OrdinaryITPostAd

আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই, আর্টিকেলে ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেয়া হয়েছে। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই আর্টিকেলে দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড অনেক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট বয়সে অবতীর্ণ করলে আমরা সবাই ই ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারি এবং অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড দেখা থেকে শুরু করে নানা তথ্য আমরা আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই আর্টিকেল এ জানাব।

অনুচ্ছেদ সূচী (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

  1. ভোটার নাম্বার বের করার নিয়ম
  2. ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম 
  3. অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
  4. পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড 
  5. স্মার্ট আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
  6. ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২২
  7. মোবাইল নাম্বার এর মাধ্যমে আইডি কার্ড নাম্বার বের করুন
  8. ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কি জানুন
  9. ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়(বর্তমানে বন্ধ)
  10.  ভোটার আইডি কার্ড অনুসন্ধান
  11.  ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধন

১.ভোটার নাম্বার বের করার নিয়ম।আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

ভোটার নাম্বার বের করার জন্য আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই লিখে সার্চ করবেন অনলাইনে। ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য  আপনাদের প্রথমেই যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনাদের ভোটার স্লিপ। এরপর services.nidw.gov.bd নামক এই পেইজে যেয়ে ভোটার স্লিপ এর নাম্বার দিয়ে ভোটার নাম্বার বের করতে হবে। উক্ত পেইজে যেয়ে আপনাদের স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। এরপর সাবমিট বাটন এ ক্লিক করেই আপনারা আপনাদের ভোটার নাম্বারের তথ্য দেখতে পারবেন।

যারা ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য নিবন্ধন করেছেন তবে এখনও ভোটার আইডি কার্ড হাতে পান নি তারাও এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনাদের ভোটার নাম্বার বের করতে পারবেন। ভোটার স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দেয়ার পর একটি ক্যাপচা সাবমিট করার পর আপনারা যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলে নিচে তথ্য দেখতে পারবেন এবং যদি কম্পিউটার ব্যবহার করেন তবে ডান দিকে তথ্য দেখতে পারবেন। ভোটার নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।আপনাদের মনে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে যে ভোটার নাম্বারটি আপনারা কোথায় পাবেন? আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের সময় নির্বাচনের প্রার্থীর কাছে ভোটার লিস্টে আপনার ভোটার নাম্বার টি পেয়ে যাবেন।সেখান থেকেই আপনি আপনার ভোটার আইডি নাম্বার টি সংগ্রহ করতে পারবেন।

২.ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম খুব ই সহজ একটি প্রক্রিয়া। অল্প কিছু স্টেপ অনুসরণ করলেই আপনি খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন আপনার ভোটার নাম্বার দিয়ে।ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি পেইজে যেতে হবে। পেইজ টি হলো services.nidw.gov.bd,  যা একটি ভোটার তথ্য ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে যেয়ে আপনাকে আপনার ভোটার নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। এরপর আপনাকে সাবমিট লেখায় ক্লিক করতে হবে এবং আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড তথ্য দেখতে পারবেন। 
তবে এক্ষেত্রে আপনার যদি ভোটার নাম্বার টি অজানা থাকে তবে আপনি আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়ে একই নিয়ম অনুসরণ করে এবং একই ওয়েবসাইট এ গিয়ে আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখ প্রদান করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে সক্ষম হবেন।

৩.অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 


অনলাইন থেকে খুব সহজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেব আপনার ভোটার আইডি কার্ড। 
  • প্রথমে আপনাকে একটি ভোটার তথ্য ওয়েবসাইট এ যেতে হবে,  ওয়েবসাইট টি হলো  services.nidw.gov.bd.
  • এরপর আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর স্লিপ নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করে সাবমিট করতে হবে। 
  • পরবর্তী পেইজে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। 
  • এরপর আপনি আপনার আইডি কার্ড নাম্বার টি সিলেক্ট করুন এবং কপি করুন।
  • এরপর উল্লেখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন এবং আপনার ভোটার তথ্য নিবন্ধন করুন।
  • নিবন্ধন করা হয়ে গেলে লগইন করে নিবেন।
  • পরবর্তী পেইজে যেয়ে আপনি ভোটার আইডি কার্ড এর পিডিএফ ফাইল দেখতে পারবেন। এরপর আপনি ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। 

