OrdinaryITPostAd

দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায়

যুগে যুগে মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায় সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে  আইনি সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। দেওয়ানী মামলার ধারা, বিচার পদ্ধতি ও রায় সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান থাকলে মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।আমাদের এই আর্টিকেল এর মূল উদ্দেশ্য মানুষকে দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

আর্টিকেলের সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)


১. দেওয়ানী মামলা কি|দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায়

"দেওয়ানী" শব্দের অর্থ হল রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত অধিকার। দেওয়ানী মামলা বলতে বোঝায় স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কিত মামলা। অর্থাৎ মানুষের সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনও অধিকার লঙ্ঘন হলে দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে অধিকার ফিরে পেতে পারে।

 ২. দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ |দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায

ধারাঃ ১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন এবং কার্যকরতার সীমা

(১) এই আইনকে "দেওয়ানী কার্যবিধি কোড, ১৯০৮” বলে উল্লেখ করা হবে।

(২) ইহা ১৯০৮ সালের জানুয়ারী মাসের ১ তারিখে বলবৎ হবে।

(৩) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হবে।


ধারাঃ ২। সংজ্ঞাসমূহ

এই আইনে বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকলে—

(১) কোড বলতে বিধিমালা অন্তর্ভুক্ত হবে;

(২) ডিক্রি বলতে কোন আদালত কর্তৃক রীতিসিদ্ধভাবে প্রকাশিত এমন বক্তব্য বুঝায়, যা মামলার বিতর্কিত সমগ্র বা যেকোন বিষয় সম্পর্কে পক্ষগণের অধিকার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে এবং এই ডিক্রি" প্রাথমিক বা চুড়ান্তও হতে পারে। আরজি প্রত্যাখ্যান এবং ১৪৪ ধারায় বর্ণিত কোন প্রশ্ন নির্ধারণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে, তবে নিম্নলিখিত বিষয় ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে না

ক) যে বিচারকৃত রায়ের বিরুদ্ধে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের মত আপীল করা যায়; অথবা

খ) কোন ক্রটির জন্য খারিজের আদেশ।

ব্যাখ্যাঃ ডিক্রি তখনই প্রাথমিক হয়, যখন মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তির জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণের দরকার থাকে, মামলা যখন চূড়ান্তরূপে নিস্পত্তি হয়, তখনই ডিক্রি চূড়ান্ত হয়ে থাকে। কোন ডিক্রি আংশিকভাবে প্রাথমিক এবং আংশিকভাবে চূড়ান্ত হতে পারে।

(৩) ডিক্রিদার বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বুঝায়, যার অনুকূলে ডিক্রি প্রদান করা হয়েছে অথবা জারীযোগ্য কোন আদেশ প্রদান করা হয়েছে:

(৪) জেলা বলতে মৌলিক এখতিয়ার সম্পন্ন কোন প্রধান দেওয়ানী আদালতের স্থানীয় সীমানা বুঝায় (অতঃপর জেলা আদালত নামে অভিহিত) এবং হাইকোর্ট বিভাগের সাধারণ মৌলিক দেওয়ানী এখতিয়ার স্থানীয় সীমানাও ইহার অন্তর্ভুক্ত;

(৫) “বিদেশী আদালত” বলতে এমন আদালত বুঝায়, যা বাংলাদেশের সীমানার বাইরে অবস্থিত, যার কোন কর্তৃত্ব বাংলাদেশে নেই এবং যা বাংলাদেশ সরকার স্থাপন করেননি বা বহাল রাখেননি;

(৬) "বিদেশী রায়" বলতে বিদেশী আদালতের রায় বুঝায়;

(৭) "সরকারী উকিল" বলতে এই আইনে সরকারী উকিলের জন্য অর্পিত সমস্ত বা যেকোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তাকে বুঝায় এবং সরকারী উকিলের নির্দেশ অনুসারে কার্যরত অপর কোন উকিলও ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে। ;

(৮) “বিচারক” বলতে ডিক্রি বা আদেশের সংগত কারণ হিসেবে বিচারক যে বিবরণ দেন তা বুঝায়;

(৯) "রায়" বলতে ডিক্রি বা আদেশের ভিত্তি হিসেবে বিচারক যে বিবৃতি দেন, তা বুঝায়।

(১০) “রায়ে সাব্যস্ত দেনাদার” বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বুঝায়, যার বিপক্ষে ডিক্রি প্রদান করা হয়েছে বা জারীযোগ্য কোন আদেশ প্রদান করা হয়েছে;

(১১) “বৈধ প্রতিনিধি" বলতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায়, যিনি আইনতঃ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির প্রতিনিধিত্ব করেন এবং যিনি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে বিজড়িত হন এবং যেখানে কোন পক্ষ প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে কোন মামলা করেন বা যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, তার মৃত্যুর পর যে ব্যক্তির উপর সম্পত্তি বর্তায় তাহাও ইহার অন্তর্ভুক্ত;

(১২) সম্পত্তির ’ওয়াশিলাত’ বলতে বে-আইনী দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তি হতে প্রকৃতপক্ষে যে মুনাফা লাভ করেছে বা সাধারণ বুদ্ধিমত্তায় যে মুনাফা লাভ করতে পারত সুদসহ সেই মুনাফা বুঝায়, কিন্তু বে-আইনী দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তির কোন উন্নতি সাধন করে থাকলে ইহার ফলে সৃষ্ট মুনাফা অন্তর্ভুক্ত হবে না:

(১৩) অস্থাবর সম্পত্তি বলতে বাড়ন্ত ফসলাদিও অন্তর্ভুক্ত হবে;

(১৪) আদেশ বলতে কোন দেওয়ানী আদালতের এমন কোন সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ বুঝায়, যা ডিক্রি নহে;

(১৫) উকিল বলতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যিনি অপরের পক্ষে আদালতে হাজির হওয়ার ও যুক্তিতর্ক পেশ করার অধিকারী;

(১৬) নির্ধারিত বলতে বিধি অনুসারে নির্ধারিত বুঝায়;

(১৭) সরকারী কর্মকর্তা বলতে নিম্নলিখিত যে কোন বিবরণের ব্যক্তি বুঝায় যথা—

ক) প্রত্যেক বিচারক,

খ) প্রজাতন্ত্রের বে-সামরিক চাকুরীর প্রত্যেক সদস্য:

গ) বাংলাদেশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীতে চাকুরীরত প্রত্যেক কমিশন প্রাপ্ত বা ঘোষিত কর্মকর্তা,

ঘ) আদালতের প্রত্যেক কর্মকর্তা, যাদের কর্তব্য হচ্ছে ঐ রূপ কর্মকর্তা হিসেবে আইন বা ঘটনা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে তদন্ত বা রিপোর্ট করা অথবা কোন দলিল প্রণয়ন করা, বিশুদ্ধতা প্রমাণ করা বা সংরক্ষণ করা অথবা কোন সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণ বা হস্তান্তর করা অথবা কোন বিচার সম্বন্ধীয় পরোয়ানা জারী করা অথবা কোন শপথ পরিচালনা করা অথবা ব্যাখ্যা করা অথবা আদালতের শৃংখলা বজায় রাখা এবং এই সব কর্তব্যের যে কোনটি সম্পাদনের জন্য আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে অনুমোদিত কোন ব্যক্তি:

ঙ) প্রত্যেক ব্যক্তি, যিনি তার পদাধিকার বলে কোন লোককে আটক করতে বা রাখতে পারেন;

চ) প্রত্যেক সরকারী কর্মকর্তা, যার কর্তব্য হচ্ছে ঐ রূপ কর্মকর্তা হিসেবে অপরাধ প্রতিরোধ করা, অপরাধ সম্পর্কে খবর দেয়া, অপরাধীগণকে বিচারার্থে হাজির করা, অথবা জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা সুবিধা সংরক্ষণ করা:

ছ) এমন প্রত্যেক কর্মকর্তা, যার কর্তব্য হচ্ছে সরকারের পক্ষে কোন সম্পত্তি গ্রহণ, সংরক্ষণ বা ব্যয় করা, অথবা সরকারের পক্ষে কোন জরিপ, হিসাব বা চুক্তি করা অথবা কোন রাজস্ব পরোয়ানা জারী করা, অথবা সরকারের আর্থিক স্বার্থ সম্পর্কিত কোন বিষয়ে কোন দলিল প্রণয়ন, সহিমোহর বা সংরক্ষণ করা অথবা সরকারের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রণীত কোন আইন লংঘন প্রতিরোধ করা; এবং

জ) কোন সরকারী কর্তব্য সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত প্রজাতন্ত্রের সুবিধা বা বেতন ভোগী অথবা উক্ত কাজের জন্য ফিস বা কমিশন দ্বারা পুরস্কৃত প্রত্যেক কর্মকর্তা;

(১৮) বিধিমালা’ বলতে প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত অথবা ১২২ বা ১২৫ ধারার অধীনে প্রণীত বিধি ও ফরমগুলি বুঝায়;

(১৯) কপোরেশনের শেয়ার" বলতে মজুদ বাণপত্র মজুদ ঋণপত্র বা বণ্ডও অন্তর্ভুক্ত হবে; এবং

(২০) স্বাক্ষরিত বলতে রায় বা ডিক্রি ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে সীলমোহরকৃত কোন কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করবে।


ধারাঃ ৩। আদালতের পর্যায়ক্রমা

এই কোড-এর উদ্দেশ্যে জেলা আদালত হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন এবং জেলা আদালতের নিম্ন পর্যায়ের সকল দেওয়ানী আদালত এবং সকল স্মল কজ কোট হাইকোর্ট বিভাগ ও জেলা আদালতের অধঃস্তন।

ধারাঃ ৪। ব্যতিক্রম

(১) বিপরীত কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকলে, অত্র কোডের কোন বিধান বর্তমানে বলবৎ কোন বিশেষ আইন অনুসারে বা আইন দ্বারা প্রদত্ত বর্তমানে বলবৎ কোন বিশেষ বা স্থানীয় আইন বা কোন বিশেষ এখতিয়ার বা ক্ষমতা বা কোন বিশেষ কার্য-পদ্ধতির নমুনাকে সীমাবদ্ধ বা অন্য কোনভাবে প্রভাবিত করবে না।

(২) বিশেষতঃ এবং (১) উপধারায় অন্তর্ভুক্ত সাধারণ নীতি ব্যাহত না করে ভূম্যধিকারী বা ভূমির মালিকের কোন প্রতিকার থাকলে এই কোডের কোন বিধান তা সীমাবদ্ধ বা প্রভাবিত করবে না।



ধারাঃ ৫। রাজস্ব আদালতে ‘কোড’-এর প্রয়োগ

(১) রাজস্ব আদালতে প্রযোজ্য বিশেষ বিধানাবলী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে নীরব থাকার ফলে এই কোর্ডের বিধানসমূহ রাজস্ব আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা ঘোষণা করতে পারেন যে, উক্ত বিধানসমূহের যে সকল অংশ অত্র কোর্ডের দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রযোজ্য করা হয়নি, তা উক্ত আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, অথবা সরকার নির্ধারিত সংশোধনীসহ প্রযোজ্য হবে।

(২) রাজস্ব আদালত বলতে (১) উপধারায় বর্ণিত সেই আদালত বুঝায়, কোন আইন অনুসারে কৃষিকার্যে ব্যবহৃত জমির খাজনা, রাজস্ব বা মুনাফা সম্পর্কে মামলা বা কার্যক্রম গ্রহণের এখতিয়ার যার আছে, কিন্তু অত্র কোড অনুসারে এরূপ দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা বা কার্যক্রম গ্রহণের মূল এখতিয়ার সম্পন্ন দেওয়ানী আদালত ইহার অন্তর্ভুক্ত নহে।



ধারাঃ ৬। আর্থিক এখতিয়ার

অন্যত্র সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত না থাকলে এই কোর্ডের বিধান কোন আদালতকে তার সাধারণ এখতিয়ারের আর্থিক সীমানার (যদি থাকে) অধিক মূল্য সম্পন্ন বিষয়বস্তুর মামলা বিচার করার এখতিয়ার প্রদান করবে না।

ধারাঃ ৭। স্মল কজ কোর্ট

১৮৮৭ সালের স্মল কজ কোর্ট আইন অনুসারে গঠিত,

অথবা উক্ত আইন অনুসারে স্মল কজ কোর্টের এখতিয়ার প্রয়োগকারী অন্যান্য কোর্টের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাসমূহ প্রযোজ্য হবে না, যথা—

ক) এই কোডের যে সকল অংশ নিম্নলিখিত বিষয় সম্পর্কিতঃ

১. স্মল কজ কোটের এখতিয়ার হতে যে সকল মামলা বাদ দেয়া হয়েছে:

২. এরূপ মামলার ডিক্রি জারী:

৩. স্থাবর সম্পত্তির প্রতিকূলে ডিগ্রী জারী এবং

খ) নিম্নলিখিত ধারাসমূহ, অর্থাৎ ৯ ধারা, ৯১ ও ৯২ ধারা, ৯৪ ও ৯৫ ধারা (যতদূর ইহারা নিম্নলিখিত বিষয়ে ক্ষমতা দেয় বা সম্পর্কিত হয়),

১) স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশসমূহ:

২) নিষেধাজ্ঞা;

৩) স্থাবর সম্পত্তির রিসিভার নিয়োগ, অথবা

৪) ৯৪(ঙ) ধারায় উল্লেখিত অন্তবতীকালীন আদেশসমূহ এবং ৯৬ হতে ১১২ ধারা পর্যন্ত এবং ১১৫ ধারা।



ধারাঃ ৮। বাতিল

[Presidency Small Cause Courts. Omitted by A.O., 1949]

ধারাঃ ৯। বারিত না হলে আদালত সকল দেওয়ানী মামলার বিচার করবেন

আদালতের (এখানে বর্ণিত বিধানাবলী সাপেক্ষে) সকল দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা বিচার করার এখতিয়ার থাকবে, কেবল সে সকল মামলা ব্যতিত যেগুলির বিচারার্থে গ্রহণ (cognizance) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বারিত হয়েছে।

ব্যাখ্যাঃ যে মামলায় সম্পত্তি বা পদের অধিকার সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, সে মামলা দেওয়ানী প্রকৃতির, যদিও অধিকার সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় আচার বা উৎসব সম্পৰ্কীত প্রশ্নের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে পারে।


ধারাঃ ১০। মামলা স্থগিত রাখা

কোন আদালত এমন কোন মামলার বিচার চালায়ে যাবেন না, যার বিচার বিষয়বস্তু প্রত্যক্ষভাবে এবং মূলত পূর্বে দায়েরকৃত অপর একটি মামলাও বিচার্য বিষয়, তা একই পক্ষগণের মধ্যে অথবা এমন পক্ষগণের মধ্যে যাদের অধীনে তারা বা তাদের মধ্যে কোন একজনের সূত্রে পরবর্তী মামলার পক্ষগণ বা পক্ষগণের মধ্যে কোন একজন স্বত্ব দাবী করেন, যেখানে এরূপ মামলা একই অথবা বাংলাদেশের অন্য কোন আদালতে বিচারাধীন আছে, যে আদালতের প্রার্থীত প্রতিকার মঞ্জুর করার এখতিয়ার আছে অথবা বাংলাদেশের বাইরে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বা চলতি কোন আদালত যার এরূপ এখতিয়ার আছে, অথবা সুপ্রীমকোটে বিচারাধীন কোন মামলা।

ব্যাখ্যাঃ কোন বিদেশী আদালতে দায়েরকৃত মামলা যদি বাংলাদেশের কোন আদালতে দায়েরকৃত মামলার সাথে একই কারণযুক্ত হয়, তবুও ইহা বাংলাদেশের আদালতে উক্ত মামলা বিচারে বাধা হবে না।

ধারাঃ ১১। রেস-জুডিকেটা/ দোবারা দোষ

কোন আদালত এমন কোন মামলার বা বিচার্য বিষয়ের বিচার করবেন না, যার বিচার্য বিষয়বস্তু প্রত্যক্ষ ও মূলতঃ একই পক্ষসমূহের মধ্যে পূর্ববতী কোন মামলার প্রত্যক্ষ ও মূলতঃ বিচার্য বিষয়বস্তু ছিল, অথবা পক্ষসমূহের মধ্যে যাদের ভিতরে তারা অথবা তাদের কোন একজন একইরূপ অধিকারের শর্তে মামলায় দাবী করছেন এবং মামলাটি এমন একটি আদালতে শ্রুত ও চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি হয়েছে, যে আদালত এরূপ পরবতী মামলা অথবা মামলায় এরূপ বিচার্য বিষয় পরবর্তীতে উত্থাপিত হয়েছে। তার বিচার করতে এখতিয়ার সম্পন্ন।

ব্যাখ্যা ১। “পূর্ববতী মামলা" বলতে এমন মামলা বুঝাবে যা আলোচ্য মামলার পূর্বে অথবা পরে যখনই দায়ের করা হয়ে থাকুক, যার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে।

ব্যাখ্যা ২। এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন আদালতের যোগ্যতা, উহার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার অধিকার সম্পর্কিত বিধি বিধানসমূহের বিষয় উল্লেখ না করেই নির্ধারণ করতে হবে।

ব্যাখ্যা ৩। উপরি-উল্লেখিত বিষয়টি পূর্ববর্তী মামলায় একপক্ষ কর্তৃক দাবীকৃত ও অপরপক্ষ কতৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অস্বীকৃত বা স্বীকৃত হতে হবে।

ব্যাখ্যা ৪। পূর্ববর্তী মামলায় যে বিষয়টি আত্মপক্ষ সমর্থন বা বিপক্ষের যুক্তি খণ্ডনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারত, বা হওয়া উচিত ছিল, তা উক্ত মামলার প্রত্যক্ষ ও মূলতঃ বিবেচ্য বিষয় বলে ধরে নিতে হবে।

ব্যাখ্যা ৫। যে প্রতিকার আরজিতে প্রার্থনা করা হয়েছে তা ডিক্রিতে সুস্পষ্টভাবে মঞ্জুর করা না হয়ে থাকলে অত্র ধারার উদ্দেশ্যে তা দিতে অস্বীকৃত হয়েছে বলে ধরতে হবে। ,

ব্যাখ্যা ৬। যখন একের অধিক ব্যক্তি কোন সাধারণ অধিকার বা সকলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিগত অধিকারের জন্য সরল বিশ্বাসে মামলা করে, তখন উক্ত স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল লোক অত্র ধারার উদ্দেশ্যে ঐ রূপ মামলাকারী ব্যক্তিগণের অধীনে দাবী করছে বলে ধরতে হবে।


ধারাঃ ১২। অতিরিক্ত মামলার ব্যাখ্যা

কোন নিয়মাবলীর অধীনে একজন বাদীকে যখন কোন বিশেষ কারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মামলা দায়ের করা হতে নিবারণ করা হয়, তখন যে আদালতের প্রতি এই কোড প্রযোজ্য হয় সেরূপ কোন আদালতে সে একই কারণ নিয়া মামলা করতে পারবে না।


ধারাঃ ১৩। যখন বিদেশী রায় চূড়ান্ত হয়

যখন একই পক্ষসমূহের মধ্যে অথবা যাদের সূত্রে তারা অথবা তাদের কেহ একই অধিকারের স্বত্ব দাবীকারী এমন পক্ষসমূহের মধ্যে যখন কোন বিষয়ে কোন বিদেশী রায় দ্বারা সরাসরি সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়, তখন উক্ত রায় নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যতিরেকে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে

ক) যেখানে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক ইহা ঘোষিত না হয়ে থাকে;

খ) যেখানে মামলার গুণাগুণের উপর ইহা দেয়া হয়নি;

গ) আন্তর্জাতিক আইনের ভুল ধারণায় অথবা মামলাটির প্রতি প্রযোজ্য বাংলাদেশী আইন অস্বীকার করে রায় প্রদান করা হয়েছে বলে কার্যক্রম দৃষ্টে প্রতীয়মান হবে:

ঘ) যে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে রায়টি লাভ করা হয়েছে, তা যদি স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী হয়;

ঙ) যেখানে ইহা প্রবঞ্চনার মাধ্যমে লাভ করা হয়েছে:

চ) যেখানে এতে বাংলাদেশে প্রচলত কোন আইনের পরিপন্থী কোন দাবী বজায় রাখা হয়েছে।


ধারাঃ ১৪। বিদেশী রায় সম্পর্কে অনুমান

বিদেশী রায়ের সত্যায়িত নকল বলে কথিত কোন দলিল আদালতে পেশ করা হলে এবং বিপরীত কোন প্রমাণ না পাওয়া গেলে আদালত ধরে নিবেন যে, রায়টি উপযুক্ত এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতই প্রদান করেছেন কিন্তু উক্ত আদালতের এ ব্যাপারে এখতিয়ার ছিল না বলে প্রমাণিত হলে ঐ রূপ অনুমান উঠায়ে নেয়া হবে।


