OrdinaryITPostAd

সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ | Saudi Arabia Visa Check 2023

মধ্যপ্রাচ্যের উল্লেখযোগ্য প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব তার অনন্য কিছু বৈশিষ্টের জন্য সর্বদাই বহির্বিশ্বের কাছে অবস্থান করে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।হাজার হাজার প্রবাসী কর্মসংস্থানের খোঁজে পাড়ি জমায় সৌদি আরব।তাই আপনাদের অনেকেই সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান।

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দালালদের সাহায্য ছাড়া এখন ঘরে বসেই সৌদি আরবের ভিসা চেক করা সম্ভব।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ সম্পর্কে। সৌদি আরব ভিসা চেকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


রও পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

আর্টিকেলে যা যা থাকছে(যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. ভিসা চেকিং কী?
  2. ভিসা চেকিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? 
  3. কী কী উপায়ে ঘরে বসে ভিসা চেক করা যায়?
  4.  সৌদি আরবের ভিসা চেক করবেন কীভাবে?
  5. মোফা কী? মোফা চেকিং করবেন কীভাবে? 
  6. ওকালা ভিসা কী?ওকালা ভিসা কিভাবে চেক করবেন?
  7. হুরুব ও ইকামা সম্পর্কে ধারণা?হুরুব চেক করবেন কীভাবে?হুরুব মারলে করনীয় কী?
  8. কেন প্রবাসীদের কাছে সৌদি আরব পছন্দের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে?
  9. বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা প্রয়োজন?
  10. সৌদি আরবের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?
  11. প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবে কী কী কাজের সুযোগ রয়েছে?
  12. এক নজরে সৌদি আরবের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি 
  13. কেন এবং কাদের সৌদি আরব যাওয়া উচিৎ নয়?
  14. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  15. লেখকের মন্তব্য

১.ভিসা চেকিং কী?সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ | Saudi Arabia Visa Check 

সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের ভিসা চেকিং কী সেই সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। 

এক দেশের নাগরিকের অন্য দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের অনুমতিপত্র-ই হলো ভিসা। যা নিজের দেশে থাকা বিদেশস্থ দূতাবাসগুলো হতে প্রদান করা হয়ে থাকে।

সাধারণত সীল বা স্টিকারের মাধ্যমে পাসপোর্টে ভিসা প্রদান করা হয়,যাতে গন্তব্য দেশে অবস্থানের সময়সীমা,অভিবাসনের উদ্দেশ্য, কতদিন পর্যন্ত একই ভিসা দিয়ে যাতায়াত করা যাবে,কী কাজ করবে তার বিস্তারিত প্রভৃতির উল্লেখ থাকে।

তার মানে ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়াও বিদেশ যাত্রার প্রায় প্রতি পদক্ষেপে এই ভিসা নিরীক্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। 

যে দেশের উদ্দেশ্যে আপনি রওনা দিচ্ছেন, আপনার হাতের ভিসাটি আসলে সেই দেশেরই কি না,আপনাকে মেয়াদোত্তীর্ন ভিসা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না,আপনাকে যেই কাজ এবং বেতনের কথা বলা হয়েছে বিদেশে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে আপনি সেই কাজ করার সুযোগ পাবেন কি না প্রভৃতি বিষয়াদি যাচাই করা-ই হলো ভিসা চেকিং। 

যা আপনি খুব সহজেই ভিসা হাতে পাওয়ার পরপরই ঘরে বসে অনলাইনে নিজেই চেক করতে পারেন।

 

২.ভিসা চেকিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩। Saudi Arabia Visa Check

সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের সৌদি আরবসহ অন্য যেকোনো দেশে যাওয়ার পূর্বে ভিসা চেক করার গুরূত্ব সম্পর্কে জানা জরুরি। 

