এছাড়াও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যেহেতু সময়সাপেক্ষ ও দক্ষতা নির্ভর কাজ তাই ব্যবহারকারীর অনেক ধৈর্য্য ও দক্ষতার প্রয়োজন হবে।
বর্তমানে ইউটিউব এর সাথে সংযুক্ত অনেক ইউটিউবারই মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও রেকর্ড ,ভিডিও তৈরি, ভিডিও এডিটিং ,আপলোড ও ইউটিউব চ্যানেলের যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য অধিক ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট টপিক এর উপর ভিডিও রেকর্ড করে , তারপর তা এডিট করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন।আপনার চ্যানেলে ভিজিটরের সংখ্যা ,সময়কাল এবং অধিক সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পনসর্ড ভিডিও গুগল এডসেন্স প্রগ্রামে যুক্ত হয়ে টাকা আয় করা সম্ভব।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম যেটা লাগবে তা হচ্ছে একটা নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল । আসুন তাহলে আমরা মোবাইল দিয়ে খুব সহজে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায় তা দেখি-
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে করে ইউটিউব খোলার নিয়ম জানব-
কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?সিমের একাউন্ট ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে খুব দ্রুত ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
ইউটিউব একটি বহুল জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার পুরো পদ্ধতিটা নাম হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন। ইউটিউব চ্যানেলের সাথে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে মনিটাইজেশন বলে। নিম্নে উল্লেখিত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে পারে-
এছাড়াও চ্যানেলটি অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে আরো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে উপার্জন করা যেতে পারে। যেমন-
এভাবে ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন । ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি একটি মানসম্মত ক্যারিয়ারও গড়তে পারবেন এবং মোটামুটি ভাল অঙ্কের টাকা আয় করা যেতে পারে।
ব্লগিং করার জন্য ডিভাইস হিসেবে মোবাইল বা কম্পিউটার ,এটা মুখ্য বিষয় না । আপনি কতটা উপযুক্ত, কম্পিটিটিভ কন্টেন্ট লিখছেন, আপনি কন্টেন্টে কতটা নির্ভুল তথ্য উপস্থাপন করছেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। পাঠক আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু ও লেখার দক্ষতার প্রতি আগ্রহী হবে,মোবাইল দিয়ে লিখছেন না কম্পিউটার দিয়ে লিখছেন তার প্রতি না।
ব্লগিং হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং প্লাটফর্ম । আর ব্লগিং ফিল্ডে অনেক বেশি কম্পিটিশন হওয়ার ফলে কনটেন্ট লেখার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার লেখা দ্বারা যেন মানুষ উপকৃত হতে পারে ও আপনার লেখার মধ্যে যেন অনন্যতা থাকে। উপস্থাপিত কোন তথ্য জেনে ভিত্তিহীন না হয়। আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার ভঙ্গীর প্রতি প্রতি পাঠককে আগ্রহী করে তুলতে পারলে অতঃপর ব্লগিং পেশায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
- একটি ভাল মানের স্মার্ট ফোন
- রিচ ইন্টারনেট কানেকশন
- একটি ওয়েবসাইট
প্রফেশনালি ব্লগিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট লাগবে । এজন্য আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে। অর্থাৎ প্রফেশনালি ব্লগিং করতে চাইলে ডোমেইন ও হোস্টিং নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে ।
একটা ওয়েবসাইট তৈরীর ক্ষেত্রে যত টাকা খরচ হতে পারে-
- ডোমেইন = 100 tk
- হোষ্টিং = 2500 tk
- এর সাথে থিমস অফ লগিং প্রয়োজন হয় ওয়েবসাইট তৈরিতে।
অর্থাৎ আপনার সর্বোচ্চ 3500-5000 টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে।
তাছাড়া আপনি চাইলে কন্যের ওয়েবসাইটে অর্থের বিনিময়ে কনটেন্ট লিখতে পারেন এছাড়াও গুগল দ্বারা নির্মিত ফ্রী ব্লগিং প্লাটফর্ম blogger.com ব্যবহার করে ব্লগ লিখতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া
- গুগল অ্যাডসেন্সে যুক্ত করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- বিভিন্ন স্পন্সর দ্বারা ব্লগিং
- পেইড রিভিউ
- অর্থের বিনিময় কোন ওয়েবসাইটে ব্লগিং
ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ও মানসম্মত ব্লগ লিখতে হবে এবং তা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। আপনি যত বেশি মানসম্মত কন্টেন্ট লিখবেন আপনার ওয়েবসাইটে ততো বেশি ভিজিটর ভিজিট করতে থাকবে। এভাবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিংএর মাধ্যমে সকল শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনার পোষ্টের সাথে গুগল এডসেন্স যোগ হবে এবং তা থেকে আপনার টাকা আয় হতে শুরু হবে। গুগল এডসেন্স ছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ,বিভিন্ন স্পন্সর দ্বারা ব্লগিং , পেইড রিভিউ এবং অর্থের বিনিময়ে অন্যের ওয়েবসাইটে অর্থের বিনিময় কনটেন্ট লিখে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।তবে ব্লগ লেখার সময় আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট আইন মেনে ব্লগ লিখতে হবে। অর্থাৎ,
- অন্যের পোস্ট বা অন্য ওয়েবসাইটে পোস্ট থেকে কপি করা যাবে না।
- ব্লগে কোন পিকচার যোগ করতে হলে সে পিকচার অবশ্যই কপিরাইট দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
তবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ব্লগিং স্টার্ট করার সাথে সাথে অর্থ আয় করা যাবে এমন না ভেবে ধৈর্য ধরে এবং নিয়মিত কনটেন্ট লেখা চালিয়ে যেতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় ! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করে টাকা আয় করার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে অথবা ব্লগ লিখে টাকা আয় করার মত ফ্রিল্যান্সিং করেও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব।
তবে ফ্রিল্যান্সিং কম্পিউটার না মোবাইল দিয়ে করা যাবে তা কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় সাইট রয়েছে ।তার মধ্যে অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে একটা বিষয় আপনার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কেউ মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং যদি টাকা আয় করতে চায়, তাহলে তারও অবশ্যই স্কিল ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে। ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ও কাজের ধরন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।
ফ্রীলান্সিং কোন নির্দিষ্ট কাজ না একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে আপনি চাইলে একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায় এমন কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিম্নরূপ-
- ট্রান্সলেশন করা
- কপিরাইট করা
- ব্লগ কমেন্ট করা
- ফোরাম পোস্ট করা
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রুফ রিড করা
- প্রডাক্ট এর ডেস্ক্রিপশন লেখা
- ট্রান্সক্পশন করা ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে উক্ত সেক্টর গুলোতে নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে কাজ করে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় ! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে করে খুব সহজেই ফটোগ্রাফি করতে পারেন এবং ভিডিও বানাতে পারেন ।এই ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
মনে করুন আপনি বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন অথবা ফটোগ্রাফি আপনার শখ ।আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ধারণকৃত ছবিগুলো একটু ব্যতিক্রমধর্মী ভাবে উপস্থাপন করে বা বিভিন্ন স্থানের উপর ভিডিও করে তা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি পারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
তবে মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করা একটু কঠিন। এজন্য আপনাকে মোবাইল ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হতে হবে ।এছাড়া মোবাইল দিয়ে ভালো ফটোগ্রাফি করার জ্ঞান এবং ভিডিও সুন্দর , দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মতভাবে এডিট করার জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার ধারনকৃত ছবি ও ভিডিও গুলো যথেষ্ট মানসম্মত ও অনন্য হতে হবে ।তবেই তা থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল ফটোগ্রাফি ও ভিডিও বিক্রির জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে-
- শাটার স্টক
- ড্রিমস টাইম
- আই এম
- স্টাম্পওয়্যার
- এ্যডোর স্টক
- ফোম
- 500px ইত্যাদি।
এসব ওয়েবসাইটে প্রায় সব ধরনের ফটোগ্রাফ ই বিক্রি করা যায়।এই ধরনের ওয়েবসাইটে আপনার ফটোগ্রাফ বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে আপনি আপনার ফটোগ্রাফ বিক্রি করে কত টাকা আয় করবেন তা নির্ভর করে - আপনার ধারণকৃত ফটোগ্রাফ ও ভিডিও যত বেশি বার ও যত বেশি দেশ থেকে ডাউনলোড করা হবে আপনারাই যত বেশি টাকা হবে। এছাড়াও আপনি আপনার ফটোগ্রাফ ও ভিডিওগুলো কে কোন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করছেন তার ওপরেও আপনার আয় নির্ভর করবে।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