ধারাঃ ১৫। যে আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে

প্রত্যেকটি মামলা উহা বিচার করার যোগ্যতাসম্পন্ন সর্বনিম্ন পর্যায়ের আদালতে দায়ের করতে হবে।


ধারাঃ ১৬। বিষয়বস্তু যেখানে অবস্থিত, মামলা সেখানেই দায়ের করতে হবে

যে কোন আইনে নির্ধারিত আর্থিক বা অন্যান্য এখতিয়ার সাপেক্ষ -

ক) খাজনা বা মুনাফাসহ বা ব্যতিত স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য,

খ) স্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ার জন্য,

গ) স্থাবর সম্পত্তির বন্ধক বা দায় (charge) উদ্ধারের অধিকার, হরণ, বিক্রয় বা

ঘ) স্থাবর সম্পত্তির অন্য কোন প্রকার অধিকার বা স্বার্থ নির্ণয়ের জন্য,

ঙ) স্থাবর সম্পত্তির অনিষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে,

চ) আটক বা ক্রোককৃত অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য -

আনীত মামলাগুলি যে সকল আদালতের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবস্থিত, অথবা, ‘গ’ দফায় বর্ণিত মামলার ক্ষেত্রে যে স্থানে মামলার কারণ পূর্ণভাবে অথবা আংশিকভাবে উদ্ভব হয়, সেসব আদালতেই দায়ের করতে হবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বিবাদী কর্তৃক বা তার পক্ষে দাখিলী কোন স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রতিকার বা উহার অনিষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা, প্রার্থতি প্রতিকার যদি সম্পূর্ণরূপে বিবাদীর ব্যক্তিগতভাবে আনুগতভাবে আনুগত্যের ফলে লাভ করা যায়, তবে তাহলে যে আদালতের স্থানীয় সীমানার মধ্যে সম্পত্তি অবস্থিত, অথবা (ঙ) দফায় বর্ণিত ক্ষেত্রে যে স্থানে পূর্ণ বা আংশিকভাবে মামলার কারণ উদ্ভব হয়েছে অথবা যে আদালতের স্থানীয় সীমানার মধ্যে প্রকৃত পক্ষে এবং স্বেচ্ছায় বিবাদী বাস করে বা ব্যবসা-বাণিজ্য চালায় বা ব্যক্তিগতভাবে লাভের জন্য কর্ম করে সেই আদালতে দায়ের করা যাবে।


ধারাঃ ১৭। বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত স্থাবর সম্পপত্তি সম্পর্কিত মামলা

স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বা উহাতে অনিষ্টের কারণে আনীত মামলার সম্পত্তি যদি বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে থাকে, তাহলে উক্ত সম্পত্তির অংশ বিশেষ যে আদালতের এখতিয়ার অবস্থিত, সেরূপ যে কোন আদালতে মামলা দায়ের করা যেতে পারেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, মামলার বিষয়বস্তুর মূল্য সম্পর্কে সমগ্র দাবীটিই এরূপ আদালত বিচারার্থে গ্রহণ করতে পারেন।



ধারাঃ ১৮। আদালতসমূহের স্থানীয় এখতিয়ার অনিশ্চিত হলে মামলা দায়েরের স্থান

(১) যখন কোন স্থাবর সম্পত্তি দুই বা ততোধিক আদালতের কোনটির স্থানীয় সীমানার এখতিয়ারে অবস্থিত, সেই সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, এরূপ আদালতের মধ্যে যে কোন একটি আদালত যদি সন্তুষ্ট হয়ে মনে করেন যে, কথিত রূপ অনিশ্চয়তার সঙ্গত কারণ রয়েছে, তাহলে ঐ মর্মে একটি বিবৃতি লিপিবদ্ধ করে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে যে কোন মামলা গ্রহণ ও নিস্পত্তি করতে পারবেন এবং এরূপ মামলার ডিক্রির সেরূপ কার্যকরতা থাকবে, যেরূপ এই আদালতের স্থানীয় সীমানার এখতিয়ারে উক্ত সম্পত্তি অবস্থিত হলে কার্যকরতা থাকতঃ

তবে শর্ত থাকে যে, মামলাটির প্রকৃতি ও মূল্য এমন হতে হবে যার সম্পর্কে আদালত এখতিয়ার প্রয়োগ করতে সক্ষম।

(২) যেখানে (১) উপধারা অনুসারে বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা হয়নি এবং আপীল বা রিভিশন আদালতে এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করা হয় যে, সম্পত্তিটি যে স্থানে অবস্থিত সেই স্থানের এরূপ সম্পত্তি সম্পর্কিত মামলায় আদালত এখতিয়ার বিহীনভাবে ডিক্রি বা আদেশ প্রদান করেছেন, তাহলে আপীল আদালত বা রিভিশন আদালত আপত্তিটি মঞ্জুর করবেন না, যদি না তিনি মনে করেন যে, মামলা দায়ের করার সময় আদালতের এখতিয়ারের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা সম্পর্কে যুক্তিসংগত কারণ ছিল না এবং ইহার ফলে ন্যায় বিচার ব্যর্থ হয়েছে।


ধারাঃ ১৯। ব্যক্তি বা অস্থাবর সম্পত্তির প্রতি অনিষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা

কোন ব্যক্তি বা কোন অস্থাবর সম্পত্তির প্রতি এক আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে অনিষ্ট সাধন করা হলে এবং বিবাদী অপর আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে বসবাস করলে বা ব্যবসা চালালে অথবা এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে বসবাস করলে বা ব্যবসা চালালে অথবা ব্যক্তিগতভাবে লাভের জন্য কাজ করলে, বাদী তার ইচ্ছা অনুসারে দুই আদালতের যেকোন একটিতে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারে।

উদাহরণঃ (ক) ক-চট্টগ্রামে বসবাস করে এবং সে ‘খ’-কে ঢাকায় মারধর করে। ‘খ’ ঢাকায় অথবা চট্টগ্রামে ক’, এর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। (খ) ক চট্টগ্রামে বসবাস করে এবং ঢাকায় ‘খ’ সম্পর্কে মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করে। ‘খ’ ঢাকায় অথবা চট্টগ্রামে “ক” এর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।

ধারাঃ ২০। যেস্থানে বিবাদী বসবাস করে বা নালিশের কারণ উদ্ভব হয়, সেস্থানে অন্যান্য মামলা দায়ের করতে হবে

(১) উপরে বর্ণিত সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, প্রত্যেকটি মামলা এমন আদালতে দায়ের করতে হবে। যার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে—

ক) বিবাদী অথবা একাধিক বিবাদী থাকলে তাদের প্রত্যেকে মামলাটি শুরু হওয়ার সময় প্রকৃতপক্ষে এবং স্বেচ্ছায় বসবাস করে বা ব্যবসা-বাণিজ্য চালায় বা ব্যক্তিগতভাবে লাভের জন্য কাজ করে; অথবা

খ) একাধিক বিবাদী থাকলে তাদের মধ্যে কোন একজন মামলা দায়েরের সময় প্রকৃতপক্ষে এবং স্বেচ্ছায় বসবাস করে বা ব্যবসা-বাণিজ্য চালায় বা লাভের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাজ করে, এই শর্তে যে, এরূপ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি থাকতে হবে অথবা যে সকল বিবাদী উপরে বর্ণিত মতে বসবাস করে না বা ব্যবসা চালায় না বা লাভের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাজ করে না, এরূপ মামলা দায়েরের ব্যাপারে মৌনভাবে সম্মতি দেয়; অথবা

গ) মামলার কারণ সম্পূর্ণরূপে বা অংশতঃ উদ্ভব হয়।

ব্যাখ্যা-(১) কোন ব্যক্তির একস্থানে স্থায়ী বাসস্থান ও অন্যস্থানে অস্থায়ী বাস স্থানে বসবাস করেন বলে ধরে নিতে হবে।

(২) কোন কর্পোরেশন বাংলাদেশে ইহার একমাত্র অথবা প্রধান অফিসে ব্যবসা চালায় বলে ধরতে হবে, অথবা যেখানে ইহার অধঃস্তন কোন কার্যালয় আছে, সেই এলাকায় মামলার কোন কারণ উদ্ভব হলে, উহা তথায় ব্যবসা চালায় বলেও ধরতে হবে।

উদাহরণসমূহঃ
(ক) ক ঢাকার একজন ব্যবসায়ী। ‘খ’ চট্টগ্রামে ব্যবসা চালায়। ‘খ’ তার প্রতিনিধি দ্বারা ঢাকাতে ‘ক’-এর মালামাল খরিদ করে এবং বাংলাদেশ বিমানে অর্পণ করার জন্য "ক"-কে অনুরোধ করে। ‘ক’ তদানুসারে মালগুলি ঢাকায় অৰ্পণ করে। ক’ মালগুলির মূল্যের জন্য খ-এর বিরুদ্ধে ঢাকায় যেখানে মামলার কারণ উদ্ভব হয়েছে, অথবা চট্টগ্রামে যেখানে "খ" ব্যবসা চালায়, মামলা করতে পারে।

(খ) ক কক্সবাজের ‘খ’ ঢাকায় এবং ‘গ’ চট্টগ্রামে বসবাস করে। ক, খ ও গ একত্রে খুলনায় থাকাবস্থায় খ ও গ একত্রে যৌথভাবে একটি চাহিবামাত্র পরিশোধযোগ্য প্রমিসরি নোটে স্বাক্ষর করে উহা ক-কে দেয়। ক’ খুলনাতে খ ও গ-এর বিরুদ্ধে যেখানে মামলার কারণ উদ্ভব হয়েছে, মামলা করতে পারে। সে খ-এর বিরুদ্ধে ঢাকায়, যেখানে সে বসবাস করে এবং গ-এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে যেখানে সে বসবাস করে মামলা করতে পারে। কিন্তু এরূপ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিবাদীদের মধ্যে যে ব্যক্তি বসবাস করে না, সে আপত্তি করলে আদালতের অনুমতি ব্যতিত মামলার কার্য অগ্রসর হতে পারে না।

ধারাঃ ২১। এখতিয়ার সম্পর্কে আপত্তি

যে আদালতে প্রথম মামলা করা হয়, সেই আদালতে প্রথম সম্ভাব্য সুযোগে এবং বিচার্য বিষয় স্থির করার সময় বা তৎপূর্বে আপত্তি উত্থাপন করা না হলে এবং পরিণামে ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ না হলে কোন আপীল বা রিভিশন আদালত মামলা দায়েরের স্থান সম্পর্কে কোন আপত্তি মঞ্জুর করবেন না।


ধারাঃ ২২। একাধিক আদালতে দায়েরযোগ্য মামলা স্থানান্তরের ক্ষমতা

যখন কোন মামলা দুই বা ততোধিক আদালতের যে কোন একটিতে দায়ের করা চলে এবং মামলাটি এরূপ যে কোন একটি আদালতে দায়ের করা হয়ে থাকে, তখন যে কোন বিবাদী অপর পক্ষকে নোটিশ দিয়া প্রথম সম্ভাব্য সুযোগ ও বিচার্য বিষয় নির্ধারণের সময় বা তৎপূর্বে অপর একটি আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে পারে এবং আদালত এরূপ আবেদনপত্র পাওয়ার পর অপর পক্ষের আপত্তি (যদি থাকে) শ্রবণ করে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতসমূহের কোনটিতে মামলা অগ্রসর হবে তা নির্ধারণ করবেনা।


ধারাঃ ২৩। যে আদালতে দরখাস্ত করতে হয়

(১) যখন এখতিয়ারসম্পন্ন একাধিক আদালত এই আপীল আদালতের অধীন হয়, তখন সেই আপীল আদালতে ২২ ধারা অনুসারে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে।

(২) এরূপ আদালতগুলি বিভিন্ন আপীল আদালতের অধীন হলে দরখাস্ত হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করতে হবে।

(৩) বাতিল



ধারাঃ ২৪। স্থানান্তর ও প্রত্যাহারের সাধারণ ক্ষমতা

(১) মামলার যে কোন পক্ষের আবেদনক্রমে, সকলপক্ষকে নোটিশ দিয়া এবং তাদের কারো বক্তব্য শুনার ইচ্ছা করলে তা শ্রবণ করে অথবা কোন নোটিশ না দিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে হাইকোর্ট বিভাগ অথবা জেলা আদালত যে কোন স্তরে

ক) তার সম্মুখে বিচারাধীন কোন মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম তার অধীনস্থ এবং ইহা বিচার করার এখতিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতে বিচার বা নিস্পত্তির জন্য স্থানান্তরিত করতে পারেন, অথবা

খ) তার অধীনস্থ কোন আদালত হতে কোন মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম প্রত্যাহার করতে পারেন, এবং

১. ইহার বিচার বা নিস্পত্তি করতে পারেন, অথবা

২. ইহার বিচার বা নিম্পত্তি করার উপযুক্ত কোন আদালতে বিচার বা নিস্পত্তির জন্যে স্থানান্তর করতে পারেন, অথবা

৩. যে আদালত হতে উহা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, সেই আদালতে বিচার বা নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করতে পারেন।

২) কোন মামলা (১) উপধারা অনুসারে স্থানান্তরিত বা প্রত্যাহৃত হয়ে থাকলে পরে যে আদালতে ইহার বিচার হয়, সেই আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ সাপেক্ষে পূর্ণ বিচার করতে পারেন, অথবা যে পর্যায় হতে উহা স্থানান্তর বা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, সেই পর্যায় হতে বিচার শুরু করতে পারেন।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ও সহকারী জজের আদালতকে জেলা কোর্টের অধীন বলে গণ্য করতে হবে।

(৪) স্মলকজ কোর্ট হতে স্থানান্তরিত বা প্রত্যাহৃত মামলার বিচারকারী আদালতকে উক্ত মামলার ব্যাপারে স্মলকজ কোর্ট বলে গণ্য করতে হবে।


ধারাঃ ২৪ক। স্থানান্তর ইত্যাদিতে পক্ষগণের উপস্থিতি

(১) ২২ ধারার অধীনে মামলা স্থানান্তরিত হলে অথবা কোন এক পক্ষের আবেদনে ২৪ ধারার (১) উপধারার অধীনে কোন মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম স্থানান্তরিত বা প্রত্যাহৃত হলে, ঐ স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আদেশ প্রদানকারী আদালত যদি নিজেই এই মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রমের বিচার নিস্পত্তি করেন, তবে তার নিজের সম্মুখেই অথবা যে আদালতে উহা স্থানান্তরিত হয়েছে, তার সম্মুখে পক্ষগণের উপস্থিতির জন্য অবশ্যই একটি তারিখ ধার্য করবেন।

(২) যেক্ষেত্রে কোন পক্ষের আবেদন ব্যতিরেকে কোন মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম এক আদালত হতে অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হয়, সেক্ষেত্রে মামলার পক্ষগণকে অবশ্যই যে আদালত হতে মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম স্থানান্তরিত হয়েছে, সেই আদালতে উপস্থিতির জন্য পূর্ব নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে এবং এরূপ আদালত তখন সেই পক্ষগণকে স্থানান্তরের সেই আদেশটি অবশ্যই অবহিত করাবেন এবং পক্ষগণকে ঐ দিনই অথবা অন্য আদালতের অবস্থানের দূরত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে সেরূপ যুক্তিসংগত দ্রুততর তারিখে যে আদালতে মামলা, আপীল বা অন্য কর্যক্রমটি স্থানান্তরিত হয়েছে, সেই আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিবেন।


ধারাঃ ২৫। বাতিল



ধারাঃ ২৬। মামলা দায়ের

প্রত্যেকটি মামলা আরজি পেশ করে বা নির্ধারিত অন্য কোন পদ্ধতিতে দায়ের করতে হবে।


ধারাঃ ২৭। বিবাদীর প্রতি সমন

মামলা সঠিকভাবে দায়ের করা হলে, বিবাদীকে হাজির হয়ে দাবীর জবাব দেয়ার জন্য সমন দেয়া যেতে পারে এবং উহা নির্ধারিত পদ্ধতিতে জারী করা যেতে পারে।


ধারাঃ ২৮। বাতিল


ধারাঃ ২৯। বিদেশী সমনজারী

বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত দেওয়ানী বা রাজস্ব আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সমন এবং অন্যান্য পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতসমূহে প্রেরণ করা যেতে পারে এবং উহাকে বাংলাদেশী আদালতের সমন বলে ধরে নিয়ে জারী করা যেতে পারেঃ তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারী করে এরূপ আদালতের প্রতি এই ধারার শর্তসমূহ প্রযোজ্য বলে ঘোষণা করবেন।


ধারাঃ ৩০। আবিস্কার ও অনুরূপ বিষয়ের আদেশ দানের ক্ষমতা

যেরূপ নির্ধারণ করা হয়, সেরূপ শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে কোন আদালত যে কোন সময় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে অথবা কোন একপক্ষের আবেদনক্রমে -

ক) প্রশ্নাবলী সরবরাহ ও জবাবদান, দলিল ও তথ্য গ্রহণ এবং সাক্ষ্য হিসেবে দাখিলযোগ্য দলিল বা অন্য কোন বস্তু আবিস্কার, পরিদর্শন, দাখিল, অন্তরীণ বা ফেরৎ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বা সংগত আদেশ দিতে পারেন;

খ) স্বাক্ষদান বা দলিল দাখিল বা উপরোক্ত অন্য কোন উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তির হাজির হওয়া দরকার তার প্রতি সমন প্রদান করতে পারেন;

গ) কোন তথ্য শপথনামা দ্বারা প্রমাণের আদেশ দিতে পারেন।


ধারাঃ ৩১ সাক্ষীর প্রতি সমন

সাক্ষ্যদান, দলিল পেশ ও অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে ২৭ ও ২৯ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।


ধারাঃ ৩২। হাজির না হলে দণ্ড

যার প্রতি ৩০ ধারা অনুসারে সমন দেয়া হয়েছে, আদালত তাকে হাজির হতে বাধ্য করতে পারেন এবং এই উদ্দেশ্যে

ক) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করতে পারেন;

খ) তার সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় করতে পারেন;

গ) তাকে অনধিক ৫০০ টাকা জরিমানা করতে পারেন;

ঘ) তার হাজিরার জন্য তাকে জামানত দেয়ার আদেশ দিতে পারেন; এবং জামানত না দিলে তাকে দেওয়ানী কারাগারে প্রেরণ করতে পারেন।



ধারাঃ ৩৩। রায় এবং ডিক্রি

মামলার শুনানি হওয়ার পর আদালত রায় ঘোষণা করবে এবং এরূপ রায়ের ভিত্তিতে ডিক্রি প্রণীত হবে।


ধারাঃ ৩৪। সুদ

(১) কোন বিষয়ে এবং টাকা পরিশোধ সম্পর্কিত ডিক্রি হলে স্থিরকৃত মূল অংশের উপর মামলা দায়েরের তারিখ হতে ডিক্রির তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য আদালতের বিবেচনায় সংগত হারে সুদ প্রদানের জন্য ডিক্রিতে নির্দেশ দিতে পারেন, ইহা ছাড়াও মামলা দায়েরের পূর্ববর্তী কোন সময়ের জন্য এবং ডিক্রির তারিখ হতে টাকা পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত যা আদালত সঠিক মনে করেন, আদালত উহার বিবেচনায় সংগত হারে অতিরিক্ত সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।

(২) কোন ডিক্রিতে মামলা দায়েরের পূর্ববর্তী কোন তারিখ বা ডিক্রির তারিখ হতে টাকা পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য সুদ প্রদান সম্পর্কে কোন নির্দেশ না থাকলে আদালত ঐরুপ সুদ দিতে অস্বীকার করেছেন বলে ধরতে হবে; এইজন্য কোন পৃথক মামলা দায়ের করা চলবে না।



ধারাঃ ৩৫। মামলার ব্যয়

(১) যে সকল শর্তাদি ও সীমানা নির্ধারণ করা হয় তা এবং বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের বিধান সাপেক্ষে মামলার খরচ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি আদালতের সুবিবেচনার উপর নির্ভর করবে এবং কাকে বা কোন সম্পত্তি হতে কি পরিমাণ খরচ প্রদান করতে হবে, তা নির্ধারণ করার এবং উপরে বর্ণিত মতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করার পূর্ণ ক্ষমতা আদালতের থাকবে। কোন আদালতের সংশ্লিষ্ট মামলা বিচার করার এখতিয়ার নেই বলে এরূপ ক্ষমতা প্রয়োগের কোন বাধা থাকবে না।