আমাদের  আশেপাশে খানিকটা কান পাতলেই দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে জান-মাল দুই-ই হুমকির মুখে ফেলার ঘটনা অহরহ-ই শোনা যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়ান বংশোদ্ভূত কেন হাকুতা (Ken Hakuta)-র একটি উক্তির কথা যেন না বললেই নয়।"Lack of money is no obstacle.Lack of an idea is an obstacle." যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাড়াঁয়-"টাকার অভাব কোনো বাধাঁ নয়।ধারণার অভাব বাঁধা। "

আসলে সহজ-সরল বিশ্বাসপ্রবণ বাঙালি নিজের কাজটা একটু কষ্ট করে দৌড়-ঝাপঁ করে নিজে করার চেয়ে যেন অন্যকে দিয়ে করিয়ে ফেলাতেই বেশি ভরসা পায়।আর পাবে না ই বা কেন!ইনিয়ে বিনিয়ে রসিয়ে কথা বলে উচ্চ বেতনের চাকরির লোভ  দেখিয়ে যে তাদের ভুলিয়ে রাখা হয়। 

আর আমাদের দেশে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে প্রথমবারের মতো সকল প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটাও নিতান্তই সহজ বলাটা ভুল হবে।কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির শরণাপন্ন হওয়াটা আসলে প্রক্রিয়ার একটি অংশ হয়ে পড়েছে।

যাই হোক,কী আর করা।সিস্টেমের সাথে তো মানিয়ে নিতেই হবে।তাই বলে নিজের সচেতনতার দিকটি এড়িয়ে যাওয়া বা অবহেলা করা অবশ্যই বিজ্ঞতার পরিচায়ক হবে না।তাই দেশে থাকা অবস্থায়ই আপনাকে দেওয়া সকল তথ্য যাচাই করে পা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে কত টাকা বেতনে কার অধীনে কী কাজ করতে কতদিনের জন্য যাচ্ছেন এই প্রতিটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অবগত থাকার জন্য ভিসা চেকিং এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

 

৩.কী কী উপায়ে ঘরে বসে ভিসা চেক করা যায়?সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩। Saudi Arabia Visa Check

সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২২ ছাড়াও কী কী উপায়ে যেকোনো দেশের ভিসা চেক করা যায় সে বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

বিভিন্ন উপায়ে যেকোনো দেশের ভিসা চেক তথা ভিসার সত্যতা বা সঠিকতা যাচাই করা যায়।

যেমনঃঅ্যাম্বাসি,রিক্রুটিং এজেন্সি ইত্যাদি।তবে হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ভিসা চেকিং সর্বাপেক্ষা দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ প্রক্রিয়া। 

যেকোনো দেশের ভিসা চেক করার জন্য মূলত সেই দেশের নামের সাথে ভিসা চেক লিখে যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে ব্রাউজ করলে একদম শুরুতেই ভিসা চেক করার লিংক চলে আসে।

উক্ত লিংকে ক্লিক করে পাসপোর্ট নাম্বার,স্পন্সর আইডিসহ (দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে) ইত্যাদি তথ্যাদি ফরম মোতাবেক পূরণ করলে নিমিষেই ভিসার যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য চলে আসে,যা প্রয়োজন অনুসারে প্রিন্ট করে নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

আজকের এই আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে নির্দিষ্টভাবে সৌদি আরবের ভিসা চেকিং ২০২২ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

৪.সৌদি আরবের ভিসা চেক করবেন কীভাবে? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

সৌদি আরব ভিসা চেকিং

পূর্বে https://enjazit.com.sa/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা চেক করা হতো।কিন্তু বর্তমানে উক্ত ওয়েবসাইটটির পরিবর্তে https://visa.mofa.gov.sa/Enjaz/GetVisaInformation/Org এর মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা চেক করা হয়।

visa.mofa.gov.saএর মাধ্যমে ভিসা চেকিং এর ধাপগুলো নিচে ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হলোঃ

  • আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি ওয়েব ব্রাউজারে (উদাহরণস্বরূপ গুগল ক্রোম) https://visa.mofa.gov.sa/Enjaz/GetVisaInformation/Org লিংকটি কপি পেস্ট করে সার্চ করে উক্ত ওয়েবপেইজে প্রবেশ করুন।
  • পেইজটি শুরু থেকে আরবি ভাষায় থাকবে,যা স্ক্রীনের বামদিকে থাকা মেনু বারে English অপশনে ক্লিক করে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করে নিবেন।
  • শুরুতেই Visa Platform পেইজটিতে Service selection এর জন্য Services for Citizens  & Residents অপশনটি বাছাই করতে হবে।
  •  পরবর্তীতে Visa Delegations অপশনটি বাছাই করে Apply এ ক্লিক করতে হবে।
  • পরবর্তীতে প্রদর্শিত পেইজের একদম নিচের দিকে Agree বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • Agree বাটনে ক্লিক করার পর প্রদর্শিত পেইজে পরপর ৪টি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।1.Visa Issued Number 2.Visa Issuing Authority 3.Sponsor Id 4.Image Code
  • জানতে চাওয়া তথ্য ৪টির প্রথমটি হলো ভিসা ইস্যুর নাম্বার.আপনার হাতে থাকা ভিসাটির একদম বামদিকে ইংরেজি একটি তারিখ দেওয়া আছে,যেটি হলো ভিসা ইস্যুর তারিখ,পাশেই একই তারিখ আরবি হিজরি সাল অনুযায়ী আর এর বরাবরই আরবিতে ١لر قم অপশনে লিখা নাম্বারটি-ই হলো কাঙ্ক্ষিত ভিসা ইস্যুর নাম্বার.দ্বিতীয়টি হলো ভিসা ইস্যুয়িং অথোরিটি যেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ ঢাকা।পরবর্তীতে স্পন্সর আইডি অর্থাৎ সৌদিবাসী যার তত্ত্বাবধানে আপনি সৌদি আরব যাচ্ছেন তার আইডি নাম্বার আর সর্বশেষ ভিসায় প্রদত্ত আপনার ইমেজ কোড। 
  • এরপর সার্চ অপশনের ওপর ক্লিক করলেই বিস্তারিত তথ্যসহ আপনার ভিসাটি পেইজে প্রদর্শিত হবে।     
  • আপনার নাম, ভিসা নাম্বার অথবা আইডিযুক্ত কোনো পেজ প্রদর্শিত হলে বুঝতে হবে আপনার ভিসাটি বৈধ এবং সঠিক।অন্যথায় আপনার ভিসাটি সঠিক নয়।পেইজে প্রদর্শিত তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করে নিবেন।
উপরোল্লিখিত প্রক্রিয়ার খুব সহজেই সৌদি আরবের ভিসার সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব।


৫.মোফা কী?মোফা চেক করবেন কীভাবে? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

সৌদি আরব ভিসা চেকিং এর জন্য যারা প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের ভিসদর জন্য আবেদন করেছে বা সৌদি আরবে প্রথম যাচ্ছে তাদের জন্য ভিসা চেকিং এর মতো মোফা চেকিং-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। 

মোফা কী

মোফা হলো ভিসা প্রসেসিং এট সময় যে তথ্যগুলো হালনাগাদ হতে থাকে।মোফা চেকিং এর মাধ্যমে এজেন্সির শরণাপন্ন হওয়া ছাড়াই অনলাইনেই ঘরে বসে ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়।

সৌদি আরব মোফা চেকিং

মোফা চেকিং এর পুরো প্রক্রিয়াটি হলোঃ-
  • যেকোনো একটি ওয়ে ব্রাউজারের মাধ্যমে (উদাহরণস্বরূপঃ গুগল ক্রোম ব্রাউজার)  https://visa.mofa.gov.sa/VisaPerson/GetApplicantData লিংকটিতে প্রবেশ করতে হবে।
  • শুরুতেই একটি আরবি ভাষায় লিখিত পেইজ প্রদর্শিত হবে।
  • বোঝার সুবিধার্থে ওপরের ডান দিকের কোণায় থ্রি বার অথবা মেন্যু অপশনে ক্লিক করে সেখান থেকে ইংলিশ বাছাই করে সাইটটির ভাষা ইংরেজিতে পরিবর্তন করে নিতে হবে।
  • Visa Platform নামে একটি পেইজ প্রদর্শিত হবে।
  • Passport Number,Current Nationality, Visa Type,Visa Issuing Authority, Image code-তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে।
  • তথ্যগুলো পূরন করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে Sponsor Name,Date of Application, Application Number প্রভৃতি সম্বলিত পেইজ আসলে বুঝতে হবে যে আপনার ভিসাটি মোফা হয়ে গিয়েছে। ভিসাটির প্রসেসিং চলছে। 

