OrdinaryITPostAd

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কানাডা যেহেতু বেশ সমৃদ্ধিশীল এবং উন্নত একটি দেশ তাই অনেকেই কানাডাতে যেতে চান। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি অনেক রকম রয়েছে। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জেনে অবশ্যই আপনাদের কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, লেবার ভিসা, কাজের ভিসা বিভিন্ন কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি জেনে তারপর আপনারা ভিসা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা
  2. কানাডা ভিজিটর ভিসা
  3. কানাডা ভিজিটর ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  4. কানাডা জব ভিসা
  5. কানাডা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

১. কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি

আপনারা অনেকেই স্টুডেন্ট, এবং স্টুডেন্ট ভিসার কানাডা যেতে চান। তবে আপনাদের জন্য কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি স্টুডেন্ট ভিসার সম্পর্কে আর্টিকেলে এই অংশে তথ্য দেয়া হবে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনলাইনে আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এবং ইমিগ্রেশন কানাডা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে কানাডা এজেন্সির কাছেও আবেদন করতে পারেন। এবার আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন। অবশ্যই কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। এই যোগ্যতা গুলো যদি আপনার না থাকে তবে আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারবেন না।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার যে যোগ্যতা গুলো দরকার হবে, আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে, এবং এর জন্য আপনাকে IELTS দিতে হবে।আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে।আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সনদ থাকতে হবে।আপনার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি করবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পত্র থাকতে হবে। কানাডায় থাকায় আপনার যে খাবার এবং পড়াশোনার অর্থ বহন করার অর্থ রয়েছে তার প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র থাকতে হবে। কোন প্রকার সন্ত্রাস কিংবা মামলার সাথে জড়িত থাকা যাবে না। এবং অবশ্যই আপনাকে আপনার মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা প্রমাণ করার জন্য কোন মেডিকেল এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

২.কানাডা ভিজিটর ভিসা। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

ভিজিটর ভিসা কে অস্থায়ী আবাসিক ভিসা নামেও বলা যায়। এটি আসলে একটি আইনি দলিল। এবং এটি আপনার পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এটি বুঝায় যে আপনি কানাডায় প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা গুলো পূরণ করেন। আপনারা কানাডায় ভিজিটর ভিসা যেতে চাইলে খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন। আপনারা ভিজিটর ভিসায় কানাডায় প্রায় ছয় মাসের মত থাকতে পারবেন। সীমান্ত পরিসেবা কর্মকর্তা আপনাকে ৬ মাসের কম বা তার বেশি সময় থাকার অনুমতি দিতে পারে। তারা আপনাকে ভিজিট রেকর্ড নামে একটি সনদ দিতে পারে যা যে তারিখ পর্যন্ত আপনারা থাকতে পারবেন সেটি লেখা থাকবে। আপনি যদি পাসপোর্টের স্ট্যাম্পটি না পান তাহলে আপনি আপনার প্রবেশের তারিখের পর থেকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যতদিন না পর্যন্ত শেষ হয় তত দিন পর্যন্ত আপনি কানাডায় থাকতে পারবেন। আর আপনার যদি কোন স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয় তবে আপনি সীমান্ত পরিষেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

৩.ভিজিটর ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি

আপনারা কানাডাতে যদি ভিজিটর ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তবে আপনাদের অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে আপনি হয়তো কানাডায় ভিজিটর এর ভিসাযর জন্য আবেদন করতে পারবেন না এবং যেতে পারবেন না। ভিজিটর ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে, ভ্রমণ ইতিহাসের জন্য একটি সনদ, আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা, আপনি গত ১০ বছরের মধ্যে যদি দেশের বাইরে ভ্রমণ করে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য স্ট্যাম্প, ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আপনার বৈধ ভিসা, যা আপনার দেশের বাইরে আপনার সময়কাল নির্দেশ করবে আপনার আপনার আর্থিক অবস্থা দেখানোর জন্য ব্যালেন্স সহ ছয় মাসের একাউন্ট এর তথ্য আপনাকে দিতে হবে।