(২) যখন কোন আদালত নির্দেশ দেন যে, কোন মামলার খরচ পরিণামকে অনুসরণ করবেন না, তখন আদালত উহার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

(৩) আদালত মামলার খরচের উপর অনধিক শতকরা বার্ষিক ছয় টাকা হারে সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন এবং ইহা খরচের ন্যায় আদায়যোগ্য হবে।


ধারাঃ ৩৫ক। মিথ্যা বা বিরক্তিকর দাবী বা জবাব সম্পর্কে ক্ষতিপূরণমূলক খরচ

(১) আপীল ব্যতিত কোন মামলার বা জারী কার্যক্রমসহ অপর কোন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোন পক্ষ যদি কোন দাবী বা প্রতিবাদীর জবাব বা উহার কোন অংশ তার জ্ঞান মতে মিথ্যা বা বিরক্তিকর বলে আপত্তি উথাপন করে এবং পরে যদি এরূপ দাবী বা জবাব সামগ্রিক বা আংশিকভাবে আপত্তিকারীর বিরুদ্ধে না-মঞ্জুর, পরিত্যাক্ত বা প্রত্যাহৃত হয় এবং আপত্তিটি যদি প্রথম সুযোগে উত্থাপিত হয়ে থাকে এবং আদালত উপযক্ত মনে করলে লিখিতভাবে কারণ দর্শায়ে উক্ত দাবী বা প্রতিবাদীর জবাবকে মিথ্যা বা বিরক্তকর বলে ঘোষণা করতে পারেন এবং যেপক্ষ ঐরুপ দাবী বা জবাব উত্থাপন করেছিল, সেইপক্ষ কর্তৃক আপত্তিকারীকে ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।

(২) আদালতের আর্থিক এখতিয়ার অথবা অনধিক পাচ হাজার টাকা, যাহই স্বল্পতর হবে, সেই পরিমাণ টাকার অধিক ক্ষতিপূরণের জন্য আদালত এরূপ আদেশ দিবেন নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ১৮৮৭ সালের স্মল কজ কোর্ট আইনের অধীনে কোন আদালত যদি স্মল কজ আদালতের আর্থিক সীমানার এখতিয়ার প্রয়োগ করে এবং ইহা যদি উক্ত আইনের অধীনে গঠিত না হয়ে থাকে এবং ইহার আর্থিক এখতিয়ার দুইশত পঞ্চাশ টাকার কম হয়, তাহলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত আদালতকে এই ধারা অনুসারে অনধিক দুই-শত পঞ্চাম টাকা এবং ইহার আর্থিক এখতিয়ারের সীমানা অপেক্ষা একশত টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দানের ক্ষমতা দিতে পারেনঃ

আরও শর্ত থাকে যে, কোন আদালত বা কোন শ্রেণীর আদালত যে পরিমাণ অর্থ এই ধারা অনুসারে ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন, হাইকোর্ট বিভাগ তার পরিমাণ ঠিক করে দিতে পারেন।

(৩) এই ধারা অনুসারে যার বিপক্ষে আদেশ দেয়া হয়েছে, তিনি কেবল এই জন্যই উক্ত দাবী বা জবাবের ব্যাপারে ফৌজদারী দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পাবেন।

(৪) এই ধারা অনুসারে কোন মিথ্যা বা বিরক্তিকর দাবী বা জবাব সম্পর্কে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেয়া হলে পরবর্তীকালীন কোন মামলায় এরূপ দাবী বা জবাবের জন্য ক্ষতিপূরণের পূর্বে প্রদত্ত পরিমাণ বিবেচনা করা হবে।


ধারাঃ ৩৬ আদেশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ

ডিক্রি জারী সম্পর্কে এই আইনের বিধানগুলি যথাসম্ভব আদেশ জারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে গণ্য হবে।


ধারাঃ ৩৭। যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন তার সংজ্ঞা

"যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন অথবা অনুরূপ কোন শব্দ দ্বারা ডিক্রিজারীর ব্যাপারে প্রসঙ্গ বা বিষয়বস্তুতে বিপরীত কিছু না থাকলে—

ক) জারীযোগ্য ডিক্রি আপীল আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হলে, প্রথম আদালত এবং

খ) প্রথম আদালত উঠে গিয়া থাকলে বা তার এখতিয়ার রহিত হয়ে থাকলে যদি মামলাটি তথায় দায়েরের পর ডিক্রি হয়ে থাকে, তবে ডিক্রি জারীর আবেদন করার সময় যে আদালতের সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারের এখতিয়ার থাকত, সেই সব আদালতও বুঝাবে বলে ধরে নিতে হবে।



ধারাঃ ৩৮। যে আদালত কর্তৃক ডিক্রি জারী করা যায়

যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন, সেই আদালত অথবা যে আদালতে উহা জারীর জন্য প্রেরিত হয়েছে সেই আদালত ডিক্রি জারী করতে পারেন।


ধারাঃ ৩৯। ডিক্রি স্থানান্তর

(১) ডিক্রিদারের আবেদনক্রমে ডিক্রি প্রদানকারী আদালত উহা জারীর জন্য অন্য আদালতে প্রেরণ করতে পারেন—

ক) যার বিরুদ্ধে ডিক্রি প্রদান করা হয়েছে, তিনি যদি উক্ত অন্য আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে স্বেচ্ছায় বসবাস করেন বা ব্যবসা চালানো বা ব্যক্তিগতভাবে লাভজনক কাজ করেন, অথবা

খ) যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন, তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ডিক্রির দাবী পূরণের জন্য উক্ত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি না থাকলে এবং অন্য আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে তার সম্পত্তি থাকলে, অথবা

গ) ডিক্রিতে ডিক্রি প্রদানকারী আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার বাইরে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় বা অপণের নির্দেশ থাকলে, অথবা,

ঘ) ডিক্রি প্রদানকারী আদালত যদি অন্য কোন কারণে মনে করেন যে, ডিক্রিটি অন্য আদালতে জারী হওয়া উচিত, তাহলে তিনি উহার কারণ লিখবেন।

(২) ডিক্রি প্রদানকারী আদালত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কোন ডিক্রিজারীর জন্য উহা উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন কোন অধঃস্তন আদালতে প্রেরণ করতে পারেন।


ধারাঃ ৪০। বাতিল


ধারাঃ ৪১ ৷ জারী কার্যক্রমের ফলাফল অবহিত করতে হবে

যে আদালতের নিকট ডিক্রি জারী হওয়ার বিষয় অথবা জারী না হলে তার কারণ ও পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবে অবহিত করবেন।


ধারাঃ ৪২। স্থানান্তরিত ডিক্রি জারীর ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা

(১) জারী করার জন্য কোন ডিক্রি যে আদালতের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে, সেই আদালত উহা জারী করার ব্যাপারে উক্ত প্রদানকারী আদালতের ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেনা কোন ব্যক্তি ডিক্রি জারী অমান্য করলে বা বাধা প্রদান করলে উক্ত আদালত কর্তৃক একই ভাবে উহার নিজের প্রদত্ত ডিক্রি জারীর মতই উক্ত আদালত অমান্যকারী ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করতে পারবেন এবং এই ডিক্রি জারীর ব্যাপারে আদালত কোন আদেশ দিলে তা আপীলের ক্ষেত্রে সেই বিধিমালা সাপেক্ষ হবে, ডিক্রিটি আদালতের নিজস্ব হলে যে বিধিমালা সাপেক্ষ হতো।

(২) পূর্বে উল্লেখিত আইনের ধারার ব্যতিক্রম হীনতা ক্ষুন্ন না করে যে আদালতে কোন ডিক্রি জারী জন্য প্রেরণ করা হয়েছে, সেই আদালতের নিম্নোক্ত ক্ষমতাসমূহ থাকবে, যেমন—

ক) যদি প্রয়োজন হয়, তবে ৩৯ ধারার অধীনে ডিক্রিটি স্থানান্তর করার ক্ষমতা;

খ) কোন মৃত রায়ের দেনাদারের (judgment-bebtor) বৈধ প্রতিনিধিগণের বিরুদ্ধে ৫০ নং ধারার (১) উপ-ধারার অধীনে জারীর কার্যক্রম গ্রহণের অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা;

গ) কেরাণীগত বা গাণিতিক ভুল সংশোধন করার জন্য ১৫২ ধারার অধীনে ক্ষমতা;

ঘ) ২১ আদেশের ১৬ বিধির অধীনে কোন ডিক্রির স্বত্বনিয়োগ স্বীকার করার ক্ষমতা;

ঙ) কোন ফার্মের বিরুদ্ধে জারী কার্যক্রমে ফার্মের অংশীদাররূপে এখনও পরিচিত নহে এমন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন ডিক্রিদারকে অনুমতি মঞ্জুর করার নিমিত্ত ২১ আদেশের ৫০ বিধির (২) উপবিধির অধীন ক্ষমতা;

চ) অন্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রির ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি দান করার জন্য ২১ আদেশের ৫৩ বিধির ১(খ) উপবিধির অধীন ক্ষমতা।


ধারাঃ ৪৩। যেখানে অত্র জারীর বিধান প্রযোজ্য নহে সেই বিদেশী ভূমিতে ডিক্রি জারী

বাংলাদেশের যে এলাকায় ডিক্রি জারী সম্পর্কিত বিধানগুলি প্রযোজ্য নহে, সেই এলাকার কোন দেওয়ানী আদালত কোন ডিক্রি প্রদান করলে এবং উহা উক্ত আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের সীমার মধ্যে জারী করা না গেলে, উহা বাংলাদেশের অন্য কোন আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে, অতঃপর এতে বর্ণিত পদ্ধতিতে জারী করা যাবে।


ধারাঃ ৪৪। বাতিল
ধারাঃ ৪৪ক। যুক্তরাজ্য বা অপর কোন পারস্পরিক সম্বন্ধযুক্ত দেশ কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রিজারী

(১) যুক্তরাজ্য বা অপর কোন পারস্পরিক সম্বন্ধযুক্ত দেশের কোন উর্ধ্বতন আদালতের ডিক্রির সহি মোহরকৃত নকল বাংলাদেশের কোন জিলা আদালতে পেশ

(২) সহি মোহরকৃত ডিক্রির নকলের সাথে এরূপ উর্ধ্বতন আদালতের ডিক্রীতে বর্ণিত দাবীর যে পরিমাণ মেটান বা সমন্বয় করা হয়েছে, সেই পরিমাণ সম্পর্কে উক্ত আদালত একটি প্রত্যায়নপত্র পেশ করবেন এবং এরূপ প্রত্যায়নপত্র এই ধারার কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে এরূপ পরিশোধ বা সমন্বয়ের পরিমাণ সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমাণ বলে গণ্য হবে।

(৩) আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক যদি প্রমাণ করা যায় যে ডিক্রিটি ১৩ ধারার (ক) হতে (চ) দফা পর্যন্ত ব্যতিক্রমের কোন একটির অন্তর্ভুক্ত, তাহলে জিলা আদালত উহা জারী করতে অস্বীকার করবেন।

প্রথম ব্যাখ্যাঃ উর্ধ্বতন আদালত বলতে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট ও ভরহামের কাউন্টি প্যাল্যাটাইনের ক্ষেত্রে চ্যান্সারী আদালতকে বুঝায়।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যাঃ পারস্পরিক সম্বন্ধযুক্ত ভূখন্ড বলতে যুক্তরাজ্য এবং এরূপ অন্যান্য দেশ বা ভূখন্ড যাকে সরকার সময় সময় সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ধারার উদ্দেশ্যে পারস্পরিক সমযুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এরূপ দেশের ক্ষেত্রে যে সব আদালত উক্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত হয়, সেই সব আদালত উর্ধ্বতন আদালত হিসেবে গণ্য হয়।

তৃতীয় ব্যাখ্যাঃ উধ্বতন আদালতের ডিক্রি বলতে উক্ত আদালতের এমন কোন রায় বা ডিক্রি বুঝায়, যাতে কোন অর্থ যা কোন কর বা অনুরূপ কোন দেয়া হয়েছে: এবং

ক) যুক্তরাজ্যের উর্ধ্বতন আদালতের ক্ষেত্রে ডিক্রি বা রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার ফলে যে ডিক্রি বা রায় দেয়া হয়েছে, তাও বুঝাবে, কিন্তু

খ) কোনক্রমেই সালিশী রোয়েদাদ বুঝাবে না, যদিও এরূপ রোয়েদাদ ডিক্রি বা রায় হিসেবে জারী যোগ্য।

ধারাঃ ৪৫। বাতিল

ধারাঃ ৪৬। লিখিত হুকুমনামা

(১) ডিক্রিদারের আবেদনক্রমে ডিক্রি প্রদানকারী আদালত উপযুক্ত মনে করলে, যে আদালত এরূপ ডিক্রি রায়ের দেনাদারের সম্পত্তি ক্রোক করেও লিখিত হুকুম নামায় বর্ণিত মতে জারী করতে যোগ্য, সেরূপ অন্য কোন আদালতকে লিখিত হুকুমনামা প্রদান করতে পারেন।

(২) যে আদালতে লিখিত হুকুমনামা প্রেরণ করা হয়েছে, সেই আদালত ডিক্রি জারীর ব্যাপারে সম্পত্তি ক্রোকের নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে সম্পত্তি ক্রোক করবেন, তবে শর্ত থাকে যে, ডিক্রিদানকারী আদালত ক্রোকের মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে অথবা এরূপ ক্রোকের সিদ্ধান্তে পৌছাবার পূর্বে ক্রোকাদেশ প্রদানকারী আদালতের নিকট ডিক্রিটি হস্তান্তর করা না হয়ে থাকলে এবং ডিক্রিদার সম্পত্তি বিক্রয়ের আবেদন না করলে হুকুমনামার অধীনে কোন ক্রোক দুই মাসের অধিককাল বলবৎ থাকবে না।



ধারাঃ ৪৭। বাতিল


ধারাঃ ৪৮। কতিপয় ক্ষেত্রে ডিক্রি জারী বারিত

(১) নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি ব্যতিত অন্য কোন ডিক্রি জারীর জন্য আবেদন না করা হয়ে থাকলে সেই একংই ডিক্রি জারীর জন্য—

ক) যে ডিক্রি জারীর আবেদন করা হয়েছে, তার তারিখ, অথবা

খ) যে ক্ষেত্রে কোন ডিক্রি বা পরবর্তীকালীন আদেশ দ্বারা কোন নির্ধারিত তারিখে বা আবর্তক মেয়াদে টাকা পরিশোধ বা কোন সম্পত্তি প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এরূপ পরিশোধ বা প্রদানের তারিখ হতে যে ডিক্রি জারীর প্রার্থনা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ১২ বৎসর অতিবাহিত হয়ে গেলে কোন নতুন আবেদনের উপর জারীর আদেশ প্রদান করা যাবে না।

(২) এই ধারার কোন বিধান

ক) আবেদনের তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বার বৎসরের মধ্যে ডিক্রি জারীর ব্যাপারে রায়ের দেনাদার প্রতারণা বা বলপ্রয়োগের দ্বারা ডিক্রি জারী ব্যাহত করে থাকলে উক্ত বার বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর দাখিলকৃত আবেদন মোতাবেক ডিক্রি জারীর আদেশ দানে আদালতকে বারণ করবে বলে গণ্য হবে না; অথবা

খ) ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ১৮৩ অনুচ্ছেদের কার্যকরতা সীমাবদ্ধ বা অন্য কোনরূপ প্রভাবিত করবে না।



ধারাঃ ৪৯। হস্তান্তর গ্রহীতা

মূল ডিক্রিদারের বিরুদ্ধে রায়ের দেনাদার যে সকল অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, প্রত্যেক ডিক্রির হস্তান্তর গ্রহীতা একই বিষয় ন্যায়তার সাথে হস্তান্তর গ্রহীতা (যদি থাকে) প্রয়োগের অধিকারী হবেনা।


ধারাঃ ৫০। বৈধ প্রতিনিধি

(১) ডিক্রির দাবী সম্পূর্ণ মেটানোর পূর্বেই যদি রায়ের দেনাদারের মৃত্যু হয়, তবে ডিক্রিদার মৃত ব্যক্তির বৈধ প্রতিনিধি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির যে অংশ তার হাতে এসেছে এবং যা তিনি পুরাপুরিভাবে হস্তান্তর করেননি, তার আনুপাতিক পরিমাণের জন্য তিনি দায়ী হবেন এবং তার দায়িত্বের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ডিক্রি জারীকারক আদালত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে অথবা ডিক্রিদারের আবেদনক্রমে ইহার মতানুসারে উপযুক্ত হিসাব দালিকের জন্য উক্ত বৈধ প্রতিনিধিকে বাধ্য করতে পারেন।


ধারাঃ ৫১। জারী কার্যকর করার জন্য আদালতের ক্ষমতা

যে সকল শর্তাদি ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়, তৎসাপেক্ষে আবেদনক্রমে আদালত ডিক্রি জারীর আদেশ প্রদান করতে পারেন—

ক) স্পষ্টভাবে ডিক্রিভূক্ত কোন সম্পত্তি অর্পণের দ্বারা;

খ) কোন সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় অথবা ক্রোক ব্যতিত কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের দ্বারা;

গ) গ্রেফতার ও কারাগারে আটক করে;

ঘ) রিসিভার নিয়োগ করে; অথবা

ঙ) প্রদত্ত প্রতিকারের প্রকৃতি অনুসারে অন্য কোন পন্থায়ঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ডিক্রিটি যদি অর্থ পরিশোধের জন্য হয়, তবে কারাগার আটকের আদেশ দেয়া যাবে না, যদি না রায়ের দেনাদারকে কেন কারাগারে সোপর্দ করা হবে না, তার কারণ দর্শাইবার জন্য সুযোগ দেয়ার পর আদালত সম্ভষ্ট হয়ে নিমের যে কোন কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করেন

ক) যে রায়ের দেনাদার ডিক্রি জারীর বাধাদান বা উহা বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে

(১) পলাতক হতে পারে অথবা সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা পরিত্যাগ করতে পারে, অথবা

(২) যে মামলায় ডিক্রি দেওযা হয়েছে তা দায়েরের পর তার সম্পত্তির কোন অংশ অসদুপায়ে হস্তান্তরিত, গোপন বা অপসারিত করেছে বা তার সম্পত্তি নিয়ে অন্য কোনরূপ খারাপ বিশ্বাসের কাজ করেছে; অথবা

খ) ডিক্রির তারিখ পর্যন্ত বা তৎপর ডিক্রির টাকা সম্পূর্ণ বা তার উপযুক্ত অংশ পরিশোধের সংগতি রায়ের দেনাদারের ছিল বা আছে, এবং সেই টাকা পরিশোধে সে অস্বীকার বা অবহেলা করে বা অস্বীকার বা অবহেলা করেছে, অথবা

গ) ডিক্রিটি যে পরিমাণ অর্থের জন্য ছিল, সেই পরিমাণের জন্য রায়ের দেনাদার আস্থাভাজন ব্যক্তির ভূমকিয় হিসেবে জন্য দায়ী ছিল।

ব্যাখ্যাঃ দফা (খ) এ বর্ণিত রায়ের দেনাদারের সংগতি হিসেবে করার সময় রায়ের দেনাদারের যে সম্পত্তি বর্তমানে প্রচলত কোন আইন বা আইনের ন্যায় প্রযোজ্য অপর কোন রীতি অনুসারে ডিক্রিজারীর দরুণ ক্রোক হতে অব্যাহতি লাভের যোগ্য, তা হিসেবে ধরা চলবে না।



ধারাঃ ৫২। বৈধ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিক্রি কার্যকর করা

(১) কোন মৃত ব্যক্তির বৈধ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যখন কোন ডিক্রি দেয়া হয়, এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি হতে টাকা পরিশোধের জন্য যদি উক্ত ডিক্রি দেয়া হয়, এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি হতে টাকা পরিশোধের জন্য যদি উক্ত ডিক্রি দেয়া হয়ে থাকে, তবে সেরূপ কোন সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের দ্বারা উক্ত ডিক্রিজারী করা যেতে পারে।

(২) যে ক্ষেত্রে রায়ের দেনাদারের দখলে অনুরূপ কোন সম্পত্তি না থাকে এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি তার দখলে আসিয়াছিল বলে প্রমাণ থাকে, আর তার যথাযথ ব্যবহার করেছে বলে যদি আদালতকে সম্ভষ্ট করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সম্পত্তির যে পরিমাণের ব্যাপারে আদালতকে সম্ভষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই পরিমাণের অনুপাতে রায়ের দেনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রিটি জারী করা যাবে, যেন ডিক্রিটি ব্যক্তিগতভাবে তারই উপর প্রদত্ত হয়েছিল।