৬.ওকালা ভিসা কী?ওকালা ভিসা কীভাবে চেক করবেন?সৌদি আরব ভিসা চেকিং

সৌদি আরব ভিসা চেকিং  এর একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যায় হলো ওকালা ভিসা কী এবং ওকালা ভিসা কীভাবে চেক করতে হয় সে সম্পর্কে জানা।
আমাদের দেশের সৌদি যেতে ইচ্ছুক এমন অনেককেই ওকালা ভিসা প্রদান করা হয়।সেক্ষেত্রে ওকালা ভিসা চেকিং সম্পর্কে না রাখলে বুঝতে সমস্যা পারে।

ওকালা ভিসা

সৌদি আরবে সাধারণত আমেল মন্জিল, আমেল আদি প্রভৃতি গৃহস্থ কাজগুলোর জন্য যে ভিসাগুলো আমাদের দেশে পাঠানো হয়,সেগুলো বেশিরভাগ সময়ই আবেদনকারীর নিজের নামে না এসে এজেন্সির নামে আসে।

সাধারণভাবে বলতে গেলে সরাসরি আপনার নামে না এসে আপনার যোগাযোগকৃত এজেন্সির নামে ভিসা আসা-ই হলো ওকালা।

ভিসা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নামে আসে না বিধায় ওকালা ভিসা যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।অর্থাৎ যে কারো পাসপোর্টে উক্ত ভিসা স্ট্যাম্পিং করা যায়।এ ধরনের ভিসাকে ওকালা ভিসা বলা হয়।

ওকালা ভিসা চেকিং

ওকালা ভিসাও সাধারণ ওয়ার্ক ভিসার মতো পূর্বে দেখানো একই পদ্ধতি অনুসরণ করে চেক করা হয়।

এক্ষেত্রে Visa Delegations পরবর্তী পেইজে আপনার নিজের নাম,ভিসা নাম্বার এসবের পরিবর্তে আপনার এজেন্সির নাম ও  রিক্রুটম্যান্ট লাইসেন্স নাম্বার বা আরএল নং প্রদর্শিত হবে।

৭.হুরুব ও ইকামা সম্পর্কে ধারণা?হুরুব চেক করবেন কীভাবে?সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

আপনারা যারা সৌদি আরব ভিসা চেকিং  সম্পর্কে জানতে চান তাদের ভিসায় হুরুব আছে কি না,হুরুব মারা থাকলে কী করবেন অথবা হুরুব মারা মানে আসলে কী সে সম্পর্কে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বৈ কী!

হুরুব (Huroob) 

হুরুব শব্দের আভিধানিক অর্থ 'পলাতক'।

সৌদি প্রবাসী কেউ যদি তার নিয়োগকারী অথবা কফিল অথবা মালিককে না জানিয়ে দীর্ঘদিন ছুটি কাটায়,তাহলে নিয়োগকারী বা কফিল বা মালিক তাকে হুরুব বা পলাতক হিসেবে রিপোর্ট করতে পারেন।এটিই হুরুব মারা হিসেবে পরিচিত।

কোনো ব্যাক্তির ইকামায় হুরুব থাকলে সেই ব্যক্তি সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।ক্ষেত্রবিশেষে বেশ একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য সৌদি আরবে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে আগেকার দিনে কিছু সৌদি অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে মিথ্যারোপ করে হুরুব মারত কর্মীদের তোপের মুখে রাখার জন্য।কিন্তু বর্তমানে সৌদি কর্মীরা যদি মনে করেন মিথ্যা হুরুব মারা হয়েছে তাহলে মানব সম্পদ মন্ত্রনালয় সেটাকে চ্যালেন্জ করার সুযোগ দিয়েছেন। 