৪.কানাডা জব ভিসা। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বাংলাদেশের চাকরি ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে দেশের বাইরে কোথাও জব করার জন্য যেতে চান। এর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো কানাডা। কানাডায় আপনারা সহজে জব ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। কানাডা জব ভিসা পেতে আপনাদের অবশ্যই কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে এখন এই প্রসেসটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বহিরাগতদেরকে কানাডায় ঢোকার পারমিশন দিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করারও অনেক বড় বড় সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আপনারা আপনাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কিছু কার্য সম্পাদন করে কানাডা জব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং আপনাদের সকল তথ্য এবং কাগজপত্র যদি বৈধ হয়ে থাকে তবে আপনারা কিছু সময় অপেক্ষা করলেই সহজেই কানাডা জব ভিসা পেয়ে যেতে পারবেন। এই জব ভিসা নিয়ে কানাডায় যেয়ে আপনারা আপনাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে সেখানে বিভিন্ন সেক্টরে জব করতে পারবেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী অনেক দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপনারা কেউ কানাডায় জব ভিসা নিয়ে গেলে কিছুদিন পর আপনারা আপনাদের পরিবারের লোকজনদের কেও নিয়ে যেতে পারবেন। প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার এবং এর অনেক বেশি মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডায় যেয়ে বিভিন্ন সেক্টরে জব করতে পারছে।

৫.কানাডা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা। কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

যদিও এখন আপনারা খুব সহজে কানাডা ভিসা পেতে পারেন, তবে কানাডা ভিসা পেতে অবশ্যই আপনাদের কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যোগ্যতা না থাকলে আপনারা ভিসা পাবেন না। আপনাদের অবশ্যই এইচএসসি সার্টিফিকেট থাকতে হবে, ইংলিশে দক্ষতা থাকতে হবে, কাজের প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে, অবশ্য যে কাজের জন্য যেতে চান সেই কাজে পূর্ণ দক্ষতা থাকতে হবে, এবং আপনার ব্যাংকে মিনিমাম ৩০ লাখ টাকা থাকতে হবে এবং ত্রিশ লাখ টাকার কিছু ডকুমেন্টও আপনার সাথে রাখতে হবে। 

আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

১.প্রশ্নঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা তে আবেদন করতে হলে কি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ যেকোনোভাবে দেশের বাইরে যেতে হলে আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন অবশ্যই হবে।

২.প্রশ্নঃ কানাডার ভিজিটর ভিসা আপনি কতদিন থাকতে পারবেন?

উত্তরঃ প্রায় ছয় মাস।

৩.প্রশ্নঃ কারেন্টে যেতে হলে আপনাকে  কোন ভাষায় দক্ষ হতে হবে?

উত্তরঃ ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা হবে।

লেখকের মন্তব্য

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই পূর্ণ জ্ঞান নেই। আপনারা অনেকেই বিভিন্ন ভিসা নিয়ে কানাডায় যেতে চান। কানাডায় যাওয়ার বিভিন্ন রকম ভিসা রয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা, জব পারমিট ভিসা, ভিজিটর ভিসা ইত্যাদি। এবং কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে এই আর্টিকেলটির বিভিন্ন অংশে আপনাদেরকে কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি এবং যোগ্যতা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এবং যোগ্যতা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানানো হয়েছে। কানাডা কিংবা যে কোন দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই দেশে যাওয়ার ভিসা, দক্ষতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে পুরোপুরি ভাবে জেনে তারপর যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। না হলে আপনাদের ভিসা পেতে কিংবা সেই দেশে যে কাজ করতে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে সেজন্য সকল তথ্য সম্পর্কে পুরোপুরি ভাবে জেনে এবং যাচাই-বাছাই করে এবং নিজে সকল কাগজপত্র বৈধ হলে আপনারা ভিসা  পেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url