OrdinaryITPostAd

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নাকি পড়াশোনা?

আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনযাত্রার মান নিধারিত হয় রাজনীতি দ্বারা। সেক্ষেত্রে রাজনীতিকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের রাজনৈতিক শিক্ষা ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির জন্য বীজ বপনের মতো কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকলে সে জাতীয় রাজনীতি  খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবে এবং জনমানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে। 

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে সকল স্টেশনের ভাড়া তালিকা নির্ধারিত হয়েছে!

বর্তমান ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপটে অনেককেই বলতে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নাকি পড়াশোনা? - এই প্রশ্নের জবাবে বলবো, অবশ্যই পড়াশোনা। পড়াশোনা ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কল্পনাতীত। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি রাজনৈতিক চর্চা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে 

আরো পড়ুন: সকল ব্যাংক ও সংস্থার শিক্ষাবৃত্তির আপডেট তথ্য

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তারা রাজনীতির প্রতি যতটা মনোযোগী, পড়াশোনার প্রতি ততটাই উদাসীন। এই প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। পড়াশোনাকে আবশ্যিক এবং রাজনীতিকে ঐচ্ছিক হিসেবে নিতে হবে। 

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে আর্টিকেল রাইটিং জব অফার!

রাজনীতির পাশাপাশি পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি করতে হবে।  এই মানসিকতা গড়ে তুলতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান খারাপ হবে এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করতে হবে তাহলে দেশ, জাতি ও সমাজ ছাত্ররাজনীতির সুফল ভোগ করবে। উদাহরণ  স্বরূপ -

আরো পড়ুন: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম!

• ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের নতুন দিকে চিন্তা করতে শিখায় এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সচেতন হতে সাহায্য করে। 

• ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নায্য  অধিকার প্রাপ্তির একটি উপায় হিসেবে কাজ করে ।

• ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে ছাত্ররা সমাজ পরিবর্তনে যে অবদান রাখতে পারে, সেটি সমাজে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

• ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের মতামত এবং চিন্তা প্রকাশের একটি মাধ্যম, তাদেরকে স্বাধীনভাবে বক্তব্য বা মতামত প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয়।

• ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের নেতৃত্ব দানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা তাদের ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবনের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। 

আরো পড়ুন: পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির উপায়!

পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে দেশে শিক্ষিত রাজনীতি সচেতন জনগোষ্ঠী গড়ে উঠবে। জনগণ রাজনীতি সচেতন হলে সমাজে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে এবং দেশ দুর্বার গতিতে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।  এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোতে সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। 

 - রুবেল মিয়া 

  শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরো পড়ুন: অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url