OrdinaryITPostAd

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


অনুচ্ছেদ সূচি(যে অংশ পড়তে  চান তার উপর ক্লিক করুন।)

  1. পার্ট টাইম জব কি 
  2. কিভাবে পার্ট টাইম জব শুরু করব
  3. স্টুডেন্ট জীবনে পার্ট টাইম জব করার সুবিধা
  4. পার্ট টাইম জব এর অসুবিধা
  5. অফলাইনে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  6. অনলাইন ভিত্তিক স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  7. লেখক এর মন্তব্য

1. পার্ট টাইম জব কি| স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


পার্ট মানে হচ্ছে অংশ আর টাইম মনে হচ্ছে সময় । তাহলে পার্ট টাইম মানে হল সময়ের অংশ। এখন দিনে 24 ঘন্টার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে আপনি কোন কাজ করে অর্থ উপার্জন করলেন ।

আর পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থাৎ আপনার ছাত্র জীবনের পড়াশুনার পাশাপাশি কিছুটা সময় বের করে নিয়ে কোনো জব করে সেখান থেকে টাকা আয় করা হচ্ছে স্টুডেন্ট লাইফে পার্ট টাইম চাকরি।

আপনি দিনের অব্যবহৃত সময়টুকু কাজ করে উপার্জন করতে পারেন পড়াশোনার পাশাপাশি। এটা স্টুডেন্ট লাইফে পার্টটাইম জব। স্টুডেন্ট লাইফে পড়াশোনার পরে কিছুটা অবসর টাইম থাকে যে অবসর টাইমে শ্রম বিনিময় করে কিছু অর্থ উপার্জন করা যায় । যার ফলে নিজেরা হাত খরচ ও পড়াশোনার খরচ চালানো যায় পাশাপাশি।

অনেক সময় দেখা যায় বাসা থেকে পরিবারের লোক যে অর্থটুকু দেয় তা দিয়ে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। পড়াশোনা বা নিজের খরচ চালাতে পার্ট টাইম জব এর ভূমিকা অনেক। পার্ট টাইম জব করে যেমন দক্ষতা অর্জন হয় তেমন অর্থ উপার্জন হয়। স্টুডেন্ট লাইফে পার্ট টাইম জব করে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ভালোভাবে থাকা যায়।

দরিদ্র পরিবারের যারা তাদের পড়াশোনাতে খরচ চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব করা উচিত। এতে করে নিজের দরিদ্র পরিবারের সহযোগিতা হবে এবং পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে চালানো যাবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের স্বল্প কিছু টাইম দিয়ে কাজের  মাধ্যমে উপার্জন হল স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব। 
পার্ট টাইম জব করতে মানুষ দিনের সবটুকু সময় দেয় না । আনুমানিক সপ্তাহে 30 ঘণ্টার মতো সময় দিলে পার্ট টাইম জব এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পার্ট টাইম জব এর বেতন ঘন্টা হিসেবে পরিশোধ করা হয়। যে যতটুকু টাইম দেবে পার্ট টাইম জব সে ততো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবে। পার্ট টাইম জব দিনের টাকা দিনে অথবা সপ্তাহে অথবা মাসে বেতন দেওয়া হয়।

2. কিভাবে পার্ট টাইম জব শুরু করব|স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে  উপার্জন করতে পারেন স্টুডেন্টরা। এখন প্রশ্ন আসে কিভাবে আমি পার্ট টাইম জব শুরু করব। নানা ধরনের পার্ট টাইম জব করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি টিউশনি করতে পারেন, আবার আপনি কোন শোরুমে হাফ বেলা কাজ করে পার্ট টাইম জব এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আবার অনলাইনে কাজ করে অবসর সময়ে উপার্জন করতে পারেন।

এটি নির্ভর করে আপনার সুযোগের উপরে আর আপনি কোনটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার ওপরে। এখন আপনি যদি সুযোগ না পান কোন পার্ট টাইম জব এর তাহলে আপনি করতে পারবেন না। মনে করেন আপনি স্টুডেন্ট কে পড়াতে চান যাকে বলা হয় টিউশনি করাতে চান এখন আপনি যদি টিউশন খুঁজে না পান তাহলে আপনি পড়াতে পারবেন না। আমার আপনি শোরুমে কাজ করতে চান কোন শোরুমে যদি লোক নিয়োগ না দেয় তাহলে আপনি পার্ট টাইম জব করতে পারছেন না।