ইকামা (Iqama) 

সৌদি আরবে কাজের অনুমতিপত্র-ই হলো ইকামা।

যে কোম্পানি বা মালিক বা স্পন্সরের অধীনে কাজ করতে যায়,তিনি-ই ইকামা প্রদান করেন।ইকামা না থাকলে সৌদি ভিসা দেওয়া হয় না।

ইকামার নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে।উক্ত মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইকামা নবায়ন করতে হয়।

যে ধরনের কাজের অনুমতি দিয়ে ইকামা দেওয়া হয়,এর বাইরে সৌদি প্রবাসীগণ কোনো কাজ করতে পারবেন না।যদি কেউ তার কাজ পরিবর্তন করতে চায় তাহলে তার ইকামা পরিবর্তন করতে হবে,আর সেটা তিনি তার কফিলের কাছ থেকেই করিয়ে নিতে পারবেন।

হুরুব চেকিং (Huroob Checking) করবেন কীভাবে 

ইকামায় হুরুব মারা আছে কি না সেটা অনলাইনে সহজেই চেক করার উপায় আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলোঃ 
  • যেকেনো একটি ব্রাউজারের মাধ্যমে (উদাহরণস্বরূপ গুগল ক্রোম ব্রাউজার) সৌদি আরব শ্রম মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইট https://www.mol.gov.sa/services/inquiry/nonsaudiempinquiry.aspx কপি পেস্ট করে সহজেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • ওয়েবসাইটটির ভাষা আরবি। তাই গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে ইংরেজি করার জন্য একদম উপরে ডানদিকের কোণায় থ্রি ডট অপশেন ক্লিক করে ট্রান্সলেট বাটনের মাধ্যমে ইংরেজি করে নিতে পারেন।
  • সাইটের প্রথম পেইজেই Border Number,Residency Number,Passport Number,Nationality,Verification Code জানতে চাওয়া হবে।
  • প্রতিটি অপশন পূরণ করা জরুরি নয়।
  • Residency Number-ই হলো ১০ অংকের ইকামা নাম্বারটি।সঠিক ইকামা নাম্বার,Nationality ও ইমেজ কোডটি পূরণ করে Search অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • সার্চ পরবর্তী পেইজে worker case অপশনে on the job থাকলে বুঝতে হবে হুরুব মারা নেই।absent from the job থাকলে বুঝতে হবে হুরুব মারা আছে।
উক্ত প্রক্রিয়ার সহজেই ইকামায় হুরুব আছে কি না চেক করতে পারবেন।

হুরুব মারার ১৫ দিনের মধ্যে কফিল চাইলে হুরুব কাটতে পারে কোনো টাকা ছাড়াই ঠিক একই মাধ্যমে যে সে মাধ্যমে হুরুব মেরেছে।

৮.কেন প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে সৌদি আরব? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

সৌদি আরব ভিসা চেকিং  আর্টিকেলের এই পর্যায়ে সৌদি আরবে এত বিপুল সংখ্যক বাঙালির অভিবাসনের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

 দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে রেমিট্যান্স বা বৈদেশিক মুদ্রা।বিশেষত আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈদেশিক আয়ের ৯০ শতাংশই আসে গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স থেকে। 

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে বসবাসকারী বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে বাস করে।আর মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী প্রবাসীদের ৫০ শতাংশই অবস্থান করছে সৌদি আরবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের বড় ক্ষেত্র হচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি।২০০৭ সালে সৌদি আরবের ১৫ লক্ষ ভিসার মধ্যে ২৩.৫০ শতাংশ ভিসা বাংলাদেশিদের প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন খাতে অন্তত ২৩ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের কর্মীদের নিয়োগ চলমান ছিল।