ধারাঃ ৫৩। পূর্ব পুরুষের সম্পত্তির দায়

যখন মৃত পূর্ব পুরুষের কোন সম্পত্তি পুত্র বা অপর কোন বংশধরের হাতে আসে যা হিন্দু আইন অনুসারে দেনা পরিশোধের দায়ের অধীন, সেই সম্পত্তি সম্পর্কে কোন ডিক্রি প্রদান করা হলে সেই সম্পত্তি ৫০ ও ৫২ ধারার উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে পুত্র বা অপর বংশধরের হস্তগত সম্পত্তি গণ্য হবে।


ধারাঃ ৫৪ ৷ সম্পত্তি বাটোয়ারা বা অংশ পৃথকীকরণ

যে ক্ষেত্রে সরকারী রাজস্ব প্রদানের প্রয়োজনে কোন অবিভক্ত সম্পত্তি বাটোয়ারার জন্য অথবা অনুরূপ কোন সম্পত্তির কোন অংশের পৃথক দখলের জন্য ডিক্রি প্রদত্ত হয়েছে, সেক্ষেত্রে কালেকটর অথবা তার পক্ষে মনোনীত কোন গেজেটের অধঃস্তন কর্মকর্তা বাটোয়ারা বা অংশ পৃথকীকরণ সম্পর্কে বর্তমানে প্রচলিত কোন আইন (যদি থাকে) অনুসারে এরূপ সম্পত্তির বাটোয়ারা বা অংশ পৃথকীকরণ সম্পন্ন করবেন।



ধারাঃ ৫৫। গ্রেফতার ও আটক

(১) ডিক্রি জারীর জন্য কোন রায়ের দেনাদারকে যে কোন সময় এবং যে কোন দিনে গ্রেফতার কুরা যেতে পারবে এবং যথাসম্ভব শীঘ্র তাকে আদালতে হাজির করতে হবে, এবং তাকে আটক রাখার আদেশ দানকারী আদালত যে জেলায় অবস্থিত, সেই জেলার দেওয়ানী কারাগারে তাকে আটক রাখা যেতে পারবে, অথবা যেখানে দেওয়ানী কারাগারে উপযুক্ত স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা নাই, সেক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে তাকে আটক রাখা যাবেঃ

প্রথমতঃ শর্ত থাকে যে, অত্র ধারা অনুসারে কাউকেও গেফতারের জন্য সূর্যাস্তের পর ও সূর্যোদয়ের পূর্বে কোন বাসগৃহে প্রবেশ করা যাবে না।

দ্বিতীয়তঃ শর্ত থাকে যে, কোন বাসগৃহের বহিঃদ্বার ভেঙ্গে খোলা যাবে না, যদিনা উহা রায়ের দেনাদারের দখলকৃত বাসগৃহ হয় এবং সে উহাতে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করে বা কোনভাবে বাধা প্রদান করে; কিন্তু গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি যথারীতি কোন প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকেন, তবে উক্ত গৃহের কোন কক্ষে রায়ের দেনাদারকে পাওয়া যাবে বলে তিনি সংগত কারণে বিশ্বাস করলে সেই কক্ষের দরজা ভেঙ্গে খুলতে পারবেন।

তৃতীয়তঃ শর্ত থাকে যে, যদি কক্ষটি এমন কোন মহিলার দখলে থাকে, যিনি রায়ের দেনাদার নহেন এবং যিনি দেশের আচার অনুসারে লোক সমক্ষে বাহির হন না, সেক্ষেত্রে গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত মহিলাকে সেখানে হতে ইচ্ছামত সরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় ও সুযোগ দেয়ার পর গ্রেফতার করার জন্য উক্ত কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেনা।

চতুর্থতঃ শর্ত থাকে যে, ডিক্রিটি জারীর জন্য রায়ের দেনাদারকে গ্রেফতার করা হলে, উক্ত ডিক্রিটি যদি টাকা পরিশোধের জন্য হয়ে থাকে এবং রায়ের দেনাদার যদি কর্মকর্তা তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিবেন।

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করতে পারেন যে, কোন ব্যক্তি বা কোন শ্রেণীর ব্যক্তিগণকে গ্রেফতার করলে জনসাধারণের বিপদ বা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে বিধায় ডিক্রি জারীর জন্য এরূপ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার কর্তৃক এই সম্পর্কে নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যতিত অন্য ভাবে গ্রেফতার করা চলবে না।

(৩) টাকা পরিশোধের ডিক্রি জারীর জন্য কোন রায়ের দেনাদারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জানাবেন যে, সে একজন দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদন করতে পারবে এবং সে যদি এরূপ আবেদনের ব্যাপারে কোন খারাপ বিশ্বাসের কাজ না করে, এবং বর্তমানে প্রচলত দেওলিয়া আইনের বিধানসমূহ মানিয়া চলে, তবে তাকে মুক্তি দেয়া যাবে।

(৪) যদি রায়ের দেনাদার দেউলিয়া ঘোষিত হবার আবেদন করার ইচ্ছা প্রকারশ করে তবে একমাসের মধ্যে সে এরূপ আবেদন পেশ করবে এবং যে ডিক্রি জারীর জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তৎসংক্রান্ত কোন ব্যাপারে ডাকা হলে সে হাজির হবেএই মর্মে জামানত প্রদান করে, তাহলে আদালত তাকে মুক্তি দিতে পারেন এবং যদি সে যথাসময়ে সেরূপ আবেদন না করে এবং হাজির না হয়, তাহলে আদালত তার জামানতের টাকা আদায়ের নির্দেশ অথবা ডিক্রি জারীর জন্য তাকে দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করার নির্দেশ দিতে পারেন

ধারাঃ ৫৬। টাকা ডিক্রি জারীতে মহিলাকে গ্রেফতার বা আটকের বাধা-নিষেধy

এই খন্ডে যে কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, আদালত টাকা পরিশোধের ডিক্রি জারীর জন্য কোন মহিলাকে গ্রেফতার বা দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার কোন আদেশ দিতে পারবেন না।

ধারাঃ ৫৭। খোরপোষ ভাতা

সরকার রায়ের দেনাদারের খোরপোষের জন্য তার পদ, গোত্র ও জাতীয়তার মাত্রাংক অনুসারে মাসিক ভাতার হার নির্দিষ্ট করতে পারবেনা।


ধারাঃ ৫৮ ৷ আটক ও মুক্তি

(১) দেওয়ানী কারাগারে ডিক্রি জারীর জন্য আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে—

ক) ডিক্রির টাকার অংক পঞ্চাশ টাকার উর্ধ্বে হলে ছয় মাসের জন্য এবং

খ) অন্য যে কোন ক্ষেত্রে ছয় সপ্তাহের জন্য আটক রাখা যাবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ছয় মাস বা ছয় সপ্তাহ পূর্ণ হবার পূর্বেই -

১. যদি তার আটকের পরোয়ানায় উল্লেখিত টাকা দেওয়ানী কারাগায়ের ভারপ্রাণ্ড কর্মকর্তাৱ কাছে পরিশোধ করা হয়, অথবা

২. তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত ডিক্রির টাকা অন্য কোনভাবে মিটানো হয়ে থাকে, আখল৷

৩. যে ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে, তার অনুরোধক্রমে আখৰা

৪. যে ব্যক্তির আবেদনক্রমে তাকে আটক করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কর্তৃক খোরাকী ভাতা প্রদানে ব্যর্থ হলে, আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া যাবেঃ

আরও শর্ত থাকে যে, আদালতের আদেশ ব্যতিত উপরোক্ত ২ ও ৩ নং দফাসমূহের অধীনে কাউকে মুক্তি দেয়া যাবে না।

(২) এই ধারার অধীনে কোন রায়ের দেনাদারকে আটক অবস্থা হতে মুক্তি দিলে উক্ত মুক্তির কারণে সে উক্ত দেনা হতে রেহাই পাবে না, কিন্তু তাকে সেই ডিক্রি জারী করে পুনরায় গ্রেফতার করাও যাবে না যে ডিক্রি জারীর ফলে সে দেওয়ানী কারাগারে আটক ছিল।

ধারাঃ ৫৯। অসুস্থতার অজুহাতে মুক্তি

(১) কোন রায়ের দেনাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতাৰী প্ৰৱোয়ানা জারী হবার পর যে কোন সময় তার গুরুতর অসুস্থতার অজুহাতে আদালত উহা ৰাতিল করতে পারেন।

(২) রায়ের দেনাদারকে গ্রেফতারের পর আদালত যদি মনে করেন যে, স্বাস্থ্যেৱ অবস্থা বিবেচনায় তাকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা চলে না, তবে আদালত তাকে মুক্তি দিতে পারেন।

(৩) যে ক্ষেত্রে রায়ের দেনাদারকে দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে-

ক) সরকার কোন সংক্রামক বা ক্ষতির ব্যাধির কারণে তাকে মুক্তি দিতে পারেন, অথবা

খ) উক্ত ব্যক্তির গুরুতর অসুস্থতার কারণে সোপর্দকারী আদালত বা উহা যে আদালতের অধঃস্তন সেরূপ আদালত তাকে মুক্তি দিতে পারেন।

(৪) এই ধারার অধীনে কোন রায়ের দেনাদারকে মুক্তি দেয়া হলে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা যাবে, কিন্তু উক্ত ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে আটকের মোট মেয়াদ ৫৮ ধারায় বর্ণিত মেয়াদের অধিক হবে না।

ধারাঃ ৬০। ডিক্রিজারীতে ক্রোকযোগ্য এবং নিলামে বিক্রয়যোগ্য সম্পপত্তি

নিম্নলিখিত সম্পত্তিগুলি ক্রোক ও বিক্রয় করে ডিক্রি জারী করা যাবে, যথাঃ জমি, বাসগৃহ অথবা অন্য, দালান কোঠা, মালপত্র, টাকা, ব্যাংক নোট, চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি, প্রমিসরি নোট, সরকারী সিকিউরিটি বন্ড বা অর্থের অন্য কোন প্রকার সিকিউরিটিস, দেনা কর্পোরেশনের শেয়ার এবং অতঃপর এখানে উল্লেখগুলি ব্যতিত রায়ের দেনাদারের অন্য সকল প্রকার স্থাবর অস্থাবর বিক্রয়যোগ্য সম্পত্তি অথবা এরূপ সম্পত্তি যার উপর অথবা যা হতে প্রাপ্য মুনাফা যার বিলি বন্টনের ক্ষমতা তার নিজের উপকারার্থে প্রয়োগের অধিকার রয়েছে, এরূপ সম্পত্তি উক্ত দেনাদারের নিজ নামেই থাকুক বা তার জিম্মাদারীতে বা তার পক্ষে অন্য নামেই থাকুকঃ

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নলিখিত জিনিসগুলি এভাবে ক্রোক বা বিক্রয় করা যাবে না।

ক) রায়ের দেনাদার, তার স্ত্রী এবং সন্তানগণের আবশ্যকীয় পরিধেয় বস্ত্ৰাধি, রান্নার বাসন-পত্রাদি, বিছানাপত্র এবং এমন গহনাপত্র যা ধর্মীয় বিধান অনুসারে কোন মহিলার পক্ষে হাতছাড়া করা সম্ভব নহে,

খ) কারিগরের যন্ত্রপাতি এবং যদি রায়ের দেনাদার একজন কৃষিজীবি হয়, তবে তার চাষের হাতিয়ার, গো-মহিষাদি ও বীজ যার আদালতের মতে তার জীবিকা অর্জনের জন্য প্রয়োজন এবং এমন কৃষিজাত দ্রব্যের বা এমন শ্রেণীর কৃষিজাত দ্রব্যের অংশ বিশেষ, যা পরবতী ধারাগুলিতে বর্ণিত বিধানে দায়মুক্ত বলে ঘোষিত;

গ) কোন কৃষকের মালিকানায় এবং তার দখলকৃত কোন বাসভূমি এবং অন্যান্য দালান কোঠা (ইহার মালমসলা এবং অবস্থান এতে প্রত্যক্ষ ভাবে সংযুক্তভূমি সহ যা তাদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয়);

ঘ) হিসেবের খাতা;

ঙ) ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়েরের একমাত্র অধিকার;

চ) ব্যক্তিগত সেবার কোন অধিকার;

ছ) সরকারী পেনশন ভোগীদের বৃত্তি এবং এককালীন সাহায্য অথবা সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে দেয় চাকুরে পরিবারের পেনশন তহবিল হতে প্রাপ্য সাহায্য এবং রাজনৈতিক নেপশন;

জ) টাকায় অথবা দ্রব্য সামগ্রী দ্বারা পরিশোধযোগ্য শ্রমিক ও গৃহভূত্যের মঞ্জুরী,

ঝ) বেতনের প্রথম একশত টাকা এবং অবশিষ্ট টাকা অর্ধেকঃ তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী অথবা রেলের কর্মচারী অথবা স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষের কর্মচারিগণের বেতন এরূপ ক্রোক করা হলে, বেতনের যে অংশ ক্রোকযোগ্য যা মাঝে মাঝে বা একযোগে ২৪ মাস যাবৎ ক্রোকাবদ্ধ রয়েছে তা পরবতী বার মাস ক্রোক হতে অব্যাহতি পাবে এবং সেই ক্রোক যদি একই তিক্রির দরুন হয়ে থাকে, তবে সেই ডিক্রির দরুন ক্রোক হতে ইহা চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি পাবে,

ঞ) যাদের বেতন ও ভাতার উপর ১৯৫২ সালের আর্মি এ্যাকট, ১৯৬১ সনের নেভী অধ্যাদেশ অথবা ১৯৫৩ সনের এয়ার ফোর্স এ্যাকট প্রযোজ্য;

ট) সকল ধরনের বাধ্যতামূলক সঞ্চয় এবং ১৯২৫ সনের প্রবিডেন্ট ফান্ড এ্যাক্টের আওতাধীন জমা দেয়া বা তথা হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ যা উক্ত আইন অনুসারে ক্রোকের যোগ্য নহে বলে ঘোষণা করা হয়েছে:

ঠ) প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, রেলের কর্মচারী বা স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষের কর্মচারিগণের প্রাপ্য যে ভাতা তার বেতনাদির অংশ হিসেবে গণ্য যা সরকার কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দ্বারা ক্রোক হতে অব্যাহতি লাভ করেছে, তা এবং সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত এরূপ কোন কর্মচারীর জীবনধারণের জন্য যে ভাতা মঞ্জুর করা হয়েছে;

ড) কারো মৃত্যুর পরে বেঁচে থেকে উত্তরাধিকারের কোন প্রত্যাশা বা শুধু অন্য কোন সম্ভাব্য অধিকার বা পার্থ

ঢ) ভবিষ্যতে খোরপোষ লাভের অধিকার,

ণ) বাংলাদেশের কোন আইন অনুসারে ডিকি জারীর দরুন ক্রোক ও নিলাম বিক্রয় হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত কোন ভাতা; এবং

ত) যে ক্ষেত্রে রায়ের দেনাদার ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়ী থাকে, সেক্ষেত্রে বর্তমানে বলবৎ কোন আইন অনুসারে বকেয়া ভূমি রাজস্ব পরিশোধের জন্য নিলাম বিক্রয় হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত অস্থাবর সম্পত্তি।

ব্যাখ্যা ১। (ছ), (জ), (ঝ), (এ4), (ঠ) ও (গ) দফাসমূহে বর্ণিত জিনিসগুলি প্রকৃতপক্ষে পাওনা হওয়ার পূর্বে বা পরে ক্রোক ও নিলাম বিক্রয় হতে অব্যাহতি পাবে, এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, রেলের কর্মচারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মচারীর ক্ষেত্র ব্যতিত অন্যান্যদের বেতনের যে যে অংশ ক্রোকযোগ্য তা কার্যতঃ পাওনা না হওয়া পর্যন্ত ক্রোক হতে অব্যাহতি পাবে।

ব্যাখ্যা ২। (জ) ও (ঝ) দফাসমূহে বেতন বলতে (ঠ) দফায় বর্ণিত শর্তে যে সকল ভাতা ক্রোক হতে মুক্ত বলে ঘোষিত হয়েছে তা ছাড়া চাকুরীজীবীর কার্যে নিযক্ত বা ছুটিতে থাকাকালে মোট মাসিক বেতন বুঝাবে।

ব্যাখ্যা ৩। (১৯৬৩ সালের ৭নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)

(২) কৃষিদ্রব্য হতে আংশিক অব্যাহতি বাসগৃহ বা অন্যান্য দালান কোঠা (ইহার মাল মসলা ও অবস্থান ও এতে প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত ভূমিসহ যা তাদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয়) অত্র ধারায় বর্ণিত বিধানের ফলে উক্ত বাসস্থান, দালান, অবস্থান বা ভূমির বকেয়া খাজনার দরুন ডিক্রিজারীর জন্য ক্রোক অথবা নিলাম বিক্রয় হতে অব্যহতি পাবে না।
ধারাঃ ৬১। কৃষিজাত দ্রব্যের আংশিক অব্যাহতি

সরকার সরকারী গেজেটে একটি বিশেষ আদেশ প্রকাশ করে ঘোষণা করতে পারেন যে, কৃষিজাত দ্রব্যের যে অংশ বা কোন শ্রেণীর কৃষিজাত দ্রব্য, রায়ের দেনাদার কৃষক বা যে কোন শ্রেণীর কৃষিজীবী হলে, চাষের দ্বারা উৎপন্ন আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত উক্ত রায়ের দেনাদার ও তার পরিবারের খোরাকীর জন্য প্রয়োজনীয় হবে, তা ডিক্রি জারী ও বিক্রয় হতে অব্যাহতি পাবে।

ধারাঃ ৬২। বাসগৃহের সম্পত্তি আটক

(১) অত্র কোডের অধীনে প্রসেস জারীকারক কোন ব্যক্তি অস্থাবর সম্পত্তি আটক করতে আদিষ্ট বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে সূর্যাস্তের পর ও সূর্যোদয়ের পূর্বে কোন গৃহে প্রবেশ করতে পারবে না।

(২) কোন বাসগৃহ রায়ের দেনাদারের দখলে না থাকলে এবং সে উহাতে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার বা বাধাদান না করলে উক্ত বাসগৃহের বহিদ্বার ভেঙ্গে খোলা যাবে না, কিন্তু এরূপ প্রসেস জারীকারক ব্যক্তি যথারীতি গৃহে প্রবেশ করে থাকলে যে কক্ষে অনুরূপ কোন সম্পত্তি রয়েছে বলে তার বিশ্বাস হয় সেই কক্ষের দরজা ভেঙ্গে খুলতে পারবেন।
(৩) যে ক্ষেত্রে বাসগৃহের কোন কক্ষে কেন মহিলা থাকেন এবং প্রচলত দেশাচার অনুযায়ী তিনি জনসমক্ষে বাহির না হন, সেক্ষেত্রে প্রসেস জারীকারক ব্যক্তি উক্ত মহিলাকে কক্ষটি হতে সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিবেন এবং মহিরার সরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় ও সুযোগ দানের পর উক্ত সম্পত্তি আটক করার জন্য তিনি সেই কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে, সেই সঙ্গে এইসব বিধি বিধানের সাথে সংগতি রেখে তাকে এরূপ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ইহাকে গোপনে অপসারণ করা না হয়।

ধারাঃ ৬৩। বিভিন্ন আদালতের ডিক্রি জারীর জন্য ক্রোকাবদ্ধ সম্পত্তি

(১) কোন আদালতের জিম্মায় গচ্ছিত নহে, এরূপ কোন সম্পত্তি একাধিক আদালতে ডিক্রি জারীর দরুন ক্রোক হয়ে থাকলে, উক্ত আদালতগুলির মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের, সেই আদালত উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ বা হস্তগত করবেন এবং উহার উপর আনীত সকল দাবীদাওয়া মিটাইবেন বা ক্রোক সম্পর্কিত আপত্তি বিবেচনা করবেন। কিন্তু যে ক্ষেত্রে আদালতগুলির পর্যায়গত কোন তারতম্য থাকবে না, সেক্ষেত্রে যে আদালত কর্তৃক সর্বপ্রথম উক্ত সম্পত্তি ক্রোক হয়, সেই আদালত উহা করবেন
(২) এই ধারার বিধান বলে ডিক্রিজারীকারক আদালত কর্তৃক গৃহীত কোন কার্যক্রম অবৈধ হবে বলে ধরা যাবে না।
ধারাঃ ৬৪। সম্পত্তি ক্রোকের পরে ব্যক্তিগত হস্তান্তর বাতিল
কোন সম্পত্তি ক্রোক করা হয়ে থাকলে ব্যক্তিগতভাবে উক্ত সম্পত্তির বা তাতে নিহিত স্বার্থের কোন হস্তান্তর বা অর্পণ এবং ক্রোকের বিপরীতে উক্ত সম্পত্তি হতে রায়ের দেনাদারকে কোন দেনা, লভ্যাংশ বা অন্যরূপ অর্থপ্রদান, ক্রোকের অধীন কার্যকর যোগ্য কোন দাবী দাওয়ার বিরুদ্ধে বাতিল বলে গণ্য হবে।
ব্যাখ্যা- অত্র ধারার উদ্দেশ্যে ক্রোকের অধীন কার্যকর যোগ্য দাবী-দাওয়া বলতে সম্পত্তির আনুপাতিক হারে বন্টনের দাবীও বুঝাবে।
ধারাঃ ৬৫ ৷ খরিদ্দারের স্বত্ব