এই উদাহরণটি বললাম অফলাইনের ক্ষেত্রে, আপনি যদি অফলাইনে পার্ট টাইম জব করতে না পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে চেষ্টা করতে পারবেন। অনেক উন্নত হয়ে গেছে আমাদের দেশ। আপনি এখন চাইলে অনলাইনে টিউশনি করে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে অনলাইনে আরো অনেক সেক্টরে কাজ আছে যেগুলো করে উপার্জন করতে পারেন।

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ স্টুডেন্ট লাইফে পর্ট টাইম জব করলে শুধু উপার্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না বরং এর সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে ভবিষ্যতে ভালো চাকরিটা খুব সহজে যোগ দেওয়া যায়। এছাড়াও যে টাকা উপার্জন হয় তা থেকে পড়াশোনা খরচ চালানো যায় । 


আপনি যদি টিউশনি করাতে চান তাহলে আপনার থেকে নিচু ক্লাসের স্টুডেন্টদের পড়াতে পারেন । আবার আপনি ক্লাস শেষে বিকেলে টাইম টা কোন শোরুম বা অফিসে পার্ট টাইম জব করে কাটাতে পারেন। এর থেকেও সহজ উপায় বলতে গেলে অনলাইনে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম জবের উৎস অনেক। শুধু সেগুলো কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

3. স্টুডেন্ট জীবনে পার্ট টাইম জব করার সুবিধা|স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার বিনিময়ে আপনি টাকা আয় করার সাথে সাথে অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাভ পাবেন।
মানে, স্টুডেন্ট হিসেবে যখন আপনি একটি পার্ট টাইম চাকরি করবেন,তখন আপনার মধ্যে এমন কিছু নতুন নতুন দক্ষতার জ্ঞান চলে আসবে যেগুলো অন্যদের মধ্যে থাকবেনা।

এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারবেন। স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব প্রয়োজন ভবিষ্যতকে আলোকিত করতে। কোন চাকরি ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করে। আপনার যদি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ভবিষ্যতে চাকরি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারবেন এবং খুব দ্রুত চাকরি পেতে পারবেন। স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব দরকার একজন স্টুডেন্ট যদি টাইম জব করে তাহলে সে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারবে।

দেখুন বন্ধুরা, আমাদের মাইন্ড/ মন হলো এমন একটি যন্ত্রের মতোই যেটাকে আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটা সেভাবেই কাজ করবে।

তাই, যদি আপনি স্টুডেন্ট থাকতেই একটি পার্ট টাইম চাকরিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন,

তাহলে, অনেক আগের থেকেই আপনি আপনার মাইন্ড কে কিছু ভালো দক্ষতা, অভ্যাস, গুন্, ব্যবহার এবং উপলব্ধির সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে পারবেন।

যার ফলে, আপনার মাইন্ড চির কাল সেই ভালো দক্ষতা বা অভ্যেস গুলোর হিসেবেই কাজ করবে এবং পজিটিভ ভাবে আপনি জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন।

আমাদের জীবনে কেবল একটাই জিনিস আমাদের সাথে সব সময় থাকে যার ফলে আমরা নিজের একটি ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।এবং সেটা হলো “আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা” ।

আর তাই, যতটা তাড়াতাড়ি আপনি চাকরি জীবনের সাথে সংযুক্ত হবেন, ততটাই বেশি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা হবে।

যখন আপনি একটি পার্টটাইম জবের যুক্ত হবেন তখন আপনি এটিকে আরামদায়ক পাবেন শেষ পর্যন্ত আপনি আরও উদ্যোগী হয়ে উঠবেন কম ঘন্টা, কম দায়িত্ব এবং সামগ্রিক ভাবে কোন কাজের দায়িত্ব আপনার শক্তি সংরক্ষণ করে এবং ফলস্বরূপ আপনার মনকে শান্ত রাখে।

আবার পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে অনেকের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। এতে করে দেখা যায় কোন সমস্যায় পড়লে অনেকের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায় পরিচিতি থাকার কারণে। স্টুডেন্ট অবস্থা থেকে পরিচিতি বাড়লে ভবিষ্যতে তার সুফল পাওয়া যায়।