৪.পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

আপনারা যদি খুব সহজ উপায় এ আপনাদের পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তবে প্রথমে আপনাদের ভোটার তথ্য লিখে সার্চ করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের অফিসের একটি ওয়েবসাইট আপনাদের সামনে চলে আসবে। সে ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে আপনাদের অন্যান্য তথ্য নামক একটি অপশন আসবে এবং সেই অপশনের ভেতর আপনাদেরকে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে প্রবেশ করার পর আপনার বর্তমান জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে সঠিক স্থানে বসাতে হবে। তারপর আপনি দেখতে পাবেন নিচে একটি ক্যাপচা পূরণ করতে বলা হয়েছে আপনাকে সেই ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
তারপরে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের যে সনদপত্র রয়েছে সেই সনদপত্র টি চলে আসবে তারপর আপনারা সেখান থেকে আপনাদের পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার টি সংরক্ষণ করতে পারবেন। আর আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাদেরকে পরবর্তী অপশনে যেতে হবে। পরবর্তী অপশনে যাওয়ার পর আপনাদের বর্তমান ঠিকানা এবং  স্থায়ী ঠিকানা সঠিক স্থানে বসাবেন তারপরে আপনারা যে মোবাইল নম্বর আপনার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার সময় ব্যবহার করেছিলেন এবং যে নাম্বার আপনার মোবাইলে সচল রয়েছে সেই নাম্বারটি দিবেন। আর কোনভাবে যদি আপনার সেই মোবাইলের সিমটি হারিয়ে ফেলেন তো আপনি নতুন নাম্বার দিয়ে পরিবর্তন করে নিবেন। তারপরে পরবর্তী ঘরে আপনাদের জন্মতারিখ দিবেন এবং একটি ক্যাপচা আসবে সেটি আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়া গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনাদের সামনে ডাউনলোড অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে আপনারা আপনাদের পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন আর যদি কোনোভাবে ডাউনলোড করতে না পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনার আইডি কার্ডে কোন প্রসেসিং চলছে অথবা আপনার ভোটার আইডি কার্ড টি কোন কারণে এখনো ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। এজন্য আপনাদের হয়তো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে তবে এই প্রক্রিয়া গুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করলে আপনারা আপনাদের পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই নামক এই আর্টিকেল টি পড়ে আশা করি এই অংশ বুঝতে পেরেছেন।

৫.স্মার্ট আইডি কার্ড বের করার নিয়ম। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

স্মার্ট আইডি কার্ড ও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে বের করা সম্ভব। তবে তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা আপনাদের স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
প্রথমত,  আপনারা যারা নতুন ভোটার হয়েছেন এবং যাদের কাছে আপনাদের ভোটার নিবন্ধন স্লিপ রয়েছে তাদের স্মার্ট কার্ড বের করতে হলে নিজের মোবাইল ফোন থেকে একটি মেসেজ পাঠাতে হবে। আপনাদের মোবাইল এর মেসেজ অপশন এ যেয়ে এভাবে লিখতে হবে,
NID>স্পেস দিবেন>আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপ এর নাম্বার দিবেন>আপনার জন্ম তারিখ দিবেন।
তারপর পাঠিয়ে দিবেন ১০৫ এই নম্বরে। এরপর যে ফিরতি মেসেজ টি পাবেব সেখানে আপনার স্মার্ট কার্ড এর বক্স নম্বর এবং কম্পার্টমেন্ট নম্বর পাঠানো হবে। আর আপনার স্মার্ট কার্ড যদি না হয়ে থাকে তবে মেসেযে বলে দেয়া হবে আপনার কার্ড হয়নি। আপনাদের যাদের কাছে ১০ থেকে ১৭ সংখ্যার এন আইডি নম্বর আছে তারা মেসেজ অপশনে যেয়ে লিখবেন এভাবে,
SC>একটি স্পেস দিবেন>NID>একটি স্পেস দিবেন>১০ বা ১৭ সংখ্যার নম্বর দিবেন।তারপর পাঠিয়ে দিবেন ১০৫ নম্বরে।
দ্বিতীয়ত, আপনার ভোটার আইডি স্লিপ নাম্বার বা এন আইডি নম্বর নিয়ে আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে জানতে চাইবেন আপনার স্মার্ট আইডি চেক করে এসেছে কিনা।নাহলে নির্বাচনের কমিশন ওয়েবসাইট এ যেয়ে দেখবেন স্মার্ট কার্ড চেক হয়ে এসেছে কিনা।

