকেই তারা  একটা নির্দিষ্ট সাবজেক্টে নিয়ে  পড়ালেখা করার স্বপ্ন দেখে। এক্ষেত্রে সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব -অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে।অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 
উত্তর ধাপ ০১. অনার্স সাবজেক্ট চয়েজে টেকনিক্যাল সাবজেক্ট গুলোকে চয়েজ লিস্টের প্রথমে রাখুন।
উত্তর ধাপ ০২. যে সাবজেক্টই চয়েজ দিন না কেন আগে সাবজেক্ট সম্পর্কে সম্পুর্ন ধারণা নিন।যেমন -ঐ সাবজেক্টর টিচার কেমন হবে,চাকরির ক্ষেএ কেমন,কোনো সেশন জট আছে কিনা ইত্যাদি। আপনি আপনার আগ্রহ অনুযায়ী সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন,যেমন আপনার যদি ইংরেজি ভালো লাগে তাহলে প্রথমে ইংরেজি রেখে তারপর ক্রমান্বয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট গুলো চয়েজ দিন।

আর্টিকেল সূচিপত্র - অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 

  1. অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ  
  2. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 
  3. লেখকের মন্তব্য - অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 

১.  অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 

অনেকেই  এডমিশন টেস্টে ভালো সিরিয়ালে না থাকার ফলে তাদের নিজের স্বপ্ন বা পছন্দের সাবজেক্ট পায় না।আপনি যদি এডমিশন পরীক্ষায়  প্রথমদিকে থাকতে পারেন , তাহলে ইচ্ছামত যেকোনো বিষয়ে আপনি  ভর্তি হতে পারবেন।আর যদি   সিরিয়াল একটু দূরে থাকে তাহলে  আপনাকে একপ্রকার বাধ্য হয়ে অপছন্দের একটা সাবজেক্টে ভর্তি হতে হবে। পূর্বে আপনি এই নিয়ে  কল্পনাও করেনি  যে এরকম একটি  সাবজেক্টে অনার্স পড়তে হবে।

যদি সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেন, তাহলে আপনার প্রতি একটাই অনুরোধ আপনার যেই সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো লাগবে তুলনামুলভাবে সেই সাবজেক্ট নিবেন। আপনি যে সাবজেক্ট পড়ে  ভালো কিছু করতে পারবেন বলে মনে করবেন এমনসব সাবজেক্ট গুলোকে সবচেয়ে  বেশি প্রায়োরিটি দিবেন। 

সবচেয়ে বেশি ফলদায়ক হবে যদি ইংরেজি ভার্সনের সাবজেক্ট নেন , এতে আপনার ইংরেজির স্কিল, শব্দভাণ্ডার অনেক বাড়বে । অনেকেই সে যে সাবজেক্টে পড়াশোনা করে  সেই সাবজেক্টকে উপরের দিকে স্থান দিবে, বলবে যে এই সাবজেক্টই বেস্ট।কখনো  ভুলেও তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে যদি আবার ভালো  না লাগে তাহলে আপনার সেই  পরামর্শদাতা  বড় ভাই/আপুকেই সারাজীবন বকবেন।

সাবজেক্ট চয়েজের ক্ষেত্রে অবশ্যই টেকনিক্যাল সাবজেক্টগুলোকেই উপরের দিকে স্থান দিবেন । আপনার এক্ষেএে প্যান  বি থাকবে  যেমন  শিক্ষা ক্যাডার,কলেজ নিবন্ধন  ইত্যাদি চাকরিতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।বর্তমানে টেকনিক্যাল সাবজেক্টের চাহিদা অনেক বেশি।এগুলো বাদে যদি অন্য সাবজেক্ট গুলো নেন তাহলে শিক্ষাক্ষেএে আসতে পারবেন না।ইচ্ছা করলেও আপনি স্কুল কলেজের চাকরি করতে পারবেন না। আপনি যদি শিক্ষা সাইডে না আসতে তাহলে সেটা অন্য ব্যাপার।

