OrdinaryITPostAd

আবারও শীর্ষে ঢাবি দ্বিতীয় রাবি

আন্তর্জাতিক গবেষণার অন্যতম ডাটাবেজ "স্কোপাস ইনডেক্স জার্নাল। আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল, বই ও গবেষণা সম্মেলনগুলোর তথ্য নিয়ে কাজ করে " স্কোপাস"। গবেষণা সংশ্লিষ্ট পরামিতির হিসেবে স্কোপাস এর তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে " সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ" নামে একটি অনলাইন ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় প্রতিবছর। এই ম্যাগাজিনের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে গবেষণায় সর্বোচ্চ অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।এবং দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।


 ম্যাগাজিনটির জরিপ অনুযায়ী গতবছর অর্থাৎ, ২০২১ সালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক জার্নালে মোট এগারো হাজার চারশত সাতাত্তরটি (১১৪৭৭টি) বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টস প্রকাশ করেছে। ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল আট হাজারের উপর (৮০০০+), ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ছয় হাজার তিনশত তেষট্টিটি (৬৩৬৩টি)। সর্বমোট পনেরোটি (১৫টি) বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবার।


সেই সূত্র অনুসারেই এই তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর মোট এক হাজার দুইশত ছেচল্লিশটি (১২৪৬টি) গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। যা এর পূর্বের তুলনায় প্রায় পাঁচশত টি (৫০০টি) বেশি। গত বছর ঢাবি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ। গতবছরও গবেষণায় শীর্ষ অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। 

এই গবেষণা সূত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির পরই গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশে রাবি অন্যতম এ বছর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ সাতশত সাতটি (৭০৭টি)। এই সংখ্যা গতবারের তুলনায় প্রায় দুইশতটিরও (২০০টি) বেশি। গত বছর এর গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ৪৬৫টি ছিল। রাবির অবস্থান পূর্বে ছিল তৃতীয়। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটকে পেছনে ফেলে এবার দ্বিতীয় অবস্থান রাবি'র।


এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের পরিমান ছয়শত তিরানব্বইটি (৬৯৩টি)। গতবার এর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছিল ৫১০টি।


তালিকায় চতুর্থ স্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের সংখ্যা ছয়শত বিরাশিটি (৬৮২টি)। গবেষণায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় গতবছরও চতুর্থ অবস্থানে ছিল। 

তালিকায় পঞ্চম অবস্থান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা পাঁচশত তেপ্পান্নটি (৫৫৩টি)। 


গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। প্রতিবছর গবেষণা খাতে বাংলাদেশ সরকার বাজেট বরাদ্দ রাখে। এই বরাদ্দের লক্ষ্য থাকে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দিয়ে গবেষণায় উত্তরোত্তর উন্নতি করা। গবেষণা ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যত সমৃদ্ধ হবে দেশ তত উন্নত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার গবেষণা প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আশাব্যঞ্জক।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Ashik
    Ashik January 10, 2022 at 4:16 PM

    This comment has been removed by the author.

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url