রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা
ইসলাম শান্তির ধর্ম।এই ধর্ম কারো উপর জুলুম করে না। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ রোজার ক্ষেত্রে অপারগ ব্যক্তিদের রোজা ছাড় দেওয়ার শর্ত হচ্ছে কাফফারা ও ফিদিয়া।রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা তা জানা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য জরুরি।কেননা অনীবার্য কারণ বশত কারো রোজা কাজা হয়ে গেলে তাকে রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া দিতে হবে।রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা আর্টিকেলে আমরা কাজা রোজার পরিবর্তে করনীয় সম্পর্কে জানব এবং রোজার কাফফারা কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা তা জানব।
অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- কাফফারা ও ফিদিয়া কী
- রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া কত টাকা
- যাদের রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া দেওয়া যাবে
- প্রশ্ন- উত্তর পর্ব
- লেখকের মন্তব্য
১.কাফফারা ও ফিদিয়া কী|রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা
"রোজার কাফফারা কত টাকা ২০২৪-রোজার ফিদিয়া কত টাকা" এই বিষয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের কাফফারা ও ফিদিয়া কী তা জানতে হবে।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা কাফফারা ও ফিদিয়া কী তা জানব।
কাফফারা: কাফফারা আরবী শব্দ।এর আভিধানিক অর্থ হলো ঢেকে দেওয়া, আড়াল করা ইত্যাদি।ইসলামি পরিভাষায় নেক আমল ও কৃত অপরাধের বদলা দ্বারা পাপ ঢেকে দেওয়াকে কাফফারা বলা হয়।যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রোজা বাদ দেয় বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোজা ভঙ্গ করে তখন কাফফারা দিতে হয় এবং ঐ ব্যক্তির উপর কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যায়।রোজা রেখে ভুল করে কিছু খেয়ে ফেললে,ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে,ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে রোজার কাফফারা দিতে হয়।
ফিদিয়া: ফিদিয়া আরবি শব্দ, এর আভিধানিক অর্থ মুক্তিপণ,বন্দির উদ্ধার মূল্য, কোরবান ইত্যাদি।মূলত অনিবার্য কারণ যেমন অশীতপর বৃদ্ধাবস্থা, এমন কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়া যার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে ইত্যাদির জন্য কারও পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব না হলে ঐ ব্যক্তিকে রোজা না রাখার বদলা স্বরূপ যে অর্থ, খাদ্য বা সমমান কিছু দান করতে হয় তাকে ফিদিয়া বলে।দূরারোগ্য ব্যধী যেমন: ক্যান্সার, কিডনি বিকল,এইডস ইত্যাদি যেগুলো আক্রান্ত হওয়ার ফলে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা নেই এবং অশীতিপর বৃদ্ধ যাদের রোযা রাখার মতো শারীরিক অবস্থা একেবারেই নেই তাদের ক্ষেত্রে ফিদিয়া প্রদান করে রোজার কাফফারা আদায় করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রমজান মাসে স্বপ্নদোষ হলে করনীয়
২.রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া কত টাকা|রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা-রোজার ফিদিয়া কত টাকা
ইসলামি শরীয়তে রোজার কাফফারা ও ফিদিয়ার মূল্য নির্ধারিত রয়েছে।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা- রোজার ফিদিয়া কত টাকা তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রোজার কাফফারা: ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে।
- একটি ফরজ রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি নফল রোজা রাখা। (কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।)
- যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তাহলে সে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা আহার বা তার সমমূল্যের অর্থ প্রদান করবে।
- গোলাম বা দাসী আজাদ করতে হবে।
- কাজাকৃত রোজার সমপরিমাণে রোজা রাখা।
- রোজা রাখতে একেবারে অসমর্থ হলে একটি রোজার বদলে একজন গরীব মিসকিন কে দুই বেলা আহার করাতে হবে।
৩.যাদের রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া দেওয়া যাবে|রোজার কাফফারা কত টাকা ২০২৪- রোজার ফিদিয়া কত টাকা
- ফকির: ফকির ওই ব্যক্তি যার নিকট খুবই সামান্য সহায় সম্বল আছে।
- মিসকীন: মিসকীন ওই ব্যক্তি যার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি এবং আত্মসম্মানের খাতিরে কারও কাছে হাত পাততে পারে না।
- আমিল: যাকাত,ফিতরা ইত্যাদি আদায় ও বিতরণের কর্মচারী।
- নওমুসলিম: ধর্ম ছাড়ার কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়েছে এমন ব্যক্তি।
- ক্রীতদাস: কৃতদাসের মুক্তির জন্য।
- ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি: ধনী সম্পদশালী ব্যক্তি যার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশি।
- মুজাহিদ: ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে যারা কাফির বা বিধর্মীদের সাথে জিহাদে লিপ্ত সে সকল মুজাহিদদের প্রয়োজনে রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া দেয়া যাবে।
- মুসাফির: মুসাফির অবস্থায় কোন ব্যক্তি বিশেষ কারণে অভাবগ্রস্ত হলে ওই ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ কোন কোন ব্যাংক দেউলিয়া হতে পারে
৪.প্রশ্ন-উত্তর পর্ব |রোজার কাফফারা কত টাকা ২০২৪-রোজার ফিদিয়া কত টাকা
- প্রশ্ন:রোজার কাফফারা ও ফিদিয়া এর মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙ্গে ফেললে রোজার কাফফারা দিতে হয়, আর অনিবার্য কারণবশত রোজা করতে অক্ষম হলে ফিদিয়া দিতে হয়।
- প্রশ্ন: মৃত ব্যক্তির ফিদিয়া দিতে হয় কি? উত্তর: রোগের কারণে কোনো ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম হলে এবং ঐ অবস্থায় মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার কাজাকৃত রোজার কাফফারা হিসেবে অন্য কারো রোজা রাখার বিধান নেই।তবে মৃত্যুকালে সে ব্যক্তি ফিদিয়া প্রদানের অসিয়ত করলে তার রেখে যাওয়া সম্পদের এক তৃতীয়াংশ মাল থেকে অসিয়ত পূর্ণ করা জরুরি।অসিয়ত না করলে ফিদিয়া দেয়া জরুরি নয়।তবে বালেগ ওয়ারিসরা নিজ নিজ অংশ হতে তা আদায় করলে আদায় হওয়ার আশা করা যায়।
আরও পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে আয় করুন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url