স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে মানি ম্যানেজমেন্ট এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষতা হয়। স্টুডেন্ট থাকাকালীনই সেটা টাকার সদ্ব্যবহার এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখে। এর ফলে তার খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একটা ছাত্র এর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল, পার্ট টাইম জব এর কারণে সে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় কম পাবে। এবং বিনা প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করা বন্ধ হবে, কারণ সে প্রথমত বন্ধুদের সময় কম দিচ্ছে  এবং নিজের কষ্টের উপার্জন কে মূল্য দিতে শিখছে।

স্টুডেন্ট এর পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন বিষয়ে কেউ পারদর্শী হলে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে যেকোনো চাকরি ক্ষেত্রে সে সফলতা অর্জন করবে।

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব এর সুবিধা গুলো এক নজরে:

  • কাজের অভিজ্ঞতা
  • নেটওয়ার্কিং অপারচুনিটি
  • নিজের খরচ বহন করার ক্ষমতা
  • মানি ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা
  • আত্মবিশ্বাস অর্জন
  • খারাপ অভ্যাস ত্যাগ

4. পার্ট টাইম জব এর অসুবিধা| স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব যেমন সুবিধা নিয়ে আসে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার সেগুলো অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব যেমন প্রয়োজন তেমন এটি খুব বেশি চাপ সৃষ্টি করে এমন জব না হওয়া প্রয়োজন। পার্ট টাইম জব যদি এমন হয় যে খুব বেশি চাপ সৃষ্টি করে তাহলে পড়াশোনাতে ক্ষতি হতে পারে।
  • পড়াশোনায় নেগেটিভ ইফেক্ট পরতে পারে 
পার্ট টাইম জব যদি খুব বেশি সময় ধরে হয় বা মানসিক অথবা শারীরিক চাপ সৃষ্টি করে তাহলে পড়ালেখার প্রতি খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এমন হতে পারে যে খুব বেশি চাপ পার্ট টাইম জব তাহলে তো পড়ালেখা খারাপ হয়ে যাবে। পড়ালেখায় সময় কম দেওয়া হবে। কিন্তু মূলত স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব মানে পড়ালেখার পরে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে উপার্জন ও দক্ষতা অর্জন। কিন্তু এর বিপরীত হলে পড়ালেখায় খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
  • স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পরে
পড়াশোনা এবং পার্ট টাইম জব একসাথে করতে গিয়ে অনেক স্টুডেন্টদের শারীরিক যত্ন নেওয়া হয় না। যার কারণে শরীরের ওপরে খারাপ প্রভাব পড়ে। শরীর দুর্বল হয়ে যায় চেহারা ছবি খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন পড়ালেখা এবং কাজকে সময় দিতে গিয়ে নিজের শরীরের সময় দেওয়া হয় না ।নিজের সামান্য যত্ন নেওয়া হয় না। শরীরে আস্তে আস্তে দুর্বল হওয়ার জন্য পরবর্তীতে পড়ালেখায় অমনোযোগী তা দেখা দেয় যায় কি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  • ডিগ্রী অর্জনের প্রভাব পরে
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টইম জবের ক্ষেত্রে দেখা যায় চাকরিতে সময় দিতে গিয়ে ঠিকমতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয় না। মূলত কারণ পার্ট টাইম জব করতে গিয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করা হয়না , যার কারণে পরীক্ষাগুলো ঠিকমতো অংশগ্রহণ করে না। এতে করে সেমিস্টার পিছনে থাকে এবং পড়াশুনার ধীরগতি হতে থাকে। এবং সর্বশেষে ডিগ্রী অর্জনে দেরি হয়ে যায়।

5. অফলাইনে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব|স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

আপনি পছন্দ করেন আর না করেন, পার্ট টাইম জব এর জনপ্রিয়তা অস্বীকার করতে পারবেন না। সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যারা পার্ট টাইম জব করেন। মানুষ আজকাল পার্টটাইম বা খণ্ডকালীন চাকরি করতে ভালোবাসে ‌‌। বাইরের দেশগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা পার্ট টাইম জব করে পড়াশোনা চালায়। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বাইরের ছাত্রছাত্রীরা পার্ট টাইম জব করতে ভালোবাসে।

আমাদের দেশে খণ্ডকালীন চাকরির বাজারটা খুব একটা বড় নয়। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর অধিকাংশ যেখানে ফুলটাইম জব করিয়ে পার্টটাইম জবের বেতন দেওয়ার মানসিকতা পালন করে, সেখানে এই বাজারে বড় হওয়ার অবসান কোথায়! 