সৌদি আরবে এত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসনের কারণ হিসেবে নিম্নোক্ত দিকগুলো বিবেচনায় আনা যায়ঃ
  • পাসপোর্ট, ভিসা যাবতীয় সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক কম যাতায়াত বা অভিবাসন খরচ
  • প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত কাজের ক্ষেত্র;যদিও সময়ের সাথে সাথে দিন দিন তা কমে আসছে
  • প্রসারিত শ্রমবাজার
  • অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিসার অধিক  সহজলভ্যতা
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে শিথিলতা 
উপরোক্ত কারণগুলোর জন্যই মূলত আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের স্বল্পশিক্ষিত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণেরা পরিবারের মোড় ঘুরানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমায়।

৯.বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা প্রয়োজন? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

কাজ এবং এয়ারলাইন্সের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম বিভিন্ন হয়ে থাকে।তবে সাধারণত ভিসার দাম ২০০০-৩০০০ রিয়াল এর মধ্যে হয়ে থাকে।

কিন্তু বলা বাহুল্য যে এই দামে সরাসরি জনসাধারণের কাছে ভিসা পৌঁছায় না।

উদাহরণস্বরূপ,আমেল ( কর্মচারী) আইদি (সাধারণ)  ভিসার জন্য সৌদি আরবের কোনো একটি কন্সট্রাকশনের কাজের জন্য মক্তব খুলে ২০০০-২৫০০ রিয়ালে (৫৫০০০-৬০০০০ টাকা) পেইন্টার, ইলেকট্রেশিয়ান,প্লাম্বার,এসির কাজ,ইটের কাজ,গাটনিসহ যাবতীয় কন্সট্রাকশনের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ২০-২৫ জন লোকের জন্য ভিসা দেওয়া হবে।

তো বিভিন্ন পেশার মানুষ ওই মক্তব থেকে ভিসা ওঠাবে।

স্পন্সর যিনি ওনি ওইটা বাঙালি ভিসা হিসেবে লাভ করবে ওনি ওটা ৫০০০ রিয়ালে বা যত পারে বিক্রি করবে।

একইভাবে কোম্পানি ভিসার জন্য আমাদের দেশের মানুষদের ১০০০০ বা কখনও এরও বেশি রিয়াল গুণতে হয়,যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ টাকার ওপরে।

কোম্পানি ভিসার দাম তুলনামূলক কম।সৌদি আরব থেকে দালালরা ৫০ টি কোম্পানি ভিসা ৩০০০ রিয়ালে ক্রয় করে কমপক্ষে ৫০০০-৬০০০ রিয়ালে এজেন্সি বা ট্রাভেলসের কাছে বিক্রি করে।

মেডিকেল,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রভৃতিতে এর মূল্য জনসাধারণের হাতে পৌঁছাতে ৩০০০০০-৩৫০০০০ টাকায় গিয়ে পৌছাঁয় ।

কোম্পানি ভিসায় কাজের পরিমাণ ভালোই।বেতন ১২০০-১৪০০ রিয়ালের মতো পাওয়া যায়।

হাউজ ড্রাইভার ভিসায় ১২০০-১৫০০ রিয়াল বেতন।সরাসরি কফিলের কাজ করা লাগলে কোনো টাকাই লাগে না।ক্ষেত্রবিশেষে কফিল টিকিটের টাকাও দিয়ে দেয়।

হাউজ ড্রাইভার,আমেল মন্জিল, মাজরা ভিসা-এধরণের ভিসাগুলোর প্রায় সবগুলোই ফ্রী দেওয়া হয়।কোনো টাকা দেওয়া লাগে না।

তবে যদি কফিলের কাজ না থাকে তাহলে যদি সে বাইরে কাজ করে আর কফিলকে ফায়দা দেয়-সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। 

এক্ষেত্রে ধরা পড়লে কফিলসহ উভয়কেই জরিমানা গুণতে হবে।

এখানে আপনাদের সুবিধার্থে কিছু এয়ারলাইন্সের বিমানের ভাড়া সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়া চেষ্টা করেছিঃ-