৬.ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২২।আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা খুবই সহজ একটি মাধ্যম। তবে অনেকে আমরা তা জানি না। না জানার কারণে আমরা অনেকে দোকানে গিয়ে ডাউনলোড করি টাকার বিনিময় এতে করে অনেক সময় আমরা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই। আমরা অনেকেই জানি না যে আমরা বেশ কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারি।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। আপনি যদি অ্যাকাউন্ট না খুলেন তবে আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। আমরা এখানে খুব সহজেই ওয়েব সাইটে একাউন্ট খোলার পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দেবো আপনাকে ভালো করে অনুসরণ করতে হবে। 
প্রথম ধাপ, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আপনাদেরকে একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটটি হল  services.nidw.gov.bd.
দ্বিতীয় ধাপ, হলো এখন যদি আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে তাহলে আপনাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপর আপনাদের সামনে একটি পেইজ আসবে সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে একটি ক্যাপচা আসবে সে ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ক্যাপচা পুরন করে সাবমিট করতে হবে। আইডি কার্ডের নম্বর দিতে আপনার কাছে যদি আইডি কার্ডের নাম্বার না থাকে তাহলে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের ফরম নাম্বার দিতে পারবেন। তারপর আপনার বয়স ঠিকভাবে দিবেন এবং আরেকটি ক্যাপচা আসবে সেই ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট অপশনে আপনাদের ক্লিক করতে হবে।
 তৃতীয় ধাপ, কার্ড ডাউনলোড করার জন্য যখন আপনারা ফরম নাম্বার এবং আপনাদের জন্মতারিখ দিয়ে পরের ধাপে যাবেন তখন আপনাকে আপনার ভোটার তথ্য দিতে হবে ভোটার তথ্যের মধ্যে রয়েছে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ইত্যাদি। এগুলো পূরণ করার পর যখন পরের ধাপে যাবেন আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করে নিতে হবে। আপনি যদি পুরাতন ভোটার হন তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বার অ্যাড করে ভেরিফাই করে নেবেন। সব পদ্ধতি অবলম্বন করার পরে আপনাকে অবশ্যই পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে হবে। আপনার রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করে পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে কখনোই ভুলবেন না। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এর জন্য আপনাকে লগইন করতে হবে।
প্রথম ধাপ, ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়ে গেলে আপনাকে আবার হোমপেজে আসতে হবে এবং  হোমপেজে নিচে দেখবেন লগইন করার অপশন রয়েছে সেখানে আপনাকে লগইন করে নিতে হবে। আপনি ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে পাসওয়ার্ডটি সেটআপ করে নিয়েছেন সেই পাসওয়ার্ড এবং ইউজার নেম দিয়ে এখানে লগইন করতে হবে। 
দ্বিতীয় ধাপ, লগইন করার পর ই আপনি আপনার দেয়া ছবি এবং বাকি সব ভোটার তথ্য দেখতে পারবেন। 
এরপর আপনারা যখন আবারও আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পেইজটিতে আসবেন তখন আপনার দেয়া সকল তথ্য দেখতে পারবেন এবং ডাউনলোড লেখা একটি অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