কিন্তু এই করোনাকালীন সময় সবারই মন মানসিকতা কিছুটা পাল্টে গিয়েছে, সেটি ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক। এখন অনেক বড় বড় কোম্পানি মন্দা সময়টা কাটাতে পার্টটাইম নিয়োগ দিচ্ছে।

কিছু অনেক কোম্পানি আছে যারা শুরু থেকেই পার্ট টাইম জবের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। স্বীকৃতি খুঁজে বের করে পার্ট টাইম জব করতে হবে ছাত্র বয়সেই। স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করা ভালো। সামর্থ্য থাকুক আর না থাকুক পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এজন্য সকল স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করা উচিত।

নানা ধরনের কাজ রয়েছে যার মাধ্যমে স্টুডেন্টরা টাইম জব করে উপার্জন করতে পারে। অফলাইনে স্টুডেন্ট এর জন্য পার্ট টাইম জব এর একটি উদাহরণ হল টিউশনি। আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে যেমন :কোন প্রতিষ্ঠান ঘন্টা হিসেবে কাজ করে।
  • স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে টিউশনি
যারা টিউশনি করেন তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি মেধাবী। আপনি যখন বিভিন্ন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন, আপনি সেই বিষয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন, যা আপনার পরবর্তী জিবনে খুব কার্যকর ভূমিকা হবে।

আপনি বিভিন্ন ধরণের প্রাইভেট টিউশন করতে পারেন। আপনি ঘরে ঘরে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। আপনি যদি গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ে ভাল হন তবে আপনি সহজেই এই কাজটি পাবেন। তাছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, অ্যাকাউন্টিং সহ বিভিন্ন বিষয়ে টিউশনটি খুবই জনপ্রিয়। আপনি যদি উপরের যে কোনও একটি বিষয়ে দক্ষ হন তবে শিক্ষাদান করা আপনার পক্ষে কোনও বিষয় নয়।

প্রথম ক্ষেত্রে, আপনি যদি বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট টিউশন করেন, তবে একদিন আপনি একজন সুপরিচিত শিক্ষক হিসাবে পরিচিত পাবেন। আপনি যদি একজন সুপরিচিত শিক্ষক হয়ে উঠতে পারেন তবে আপনি নিজের একটি কোচিং সেন্টার খুলে এবং টিউশনির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটিও হতে পারে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব থেকে টাকা ইনকামের অন্যতম পথ।

অনেকেই ভাবেন যে এই কাজ করে হয়তোবা বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নয়। এখন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা প্রাইভেট টিউশনি করিয়ে মাসে 20 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতেছে। এখানে শুধু আপনার বুদ্ধিটাকে একটু কাজে লাগাতে হবে। যদি আপনি আপনার নিচের ক্লাসের কোন স্টুডেন্টকে প্রাইভেট টিউশনি করান ।তাহলে কিন্তু পড়াশোনার বিষয়ে আপনার দক্ষতাও বেড়ে যাবে। এবং পরবর্তীতে চাকরির পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে সেই বিষয়গুলো কাজে লাগতে পারে
  • হোটেল, রেস্তোঁরা, ফ্যাশন হাউসের কাজও স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
আপনি বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যয়বহুল হোটেল, রেস্তোঁরা, ফ্যাশন হাউস এবং পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ট্যুর গাইড হিসাবে পার্ট টাইম জব কাজ করতে পারেন। যাদের নিজস্ব পদ্ধতি এবং পদ্ধতিতে স্মার্টনেস রয়েছে তারা সহজেই এ জাতীয় পার্ট টাইম জব পরিচালনা করতে পারেন। এবং যাদের সাধারণ মানুষকে কথার মাধ্যমে কাজের মাধ্যমে আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে তারা এ ধরনের কাজটি পার্ট টাইম জব হিসেবে করতে পারেন।