 ঢাকা থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যাওয়ার জন্য সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস, Emirates,Srilankan Airlines, কাতার এয়ারওয়েজ এর বিমান গুলো রয়েছে।

সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ভাড়া ২৫০০০ টাকা,Emirates এর বিমান ভাড়া ৩৯০০০ টাকা,Srilankan Airlines এর বিমান ভাড়া ৪৭০২৪ টাকা,কাতার এয়ারওয়েজের বিমান ভাড়া।

আপনারা আপনাদের পছন্দ ও সুবিধা অনু্যায়ী যেকোনো বিমানের টিকিট ক্রয় করতে পারেন। 

১০.সৌদি আরবের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

বিদেশ যাব বললেই তো আর যাওয়া হয় না। এর জন্য টাকা আর শ্রমের পাশাপাশি দরকার সময়ের।
আগেকার দিনে আবেদনের পর প্রায় ৩ মাসের মতো সময় সময় লেগে যেত।

কিন্তু বর্তমানে আবেদনের পর দূতাবাস,কনসালট্যান্সির মাধ্যমে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই ভিসা ইস্যু হয়ে যায়।


১১.প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরব কী কী কাজের সুযোগ রয়েছে? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

আমেল মন্জিল বা গৃহস্থ কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষ উভয় সংখ্যক মানুষেরই একটা বড় অংশ সৌদি আরবে কাজ করতে যায়।কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভিসাগুলো ফ্রি দিয়ে থাকেন সৌদি কফিল।

গৃহস্থ কাজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ গাড়ি চালানো, বাড়ি পাহারা দেওয়া, রান্না করা,বাগান করা ইত্যাদি।

গৃহস্থালি কর্মী ছাড়াও সাধারণ কর্মচারী, টেকনিশিয়ান, শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং চাকুরীজীবি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে যায়।

তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম পরিশোধন,জাহাজ-বিমান মেরামত ও নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতেও কাজের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

১২.এক নজরে সৌদি আরবের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি। সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

 আরবে একজন প্রবাসী হিসেবে কর্মজীবন শুরুর পূর্বে সৌদি আরবের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখা দরকার,যা উক্ত দেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বৈকি।সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২২ আর্টকেলের এই অংশে সৌদি আরবের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

সৌদি আরবের অর্থনীতি

সৌদি আরবের অর্থনীতি প্রধানত তেল নির্ভর। সৌদি আরবের সিংহভাগ শিল্প পেট্রোলিয়াম অথবা গ্যাস সম্পর্কিত।এত বিপুল পরিমাণে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসহ আরও অন্যান্য মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদের কারণে সৌদি আরব 'জ্বালানি শক্তির মহাশক্তি' হিসেবে পরিচিত। 

বিশ্বের শীর্ষ ২০ টি অর্থনীতির মধ্যে সৌদি আরব উল্লেখযোগ্য। এটি বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ।

তবে বর্তমানে সৌদি সরকার তেলের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার উদ্দেশ্যে সৌদি রাষ্ট্রপ্রধান কিংডম ভিশন ২০৩০ কার্যক্রম চালু করেছেন।

খনিজ তেল ছাড়াও বিভিন্ন অ-পেট্রোলিয়াম খাত যেমনঃসোনা,রূপা,আয়রন,তামা প্রভৃতি সৌদি আরবের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

সৌদি আরবের মুদ্রার নাম সৌদি রিয়াল।বর্তমানে ১ সৌদি রিয়াল=২৭.০৮ বাংলাদেশি টাকা।

সৌদি আরবের সংস্কৃতি 

বলা বাহুল্য, সৌদি আরব রক্ষণশীল মুসলিম রাষ্ট্র। সৌদি আরবের সংস্কৃতি, রীতিনীতি মূলত ইসলামিক অনুশাসন মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। 