ইনস্টাগ্রাম শুধু একটা সোশ্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম না, এখানে একটি উপযুক্ত প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে আপনি টাকা ও আয় করতে পারবেন। অনলাইনে অন্যান্য প্রেসের মতো চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট সাপ্লাই করে ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে যা যা দরকার-
- একটি স্মার্ট ফোন
- ইন্টারনেট কানেকশন
- ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রামে আয় করার জন্য প্রথমে একটি উপযুক্ত প্রফাইল ক্রিয়েট করতে হবে। যেভাবে একটি উপযুক্ত প্রফাইল ক্রিয়েট করবেন-
- মোবাইল ফোনে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
- ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ এ একাউন্ট খুলতে হবে
- প্রোফাইলে এটা আকর্ষণীয় প্রোফাইল ফটো ও বায়ো দিতে হবে
- একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট এর ওপর নিয়মিত পোস্ট করতে হবে
- পোস্ট এর কোয়ালিটি ডেভলপ করতে হবে
- এইরকম অন্যান্য প্রোফাইলে সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে
- ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে হবে।
এভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে আয় করার জন্য একটি উপযুক্ত ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া-
- অন্যের একাউন্ট প্রমোট করে
- বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর স্পনসর্ড পোস্ট করে
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে
- ই-কমার্স এর মাধ্যমে
উপরে উল্লেখিত কাজ গুলোর মাধ্যমে আপনি ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইন টিউশন এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহরহ অনলাইন টিউশন এর বিজ্ঞাপন দেখা যায় ।এসব বিজ্ঞাপন থেকে আপনি সহজেই অনলাইন টিউশান পেতে পারেন । আর অনলাইন টিউশন করার জন্য মোবাইল ফোনই যথেষ্ট। এটি আপনার টাকা আয় করার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।
এছাড়াও আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী হলে অনলাইন টিউশন এর পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কোর্স বানিয়ে তা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল দিয়ে অনলাইন টিউশন অনেক সাশ্রয়ী একটা উপার্জন মাধ্যম হতে পারে।
ফেসবুক ই-কমার্স এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা ই-কমার্স এর জন্য ফেইসবুক একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম । এতে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ব্যবসা করে টাকা আয় করা সম্ভব। আর ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিটা ব্যক্তি হতে পারে আপনার ব্যবসার কাস্টমার । মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য এটি একটি ভালো পন্থা।
তবে এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে কিছু ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে প্রোডাক্ট কেনার জন্য আর আপনার ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হবে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বর্তমানে অনলাইন শপিং অনেক জনপ্রিয়। কমবেশি সবাই অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কিছু না কিছু কিনে থাকে। এজন্য ফেসবুকের ফলোয়ার বা একটি পেজ আপনার ব্যবসাকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে।
ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হতে পারে-
- একটি স্মার্ট ফোন
- ইন্টারনেট কানেকশন
- নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক
- ব্যবসার প্রোডাক্ট কেনার জন্য ইনভেস্টমেন্ট।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক পেজে আপনি আপনার প্রোডাক্টের ছবি বা ইনফরমেশন পোস্ট করবেন এবং আপনার পেজ ফলোয়ার যত বেশি হবে বা পেজটি দেশব্যাপী যত ছড়াই দিতে পারবেন আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
অনেকেই ভাবেন ই-কমার্স এর জন্য শুরু করার জন্য নিজের ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যিক। তবে বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে আপনি ই-কমার্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
এভাবে কিছু ইনভেস্টমেন্ট ও মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