ডিক্রি জারীর দরুন কোন স্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হয়ে থাকলে এবং সেই বিক্রয় চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে উক্ত সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের তারিখ হতে খরিদ্দারের উপর বর্তাইবে, বিক্রয় চূড়ান্তভাবে নিস্পন্ন হওয়ার তারিখ হতে নহে।
ধারাঃ ৬৬ ৷ বাদীর পক্ষে নিলাম খরিদ করা হয়েছে এই অজুহাতে ক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা চলবে না

(১) আদালতের এরূপ নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যয়নযুক্ত খরিদমূলে কোন ব্যক্তি স্বত্ব দাবী করলে তার বিরুদ্ধে এই অজুহাতে কোন মামলা করা চলবে না যে বাদীর তরফ হতে বা বাদী যার মাধ্যমে দাবী করে এরূপ কারো তরফ হতে উক্তরূপ খরিদ করা হয়েছিল।

(২) উপরি উল্লেখিত মতে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম প্রত্যাহার সাহায্যে বা প্রকৃত খরিদারের সম্মতি ব্যতিত সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়েছে-এই মর্মে কোন ঘোষণা পাবার জন্য আনীত মামলা অত্র ধারার কোন বিধান অনুসারে ব্যাহত হবে না, অথবা সম্পত্তিটি সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট নিলামে বিক্রয় হয়ে থাকলেও প্রকৃত মালিকের নিকট হতে কোন তৃতীয় পক্ষের পাওনা পরিশোধের জন্য উক্ত তৃতীয় পক্ষের উক্ত সম্পত্তির উপর কোনরূপ অধিকার প্রয়োগের বাধা হবে না।

ধারাঃ ৬৭। টাকা পরিশোধের জন্য ডিক্রি জারীতে ভূমির নিলাম বিক্রয় সম্পর্কে বিধিমালা প্রণয়নে সরকারের ক্ষমতা

(১) টাকা পরিশোধের ডিক্রি জারীর জন্য নিলামে ভূসম্পত্তির যে কোন শ্রেণীর স্বার্থে বিক্রয়ের ব্যাপারে সরকারের মতে উক্ত স্বার্থ অনিশ্চিত বা অনির্ধারিত হওয়ার দরুন উহার মূল্য ধার্য করা অসম্ভব হলে, সরকার কোন স্থানীয় অঞ্চলের নিলাম বিক্রয়ের ব্যাপারে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে শর্তাদি আরোপ করতে পারেন।
(২) কোন স্থানীয় এলাকায় অত্র কোড বলবৎ হওয়ার তারিখে ডিক্রি জারীর দরুন ভূসম্পত্তি নিলাম বিক্রয় সম্পর্কে কোন বিশেষ বিধিমালা বলবৎ থাকলে, সরকার কোন সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে উক্ত বিধিমালা বলবৎ থাকবে বলে ঘোষণা করতে পারেন অথবা এরূপ প্রজ্ঞাপণ দ্বারা তা পরিবর্তন করতে পারেন। এই উপ-ধারার ক্ষমতা বলে প্রচারিত প্রত্যেকটি প্রজ্ঞাপণে এরূপ সংশ্লিষ্ট বিধিমালার চালুকৃত বা পরিবর্তিত বিবরণ থাকতে হবে।
স্থাবর সম্পত্তির উপর ডিক্রি জারীর জন্য কালেক্টকরকে ক্ষমতা প্রদান।

ধারাঃ ৬৮। কতিপয় ডিক্রিজারীর জন্য কালেক্টরের নিকট পাঠানোর বিধিমালা নির্ধারণের ক্ষমতা

সরকার কোন সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপণের দ্বারা ঘোষণা করতে পারেন যে, কোন স্থানীয় এলাকার স্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের ডিক্রি অথবা কোন বিশেষ শ্রেণীর এরূপ ডিক্রি বা কোন বিশেষ ধরণের স্থাবর সম্পত্তি বা স্থাবর সম্পত্তির বিশেষ ধরণের স্বার্থ বিক্রয়ের ডিক্রি কালেক্টরের নিকট জারীর জন্য স্থানান্তর করতে হবে।
ধারাঃ ৬৯। তৃতীয় তফসিলের বিধান প্রয়োগ

পূর্ববতী শেষ ধারা অনুসারে যেসকল ক্ষেত্রে ডিক্রি জারী করার জন্য পাঠানো হবে সেই সকল ক্ষেত্রে তৃতীয় তপশীল বর্ণিত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে।
ধারাঃ ৭০। কার্য পদ্ধতির বিধি

(১) উপরোল্লিখিত বিধানসমূহের সঙ্গে সংগতি রেখে—

ক) আদালতের নিকট হতে কালেক্টরের নিকট ডিক্রি প্রেরণ, উক্ত ডিক্রি জারীর ব্যাপারে কালেক্টর ও তার অধঃস্তন ব্যক্তিদের কর্মপদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ এবং কালেক্টরের নিকট হতে উক্ত ডিক্রি পুনরায় আদালতের নিকট প্রেরণের জন্য;

খ) ডিক্রি কালেক্টরের নিকট হস্তান্তরিত না হলে তার জারীর ব্যাপারে আদালত যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতেন, সেই সকল বা এদের মধ্যে কোন ক্ষমতা কালেক্টর বা তার অধঃস্তন কোন গেজেটেড ব্যক্তির উপর অর্পণের জন্য;
গ) ডিক্রি কালেক্টরের নিকট হস্তান্তরিত না হলে, অত্র কোড বা বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইন অনুসারে আদালত যে সকল আদেশ প্রদান করতে পারতেন বা অনুরূপ আদেশ সম্পর্কে আপীল বা রিভিশন হলে আপীল বা রিভিশন আদালত যে আদেশ দান করতে পারতেন সেরূপ আদেশ যাতে কালেক্টর বা তার অধঃস্তন কোন গেজেটেড ব্যক্তি দান করতে পারেন এবং তৎসম্পর্কে আপীল হলে উধ্বতন কোন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ যাতে আপীল আদালতের অনুরূপ আদেশ দান করতে পারেন, তার জন্য সরকার বিধি তৈরি করতে পারেন।
(২) দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বাতিলঃ উল্লেখিত (১) উপধারা অনুসারে কালেক্টর বা কারেক্টরের কোন গেজেটেড অধঃস্তন ব্যক্তির উপর বা কোন উর্ধ্বতন আপীল বা রিভিশনাল কর্তৃপক্ষের উপর যে ক্ষমতা অর্পিত হয়, কোন আদালত বা সেই আদালতের ডিক্রি বা আদেশ সম্পর্কিত আপীল বা রিভিশন এখতিদয়ার সম্পন্ন কোন আদালত তা প্রয়োগ করতে পারবেন না।
ধারাঃ ৭১। কালেক্টরের বিচারক হিসেবে কার্য

উপরের ৬৮ ধারা অনুসারে কালেক্টরের নিকট হস্তান্তরিত ডিক্রিজারী করার সময় কালেক্টর এবং তার অধঃস্তন ব্যক্তিগণ বিচারক হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হবেন।

ধারাঃ ৭২। যে ক্ষেত্রে আদালত কালেক্টরকে প্রকাশ্য নিলাম বিক্রয় স্থগিত রাখার ক্ষমতা দিতে পারবেন

(১) যেখানে কোন স্থানীয় এলাকায় ৬৮ ধারা অনুসারে কোন ঘোষণঅ বলবৎ নাই, সেখানে কোন ভূসম্পত্তি বা তার কোন অংশ যদি ক্রোক হয়ে থাকে এবং কালেক্টর যদি আদালতকে অবগত করেন যে উক্ত ভূসম্পত্তি বা উহার অংশ প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা আপত্তিজনক, এবং উক্ত সম্পত্তি বা উহার অংশ যুক্তিসঙ্গত মেয়াদের মধ্যে অস্থায়ীভাবে হস্তান্তর করে ডিক্রির দাবী মিটানো সম্ভব, তবে আদালত উক্ত ভূসম্পত্তি বা উহার অংশ নিলামে বিক্রয় না করে কালেক্টরের সুপারিশ মত পদ্ধতিতে ডিক্রির দাবী মেটানোর জন্য কালেক্টরকে ক্ষমতা দিতে পারেন।

(২) এরূপ প্রত্যেক ক্ষেত্রে ৬৯ থেকে ৭১ ধারার বিধানসমূহ এবং তদানুসারে প্রণীত বিধিসমূহ যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।

ধারাঃ ৭৩ ৷ নিলাম বিক্রয়লব্ধ অর্থ ডিক্রিদারগণের মধ্যে আনুপাতিক হারে বন্টন করতে হবে

(১) পরিসম্পৎ যখন আদালতের আওতায় থাকে এবং উক্ত পরিসম্পদ আদালতের আওতায় আসার পূর্বে একাধিক ব্যক্তি একই রায়ের দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রদত্ত টাকা পরিশোধের ডিক্রিজারীর জন্য আবেদন করে থাকে, এবং সেই সকল ডিক্রির টাকা যদি আদায় না হয়ে থাকে, তবে আদালতের আওতাভুক্ত সেই পরিসম্পৎ আদায় করার খরচ বাদ দিয়া উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আনাপাতিকভাবে বন্টন করে দেয়া হবেঃ

তবে নিম্নরূপ শর্ত থাকে যে -

(ক) কোন সম্পত্তি বন্ধক বা দায়মুক্ত থাকা সাপেক্ষে নিলাম বিক্রয় হলে, বন্ধকদার বা সংশ্লিষ্ট পাওনাদার নিলাম বিক্রয়লব্ধ উদ্ধৃত্ত অর্থের অং পাবেন:

খ) ডিক্রিজারীর দরুন নিলামে বিক্রয়যোগ্য কোন সম্পত্তির উপর যদি কোন বন্ধক বা দায় থাকে তবে আদালত উক্ত বন্ধকদারের বা দায় গ্রহীতার অনুমতি ক্রমে এরূপ আদেশ দান করতে পারবেন যে, উক্ত সম্পত্তি বন্ধক বা দায়মুক্ত সম্পত্তিরূপে নিলাম বিক্রয় করা হউক এবং অনুরূপভাবে বিক্রীত সম্পত্তির উপর বন্ধকদারের বা দায়গ্রহীতার যে স্বত্ব ছিল, বিক্রয়লব্ধ অর্থেও তাকে অনুরূপ স্বত্ববান করা হউক;

গ) কোন স্থাবর সম্পত্তির উপরকায় দায় পরিশোধের জন্য প্রদত্ত ডিক্রিজারীর দরুন সেই সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় হয়ে থাকে, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ব্যয় করা হবে-

প্রথমতঃ নিলাম বিক্রয়ের ব্যয় সংকুলানে:

দ্বিতীয়তঃ ডিক্রির অধীনে বকেয়া টাকা পরিশোধকরণার্থে;

তৃতীয়তঃ পরবর্তীকালীন দায় (যদি থাকে) এবং তার সুদ পরিশোধ করতে;

চতুর্থতঃ রায়ের দেনাদারের বিরুদ্ধে টাকা পরিশোধের ডিক্রি জারীর জন্য যে সকল ডিক্রিদার সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের পূর্বেই, যে আদালত ডিক্রি দিয়াছেন, সেই আদালতে আবেদন করেছিল এবং আদালত এরূপ ডিক্রি জারীর জন্য নিলাম বিক্রয়ের আদেশ দিয়াছিলেন এবং ইহার দাবী মিটানো না হয়ে থাকলে ডিক্রি দারের মধ্যে আনুপাতিক হারে বন্টন করতে।

(২) অত্র ধারা অনুসারে আনুপাতিক হারে বন্টনযোগ্য কোন পরিসম্পৎ যদি সামগ্রিক বা আংশিকভাবে এমন কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করা হয়ে থাকে যে, ব্যক্তি উহা ইবার অধিকার নহে, তাহলে এরূপভাবে পাবার অধিকারী যেকোন ব্যক্তি এরূপ কোন ব্যক্তিকে পরিসম্পৎ ফেরত দিতে বাধ্য করার জন্য মামলা করতে পারেন।
(৩) অত্র ধারার কোন বিধান কোন সরকারী অধিকারকে ক্ষুন্ন করবে না।

ধারাঃ ৭৪। ডিক্রিজারীতে বাধাদান

যেক্ষেত্রে আদালত এই মর্মে নিঃসন্দিহান হন যে স্থাবর সম্পত্তির দখল দানের জন্য প্রদত্ত ডিক্রিদার অথবা ডিক্রিজারীর দরুন বিক্রিত সম্পত্তি খরিদার উক্ত সম্পত্তির দখল নেয়ার সময় দেনাদার কর্তৃক বা তার পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক বাধা প্রাপ্ত হয়েছেন এবং এরূপ বাধা দানের কোন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছিল না, তাহলে আদালত উক্ত ডিক্রিদার বা খরিদারের আবেদনক্রমে উক্ত দেনাদার বা অপর কোন ব্যক্তিকে ত্রিশ দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার আদেশ দান করতে পারেন এবং ডিক্রিদার বা খরিদারকে উক্ত সম্পত্তির দখলে প্রতিষ্ঠিত করার নির্দেশ দান করতে পারেন।
ধারাঃ ৭৫ ৷ কমিশন প্রেরণের জন্য আদালতের ক্ষমতা

যেরূপ নির্ধারণ করা হয়, সেরূপ শর্তাবলী ও সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, আদালত—

ক) কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য নিবার জন্য;

খ) স্থানীয় তদন্ত অনুস্থানের জন্য;

গ) হিসাব পরীক্ষা বা সমন্বয় করার জন্য; অথবা

ঘ) বাটোয়ারা করার জন্য— কমিশন প্রেরণ করতে পারবেন।

ধারাঃ ৭৬। বাতিল


ধারাঃ ৭৭ ৷ অনুরোধ পত্র

বাংলাদেশের বাইরে বসবাকারী কোন সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালত কমিশন প্ররণের পরিবর্তে অনুরোধপত্র প্রেরণ করতে পারে না |


ধারাঃ ৭৮। বিদেশী আদালত কর্তৃক প্রেরিত কমিশন

যেরূপ নির্ধারণ করা হয়, সেরূপ শর্তাবলী ও সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে— সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন সম্পাদন ও ফেরৎ পাঠান সংক্রান্ত বিধানসমূহ-

ক) বাংলাদেশের সীমানার বাইরে অবস্থি এবং সরকারের ক্ষমতা বলে প্রতিষ্ঠিত বা লিত আদালত, বা

খ) (১৯৭৩ সালের ৭নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)।

গ) বাংলাদেশের বাইরের কোন রাজ্য বা দেশের কোন আদালত কর্তৃক বা উহার নির্দেশ ক্রমে প্রেরিত কমিশনের ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হবে।
ধারাঃ ৭৯। সরকার কর্তৃক বা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা

সরকার কর্তৃক বা সরকারের বিপক্ষে কোন মামলায় বাদী বা বিবাদী হিসেবে কর্তৃপক্ষের নাম হবে বাংলাদেশ।
ধারাঃ ৮০। নোটিশ

(১) পদাধিকার বলে গণ্য কোন কার্যের জন্য সরকার বা সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিম্নের অফিসসমূহের লিখিত নোটিশ দেয়ার বা পাঠানোর দুইমাস অতিবাহিত হবার পরে মামলা দায়ের করা চলবে—

ক) ১৯৭৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)।

খ) ১. সরকারে বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে রেলওয়ে সংক্রান্ত মামলা ব্যতিত - অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের সচিব অথবা জেলা কালেক্টর এবং

২. রেলওয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে রেলওয়ের জেনারেল ম্যাজোর এবং কোন সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে তাকে বা তার অফিসে মামলার কারণ, বাদীর নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা এবং বাদী যে প্রতিকার দাবী করে তা উল্লেখ করে নোটিশ দিতে হবে এবং অনুরূপ নোটিশ দেয়া হয়েছে বা পাঠানো হয়েছে বলে আরজিতে একটি বিবৃতি থাকতে হবে।

(২) যে ক্ষেত্রে উপরি-উল্লেখিত মতে নোটিশ না দিয়া বা না পাঠায়ে অথবা উল্লেখিত দুই মাস মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই কোন মামলা দায়ের করা হয়, অথবা যেই ক্ষেত্রে আরজিতে উক্ত রূপ নোটিশ প্রদান বা পাঠানের বিষয়ে কোন বিবৃতি থাকে না, সেক্ষেত্রে মামলা দায়েরের দুই মাস সময়ের মধ্যে যদি মামলার বিষয়বস্তু সম্বন্ধে কোন মীমাংসায় পৌছানো যায়, অথবা সরকার বা সরকারী কর্মকর্তা বাদীর দাবী মানিয়া লয়, তবে বাদী কোন খরচ পাবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ নোটিশ ছাড়া কোন মামলা দায়ের করতে হলে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য আদালত সরকারকে কমপক্ষে তিন মাস সময় মঞ্জর করবেন।

ধারাঃ ৮১ ৷ গ্রেফতার ও হাজিরা হতে অব্যাহতি

পদাধিকারে বলে কৃত কোন কাজের জন্য কোন সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা হয়ে থাকলে—

ক) বিবাদীকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং ডিক্রিজারী ব্যতিত অন্য কোন কারণে তার সম্পত্তি ক্রোক করা চলবে না এবং

খ) যেক্ষেত্রে আদালত এই মর্মে নিঃসন্দিহান হন যে, বিবাদী জনসেবার ক্ষতি না করে তার কর্তব্য হতে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না, সেক্ষেত্রে ইহা তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা হতে অব্যাহতি দিবে।

ধারাঃ ৮২। ডিক্রিজারী

(১) সরকারের বিরুদ্ধে বা সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপরিকরতে হবে, ডিক্রির মধ্যে সেই সময় উল্লেখিত থাকতে হবে; এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি ডিক্রির নির্দেশ পালন করা না হয়, তবে আদালত আদেশের জন্য সরকারের নিকট বিষয়টির রিপোর্ট দাখিল করবেন।

(২) সরকারের নিকট এরূপ রিপোর্ট দাখিলের তারিখ হতে তিনমাস পর্যন্ত ইহা অমীমাংসিত অবস্থায় না থাকলে এরূপ কোন ডিক্রি জারী করা যাবে না।

বিদেশী ব্যক্তি কর্তৃক এবং বিদেশী শসক রাষ্ট্রদূত এবং দূত কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা

ধারাঃ ৮৩ ৷ কখন বিদেশী ব্যক্তি মামলা করতে পারে

(১) সরকারের অনুমতিক্রমে বিদেশী শক্রগণ এবং বিদেশী বন্ধুগণ বাংলাদেশে বসবাস করতে থাকলে তারা বাংলাদেশের নাগরিকের মতই বাংলাদেশের আদালতে মামলা করতে পারবেন।

(২) এরূপ অনুমতি ব্যতিত বিদেশী শত্রু বাংলাদেশে বসবাস করতে থাকলে বা বিদেশী রাষ্ট্রে বসবাস করলে অনুরূপ কোন আদালতে মামলা করতে পারবে না।

ব্যাখ্যাঃ যে সকল বিদেশী রাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বা সামরিক অভিমানে জড়িত, সেই সকল দেশে বসবাসরত এবং বাংলাদেশ সরকারের একন সচিবের সহিযুক্ত অনুমতি ব্যতিত ঐ সকল দেশে ব্যবসা চালাইতে থাকলে (২) উপধারার উদ্দেশ্যে উক্তরূপ বিদেশী রাষ্ট্রে বসবাসরত প্রত্যেক ব্যক্তি বিদেশী শত্রু বলে গণ্য হবে

ধারাঃ ৮৪। কখন বিদেশী রাষ্ট্র মামলা করতে পারে

(১) কোন বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের যে কোন আদালতে মামলা করতে পারেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ রাষ্ট্র, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবেঃ

তবে আরও শর্ত থাকে যে, এরূপ রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানের বা এরূপ রাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তার হাতে সরকারী ক্ষমতায় নিহিত কোন ব্যক্তিগত অধিকার কার্যকর করাই মামলার উদ্দেশ্য হতে হবে।

(২) কোন বিদেশী রাষ্ট্র, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে কিনা তা প্রত্যেক আদালত বিচার বিভাগীয় নজরে নিবেন।


ধারাঃ ৮৫৷ বিদেশী শাসনকর্তার পক্ষে মামলা পরিচালনা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত ব্যক্তি

(১) কোন বিদেশী শাসনকর্তার অনুরোধক্রমে বা সরকারের শাসনৰ্তার পক্ষে কোন মামলা চালাইতে বা মামলায় প্রতিদ্বিতা করতে সরকারের আদেশ বলে বিশেষভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি উক্ত শাসনকর্তার স্বীকৃত প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হবেন এবং তিনি উক্ত শাসনকর্তার পক্ষে অত্র কোডের অধীনে আদালতে হাজির হতে, কাজ করতে বা আবেদন করতে পারবেন।

(২) এই ধারার অধীনে কোন নির্দিষ্ট মোকদ্দামার জন্য অথবা কতিপয় নির্দিষ্ট মামলার জন্য অথবা সময় সময় উক্ত শাসনকর্তার পক্ষে মামলার পরিচালনা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যেরূপ প্রয়োজন হবে, সেরূপ নিয়োগ করা যাবে।

(৩) এই ধারার অধীনে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আবেদন পেশ করার জন্য, বা অন্য কাজ করার জন্য কাহাকেও এরূপ ক্ষমতা দান করতে পারে বা নিয়োগ করতে পারে, যেন সে নিজেই এই মামলায় বা এরূপ মামলার একজন পক্ষ।
ধারাঃ ৮৬৷ শাসকের বিরুদ্ধে মামলা

(১) কোন সরকারের সচিবের স্বাক্ষরযুক্ত চলবে কিন্তু এরূপ অনুমতি ব্যতিত মামলা করা যাবে না। .