এর জন্য আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোথায় কর্মী নিয়োগ দেয়। যেখানে পার্ট টাইম এর জন্য কর্মী নিয়োগ দেয় স্টুডেন্টকে সে্ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে হবে।

হোটেল, রেস্তোরা,  ফ্যাশন হাউজ বা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কাজ করলে স্টুডেন্ট এর দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, অনেক কিছু শিখতে পারবে, সাথে উপার্জনের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হবে। হোটেল অথবা রেস্তোরাঁগুলোতে ক্যাটারিং এর কাজ করতে পারে পার্ট টাইম হিসেবে ‌। ফ্যাশন হাউজে সেলসম্যানের কাজ করতে পারে, ফ্যাশন হাউসে সেলসম্যান এর কাজ করার জন্য প্রয়োজন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার ক্ষমতা এবং বোঝানোর ক্ষমতা। যদি সে এ দুটি গুণের অধিকারী হয় তাহলে তার জন্য কাজটি পাওয়ার ও করা অনেক বেশি সহজ হবে। পর্যটন কেন্দ্র কাজ বলতে কিছু সময়ের জন্য মানুষকে দিকনির্দেশনা দিয়ে উপার্জন করা।

6.অনলাইন ভিত্তিক স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব| স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব এর ক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক পার্ট টাইম জব অনেক সুবিধাজনক। অনলাইন ভিত্তিক পার্ট টাইম জব গুলো ঘরে বসে করা যায়। যার কারণে স্টুডেন্টদের উপর নেতিবাচক প্রভাব গুলো পড়ে অফলাইন এর ক্ষেত্রে অনলাইনে তা পরে না। এমন নয় যে অনলাইনে কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। বেশি অনলাইনে অক্ষর আকৃষ্ট হয়ে গেলে তখন আমাদের শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। অফলাইন এর মত অধিক সময় ধরে চাপ নিয়ে কাজ করলে পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়। তবে অফলাইনে তুলনায় অনলাইনে সুবিধা হলো এই যে এটা ঘরে বসে করা যায়।

অনলাইন ভিত্তিক পার্ট টাইম জব এর উদাহরণ:
  • কনটেন্ট লিখে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • ফ্রিল্যান্সিং করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • অনলাইনে টিউশনি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • অনলাইনের জরিপ করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
  • ফটোগ্রাফি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


১. কনটেন্ট লিখে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

স্টুডেন্টরা তাদের অবসর সময়ে কাজে লাগানোর জন্য এবং সময়কে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করার জন্য কনটেন্ট লেখাকে বেছে নিতে পারে। এতে করে একজন স্টুডেন্টের জ্ঞান বাড়বে, দক্ষতা বাড়বে যা তার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

বর্তমানে কনটেন্ট রাইটারের চাহিদা সারাবিশ্বেই রয়েছে অনেক। রাইটার হতে হলে ফুলটাইম জব করতে হবে না নিজের অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবে স্টুডেন্টরা।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এতো বেড়েছে যে এর ব্যবহার ও চাহিদা অনেক বেশি। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে তা প্রচার করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিভাগ মনে করা হয়। এবং আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হন এবং ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব এটি।

500 শব্দে আর্টিকেল লিখলে আপনি 5 থেকে 20 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এর মধ্যে কনটেন্ট লিখে উপার্জন করার জন্য হাজার হাজার জব পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের সন্ধান পাওয়া কষ্টকর। আপনি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হলে ভালো পরিমাণ অর্থ দাবী করতে পারবেন কনটেন্ট লিখে। তাই আপনাকে ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে হলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মনোযোগ আকর্ষণীয় ভালো কনটেন্ট লিখতে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে প্রশিক্ষণ অর্জন করতে পারেন। 

কনটেন্ট লিখে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করতে ওয়েবসাইটে কমপক্ষে 300 শব্দের একটি কনটেন্ট আপনাকে লিখতে হবে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কনটেন্ট লিখতে হয় । যে বিষয়ে আপনার খুব ভালো জ্ঞান আছে সে বিষয়ে কনটেন্ট লিখে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে হয়।কনটেন্ট লিখে পাঠক কে তথ্য দিতে হবে। যে বিষয়ে আপনি কনটন্ট লিখছেন ,সে বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান স্বল্প হয়, তাহলে সে বিষয়ে আগে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে তারপর সেই জ্ঞান কনটেন্ট লিখে সকলের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে।

একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু নিয়ম আপনাদের সুবিধার্থে উপস্থাপন করা হলো:
  • স্পষ্ট,‌ আকর্ষণীয় ও ছোট টাইটেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  • অবশ্যই হেডিং দিয়ে কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন
  • শব্দ সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচশত থেকে থেকে পনেরশো শব্দের কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন। তবে যদি পনেরশো এর অধিক হয় তাহলে আরো ভালো। যত বিস্তারিত লিখতে পারবেন আপনার রিডার সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।
  • ছোট ছোট প্যারা করে লিখলে মনোযোগ আকর্ষণ হবে পাঠকের তাই ছোট ছোট প্যারা করে লেখার চেষ্টা করবেন। 
  • আর্টিকেলটি আরো আকর্ষণীয় করতে আপনি ছবি ব্যবহার করতে পারেন। পাঠক এতে করে পড়তে আগ্রহী হবেন।

2. ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে ছাড়া হচ্ছে ব্লগের অন্তর্ভুক্ত। ব্লগ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আমাদের জীবনে কোনো কিছু অনলাইনে মানুষের মাঝে শেয়ার করা কে। ইউটিউবে ভিডিও বিভিন্ন ধরনের করা যেতে পারে যেমন আমরা রান্নাবান্না ,ক্রাফটিং এর কাজ, ঘোরাঘুরি করার ব্যাপারে, বা কোন মজার ভিডিও বানিয়ে ইত্যাদি।

বর্তমানে ইউটিউবে ব্লগিং করে উপার্জন করছেন অনেকেই। এর মাধ্যমে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আপনার subscriber's ভিউয়ার্স যদি বেশি হয় তাহলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর ইউটিউব থেকে ইনকাম একটি দীর্ঘ সময় কালীন হয়ে থাকে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে খুব বেশি সময় বিনিয়োগ করতে হয়। স্টুডেন্টদের অবসর সময় টা কে বিনিয়োগ করে স্টুডেন্টরা খুব সহজেই পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে।

ব্লগিং করে উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগিং করতে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। সুতরাং, বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রি টাকা ইনকাম করতে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। বর্তমান অনেকেই ব্লগিং করে অনেক অর্থ উপার্জন করছে বিনিয়োগ ছাড়াই। ব্লগিং করে উপার্জন করতে হলে আপনার জানতে হবে কি করে একটি সুন্দর ভিডিও সকলের সামনে উপস্থাপন করা যায়।

ব্লগ বলতে শুধু ভিডিও তৈরি করা নয়। ব্লগ হলো কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন। সেটি লেখা লেখি ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করছি ভিডিও তৈরি করে ব্লগিং। এটি আপনি আর ও বিস্তারিত জানতে পারেন ভিডিও তৈরির বিভিন্ন ব্লগ দেখে ইউটিউব থেকে। 

ব্লগিং করতে প্রয়োজন আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটি। এন্ড্রয়েড ফোনের ক্যামেরা যতো ভালো হবে আপনার ভিডিও টির মান তোতো ভালো হবে এবং ভিডিও টি সকলের কাছে পছন্দনীয় হবে। একটা ভিডিও তৈরি করতে হলে একটি বিষয় ঠিক করতে হবে এবং ওই বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে। ভিডিও টি থেকে যাতে করে মানুষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার ব্লগটি হতে পারে আপনার ব্যক্তি জীবনের উপর। 

একজন ব্লগার প্রথম বছর প্রতি মাসে ৫০০ হতে ১,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। তার পরের বছর গুলোতে ব্লগিং আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। একজন ফুলটাইম ব্লগার প্রতি বছর গড়ে ১ লক্ষ হতে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে শুধু প্রতি সপ্তাহে ২০ হতে ২৮ ঘন্টা দিয়ে। আপনি পার্টটাইম জবের জন্য এতটা সময় ব্লগিংয়ের দিবেন না। আপনার অবসর সময়টুকু কে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করবেন। স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম জব আরো একটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও তৈরি করে ব্লগের মাধ্যমে উপার্জন। 

