OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি

আমেরিকা বিভিন্ন দেশের সহিংসতা কমানোর জন্য এবং সেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ভিসা নীতি প্রণয়ন করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব-বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি। বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।


সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি
উত্তর ধাপ ০১. আমেরিকা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করে এবং ভিসা নীতিটি প্রধানত সহিংসতা কমানো এবং অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে এমন কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করার জন্য। 
উত্তর ধাপ ০২. আমেরিকা ভিসা নীতি অনুযায়ী নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম মতামত প্রচারে বাধাদানকারী ব্যাক্তি বা সমর্থনকারী ব্যাক্তিদের আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না। 

আর্টিকেল সূচিপত্র - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 

  1. ভিসা নীতি কি  - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি
  2. বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 
  3. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 
  4. লেখকের মন্তব্য - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি

১. ভিসা নীতি কি  - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি

ভিসা নীতি হচ্ছে সহিংসতা কমানো এবং এমন যেকোনো কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করা যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে। এই নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার নিশ্চিত হওয়া প্রধান লক্ষ্য। ভিসা নীতির মুল উদ্দেশ্য অনুযায়ী যাদেরকে ভিসার জন্য  নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা সহ তাদের  পরিবারের সদস্যরাও আমেরিকা প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

২. বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 

আমেরিকা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য নতুন একটি ভিসা নীতি তৈরি করেছে, এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য নয়।মুলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুন্দর দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতিটি ঘোষণা করা হয়েছে।আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধেই  এ অবস্থান গ্রহণ করে থাকে।  বাংলাদেশের পরিস্থিতির অনুযায়ী, যদি কেউ ভবিষ্যতের নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হতে বাধা দেয় তাহলে জন্য আমেরিকার ভিসা সীমাবদ্ধতা থাকবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য নেওয়া এই পদক্ষেপ একটু তাড়াতাড়ি হয়েছে, কারণ নির্বাচনের এখনও প্রায় অনেক দিন বাকি। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেজন্য একটি পূর্বনির্ধারিত বার্তা হিসেবে নতুন ভিসা নীতি  পরিবেশন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ছয় মাস আগেই আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না-এমন উদ্বেগের কারণে নতুন ভিসা নীতির সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত  অনেক ‘ভুল বোঝাবুঝির’ পটভূমিতে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিতে পারে যদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছু ভুল যোগাযোগ থাকলে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে  গত কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এজন্যই হয়তো যুক্তরাষ্ট্র এ অবস্থান গ্রহণ করেছে। এর ফলে সরকারের তেমন কোনো ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া , নতুন ভিসা নীতি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও খুব  বেশি প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।

আমেরিকার নতুন নীতিতে বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র সেসব বাংলাদেশীদের ভিসা দিবে না যারা  বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে  বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী অথবা জড়িত। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, যারা সরকার সমর্থক এবং সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যবৃন্দ, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও  অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ।

নতুন এই ভিসা নীতিতে ৪ টি কারণে বাংলাদেশকে আমেরিকা ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছেন। যেমন:
  • ভোট কারচুপি করা
  • ভোটারদের ভয় দেখানো
  • জনগণের স্বাধীনতা এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ অধিকার চর্চাকে বাধাদান।
  • ভোটার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজকে মতামত প্রচারে বাধা দিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড।
অতীতের অভিজ্ঞতা বলে যে , যুক্তরাষ্ট্র  সাধারণত এই ধরনের পদক্ষেপ কোনো ঘটনার পরে গ্রহণ করে । নাইজেরিয়া ও উগান্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্বাচন হওয়ার পরে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগেই ভিসা নীতি ঘোষণা দেওয়া হলো । যার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তি নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমেরিকা একবারও  দ্বিধান্বিত হবে না। 

নতুন ভিসা নীতি  বাংলাদেশের জনগণের অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য একটি সিগন্যাল হিসেবে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যবস্থা আমেরিকা নিতে প্রস্তুত।ভিসা নীতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি  দিক হচ্ছে পরিধি।  নীতিতে শুধুমাএ নির্বাহী বিভাগ ও ক্ষমতার বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের কথাই বলা হয়নি, বিচার বিভাগের কথাও এতে বলা হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে যে ভিসা নীতির নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের যারা  নির্দেশনা দিবে তারাও ভিসা নীতির মধ্যে পরবেন। তারাও আমেরিকার ভিসার জন্য নিষেধাজ্ঞা পেতে  পারে। এই নীতির বাস্তবায়নের প্রধান  চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যারা এই সকল কাজে যুক্ত রয়েছে , তাদেরকে শনাক্ত করা।নির্দেশদাতাদের খুঁজে পাওয়া বেশি কঠিন হবে না।বাংলাদেশ সরকারকে নতুন এই ভিসা নীতির কথা জানানো হয়েছে ৩ মে। 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাক্তিগতভাবে এই ব্যাপারে অবহিত করেছেন। স্মরণ করা যায় যে ৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকা  সফর করছিলেন এবং তিনি ৪ মে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নবম অংশীদারত্ব যা ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হওয়া সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। 

ওই সময় বাংলাদেশ সরকারকে ভিসা নীতির ব্যাপারে জানানো হয়েছিল এবং সরকারের লোকজন এই বিষয়ে অবগত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন যে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত তাঁকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

তারপর প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আমেরিকা থেকে কোনো ধরনের কেনাকাটা করবে না বাংলাদেশ; অর্থ মন্ত্রণালয়কেও  তিনি এই বিষয়ে জানিয়ে দেন। যদিও আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির ফলে সরকারের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে তবুও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বলছেন যে আমেরিকার ভিসা নীতির সাথে আওয়ামী লীগের কোনো বিরোধ নেই। 

৩. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন ২:বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা নতুন ভিসা নীতি কত তারিখ ঘোষণা করে?

উত্তর: বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা নতুন ভিসা নীতি ৩ মে ঘোষণা করে। 

প্রশ্ন ৩: নির্বাচনে কি কি অবস্থা লক্ষ্য করা হলে আমেরিকা বাংলাদেশকে ভিসা দিবে না?

উত্তর: নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা,ভোটারকে ভয় দেখানো এবং জনগণের অধিকার চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করা হলে আমেরিকা বাংলাদেশকে ভিসা দিবে না।


৪. লেখকের মন্তব্য - বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম-বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি নিয়ে।আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট  The Du Speech  ভিজিট করতে পারেন। 

এই আর্টিকেলের-

লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url