৭.মোবাইল নাম্বার এর মাধ্যমে আইডি কার্ড নাম্বার বের করুন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই নামক এই আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের একটি অন্যরকম নিয়ম শেখানো হবে। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা আপনাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বের করতে চাচ্ছেন। আপনাদের জন্যই তবে এই অংশটি। এই অংশটি অবলম্বন করলে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের মোবাইল নাম্বার এর মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বের করে ফেলতে পারবেন।প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে রপ্ত করে নিলেই পদ্ধতি টি সহজ মনে হবে।
আপনারা এমন অনেক পরিস্থিতি তে পড়ে যেতে পারেন যে আপনি বাহিরে গিয়েছেন,কোনো একটি কাজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার জানা আপনার খুব প্রয়োজন অথবা কোনো কাজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার জানতে চাওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই মুহুর্তে কোনো উপায় আপনার হাতে নেই আপনার মোবাইল ছাড়া।অথবা আপনার কোনো তথ্য প্রয়োজন,  আপনার ভোটার আইডি কার্ড এ যেহেতু আপনার সকল তথ্যাদি দেয়া রয়েছে।তখন কিন্তু আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ই বের করে ফেলতে পারেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাজটি মেটাতে পারবেন।
আপনাদের সকল এর ই আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার সবসময় সাথে রাখা উচিত বা মুখস্থ রাখা উচিত। কারণ যখন তখন আপনাদের এটি কাজে লাগতে পারে।যদি না রাখেন তখন আপনার মোবাইল নাম্বার ই পারে আপনাকে এই সমস্যার সমাধান দিতে।তবে আপনি যে মোবাইল নাম্বার টি আপনার একটি নির্দিষ্ট ভোটার আইডি কার্ড এ ব্যবহার করেছেন শুধুমাত্র সেই নাম্বার টি দিয়েই আপনি আপনার নির্দিষ্ট একটি ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বের করতে পারবেন। অন্য যে কোনো মোবাইল নাম্বার দিয়ে বের করতে পারবেন না।
আসুন বাংলালিংক সিমের নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বের করার পদ্ধতি জানুন।
প্রথমে, আপনি আপনার মোবাইল এর ডায়াল অপশনে যাবেন এবং সেখানে যেয়ে একটি কোড ডায়াল করবেন। বাংলালিংক সিমের জন্য কোডটি হলো *১৬০০#। আপনার ডায়াল অপশনে যে সিমটিতে সিম সিলেক্ট করা রয়েছে সেটি সিলেক্ট করবেন।এরপর দেখবেন আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস এসেছে।এই ইন্টারফেস এর দুই নম্বর অপশন টি আপনি ক্লিক করবেন এবং পরবর্তী প্রসেস ওকে করে দিবেন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর ই আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছে।সেই মেসেজে  আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দেয়া থাকবে। এভাবেই খুব সহজ একটি মাধ্যমে আপনারা আপনার হাতের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে আইডি কার্ড নাম্বার বের করে ফেলতে পারবেন।


৮.ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কি জানুন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

একটি দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিক হিসেবে আপনাদের সকলের দায়িত্ব নির্দিষ্ট বয়সে অবতীর্ণ হলে  নিজের  ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণে  রাখা। বিভিন্ন কাজে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে থাকবে। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বিভিন্ন  রকমের কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয় না। তাই নিজের ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে রাখা একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব এর মধ্যে পড়ে। ভোটার আইডি কার্ডের অন্যতম একটি হলো আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার। আপনাকে অবশ্যই আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করলে  অবশ্যই ভোটার সিরিয়াল আপনি জানতে পারবেন। ভোটার সিরিয়াল নম্বর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আইডি কার্ড নম্বর পেতে সমস্যা হলেও ভোটার  সিরিয়াল নম্বর দিয়ে তা বের করা সম্ভব। এখন জানুন ভোটার সিরিয়াল নাম্বার টা আসলে কি। 
আপনি নির্দিষ্ট বয়সে অবতীর্ণ হওয়ার পর আপনার নির্দিষ্ট ভোটার এলাকায় ভোটার হওয়ার জন্য ভোটার কার্ডের জন্য যে নিবন্ধন করবেন আপনার সেই সিরিয়াল নম্বর ই হল আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সিরিয়াল নম্বর। আপনি যখন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন তখন সেখানে দায়িত্বরত থাকা ব্যক্তি আপনার  নির্দিষ্ট এলাকায় পরিচয়ের জন্য আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানতে চাইবে। তারপর আপনার সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী আপনার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই করে আপনার এনআইডি কার্ড দেখে  আপনাকে এরপরে ভোট প্রদান করার অনুমতি দেবে।