ইউটিউব এর মত ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারাও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়। ফেসবুক পেজে আপনার পোস্ট করা ভিডিও দ্বারা ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর শর্ত পূরণ করতে পারলে সেখান থেকে টাকা আয় শুরু হয়।
মোবাইল দিয়ে আয় করার জন্য ফেসবুক মনেটইজ করতে আপনার যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে-
- গত দুই মাসে ফেসবুক পেজে 60000 মিনিট ওয়াচ টাইম হতে হবে
- কমপক্ষে পাঁচটি অ্যাক্টিভ ফেসবুক ভিডিও থাকতে হবে
- পেজ ফলোয়ারের সংখ্যা কমপক্ষে 10 হাজার হতে হবে।
তাহলে আপনার ফেসবুক পেজটি মনিটাইজ হবে এবং এখান থেকে টাকা আয় শুরু হবে।
এছাড়াও আপনি আপনার তৈরি ভিডিও ফেসবুক ইউটিউব প্লাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। ভাল কনটেন্ট এর কোন ভিডিও ফেসবুকে খুব দ্রুত ভাইরাল হওয়ার কারণে ফেসবুকে সফলতার সম্ভাবনা ইউটিউবে থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি।
এছাড়া ফেসবুক থেকে-
- ইন স্ট্রিম অ্যাড
- ফ্যান সাবস্ক্রাইব করা
- সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ বা পেজ
- জনপ্রিয় কন্টাক্ট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।
এভাবে ফেসবুকে চ্যাটিং স্ক্রলিং ও ভিডিও দেখা ছাড়াও উপযুক্ত নির্দেশনা মেনে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব।
রিলেশিং ব্যবসার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
আপনি অনলাইন শপ খুলে মোবাইল দিয়ে প্রোডাক্টের অর্ডার নিলেন এবং তারপর আপনি লিস্ট অনুসারে প্রোডাক্ট কিনে কাস্টমারের কাছে সাপ্লাই করলেন। আপনি যে দামে পণ্য ক্রয় করলেন তার থেকে বেশী দামে বিক্রি করার মাধ্যমে আপনার লাভ হলো। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করার নামই হচ্ছে অনলাইন রিলেশিং ব্যবসা ।
অনলাইন রিলেশিং ব্যবসা টাকা আয় করার জন্য অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। এখানে প্রথমে মোবাইল দিয়ে কাস্টমারের থেকে প্রোডাক্ট এর অর্ডার নিয়ে তা কিনে বিক্রয় করা হয়। ফলে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার প্রয়োজন হয় না , এতে অতিরিক্ত খরচও হয় না।
অনলাইনে রিলেশিং ব্যবসা করে অধিক টাকা আয় করার জন্য মিশো( Meesho) বা এই জাতীয় সাশ্রয়ী ব্যবহার করা।
এভাবে মোবাইল দিয়ে রিলেশন ব্যবসা করে সহজেই টাকা আয় করা যায়।
বিভিন্ন এপস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়! মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। যদিও অ্যাপের মাধ্যমে অর্জিত এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম ।
যেসব অ্যাপ দিয়ে আপনি টাকা আয় করতে পারেন-
বিকাশ অ্যাপঃ
আমরা প্রায় সকলেই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করি। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি অন্যদের বিকাশ অ্যাপ রেফার করেন, তাহলে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিঃ
- বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে
- বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করতে হবে
- বিকাশ অ্যাপের ডানদিকে বিকাশ লোগোতে ক্লিক করতে হবে
- বিকাশ অ্যাপের লিঙ্ক ইচ্ছামত মেসেঞ্জার ইমেইল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে কাঙ্খিত ব্যক্তিদের শেয়ার করতে হবে।
- আপনার লিংক ব্যবহার করে চিনে অ্যাকাউন্ট খুলবেন তিনি প্রথমে 25 টাকা বোনাস পাবেন।
- এরপর আপনি যেহেতু লিংক রেফার করেছেন তাই আপনিও বোনাস পাবেন।
এভাবে বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা আয় করা যায়।
পকেট মানি অ্যাপঃ
এই অ্যাপটি আপনি অন্যদের রেফার করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন এছাড়াও এ ফ্রিতে গেম খেলার মাধ্যমে এবং কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে আপনি বোনাস হিসেবে চাকরি করতে পারেন।
এছাড়াও টিকটক, স্নেক ভিডিও ইত্যাদি ব্যবহার করেও মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করা যায়। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করে উপার্জিত টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় এবং খুব বেশি সুবিধাজনক না হওয়ায় এই পদ্ধতি কম ব্যবহৃত হয়।
এভাবে মোবাইল ব্যবহার করে আমরা আমাদের মূল্যবান, অবসর সময় নষ্ট না করে বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করে আমরা আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারি এবং টাকা উপার্জন করতে পারি।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url