২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস?
২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস তা আমাদের জানা দরকার কেননা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বছরগুলোতে আমরা দেশের কতটুকু উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি,কতখানি এগিয়ে গিয়েছি তা আমাদের পর্যালোচনা করে ভেবে দেখা দরকার।তাই আজকের আর্টিকেলটি ২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস তা নিয়েই লেখা।বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে "২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস" আর্টিকেলটি পড়ুন।
অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- স্বাধীনতা দিবস ২০২৩
- স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা
- স্বাধীনতার ৫২তম বছরে বাঙালির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি
- প্রশ্ন-উত্তর পর্ব
- লেখকের মন্তব্য
১.স্বাধীনতা দিবস ২০২৩|২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস?
স্বাধীনতা দিবস প্রত্যেকটি জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।এই দিনকে যথাযথ ভাবে পালন করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা ২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস তা জানব।
২৬ মার্চ ২০২৩ বাংলাদেশের ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস।মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৭২ সাল থেকে অর্থাৎ ১ম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৯৭২ সালে। তাই ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস।স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালে পালন করা হয়।সেই দিনে গৃহীত সকল লক্ষ্য পূরণে সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বিতীয় বর্ষে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে।
আরও পড়ুনঃ ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কবে
২.স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা|২৬ মার্চ ২০২৩ কততম স্বাধীনতা দিবস?
যেকোনো দিবস পালনের পরিকল্পনা করা সেই দিবসের সমস্ত কর্মসূচির সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পূর্ব শর্ত। তাই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ২০২৩ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যেও বিস্তারিত কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।"২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস" আর্টিকেলের এই অংশে আমরা ২০২৩ সালের ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস পালনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করব।
- ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হবে।
- সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
- সকল সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ২৫ মার্চ কোনক্রমেই আলোকসজ্জা করা যাবে না ২৬ শে মার্চ সূর্যাস্তের পর থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে।
- ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন।
- স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্র এবং মিডিয়া সমূহে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে এবং স্বাধীনতা দিবসের দিন ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা সারাদেশব্যাপী সম্প্রচার করা হবে।
- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,বাংলা একাডেমি,জাতীয় জাদুঘর,মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,শিশুদের চিত্রাংকন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
- "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন" প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
- মহানগর,জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযুদ্ধ এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
- কোস্টগার্ডের জাহাজ সমূহ এদিন দুপুর ২ টা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
- সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে এবং সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
৩.স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাঙালির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি|২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস?
- বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি,জাতিসংঘ, ওআইসিসি সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সদস্য পদ অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে ব্যাপক পরিচিতি এনে দিয়েছে।
- আমরা পেয়েছি একটি পরিপূর্ণ সংবিধান যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা সহ সকল রকমের অধিকার আদায়ের সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে যা প্রতিটি জনগণের স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
- যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানবেতর জীবন যাপনকারী জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সহ মৌলিক চাহিদার যোগান দানসহ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে নানান উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠন করে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
- বাংলাদেশের জনগণের শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্রতার হার হ্রাস, দৈনিক মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সহ আরো অনেক খাতে জাতীয় বরাদ্দ নির্ধারণ করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি গঠন ও বাস্তবায়ন করেন যা এখনো পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
- সার্বিকভাবে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা আমাদের দেশকে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন।
- এছাড়াও বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণসহ আরও অনেক অর্জন এদেশকে আধুনিকায়নে সহযোগিতা করেছে।
৪.প্রশ্ন-উত্তর পর্ব|২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস?
- প্রশ্ন: ২৬ মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস? উত্তর:৫২ তম।
- প্রশ্ন: স্বাধীনতা মূল লক্ষ্য বাস্তবায়িত না হলে কি হবে? উত্তর:৩০ লাখ শহীদের রক্ত স্নাত বাংলাদেশের যদি সর্বক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হয়ে উঠতে না পারে তাহলে সকল আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে।অর্জনের আনন্দ আমাদের গর্বিত করেছে আজ কিন্তু আগামী দিনগুলোতে যদি উন্নয়নের প্রবাহ বেগবান না রাখা যায় তা হবে লাখো শহীদের মৌন দীর্ঘশ্বাস আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হতাশা যা আমরা কখনোই চাই না।
- প্রশ্ন:এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রতিপাদ্য কি?উত্তর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন।
আরও পড়ুনঃ The DU Speech সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url