৯.ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়( বর্তমানে বন্ধ)।আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

আপনারা জানেন একটি দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে রাখতে হবে। আপনারা জেনেছেন ভোটার আইডি নাম্বার কি এবং ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কি। এখন এই অংশে জানবেন ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কি করে বের করতে হয়। 
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। 
  > NID service ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 
প্রথমে আপনাদেরকে ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার জন্য একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইট টি হলো services.nidw.gov.bd.
> এনআইডি নম্বর অথবা আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর দিন। 
ভোটার তথ্য জানার জন্য আপনাকে আপনার এনআইডি নম্বর অথবা ভোটার স্লিপ নাম্বার এবং জন্মতারিখ  সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।  এরপর আপনাকে একটি ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তারপর নিচে ভোটার তথ্য দেখুন নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে। 
> ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখুন
আপনার যদি ভোটার নিবন্ধন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং আপনি যদি সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান এবং ক্যাপচা পুরন করতে পারেন তাহলে ডান পাশে আপনি আপনার ভোটার তথ্য এবং ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখতে পারবেন।

১০.ভোটার আইডি কার্ড অনুসন্ধান।আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

আপনাদের যদি কখনও কোনো প্রয়োজনীয় কোনো কাজে ভোটার আইডি কার্ড দরকার হয় তবে আপনি খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুসন্ধান করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
ধাপ ১ঃ 
আপনার আইডি কার্ড অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটটি হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট, services.nidw.gov.bd.
ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করেই আপনাদেরকে আইডি কার্ড অনুসন্ধান করার জন্য  
ভোটার তথ্য অপশনটি বাছাই করতে হবে যে অপশনটি আপনারা উপরের পেয়ে যাবেন। এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনারা আইডি কার্ড অনুসন্ধান পেইজে চলে যেতে পারবেন। পেইজে প্রবেশ করার পর কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হবে এবং কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করতে পারবেন।
ধাপ ২ঃ
এই ধাপে ভোটার তথ্য পেইজের প্রথম ঘরে আইডি কার্ডের নাম্বার বা স্লিপের নাম্বার দেয়া থাকবে। ভোটার নাম্বার বলতে বোঝায়  আপনার নির্দিষ্ট এলাকায় যখন নির্বাচনী হয় তখন সেখানে আপনার ভোটার নাম্বার দেয়া থাকে। যদি আপনার কাছে উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলোর একটিও না থাকে তবে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট এলাকার স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
ধাপ ৩ঃ
এই ধাপে আপনাদের কে আপনাদের জন্মতারিখ,জন্ম মাস এবং জন্ম সাল সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট ভাবে বসাতে হবে ঠিক যেমন ভাবে আপনারা এইসব তথ্য দিয়েছিলেন আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড করার সময়।
ধাপ ৪ঃ
এটি সর্বশেষ ধাপ।এই ধাপে এসে আপনাদের কে একটি ক্যাপচা পুরন করতে হবে।ক্যাপচাটি সঠিক ভাবে পুরন করতে পারলেই আপনারা আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।