পবিত্র কোরআন ও মহানবি (সঃ) এর সুন্নাহকে আদর্শ হিসেবে নিয়ে গঠিত নয় অধ্যায় ও তিরাশি অনুচ্ছেদবিশিষ্ট সংবিধান দ্বারা আরবের নাগরিকদের বিবাহ-বিচ্ছেদ,ব্যবসা,রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি,আচার-অনুষ্ঠান, বিচারব্যবস্থা,পোষাক-আশাক,শিক্ষাব্যবস্থাসহ যাবতীয় সকল বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মান্য করা হয়।

১৩.কেন এবং কাদের সৌদি আরব যাওয়া উচিৎ নয়? সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ আর্টিকেলের এপর্যায়ে আমরা সৌদি প্রবাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সৌদি আরবে যাদের যাওয়া উচিৎ নয় এবং কী কারণে সেসম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যাদের সৌদি আরব যাওয়া উচিৎ নয়ঃ
  • ভিসায় উল্লেখিত কাজ করতে অনাগ্রহী যারা
  • পারিশ্রমিক,সৌদি আরবে অবস্থানকালীন সময়ে আয়-ব্যয়ের ধারণা নেই যাদের
  • ফ্রী ভিসা কিংবা সৌদি আরবে এসে অবৈধ উপায়ে কাজ খুঁজে নেওয়ার মানসিকতা যাদের আছে
  • ভারী কাজে অপ্রস্তুত বা অনাগ্রহী কেউ 
সর্বোপরি, কর্মঘণ্টা, পারিশ্রমিক, কাজের চুক্তিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট, মাসিক ন্যুনতম মাসিক খরচ,আবাসস্থল, কাজের ধরণ সম্পর্কে না জেনে বা কোনো সংশয় থাকলে সৌদি আরবের পথে পা বাড়ানো উচিৎ নয়।

যা করার দেশে থাকা অবস্থায়ই করতে হবে।সৌদি আরব পৌঁছে পরিবর্তন করার মানসিকতা না রাখাই শ্রেয়।কারণ এতে হিতে বিপরীত হওয়ার হার-ই বেশি।

১৪.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর।সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

প্রশ্ন-১ঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কী ভিসা চেক করা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ,পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েই ভিসা চেক করা যায়।

প্রশ্ন-২ঃ পাসপোর্ট নাম্বার ও ইকামা নাম্বার কী একই?

উত্তরঃ পাসপোর্ট নাম্বার ও ইকামা নাম্বার আলাদা।

প্রশ্ন -৩ঃফ্রী ভিসায় সৌদি আরব যেতে সাধারণত কত টাকার মতো লাগে সব মিলিয়ে?

উত্তরঃ১,৬০,০০০-৩,০০,০০০ টাকার মতো।

প্রশ্ন-৪ঃফ্রী ভিসা দেওয়া হয় কোন কাজের জন্য?

উত্তরঃ সাধারণত গৃহস্থালি কাজ,হাউজ ড্রাইভার বা সরাসরি মালিকের অধীনে থেকে মালিকের নিজের কাজ করা লাগলে সেক্ষেত্রে অনেকাংশেই ফ্রী ভিসা দেওয়া হয়।

১৫.লেখকের মন্তব্য।সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩

সামান্যতম সচেতনতা অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর উদাহরণ বিরল নয়। এরই একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হলো আমাদের চারপাশে হরহামেশাই ঘটে যাওয়া বিদেশ যাত্রায় সম্পূর্ণভাবে অন্যের উপর সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নিজে হাফ ছেড়ে বাচঁতে গিয়ে চরম বিপদ ডেকে আনার ঘটনা,যা কি না নিজের তৎপরতা দিয়ে সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব। 

তাই সৌদি আরবসহ যেকোনো দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসাটি চেক করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিকভাবে জেনে নিশ্চিত হয়ে নিন। 

আশা করছি,সৌদি আরব ভিসা চেকিং ২০২৩ আর্টিকেলটি সৌদি আরবের ভিসা চেকিং এর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।আপনার বিদেশ যাত্রা শুভ হোক এই প্রত্যাশায় সৌদি আরবের ভিসা চেকিং শিরোনামের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url