(২) কোন নির্দিষ্ট মামলা সম্পর্কে বা নির্দিষ্ট কতিপয় মামলা সম্পর্কে অথবা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী বা বিভিন্ন শ্রেণীর সকল মামলা সম্পর্কে এরূপ সম্মতি প্রদত্ত হতে পারবে এবং এরূপ শাসনকর্তার বিরুদ্ধে যে কোন মামলা বা যে কোন শ্রেণীর মামলা কোন আদালতে দায়ের করা হবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবে, কিন্তু ইহা প্রদত্ত হবে না, যদি না সম্মতিদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে ইহা প্রতীয়মান হয় যে ঐ শাসনকর্তা—
ক) তার বিরুদ্ধে মামলা করতে ইচ্ছক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা দয়ের করেছেন, অথবা

খ) নিজে অথবা অন্য কারো দ্বারা আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের সীমানায় ব্যবসা করেন; অথবা

গ) ঐসব এলাকায় অবস্থিত কোন স্থাবর সম্পত্তি তার দখলে থাকলে এবং এই সম্পত্তির সূত্রে বা ইহা হতে আদায়যোগ্য অর্থের জন্য মামলা করতে হয়।

(৩) অত্র কোডের অধীনে এরূপ কোন শাসনকর্তাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং উপরি-উল্লেখিত মতে সত্যায়িত সম্মতিপত্র ব্যতিত কোন শাসনকর্তার সম্পত্তির উপর ডিক্রি জারী করা যাবে না। -

(৪) (১৯৭৩ সালের ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)।

(৫) কোন সম্পত্তিতে প্রজা হিসেবে কোন ব্যক্তি এই ধারায় উল্লেখিত এরূপ সম্মতি ব্যতিতই কোন শাসনকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে যে শাসনকর্তার অধীনে সেই ব্যক্তি সম্পত্তি দখল করে বা দখল করার জন্য দাবী করে।
ধারাঃ ৮৬ক। কূটনৈতিক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা

(১) নিম্নলিখিত কোন বিষয় সম্পর্কিত না হলে কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা চলবে না—

ক) বাংলাদেশে অবস্থিত কোন স্থাবর সম্পত্তিতে সে ব্যক্তিগত ক্ষমতায় দখলকার থাকলে এবং তা প্রেরণকারী রাষ্ট্রের মিশনের পক্ষে না হলে:

খ) কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধি কোন বেসরকারী ব্যক্তিরমতই কোন উত্তরাধিকারের নির্বাহক অছি, উত্তরাধিকারী বা কোন উইল করা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে জড়িত হলে এবং তা প্রেরণকারী রাষ্ট্রের পক্ষে না হলে:

গ) কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধি কর্তৃক তার সরকারী কার্যাবলীর বাইরে বাংলাদেশে কোন বৃত্তিমূলক বা বাণিজ্যিক কৰ্মতৎপরতা প্রয়োগ করলে;

(২) উপধারা (১) এর (ক) (খ) ও (গ) উপ-দফায় বর্ণিত ক্ষেত্রে এবং যেখানে তার ব্যক্তি বা বাসস্থানের পবিত্রতা লংঘন না করে ডিক্রিজারীর ব্যবস্থা করা যাবে, সেরূপ ক্ষেত্র ব্যতিত কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধি সম্পর্কে জারীর পদক্ষেপ নেয়া যাবে না।

(৩) কোন আদালতে কূটনৈতিক প্রতিনিধি কর্তৃক মামলা শুরু হলে মুখ্য দাবীর সংগে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত কোন পাল্টা দাবী সম্পর্কে এই ধারার অধীনে এখতিয়ার হতে তার মুক্তির আহবা বাধাগ্রস্ত হবে।

(৪) উপধারার (১) ও (২) এর অধীনে যে সকল অব্যাহতি কূটনৈতিক প্রতিনিধির জন্য রয়েছে প্রেরণকারী রাষ্ট্র কর্তৃক তার দাবী ত্যাগ করা যেতে পারে এবং এরূপ দাবী ত্যাগ প্রকাশ্য হতে হবে।

(৫) কোন মামলা সম্পর্কে অব্যাহতির দাবী ত্যাগ কোন জারীর ব্যবস্থা সম্পর্কে অব্যাহতির দাবী ত্যাগ বুঝাবে না, যার সম্পর্কে আলাদাভাবে দাবী ত্যাগ প্রয়োজন হবে।

(৬) এই ধারায় কোন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধি বলতে বাংলাদেশস্থ ঐ রাষ্ট্রের মিশনের কোন প্রধান এবং কূটনৈতিক পদমর্যাদার অধিকারী ঐ মিশনের স্টাফের কোন সদস্যকেও বুঝাবে।

ধারাঃ ৮৭ ৷ মামলার পক্ষ হিসেবে শাসনকর্তার উপাধি

কোন বিদেশী রাষ্ট্রের শাসনকর্তা কর্তৃক এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করতে হলে তার রাষ্ট্রের নামে মামলা করতে হবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, পুর্ববতী ধারায় উল্লেখিত সম্মতি প্রদানকালে সরকার এরূপ নির্দেশ দিতে পারেন যে, উক্ত শাসনকর্তার বিরুদ্ধে মামলা কোন প্রতিনিধি বা অপর কারো নামে দায়ের করা যাবে।

ধারাঃ ৮৭ক। বাতিল

ধারাঃ ৮৮। যেক্ষেত্রে ইন্টারপ্রিডার মামলা দায়ের করা যায়

যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির নিকট বিপরীতক্রমে একই ঋণ, একই পরিমাণ অর্থ বা অপর কোন সম্পত্তি দাবী করে, যে ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির দায়বদ্ধতা বা মামলার খরচ ব্যতিত অন্য কোন স্বার্থ দাবী করে না এবং যে উহা ন্যায্য দাবীদারকে পরিশোধ করতে বা অর্পণ করতে প্রস্তুত থাকে, তবে কাহার নিকট পরিশোধ বা অৰ্পণ করতে হবে সেই বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত লাভের জন্য এবং নিজের ক্ষতিপূরণ লাভের জন্য এরূপ অপর ব্যক্তি সকল দাবীদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপ্রিডার মামলা দায়ের করতে পারেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সকল পক্ষের অধিকার যদদ্বারা নির্ধারিত হতে পারে, এরূপ কোন মামলা যে ক্ষেত্রে বিচারাধীন আছে, সেক্ষেত্রে এরূপ ইন্টারপ্লিডার মামলা দায়ের করা যাবে না।

ধারাঃ ৮৯। বাতিল
ধারাঃ ৯০। আদালতের মতামতের জন্য মামলা বিবৃত করার ক্ষমতা

যখন কোন ব্যক্তি কোন মামলা আদালতের মতামতের জন্য ববৃত করতে লিখিতভাবে সম্মত হয়, তখন আদালত নির্ধিারিত পদ্ধতিতে উহার বিচার এবং নিস্পত্তি করবেন।

ধারাঃ ৯১ ৷ গণউপদ্রব

(১) গণ উপদ্রব্যের ক্ষেত্রে এটণী জেনারেল অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এটনী জেনারেলের লিখিত সম্মতিক্রমে কোন বিশেষ ধরণের ক্ষতি না হয়ে থাকলেও কোন ঘোষণা এবং নিষেধাজ্ঞা অথবা মামলার পরিস্থিতির আলোকে অন্য কোন যথাযথ প্রতিকারে দাবীতে একটি মামলা দায়ের করতে পারেন।

(২) অত্র ধারার বিধানসমূহের বাইরে মামলা করার কোন অধিকারকে এই ধারার কোন কিছুই সীমাবদ্ধ বা অন্য কোনভাবে প্রভাবিত করতে বলে গণ্য করা যাবে না।

ধারাঃ ৯২। জন দাতব্য প্রতিষ্ঠান

(১) কোন ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে সৃষ্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জিম্মার কথিত লংঘনের ক্ষেত্রে অথবা অনুরূপ জিম্মার পরিচালনার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এটনী জেনারেল স্বয়ং অথবা এটনী জেনারেলের লিখিত সম্মতিক্রমে উক্ত জিম্মায় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বিবাদে জড়িত হউক বা না হউক, মূল দেওয়ানী এখতিয়ার সম্পন্ন প্রধান আদালতে বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন আদালতে যার স্থানীয় এখতিয়ারের সীমানায় উক্ত জিম্মার বিষয় বা উহার অংশ অবস্থিত, নিম্নোক্ত বিষয়ে ডিক্রি লাভের জন্য মামলা দায়ের করতে পারেন—

ক) কোন অছি অপসারণ;

খ) নতুন আছি নিয়োগ;

গ) সম্পত্তি অছি কে ন্যস্ত;

ঘ) হিসাব দাখিল ও তদন্তের নির্দেশ দান;

ঙ) জিম্মাভুক্ত সম্পত্তির বা তার কোন স্বার্থের কি পরিমাণ অংশ জিম্মার কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে বন্টন করা যাবে তৎসম্পর্কে ঘোষণা;

চ) জিম্মাভুক্ত সম্পত্তির সামগ্রিক বা আংশিকভাবে ভাড়া দেয়া, বিক্রয় করা, বন্ধক দেয়া বা বিনিময় করার ক্ষমতা প্রদান;

ছ) প্রকল্প প্রতিষ্ঠাপন;

জ) মামলার প্রকৃতি অনুসারে যেরূপ অতিরিক্ত বা অন্য কোনরূপ প্রতিকার আবশ্যক হয়।

(২) ১৮৬৩ সালের ধর্মীয় অর্পণ আইনে বর্ণিত বিধান ব্যতিরেকে, (১) উপধারায় বর্ণিত যে কোন প্রতিকারের দাবীতে উক্ত জিম্মা সম্পর্কে ঐ উপধারার শর্ত পূরণ না হলে কোন মামলা দায়ের করা যাবে না

ধারাঃ ৯৩। এটনী জেনারেলের ক্ষমতা প্রয়োগ

৯২ ও ৯৩ ধারায় এটনী জেনারেলের উপর যে সকল ক্ষমতা অপিত হয়েছে, সেই সকল ক্ষমতা পূর্বাহ্নে সরকারের অনুমতি গ্রহণ করে কালেক্টর অথবা সরকার কর্তৃক এই ব্যাপারে নিযুক্ত অপর কোন কর্মকর্তাও প্রয়োগ করতে পারবেন।

ধারাঃ ৯৪। সম্পূরক কার্যক্রম

ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্যে যাতে ব্যাহত না হয় সেই জন্য আদালত যদি এরূপ নির্ধারিত থাকে, তবে—

ক) বিবাদীকে গ্রেপতার করার পরোয়ানা জারী করা এবং আদালতে তার হাজিরার জন্য কেন জামানাত দিবে না তার কারণ দর্শাইবার জন্য তাকে আদালতে আনয়ন করা এবং সে যদি জামানতের জন্য কোন আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা;

খ) বিবাদীকে তার কোন সম্পত্তি আদালতে হাজির করার জন্য এবং উক্ত সম্পত্তি আদালতের এখতিয়ারে দিবার জন্য জামানত প্রদানের নির্দেশ দেয়া বা যে কোন সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেয়া;

গ) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জর করা এবং কেহ তা অমান্য করলে দোষী ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে আটক করা এবং তার সম্পত্তি ক্রোক ও নিলাম বিক্রয়ের আদেশ দেয়া;

ঘ) কোন সম্পত্তি রিসিভার নিয়োগ করা এবং তার সম্পত্তি ক্রোক ও নিলাম বিক্রয়ের মাধ্যমে তার কর্তব্য সম্পাদনে বাধ্য করা:

ঙ) আদালতের কাছে যেরূপ ন্যায্য ও সুবিধাজনক প্রতীয়মান হয়, সেরূপ মধ্যবর্তী আদেশ প্রদান করতে পারেন।

ধারাঃ ৯৫। অপর্যাপ্ত কারণে গ্রেফতার, ক্রোক ও নিষেধাজ্ঞার আদেশ লাভ করলে খেসারত

(১) পূর্ববতী শেষের ধারা অনুসারে যে কোন মামলায় গ্রেফতার বা ক্রোক কার্যকর করা হয়ে থাকলে বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয়ে থাকলে

ক) যদি আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত গ্রেফতার, ক্রোক বা নিষেধাজ্ঞা অপর্যাপ্ত কারণে করা হয়েছে, অথবা

খ) যদি বাদীপক্ষ হারিয়া যায়, এবং আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মামলা দায়ের করার কোন সঙ্গতঃ বা সম্ভাব্য কারণ ছিল না, তবে বিবাদী আদালতে আবেদন করতে পারে এবং আদালত উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিবাদীর যে ব্যয় ও ক্ষতি হয়ে থাকে, তার কারণে বাদীর বিরুদ্ধে ইহার যুক্তিসঙ্গতঃরূপে অনধিক এক হাজার টাকা খেসারত দানের আদেশ দিতে পারবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত তার আর্থিক এখতিয়ারের অধিক পরিমাণের টাকা প্রদান করবেন না।

(২) অনুরূপ আবেদনক্রমে কোন আদেশ দেয়া হয়ে থাকলে, তৎপর উল্লেখিতরূপে গ্রেফতার, ক্রোক বা ইনজাংশনের দরুন ক্ষতিপূরণের জন্য আর কোন মামলা দায়ের করা চলবে না।

ধারাঃ ৯৬ ৷ মূল ডিক্রি হতে আপীল

(১) অত্র কোডের বডিতে বা বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইনে সুষ্ঠুভাবে অন্যরূপ বিধান না থাকলে মূল এখতিয়ার হতে আপীল শ্ৰবণের ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে দায়ের করা যাবে।

(২) একতরফা মূল ডিক্রি হতেও 

ধারাঃ ৯৭। প্রাথমিক ডিক্রি হতে আপীল দায়ের না করলে চূড়ান্ত ডিক্রি হতে আপীল

এই কোড বলবৎ হওয়ার পরে প্রদত্ত কোন প্রাথমিক ডিক্রির ফলে কোন পক্ষ মৰ্মাহত হয়েও উক্ত ডিক্রি হতে কোন আপীল দায়ের না করলে, চুড়ান্ত ডিক্রি হতে কোন আপীল দায়ের করা হলে উহাতে উক্ত ডিক্রির যথার্থতা নিয়ে বিবাদ করা যাবে না।


ধারাঃ ৯৮। দুই বা ততোধিক বিচার কর্তৃক শ্রুত আপীলের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত

(১) যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক বিচারক নিয়ে গঠিত বেঞ্চে আপীলের শুনানি হয়, সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে উক্ত বিচারকগণের অথবা তাদের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠের (যদি থাকে) মতানুসারে আপীলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

(২) যে ডিক্রি হতে আপীল করা হয়েছে, তা পরিবর্তন অথবা রদ করার ব্যাপারে যদি কোন রায়ে এরূপ সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকে, তবে উক্ত ডিক্রি বহাল করা হবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে কোন আদালতে দুইজনের অধিক বিচারক আছেন সেই আদালত দুইজন বিচারক নিয়ে যদি বেঞ্চ গঠিত হয় এবং এই দুইজন বিচারকের মধ্যে কোন একটি আইনের প্রমে মতবেধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে তারা আইনের যে বিষয়ে মতভেদ পোষণ করেন, সেই বিষয়টি বিবৃত করতে পারেন এবং তখন আপীলে শুধু উক্ত বিষয়টিই অন্য এক বা একাধিক বিচারক শ্রবণ করবেন এবং অনুরূপ বিষয়টি প্রথমবারের আপীল শ্রবণকারী বিচারকগণসহ সংখ্যা গরিষ্ঠের (যদি থাকে) মতানুসারে নিম্পত্তি হবে।

(৩) এই ধারার কোন বিধান হাইকোর্ট বিভাগের লেটাস পেটেন্টের বিধানসমূহে পরিবর্তন বা অন্য কোনভাবে প্রভাবিত করে বলে ধরা যাবে না

ধারাঃ ৯৯ ৷ গুণাগুণ বা এখতিয়ার প্রভাবিত না করলে ভুল বা অনিয়মের জন্য ডিক্রি পরিবর্তিত বা সংশোধিত হবে না

মামলার কোন পক্ষের অপসংযোগ বা কারণের অপসংযোগের জন্য বা মামলার কোন কার্যক্রমের ভুল, ক্রটি বা অনিয়মের দরুন কোন মামলার গুণাগুণকে বা আদালতের এখতিয়ারকে ক্ষুন্ন না করলে কোন ডিক্রি পরিবর্তন, বা বহুলাংশে রদ করা যাবে না বা মামলাটি পুনঃবিচারের জন্য পাঠান যাবে না।

ধারাঃ ১০০, ১০১, ১০২ ও ১০৩ ধারাঃ ১৯৭৮ সালের আইন সংস্কার অধ্যাদেশ (১৯৭৮ সালের ৪৯ নং অধ্যাদেশ) বলে বাদ দেয়া হয়েছে।

ধারাঃ ১০৪। যে সকল আদেশ হতে আপীল দায়ের করা যায়

নিম্নলিখিত আদেশসমূহ হতে আপীল চলবে এবং অত্র কোডের প্রধানতম অংশে বর্তমানে বলবৎ কোন আইনে

স্পষ্টতঃ যেরূপ বিধান আছে, তা ব্যতিরেকে অন্য কোন আদেশ হতে আপীল চলবেনা—

ক) (চ) (১৯৪০ সালের সালিশী আইন বাদ দেয়া হয়েছে);

(চচ) ৩৫-ক ধারার অধীনে আদেশ;

(ছ) ৯৫ ধারার অধীনে আদেশ;

(জ) এই কোর্ডের যে কোন বিধান অনুসারে ডিক্রি জারীর উদ্দেশ্যে গ্রেফতার বা দেওয়ানী কারাগারে আটকের আদেশ ব্যতিরেকে কাহাকেও জরিমানার বা গ্রেফতার অথবা দেওয়ানী কারাগারে আটকের আদেশ প্রদান করলে;

(ঝ) যে সকল বিধির অধীনে আপীলের স্পষ্ট অনুমতি রয়েছে, সেই সকল বিধির অধীনে প্রদত্ত আদেশঃ

তবে শর্ত থাকে যে, (চচ) দফায় বর্ণিত কোন আদেশের বিরুদ্ধেও আপীল চলবে না—এই অজুহাত ব্যতিত যে, কোন আদেশ না দেয়া বা অপেক্ষাকৃত অল্প পরিমাণ অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়া উচিত ছিল।