১১.ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 

আপনি যদি কোন কারনে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের আপনার নিজের নাম  পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করতে চান বা করার দরকার পড়ে তবে আপনার কিছু ডকুমেন্ট এর তথ্যের প্রয়োজন হবে।
অনেক সময় দেখা যায় কোনো কারণ এ নাম সংশোধন করার দরকার হয়। এটি অনেকেই ঝামেলার কাজ বলে মনে করেন। তবে বর্তমানে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর সাহায্য নিয়ে এটি সহজে করা যায়।
যে সকল ডকুমেন্টস আপনার প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো-
১. PSC/ JSC/ SSC এর সার্টিফিকেট ( সার্টিফিকেট না থাকলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট। 
২. অনলাইন জন্ম সনদ( ইংরেজি এবং বাংলা দুটোই) 
৩.নিকাহ নামা।
৪.হলফনামা।
৫.আপনার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক চাহিত তথ্য।
এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার নাম সংশোধন কিংবা পরিবর্তন করতে পারবেন।

আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন - উত্তর 
১.প্রশ্ন : ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য কি যে কোনো বয়সে আবেদন করা যায়?
উত্তর : না। ১৮+ হলেই আবেদন করতে পারবে।
২.প্রশ্ন : ১৮+ বয়স হলে কি ছেলে মেয়ে উভয় ই আইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবে?
উত্তর : হ্যাঁ পারবে।
৩.প্রশ্ন : ভোটার নাম্বার দিয়ে কি আইডি কার্ড বের করা সম্ভব?
উত্তর : হ্যাঁ নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই সম্ভব। 
৪.প্রশ্ন : মোবাইল থেকে কি আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব? 
উত্তর : হ্যাঁ।  মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব। 
৫.প্রশ্ন : ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করার সময় পাসওয়ার্ড দেয়া বাধ্যতামূলক? 
উত্তর : হ্যাঁ অবশ্যই। এবং পাসওয়ার্ড টি মনেও রাখতে হবে।
৬.প্রশ্ন : মোবাইল নাম্বার দিয়ে কি আইডি কার্ড নাম্বার বের করা যায়? 
উত্তর : হ্যাঁ যায়।  তবে যে নাম্বার আইডি কার্ড এ ব্যবহার করা হয়েছে সেই নাম্বার টি দিয়েই সম্ভব।
৭.প্রশ্ন : আইডি কার্ড থেকে নিজের নাম কি পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায়?
উত্তর : হ্যাঁ কিছু ডকুমেন্টস এর সাহায্য নিয়ে করা যায়।
৮.প্রশ্ন : নিজের আইডি কার্ড এর তথ্য কি অনুসন্ধান করা যায়?  অল্প সময়ে? 
উত্তর :  হ্যাঁ অল্প সময়েই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই আইডি কার্ড এর সকল ধরনের তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য 
আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই নামক এই আর্টিকেল টি তে মূলত দেশের একজন নাগরিকের ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানানো হয়েছে। একটি দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট বয়সে অবতীর্ণ হলে সবাই ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য নিবন্ধন করতে পারে।তবে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এবং কোনো ঝামেলা পোহানো ছাড়াই নানা রকম কাজ করতে পারি একটি মাত্র ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করেই। ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সকল তথ্য আমরা services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট এ গেলেই পেয়ে যাব। আইডি কার্ড দেখা, তথ্য দেখা, তথ্য আপডেট করা,ডাউনলোড করা,  পুরাতন আইডি কার্ড দেখা সব কিছুই আমরা সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই বাসায় বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারছি। এছাড়াও কিছু ডকুমেন্টস এর সাহায্যে আমরা আমাদের আইডি কার্ড থেকে নিজের নাম বা অন্য কোনো তথ্য ও পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারছি কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই।এই সু্যোগ সুবিধা গুলো দেশের সব নাগরিক ই পেয়ে থাকে।এবং এগুলো সবার প্রাপ্য।
ভোটার আইডি কার্ড খুব ই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় একজন এর নাগরিক এর কাছে তাই আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে সম্পুর্ন জানা এবং নিজের ভোটার আইডি নাম্বার থেকে শুরু করে সকল তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকা।আর অবশ্যই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখতে হবে তাহলে অনলাইনে সহজেই নানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবো এবং আমাদের জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url