সাবজেক্ট সাধারণত সারাজীবনের আইডেন্টিটি বহন করে থাকে। আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, কেন সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন, কোনগুলো বেশি প্রায়োরিটি দিবেন সেগুলো আগে থেকেই ঠিক করে নিবেন।এমন কোনো সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন না যাতে অনেক সেশন জট রয়েছে। এতে আপনার চাকরির বয়স চলে যাবে দেখা যাবে আপনার কোর্সই কম্পলিট করা হলো না। সাবজেক্ট চয়েজে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  1. প্রথমে আপনার খুঁজে বের করতে হবে কোন সাবজেক্টে আপনার আগ্রহ আছে। 
  2. সাবজেক্ট সিলেক্ট করার পরে সেই সাবজেক্টে যারা পড়ে অর্থাৎ সিনিয়র ভাইয়া বা আপুর কাছে পরামর্শ নিন।আপনি পরামর্শ নিবেন ঠিকই কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে না। 
  3. আবেদন করার সময় কলেজ চয়েজ দিবেন আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে সেটা সিলেক্ট করবেন। আপনার জিপিএ অনুযায়ী যে সাবজেক্টের জন্য আপনি যোগ্য সেই সাবজেক্টগুলোর লিস্ট আপনার কাছে চলে আসবে।
  4. আপনি যদি কোনো সাবজেক্ট একবারেই আগ্রহ না থাকে তাহলে সেই সাবজেক্ট লিস্টে রাখবেন না। আর সবচেয়ে আগ্রহের সাবজেক্ট প্রথমে রাখবেন। তারপর পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে সাজিয়ে নিবেন।এক্ষেত্রে দেখা গেলো আপনার দ্বিতীয় সাবজেক্ট আসছে তাহলে মাইগ্রেশান করে আবার প্রথম সাবজেক্টে আসা যাবে। 
  5. প্রায় সব সাবজেক্টই সমান। কোনো সাবজেক্টকে ছোট করে দেখা যাবে না। তবে কিছু সাবজেক্ট এর বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অনেক চাহিদা।যেমন -আপনি যদি ইংরেজি নিয়ে পড়েন তাহলে এর অনেক এক্সট্রা সুবিধা যেমন আপনি অনেক টিউশনি করাতে পারবেন। দেখা গেছে অন্য সাবজেক্টে টিউশন তেমন পাবে না। তবে এই সাবজেক্ট নিয়ে কিছু সমস্যাও আছে যেমন -অনেক বেশি ইংরেজি সাহিত্য রয়েছে যা দেখলে আপনার মাথা ঘোরাতে পারে। ঐ সময় যদি আপনি সাবজেক্ট পরিবর্তন করতে চান তাহলে কিন্তু সম্ভব না। 
  6. আবার যদি আপনি আর্সের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যদি ইকোনমিকস নিয়ে পড়তে চান তাহলে দেখা যাবে ইকোনমিকস এ অনেক অংক। যদি আপনি অংকে দূর্বল হয়ে থাকেন তাহলে ইকোনমিকস নিবেন না। 
  7. আবার আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট চয়েজ দেন তাহলে অনেক ভাবনা চিন্তা করা দিবেন। কারণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সাবজেক্ট আছে যেগুলোতে প্রাইভেট পড়তে হয়। যেমন-গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, একাউন্টটিং ইত্যাদি। 
  8. পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি যদি বাড়তি রোজগার করতে চান তাহলে একটি সহজ সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন। যেমন -রাষ্ট্র বিজ্ঞান। এটি খুবই সহজ বিষয়। এবং চাহিদাও অনেক।  এছাড়াও সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন এই সাবজেক্ট গুলোও পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন।
  9. কঠিন সাবজেক্ট পড়লে সুবিধা হচ্ছে আপনি চাকরির পরীক্ষায় অনেক এগিয়ে থাকবেন। কোনো সাবজেক্টই ছোট নয়, সব সাবজেক্ট থেকেই সকল ধরণের জব করতে পারবেন। 
  10. সাবজেক্ট চয়েজে আপনার মানসিক, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, পারিবারিক অবস্থা এসব বিবেচনা করে সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন।
বর্তমানে সবকিছুই অনলাইনে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।অনলাইনে আপনি কোন কলেজে পড়বেন সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।সাবজেক্ট চয়েজও দিতে হবে অনলাইনে। আপনি যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তাদের ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে লগইন করুন।সেখানে আপনার রেজাল্ট অনুযায়ী একটি, দুটি বা তিনটি সাবজেক্ট আসবে। অর্থাৎ যে কয়টা সাবজেক্ট আসবে সবগুলি চয়েজ দিতে পারেন অথবা একটিও দিতে পারবেন।সবগুলো সাবজেক্ট চয়েজ দিলে আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে সাবজেক্ট দিবে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি বোঝে শুনে সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন।

২. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ 

প্রশ্ন ১: অনার্স সাবজেক্ট চয়েজে কোন সাবজেক্ট প্রথমে প্রাধান্য দেওয়া উচিত?

উত্তর:অনার্স সাবজেক্ট চয়েজে টেকনিক্যাল  সাবজেক্ট প্রথমে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ২: কোন ধরণের সাবজেক্ট এ অনার্স করলে সবচেয়ে ভালো হবে? 

উত্তর: কোন সাবজেক্টই ছোট নয়। সব সাবজেক্টের গুরুত্ব সমান। তবে আপনার আগ্রহের উপর নির্ভর করে সাবজেক্ট চয়েজ। যেসব সাবজেক্টের চাহিদা চাকরিক্ষেএে বেশি সেসব সাবজেক্টে অনার্স করা ভালো হবে। যেমন-ইংরেজি, গণিত, একাউন্টটিং, পরিসংখ্যান  ইত্যাদি। 

প্রশ্ন ৩: একবার সাবজেক্ট চয়েজ দিলে পরবর্তীতে কি পরিবর্তন করা যায়?

উত্তর: একাবার সাবজেক্ট চয়েজ দিলে পরবর্তীতে আর পরিবর্তন করা যায় না।

৩. লেখকের মন্তব্য - অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম অনার্স সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ বা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকমই আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech ভিজিট করতে পারেন। 

এই আর্টিকেলের-


লেখক: মোসা: কবিতা  
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে  । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url