(২) অত্র ধারা অনুসারে আনীত আপীলে প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল চলবে না।

ধারাঃ ১০৫ ৷ অন্যান্য আদেশসমূহ

(১) অন্যত্র স্পষ্টভাবে যেরূপ বিধান আছে তা ব্যতিরেকে কোন আদালত কর্তৃক উহার মূল বা আপীল এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল চলবে না; কিন্তু কোন ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করার সময় কোন আদেশের কোন ভুলক্রটি বা অনিয়মের দ্বারা যদি মামলার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়ে থাকে, তবে আপীলের স্বারকলিপিতে উহা আপত্তির সঙ্গত কারণ হিসেবে বর্ণনা করা যাবে |

(২) উপধারা (১)-এ যাই অন্তর্ভুক্ত থাকুকনা কেন, যেক্ষেত্রে অত্র কোড বলবৎ হওয়ার পরে প্রদত্ত আপীলযোগ্য কোন পুনঃবিচারের আদেশ ব্যথিত হওয়া সত্ত্বেও কোন পক্ষ ইহা হতে কোন আপীল দায়ের করেনি, পরবর্তীতে সে ইহার যথার্থতা সম্পর্কে কোন বিতর্ক করতে পারবে না।

ধারাঃ ১০৬। কোন আদালতে আপীলের শুনানি হবে

যখন কোন আদেশ হতে আপীলের জন্য অনুমতি হয়, তখন যে মামলায় উক্ত আদেশ প্রদত্ত হয়েছে সেই মামলার ডিক্রি হতে যে আদালতে আপীল করা চলত, উক্ত আদেশ হতেও সেই আদালতে আপীল করা চলবে, অথবা যখন কোন আদালত কর্তৃক (হাইকোর্ট বিভাগ নহে) আপীল এখতিয়ার প্রয়োগকালে এরূপ আদেশ প্রদত্ত হয়, তখন হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করা চলবে।


ধারাঃ ১০৭। আপীল আদালতের ক্ষমতা

(১) যেরূপ শর্তাদি ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়, তৎসাপেক্ষে কোন আপীল আদালতের নিম্নোক্ত ক্ষমতাগুলি থাকবেঃ

ক) কোন মামলা চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করার;

খ) কোন মামলা পুনবিচারের জন্য পাঠানো;

গ) বিচার্য বিষয় গঠন এবং সেগুলি বিচারের জন্য প্রেরণ এবং

ঘ) অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ বা এরূপ সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা।

ধারাঃ ১০৮। আপীল আদালতের ডিক্রি ও আদেশ হতে আপীল

ক) আপীল আদালতের ডিক্রিসমূহ হতে আপীল, এবং

খ) এই বিধির অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ হতে বা অন্য কোন বিশেষ আইনের আলাদা পদ্ধতির বিধান না থাকলে, তা হতে প্রদত্ত আদেশ হতে আপীল।

ধারাঃ ১০৯ ৷ সুপ্রীম কোটে যখন আপীল দায়ের করা চলে

বাংলাদেশের আদালতসমূহ হতে আপীল সম্পর্কে সুপ্রীমকোর্ট সময়ে সময়ে যে সকল ভিত্তি তৈরি করবেন, এবং অতঃপর এতে বর্ণিত আইনের শর্তগুলি সাপেক্ষে আপীল বিভাগের নিকট-

ক) হাইকোর্ট বিভাগ বা চূড়ান্ত আপীল এখতিয়ারসম্পন্ন অপর কোন আদালতে আপীলে প্রদত্ত রায়, ডিক্রি বা চুড়ান্ত আদেশ হতে;

খ) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক উহার মূল এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রদত্ত রায়, ডিক্রি বা চূড়ান্ত আদেশ হতে; এবং

গ) যেক্ষেত্রে কোন মামলা আপীল বিভাগের নিকট আপলেরযোগ্য বলে, অতঃপর এতে আরোপিত বিধানানুসারে প্রত্যয়ন করা হলে, সেক্ষেত্রে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রি বা চূড়ান্ত আদেশ হতে আপীল দায়ের করা চলবে।

ধারাঃ ১১০। বিষয়বস্তুর মূল্য

১০৯ ধারার (ক) এবং (খ) দফায় বর্ণিত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তুর পরিমাণ বা মূল্য প্রথম আদালতে বিশহাজার টাকা বা তদূর্ধ্বে হতে হবে এবং আপীল বিভাগের নিকট আপীলেও বিরোধীয় বিষয়বস্তুর পরিমাণ বা মূল্য অবশ্যই একইরূপ বা তদূর্ধ্ব হতে হবে, অথবা রায়, ডিক্রি বা চূড়ান্ত আদেশের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিচু দাবী বা প্রম বা অনুরূপ পরিমাণ বা মূল্য সম্পর্কিত সম্পত্তি অবশ্যই জড়িত থাকতে হবে; এবং যে রায় বা চূড়ান্ত আদেশ হতে আপীল করা হয়, তা যদি অব্যবহিত অধঃস্তন আদালতের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে, তবে আপলের অবশ্যই কিছু বষিষ্ঠ আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকতে হবে।

ধারাঃ ১১১। কতিপয় আপীলে বাধা

১০৯ ধারায় যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে আপীল বিভাগে কোন আপীল দায়ের করা যাবে নাঃ

ক) হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি বা ডিভশন আদালতের একজন বিচারপতি অথবা হাইকোর্ট বিভাগের দুই বা ততোধিক বিচারপতি অথবা দুই বা ততোধিক বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের কোন ডিভিশন আদালতের বিচারপতিগণ যদি মতভেদে সমভাবে বিভক্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের কোন ভাগের সংখ্যাই তখনকার হাইকোর্ট বিভাগের মোট বিচারপতিগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়, তবে তাদের রায়, ডিক্রি বা চূড়ান্ত আদেশ হতে অথবা-

খ) (১৯৭৮ সালে ৪৯ নং অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)।

ধারাঃ ১১১ক। বাতিল

ধারাঃ ১১২। রক্ষকারী

(১) এই কোডের কোন কিছুই—

ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপীল বিভাগকে প্রদত্ত ক্ষমতা অথবা ঐ সংবিধানের অন্য কোন বিধান বলে প্রদত্ত ক্ষমতা ক্ষুন্ন করবে না বা

খ) আপীল বিভাগের নিকট আপীল দায়ের সম্পর্কে অথবা ঐ বিভাগের সম্মুখে এদের পরিচালনা সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রণীত ও সাময়িকভাবে বলবৎ কোন নিয়মাবলীর উপর হস্তক্ষেপ করবে বলে মনে করা যাবে না।

(২) এইখানে অন্তর্ভুক্ত কোন কিছুই ফৌজদারী হবে না, অথবা প্রাইজ কোর্টের আদেশ বা ডিক্রির বিরুদ্ধে আনীত আপলেও প্রযোজ্য হবে না।
ধারাঃ ১১৩। হাইকোর্ট বিভাগে উল্লেখ

যেরূপে শর্তাদি ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়, তৎসাপেক্ষে যে কোন আদালত কোন মামলা বিধিসম্মতভাবে সম্পূর্ণ বর্ণনা করতে পারেন এবং তা হাইকোর্ট বিভাগের মতামতের জন্য পেশ করতে পারেন এবং হাইকোর্ট বিভাগ যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন, ইহার উপর সেরূপ আদেশ দান করতে পারেন।
ধারাঃ ১১৪। রিভিউ

ইতঃপূর্বে বর্ণিত রূপ শর্তাদি ও সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, যে কোন ব্যক্তি যদি–

ক) এই কোর্ট অনুসারে যে ডিক্রি বা আদেশ হতে আপীল অনুমোদিত, কিন্তু যা হতে কোন আপীল অনুমোদিত, কিন্তু যা হতে কোন আপীল দায়ের করা হয়নি;

খ) যে ডিক্রি বা আদেশ হতে অত্র কোর্ড অনুসারে আপীল অনুমোদিত নহে; অথবা

গ) কোন স্বল্প স্মল কজ আদালতের রেফারেন্সের উপর প্রদত্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা ব্যথিত মনে করেন, তবে ডিক্রি বা আদেশ দান রিভিউ করার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন, সেরূপ আদেশ দান করতে পারেন।

ধারাঃ ১১৫। রিভিশন

(১) হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন কোন আদালত কর্তৃক কোন মামলা নিস্পত্তি হয়ে থাকলে এবং তা হতে কোন আপীল না চলিলে, হাইকোর্ট বিভাগ উহার নথি তলব দিতে পারেন, এবং যদি উক্ত অধঃস্তন আপীল না চলিলে, হাইকোর্ট বিভাগ উহার নথি তলব দিতে পারেন, এবং যদি উক্ত অধঃস্তন আদালত কর্তৃক আইনের কোন ভুল করার ফলশুতিতে সিদ্ধান্তের ভ্রান্তি ন্যায় বিচার পরাহত করেছে বলে প্রতীয়মান হয়, তবে হাইকোর্ট বিভাগ যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন, সেরূপ আদেশ দিতে পারেন।

ধারাঃ ১১৬। এই খন্ড কেবল হাইকোট বিভাগে প্রযোজ্য

অত্র খন্ড শুধুমাত্র হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ধারাঃ ১১৭ ৷ হাইকোট বিভাগের ক্ষেত্রে কোডের প্রয়োগ

অত্র খন্ডে বা দশম খন্ডে বা বিধিমালায় বর্ণিত বিধানসমূহ ব্যতিত অত্র কোডের বিধানসমূহ ও হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ধারাঃ ১১৮। মামলার খরচ নির্ধারণের পূর্বে ডিক্রি জারী

যেক্ষেত্রে কোন হাইকোর্ট বিভাগ মনে করে যে, স্বীয় মূল দেওয়ানী এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রদত্ত কোন ডিক্রি মামলার দায়মুক্ত খরচ নিরূপণ করার পূর্বেই জারী করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ এরূপ আদেশ দিতে পারেন যে, উক্ত ডিক্রির যে অংশ মামলার ব্যয়ের সাথে সম্পর্কিত, তা ব্যতিত ডিক্রিটি অবিলম্বে জারী করা হউক, এবং উক্ত ডিক্রির যে পরিমাণ মামলার ব্যয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ডিক্রির সেই পরিমাণ নিরূপণের মাধ্যমে মামলার ব্যয় নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গে জারী করা যাবে।

ধারাঃ ১১৯। ক্ষমতা বিহীন ব্যক্তি আদালতে কথা বলতে পারেন না

অত্র কোর্ডের কোন কিছুই কোন ব্যক্তিকে আদলতে উহার মূল দেওয়ানী এখতিয়ার, প্রয়োগকালে অপরের পক্ষে কথা বলার ক্ষমতা প্রদান বা আদালত উহার সনদ (Charter) অনুসারে ক্ষমতা প্রদান বা উকিল সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিয়মাবলী তৈরি করতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা প্রদান করবে বলে ধরা যাবে না।

ধারাঃ ১২০। হাইকোর্ট বিভাগের মূল দেওয়ানী এখতিয়ার প্রয়োগকালে অপ্রযোজ্য

নিম্নলিখিত বিধানসমূহ যথা—১৬, ১৭ এবং ২০ নম্বর ধারাগুলি হাইকোর্ট বিভাগের মূল দেওয়ানী এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রযোজ্য হবে না।

ধারাঃ ১২১। প্রথম তফসিলের বিধিসমূহের কার্যকরতা

প্রথম তফসিলের বর্ণিত বিধিমালা অত্র খন্ডের বিধানসমূহ অনুসারে বাতিল বা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত অত্র প্রধান অংশরূপে বিধিবদ্ধ হওয়ার মতই কার্যকর হবে।

ধারাঃ ১২২। বিধি প্রণয়নে সুপ্রীমকোর্টের ক্ষমতা

সুপ্রীমকোর্ট সময় সময়ে সুপ্রীম কোর্টের প্রত্যেক বিভাগের ও ইহার নিয়ন্ত্রণাধীন দেওয়ানী আদালতসমূহের কার্যপদ্ধতি নিয়ন্ত্রণকালে পূর্বকালীন প্রকাশনার পরে বিধি প্রণয়ন করতে পারেন এবং এরূপ প্রণীত বিধি দ্বারা প্রথম তফশীলের সকল বা যে কোন বিধি বাতিল, পরিবর্তন বা সংযোজন করতে পারবেন।
ধারাঃ ১২৩। বিধি কমিটি গঠন

(১) ১২২ ধারায় উল্লেখিত উদ্দেশ্যে বিধি কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠিত হবে।

(২) এরূপ কমিটি নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে গঠিত হবে, যথাঃ

ক) সুপ্রীম কোর্টের তিনজন বিচারপতি, যাহাদের মধ্যে অন্ততঃ একজন জিলা জজ হিসেবে তিন বৎসর চাকুরী করেছেন;

খ) ঐ আদালতে আইন ব্যবসারত দুইজন উকিল, এবং

গ) হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন কোন দেওয়ানী আদালতের একজন বিচারক।

(৩) এরূপ কমিটির সদস্যগণ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং তিনি তাদের মধ্যে একজনকে সভাপতি মনোনীত করবেনঃ - তবে শর্ত থাকে যে, প্রধান বিচারপতি যদি নিজেকেই উক্ত কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন, তবে অন্যান্য নিয়োগকৃত বিচারক সদস্যের সংখ্যা হতে দুইজন এবং প্রধান বিচারপতি কমিটির সভাপতি থাকবেন।

(৪) এরূপ কমিটির প্রত্যেক সদস্যের কার্যকলাপের মেয়াদ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্ধারিত হবে এবং যখন কোন সদস্য অবসর গ্রহণ করেন, পদত্যাগ করেন, মৃত্যু বরণ করেন বা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করতে অসমর্থ হন, তখন প্রধান বিচারপতি তার স্থলে অন্য একজন সদস্য নিয়োগ করবেন।

(৫) এরূপ কমিটির একজন সচিব থাকবেন যিনি প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং সরকার কর্তৃক যেরূপ প্রদান করা হয়, সেরূপ পারিশ্রমিক লাভ করবেন।

ধারাঃ ১২৪ ৷ কমিটিকে সুপ্রীমকোর্টে বিবরণ দিতে হয়

বিধি কমিটি প্রথম তফসিলভুক্ত কোন বিধি বাতিল, পরিবর্তন বা সংযোজন করার অথবা নতুন কোন বিধি প্রণয়ন করার প্রস্তাব করলে সুপ্রীম কোটে তার বিবরণ পেশ করবেন এবং ১২২ ধারার অধীনে কোন বিধি প্রণয়ন করার পূর্বে সুপ্রীম কোর্ট উক্তরূপ বিবরণ বিবেচনা করে দেখিবেন।

ধারাঃ ১২৫। বাতিল

ধারাঃ ১২৬। বিধিগুলি অনুমোদন সাপেক্ষ

উপরে বর্ণিত বিধান অনুসারে যে সকল বিধি প্রণীত হবে, তা রাষ্ট্রপতির পূর্বকালীন অনুমোদন সাপেক্ষ হবে।

ধারাঃ ১২৭ ৷ বিধিসমূহের প্রকাশনা

উক্তরূপে প্রণীত ও অনুমোদিত বিধিসমূহ সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হবে এবং প্রকাশের তারিখ হতে অথবা নির্ধারিত অপর কোন তারিখ হতে প্রথম তফশীলে বর্ণিত বিধিসমূহের ন্যায় বলবৎ ও কার্যকর হবে।

ধারাঃ ১২৮। যে সব বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যায়

(১) এরূপ বিধিসমূহ অত্র কোর্ডের প্রধান অংশের বিধানসমূহের সাথে অসংগতি পূর্ণ হবে না, কিন্তু অত্র কোডের বিধান সাপেক্ষে দেওয়ানী আদালতগুলির কার্যপদ্ধতি সংক্রান্ত কোন বিষয়ের বিধান সম্বলিত হতে পারবে।

(২) বিশেষ করে এবং (১) উপধারা অনুসারে প্রদত্ত ক্ষমতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য ব্যাহত না করে নিম্নোক্ত সকল বা যে কোন বিষয়ে এরূপ বিধি প্রণয়ন করা যাবে, যথা—

ক) সাধারণভাবে অথবা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় ডাকযোগে বা অন্য কোন উপায়ে সমন, নোটিশ বা অন্য কোন পরওয়ানা জারী করা এবং এরূপ জারীর প্রমাণ;

খ) যখন পশু, সম্পত্তি বা অন্যবিধ অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকাধীন থাকে, তখন এদের রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধান, এরূপ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের খরচ, এরূপ পশু ও সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় এবং উক্ত বিক্রয়ের আয়;

গ) পাল্টা দাবীর মাধ্যমে মামলার কার্যপদ্ধতি এবং এখতিয়ারের উদ্দেশ্যে এরূপ মামলার মূল্য নির্ধারণ;

ঘ) ঋণের ক্রোক এবং বিক্রয়ের অতিরিক্ত বা প্রতিকল্প হিসেবে পাওনাদার’ আদেশ দাতার কাছে ঋণী হলে তার খাতকের উপর ঋণ পরিশোধ করতে নিষেধ করে আদেশ দান এবং অভিযোগ আদেশের কার্যপদ্ধতি:

ঙ) মামলার পক্ষ নির্বিশেষে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিবাদী প্রদত্ত বস্তুর অধিকার বা খেসারত দাবী করলে তার কার্যপদ্ধতি—

১) যেক্ষেত্রে প্রকাশ্য বা পরোক্ষ কোন চুক্তি দ্বারা বিবাদীর কাছে সুদসহ বা সুদ ব্যতিত দেনা বা পরিশোধিত টাকার চাহিদা পরিশোধ্য থাকে,

সেই সম্পর্কে মামলায় অথবা

কোন বিধিবদ্ধ আইনের বলে উক্ত টাকা যদি কোন নির্ধারিত অংকের পাওনা বা দন্ড ব্যতিত অন্য কোন প্রকৃতির পাওনা হয়ে থাকে, অথবা

দেনা বা পরিশোধিত চাহিদার গ্যারান্টি হিসেবে যেক্ষেত্রে কেবল আসল টাকা সংক্রান্ত দাবীর সৃষ্টি হয়; অথবা কোন জিম্মার উপরে অথবা

২) যেক্ষেত্রে কোন বাড়ীওয়ালা ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বা উক্ত ভাড়াটিয়ার অধীনস্থ কোন দাবীকারী ব্যক্তি বিরুদ্ধে যার সীমিত কাল উত্তীর্ণ হয়েছে অথবা পরিত্যাগের নোটিশ দিয়া যথাযথভাবে নির্ধারিত হয়েছে অথবা ভাড়া পরিশোধ না করার জন্য যদি বাজেয়াপ্তকরণ যোগ্য হয়ে থাকে, তবে খাজনা বা অন্তৰতীকালীন মুনাফার দাবীসহ বা ব্যতিত স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য কোন মামলা করে থাকে:

(ছ) সমন সৃষ্টি করার মাধ্যমে কার্যপদ্ধতি:

(জ) বিভিন্ন মামলা, আপীল বা অন্যবিধ কার্যক্রম একত্রীকরণ;

(ঝ) আদালতের নিবন্ধবহি বা প্রধান করণীক বা মাষ্টার বা অপর কোন কর্মচারীর উপর বিচার বিভাগীয়, আধা-বিচার বিভাগীয় এবং বিচার বিভাগীয় এবং বিচার বিভাগীয় নহে এমন দায়িত্ব অর্পণ করা এবং

(ঞ) দেওয়ানী আদালতের কার্যসম্পাদন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ফরম, রেজিষ্ট্রার বই পত্র, কোন কিছু লিখা খাতাপত্র বা হিসাবপত্রের বিষয়ে।

ধারাঃ ১২৯। (১৯৭৩ সালের ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)

ধারাঃ ১৩০। (১৯৬১ সালে বাদ দেয়া হয়েছে)

ধারাঃ ১৩১। (১৯৭৩ সালে ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে)


ধারাঃ ১৩২। কতিপয় মহিলার ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি

(১) দেশের প্রথা এবং রীতি অনুসারে যে সকল মহিলাকে জনসমক্ষে উপস্থিত হতে বাধ্য করা উচিত নহে, তারা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজিরা হতে অব্যাহতি পাবেন।

(২) অত্র কোড অনুসারে কোন মিহলাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে যে ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই, সেক্ষেত্রে দেওয়ানী পরোয়ানা জারীর ব্যাপারে গ্রেফতার হতে উক্তরূপ মহিলা অব্যাহতি পাবে বলে এখানে বর্ণিত কোন কিছু হতে মনে করা যাবে না।

ধারাঃ ১৩৩। অন্যান্য ব্যক্তিদের অব্যাহতি

(১) সরকারের মতে কোন ব্যক্তি পদমর্যাদার কারণে অব্যাহতির সুবিধা লাভের অধিকারী বলে গণ্য হলে, সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপণ প্রকাশ করে উক্ত ব্যক্তিকে আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়া হতে অব্যাহতি দান করতে পারেন।

(২) সরকার সময়ে সময়ে এরূপ অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা হাইকোর্ট বিভাগের নিকট প্রেরণ করবেন এবং এরূপ ব্যক্তিদের একটি তালিকা অনুরূপ আদালতে রাখা হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন যে যে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানায় এরূপ ব্যক্তিগণ বসবাস করেন, সেই আদালতে এরূপ ব্যক্তিদের একটি তালিকা রাখা হবে।

(৩) যে ক্ষেত্রে এরূপ অব্যাহতি প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এরূপ অব্যাহতির সুবিধা দাবী করেন, এবং ইহার ফলে তাকে কমিশন যোগে জবানবন্দী করানোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কমিশনের সকল ব্যয় তার সাক্ষ্য যে পক্ষের প্রয়োজন, সেইপক্ষ পরিশোধন না করলে, তাকেই উক্ত ব্যয় বহন করতে হবে।

ধারাঃ ১৩৪। ডিক্রিজারীর ক্ষেত্রে ব্যতিত গ্রেফতার

এই কোড অনুসারে গ্রেফতারকৃত সকল ব্যক্তির প্রতিই ৫৫, ৫৭ ও ৫৯ ধারার বিধানসমূহ যথারীতি প্রযোজ্য হবে।

ধারাঃ ১৩৫। দেওয়ানী পরোয়ানার অধীনে গ্রেফতার হতে অব্যাহতি

(১) কোন জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট বা বিচার বিভাগীয় অপর কোন কর্মকর্তাকে আদালতে গমনের সময়, আদালতে মামলা পরিচালনা (Presiding in) করার সময় বা তার আদালত হতে প্রত্যাবর্তনের সময় কোন দেওয়ানী পরোয়ানার অধীনে গ্রেফতার করা যাবে না।

(২) এখতিয়ার সম্পন্ন অথবা এরূপ এখতিয়ার আছে বলে সরল ভাবে বিশ্বাস করেন, এরূপ কোন ট্রাইবুনালে কোন বিষয় বিচারাধীন থাকলে উক্ত বিষয়ের সাথে সংশিট পক্ষগণ তাদের উকিল, মোখতার, রাজস্ব প্রতিনিধি এবং স্বীকৃত প্রতিনিধি এবং সমনের বাধ্যবাধকতায় কার্যরত তাদের সাক্ষীগণ এরূপ বিষয়ের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল সমীপে গমনকালে বা হাজির থাকাকালে এবং তথা হতে প্রত্যাবর্তনকালে আদালত অবমাননার দায়ে উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারীকৃত পরোয়ানা ব্যতিত অপর কোন দেওয়ানী পরোয়ানাধীনে গ্রেফতার হতে অব্যাহতি পাবেন।

(৩) যদি কোন রায়ের দেনাদারের উপর অবিলম্বে গ্রেফতারের মাধ্যমে জারীর আদেশ দেয়া হয়ে থাকে বা যে ক্ষেত্রে এরূপ রায়ের দেনাদারকে ডিক্রি জারীক্রমে কেন কারাগারে সোপর্দ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শাইতে বলা হয়ে থাকে, তবে (২) উপধারার কোন কিছুই উক্ত রায়ের দেনাদারকে গ্রেফতার হতে অব্যাহতি পেতে সমর্থ করবে না।

ধারাঃ ১৩৫ক। দেওয়ানী পরোয়ানাধীনে আইন পরিষদের সদস্যগণের গ্রেফতার ও আটকাদেশ হতে অব্যাহতি

(১) কোন ব্যক্তিকেই দেওয়ানী পরোয়ানাধীনে গ্রেফতার বা কারাগারে আটক রাখা যাবে না

ক) যদি সেই ব্যক্তি সংসদের সদস্য হয়, তবে সংসদের অধিবেশন চলাকালে;

খ) যদি সেই ব্যক্তি সংসদের কোন কিমটির সদস্য হয়, তবে এরূপ কমিটির অধিবেশন চলাকালে;

এবং এরূপ অধিবেশন বা বৈঠকের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী চৌ দিন সময় পর্যন্ত।

(২) উপধরা (১) অনুসারে আটকাদেশ হতে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে উক্ত উপধারায় বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে পুনরায় গ্রেফতার করা যাবে এবং তিনি (১) উপধারার বিধান অনুসারে মুক্তি না পেলে আরও যতদিন আটক থাকতে হতো, ততদিন তাকে আটক রাখা যাবে।


ধারাঃ ১৩৬। যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে বা যে সম্পত্তি ক্রোক করা হবে তা জেলার বাইরে অবস্থিত হলে কার্য পদ্ধতি

(১) ডিক্রিজার ব্যতিত অত্র কোডের অপর কোন বিধান অনুসারে যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বা কোন সম্পত্তি ক্রোকের জন্য আবেদন করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি বা সম্পত্তি যদি, সংশ্লিষ্ট আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা বা ক্রোকের আদেশনামার একটি নকলের সাথে গ্রেফতার বা ক্রোক সংক্রান্ত সম্ভাব্য খরচের টাকা উক্ত ব্যক্তি বা সম্পত্তি যেখানে অবস্থিত রয়েছে সেখানকার জেলা আদালতের নিকট প্রেরণ করতে পারেন।

(২) উক্ত জেলা আদালত উক্ত নকল এবং খরচের টাকা প্রাপ্তির পর উহার কোন কর্মকর্তা বা উহার অধঃস্তন কোন আদালতের দ্বারা গ্রেপতার বা ক্রোক করাবেন এবং যে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রেরণ বা প্রদান করেছেন, সেই আদালত উক্তরূপ গ্রেফতার বা ক্রোকের বিষয় অবগত করাবেন।

(৩) অত্র ধারা অনুসারে গ্রেফতারকারী আদালত গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতে প্রেরণ করবেন, যদি না উক্ত ব্যক্তি আদালতের সন্তোষজনক কারণ দর্শায় যে, কেন তাকে উক্ত আদালতে প্রেরণ করা হবে না অথবা যদি না উক্ত ব্যক্তি পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতে তার হাজিরার জন্য বা উক্ত আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন ডিক্রির টাকা পরিশোধের জন্য উপযুক্ত জামানত দেয়, এই দুইটি বিষয়ের যে কোনটির ক্ষেত্রে আদালত তাকে মুক্তি দান করবেন।

(৪) (১৯৪৯ সালে বাদ দেয়া হয়েছে)।

ধারাঃ ১৩৭। অধঃস্তন আদালতের ভাষা

(১) অত্র কোড বলবৎ হওয়ার সময় কোন হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন কোন আদালতের ভাষা যা ছিল, সরকার অন্যরূপ নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত তাই উক্ত অধঃস্তন আদালতের ভাষা হিসেবে প্রচলত থাকবে।

(২) এরূপ আদালতের ভাষা কি হবে এবং কোন রীতিতে সেই আদালত সমীপে আবেদনপত্রসমূহ এবং আদালতের কার্যবিবরণী লিখিত হবে তা সরকার ঘোষণা করতে পারবেন।

(৩) যেক্ষেত্রে এরূপ কোন আদালতে সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা ব্যতিত অন্য কিছু লিখিতভাবে সম্পাদন করার জন্য অত্র কোড আদেশ করে বা অনুমোদন করে, তা ইংরেজীতে লেখা যাবে; কিন্তু কোন পক্ষ বা তার উকিল যদি ইংরেজী ভাষার সাথে পরিচিত না হন, তবে তার অনুরোধ ক্রমে আদালতের ভাষায় উক্ত ইংরেজীর অনুবাদ তাকে সরবরাহ করা হবে, এবং এরূপ ক্ষেত্রে আদালত যে রূপ সংগত মনে করেন, অনুবাদের খরচ সম্পর্কে সেরূপ আদেশ দান করবেন।

ধারাঃ ১৩৮। সাক্ষ্য ইংরেজীতে লিপিবদ্ধ করা ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা

(১) হাইকোর্ট বিভাগ সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট বিচারক বা তার না হলে বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত কোন শ্রেণীর বিচারককে এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারেন যে, যে সকল মামলার আপীল চলে, সেই সকল মামলায় সাক্ষ্য ইংরেজী ভাষায় ও নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

(২) যদি কোন বিচারক উপযুক্ত কারণে (১) উপধারায় বর্ণিত নির্দেশ পালন করতে বাধা প্রাপ্ত হন, তবে তিনি সেই কারণ লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রকাশ্য আদালতে ডিকটেশন দিয়া সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করাবেন।

ধারাঃ ১৩৯। হলপনামার শপথ যিনি পরিচালনা করবেন

এই কোডের অধীনে কোন এফিডেভিটের ক্ষেত্রে—

ক) যে কোন আদালত বা ম্যাজিষ্ট্রেট, বা

খ) যে কোন কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি যাকে সুপ্রীম কোর্ট এই কাজের জন্য নিয়োগ করতে পারেন, অথবা

গ) সরকার কর্তৃক সাধারণভাবে বা বিশেষভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত অপর কোন আদালত যে ব্যক্তিকে এই কাজের জন্য নিয়োগ করতে পারেন তারা সাক্ষ্যদাতার শপথ পরিচালনা করেন।

ধারাঃ ১৪০। জাহাজ বিপদমুক্ত করার কাজ, ইত্যাদি কারণে এসেসর

(১) কোন প্রধান বা উপ-প্রধান নৌ-সেনাপতির দফতরে জাহাজকে বিপদমুক্ত করার কাজের পারিশ্রমক, গুনটানার পারিশ্রমিক বা নৌসংঘর্ষ সংক্রান্ত বিরোধের ব্যাপারে, আদালত উহার মূল বা আপীল এখতিয়ার প্রয়োগকালে উপযুক্ত মনে করলে এবং যে কোন পক্ষের অনুরোধক্রমে আদালতকে সাহায্য করার জন্য দুইজন যোগ্যতাসম্পন্ন এসেসরকে যথাবিহতি সমন দিতে পারবেন এবং সেরূপ এসেসরগণ আদালতে উপস্থিত হবেন এবং তদানুযায়ী আদালতকে সাহায্য করবেন।

(২) এরূপ প্রত্যেক এসেসর তার উপস্থিতির জন্য আদালতের নির্দেশিত পক্ষের নিকট হতে অথবা যেভাবে নির্ধারণ করা হয়, সেভাবে ফি পাবেন।

ধারাঃ ১৪১। বিবিধ কার্যক্রম

এই কোডে মামলা সম্পর্কে বর্ণিত কার্যপদ্ধতি দেওয়ানী এখতিয়ার সম্পন্ন যে কোন আদালতে যাবতীয় কার্যক্রমের বেলায় যথাসম্ভব অনুসরণ করতে হবে।

ধারাঃ ১৪২। আদেশ ও নোটিশ লিখিত হতে হবে

এই কোডের বিধান মতে কোন ব্যক্তির প্রতি সকল আদেশ ও নোটিশ লিখিতভাবে জারী করতে হবে।

ধারাঃ ১৪৩। ডাক মাশুল

এই কোডের অধীনে যে সকল নোটিশ সমন বা চিঠি ডাকে পাঠাতে হবে, সেগুলির উপর ডাকমাশুল ও রেজিষ্ট্রি ফি ঐগুলি প্রেরণের পূর্বেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার এরূপ ডাক মাশুল বা ফি অথবা উভয়টিই রেহাই দিতে পারেন অথবা ইহার পরিবর্তে কোন নির্ধারিত হারে কোর্ট ফি ধার্য করতে পারেন।

ধারাঃ ১৪৪। পুনরুদ্ধার

(১) যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রির যতদূর পরিবর্তন বা রদ করা হয়, সেক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার বা অন্য কোনভাবে কোনরূপ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী কোন পক্ষের আবেদন ক্রমে প্রাথমিক আদালত এরূপ পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা একদম প্রদত্ত না হলে পক্ষগণ যে অবস্থায় থাকতেন, সেই অবস্থায় স্থাপন করবেন এবং এই উদ্দেশ্যে আদালতে মামলার খরচ প্রদান এবং সুদ, খেসারত ও ক্ষতিপূরণ এবং মধ্যবর্তী কালীন মুনাফা পরিশোধের আদেশসহ এরূপ পরিবর্তন বা রদের কারণে যেরূপ উপযুক্ত হয় সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারেন।

(২) উপধারা (১) অনুসারে আবেদন করে পুনরুদ্ধার বা অন্য কোন প্রতিকার পাওয়া গেলে এই উদ্দেশ্যে কোন মামলা দায়ের করা চলবে না।

ধারাঃ ১৪৫। জামিনদারের দায়িত্ব কার্যকরকরণ

যেক্ষেত্রে ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে

ক) কোন ডিক্রির সামগ্রিক বা আংশিক দায়িত্ব পালনের জন্য, বা

খ) ডিক্রিজারীর দরুন কোন সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য, বা

গ) কোন মামলা বা ইহার ফল স্বারূপ কোন কার্যক্রমে আদালতের আদেশ অনুযায়ী টাকা পরিশোধের বা কোন ব্যক্তির উপর আরোপিত কোন শর্ত পূরণের জন্য দায়ী হয়েছে,

সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিক্রি বা আদেশ, যে পরিমাণ সে নিজে ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সে পরিমাণের জন্য, ডিক্রিজারীর জন্য এখানে বর্ণিত রীতি অনুসারে জারী করা যাবে এবং আপীলের উদ্দেশ্যে এরূপ ব্যক্তিকে ৪৭ ধারার অর্থ অনুযায়ী পক্ষ হিসেবে গণ্য করা হবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এরূপ প্রত্যেক ক্ষেত্রে যেরূপ যথেষ্ট মনে করেন জামিনদারকে সেরূপ নোটিশ দিবেন।
ধারাঃ ১৪৬। প্রতিনিধি কর্তৃক বা তার বিরুদ্ধে কার্যক্রম
এই কোডের বা বর্তমানে প্রচলত অন্য কোন আইনে অন্যরূপ বিধান থাকলে, তা ব্যতিরেকে যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি কর্তৃক বা তার বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম অবলম্বন বা আবেদন পত্র দাখিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে তার অধীনে যে ব্যক্তি দাবী করে, সেই ব্যক্তি কর্তৃক বা তার বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম গ্রহণ বা আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে।

ধারাঃ ১৪৭। অক্ষম ব্যক্তি কর্তৃক সম্মতি বা চুক্তি
কোন মামলায় কোন অক্ষম ব্যক্তি পক্ষ থাকলে মামলার জন্য তাহর নিকটতম হিতৈষী (next friend) বা অভিভাবক যদি আদালতের প্রকাশ্য অনুমতিক্রমে তার পক্ষে কোন সম্মতিদান বা চুক্তি করে, তবে উক্ত সম্মতি বা চুক্তির এরূপ বলবত্তা এবং বাস্তবতা থাকবে, যেন উক্ত অক্ষম ব্যক্তি আদ্যে অক্ষম নহে, এবং সে নিজেই সম্মতিদান করেছে বা চুক্তি করেছে।

ধারাঃ ১৪৮ ৷ সময় বৃদ্ধিকরণ
যেক্ষেত্রে অত্র কোডে নির্ধারিত বা অনুমোদিত কোন কার্য করার জন্য আদালত পর্যায়কাল নির্ধারণ বা মঞ্জুর করেন, সেক্ষেত্রে আদালত সময়ে সময়ে ইচ্ছা করলে উক্ত পর্যায়কাল বর্ধিত করতে পারেন, যদিও প্রথমে নির্ধারিত বা মঞ্জুরিকৃত পর্যায়কাল উত্তীর্ণ হয়ে গিয়া থাকে।

ধারাঃ ১৪৯। কোর্ট স্থির অপর্যাপ্ততা পূরণের ক্ষমতা

বর্তমানে বলবৎ কোন আইন অনুসারে কোন দলিলের নির্ধারিত কোর্ট ফি আংশিক বা সামগ্রিকভাবে পরিশোধ করা না হয়ে থাকলে, আদালত ইচ্ছা করলে যে কোন পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এরূপ কোর্ট ফি এর আংশিক বা সামগ্রিক যাই প্রয়োজন, পরিশোধ করতে অনুমতি দিতে পারেন এবং এরূপে পরিশোধের ফলে উক্ত দলিলের বলবত্তা ও বাস্তবতা সেরূপই থাকবে যেরূপ প্রারম্ভেই অনুরূপ ফি পরিশোধ করলে থাকত।

ধারাঃ ১৫০। আদালতের কার্য হস্তাভর

অন্যরূপ কোন বিধান না থাকলে যখন এক আদালতের কার্য অন্য আদালতের নিকট স্থানান্তরিত করা হয়, তখন অত্র কোড দ্বারা বা অনুসারে এরূপ হস্তান্তরকারী আদালতের উপর উক্ত বিষয়ে যে ক্ষমতা ও কর্তব্য ন্যস্ত ছিল, যে আদালতের নিকট হস্তান্তরিত হয়েছে, উহার উপরও সেরূপ ক্ষমতা ও কর্তব্য আরোপিত হবে।

ধারাঃ ১৫১ ৷ আদালতের সহজাত ক্ষমতার রক্ষা করা

ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্যে বা আদালতে প্রক্রিয়ার অপব্যবহার নিবারণ করার জন্য প্রয়োজনী আদেশ দানের ব্যাপারে, আদালতের যে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে, এই কোর্ডের কোন কিছুই তা সীমাবদ্ধ বা অন্য কোনভাবে ক্ষুন্ন করবে বলে গণ্য করা যাবে না।

ধারাঃ ১৫২। রায় ডিক্রি বা আদেশ সংশোধন

রায়, ডিক্রি বা আদেশে কেরনীগত ভুল বা গাণিতিক ভুল থাকলে অথবা কোন আকস্মিক ফসকান বা বিচ্যুতির কারণে তথায় কোন ভুল থাকলে যে কোন সময় আদালত নিজ উদ্যোগে বা কোন পক্ষের আবেদনক্রমে উহা সংশোধন করতে পারেন।

ধারাঃ ১৫৩। সংশোধন করার সাধারণ ক্ষমতা

আদালত যে কোন সময় এবং খরচ সম্পর্কে যেরূপ শর্তাদি যথাযথ মনে করেন বা অন্য কোন ভাবে কোন মামলার কার্যক্রমের ভুল ক্রটি সংশোধন করতে পারেন, এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় সংশোধন এরূপ কার্যক্রমের উপর নির্ভরশীল বা ইহা হতে উত্থাপিত কোন প্রকৃত প্রশ্ন বা বিচার্য বিষয় নিস্পত্তির উদ্দেশ্যে হতে হবে।

ধারাঃ ১৫৪। আপীলের বর্তমান অধিকার রক্ষাকারী

এই কোড কার্যকর হওয়ার সময়ে কোন পক্ষের আপীলের অধিকার জনিয়া থাকলে, অত্র কোডের কোন কিছুই তার ক্ষুন্ন করবে না।

ধারাঃ ১৫৫। কতিপয় আইনের সংশোধন
চতুর্থ তফশীলে উল্লেখিত আইনসমূহ এতদদ্বারা উক্ত তফসিলের চতুর্থ কলমে নির্ধারিত মতে সংশোধিত হলো।

ধারাঃ ১৫৬। বাতিল

ধারা ১৫৭-১৫৮। বাতিল

৩.দেওয়ানী মামলার বিচার পদ্ধতি| দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায়

দেওয়ানী মামলার বিচার পদ্ধতি বলা আছে দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ নং ১৪ তে।সে অনুযায়ী বিচার কার্য পরিচালিত হয়।

৪.দেওয়ানী মামলার রায়| দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায়

মামলার শুনানি শেষ হওয়ার অনধিক সাত দিনের মধ্যেই আদালত রায় ঘোষণা করবে

৫. প্রশ্নোত্তর পর্ব 

প্রশ্ন:দেওয়ানী মামলার ধারা কতটি?
উত্তর: ১৫৮ টি 
প্রশ্ন: দেওয়ানী কার্যবিধি কত সালের?
উত্তর:১৯০৮ সালের 

৬. লেখকের মন্তব্য 

 সম্পত্তি নিয়ে সংঘাত চিরন্তন। আর এই সংঘাতের ফলে মামলা করা অপরিহার্য হয়ে যায়।তাই দেওয়ানী মামলার ধারাসমূহ, বিচার পদ্ধতি ও রায় সম্পর্কে জানা থাকলে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url