একজন ব্লগের প্রকাশক হিসেবে, আপনার অনলাইন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন যোগ করলে সহজে টাকা পেতে পারবেন। বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক। ঠিক একইভাবে বেশিমাত্রায় সার্কুলেট হওয়া সংবাদপত্রিকা বিজ্ঞাপনদাতাদের আরও বেশি চার্জ করতে পারে, আপনার সাইট এবং কন্টেন্ট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগের আয় সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরকরে ব্লগের ট্রাফিকের উপর। আপনার ব্লগ ট্রাফিক যত বেশি হবে ব্লগ থেকে আয় তত বেশি হবে। ব্লগের আয় নির্ভর করে আরও একটি বিষয়ের উপর আর সেটা হল ইমেইল লিষ্টের উপর।আপনার ইমেইল লিষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্লগের আয় বৃদ্ধি পায়। কারন, আপনার ইমেইল লিষ্ট থাকলে সেই লিষ্টের ব্যক্তি গুলোর কাছে আপনার ব্লগের নিউ পোষ্টের প্রচারনা চালাতে পারবেন


3.ফ্রিল্যান্সিং করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা। এখানে নিজের ইচ্ছামত সময়ে কাজ করে স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম জব করতে পারবে। যে কোন বিষয়ের উপর কাজ শিখুন। সত্য কথা বলতে আপনি যদি কোন কাজ না পারেন তাহলে আপনি কোন ক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন না। সব জায়গায় আপনার কাজ করার দক্ষতার গুরুত্ব টাই সব থেকে বেশি। উদাহারন হিসেবে বলা যায় ধরুন আপনি একজন রিকশা চালক সে ক্ষেত্রে আপনাকে শ্রমজীবী মানুষ বলা হবে কিন্তু এই রিকাশা চালানোর জন্য আপনাকে রিকশা চালানো শিখতে হয়েছে। ঠিক তেমন ভাবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপর যদি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। তার এই ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপিং শিখতে হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনাকে কাজ শিখতে হবে। কোন কাজ না জানলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না বা অন্য কোথাও জব করতে পারবেন না। এখন একটা প্রশ্ন আসতে পারে আমি কি কাজ শিখবো? বর্তমানে অনেক ধরনের কাজ দিয়েই আপনি শুরু করতে পারবেন। অনালাইনে ফ্রিল্যান্সার দের কাজের কোন অভাব নেই।

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু দিক তুলে ধরা হলো। কোন কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে তা নিচে লেখা হলো।
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভলপিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • এডিটিং ভিডিও
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ফটো এডিটিং
  • প্রেজেন্টেশন তৈরি
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • আর্টিকেল রাইটিং

4. অনলাইনে টিউশনি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে। এছাড়া মহামারী করোনা আসার পর মানুষ আরো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে। এখন বাসায় বাসায় গিয়ে পড়ানোর থেকে অনলাইনে পড়ানো হয় বেশি। বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে স্টুডেন্ট চাহিদা মোতাবেক একজন টিচার কে খুঁজে পাবে এবং একজন টিচার তার নিজের মনের মত একটা স্টুডেন্ট কে খুঁজে পাবে।

অনলাইনে টিউশনি করে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব এর সুবিধা রয়েছে। তাই একজন স্টুডেন্ট চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে পার্ট টাইম জব করতে পারে টিউশনি করে।

5. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


আমাদের এই যুগকে বলা হয় আধুনিক যুগ। আর এই আধুনিক যুগের মূল ভিত্তি বলা হয় অনলাইন কে, আর তাই বর্তমান সময়কে অনলাইন যুগ বলা যায়। এই যুগে অনলাইনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হলো আপনি যেকোন ক্লায়েন্টের হয়ে ক্লায়েন্টের দেওয়া সেই কাজটি আপনি তাকে করে দেবেন। কম্পিউটারের অন্যতম সফটওয়্যার মাইক্রোসফট অফিস এর কাছ থেকে শুরু করে নানা ধরনের ছোটখাটো গ্রাফিক্সের কাজ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জব এর মধ্যে দেখা যায়।

তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের জন্য যেটি জানা অনেক বেশি প্রয়োজন সেটি হলো মাইক্রোসফট অফিস এবং এক্সেল। তবে এক্ষেত্রে যারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েব রিসার্চ জাতীয় কাজগুলো করতে পারে সেগুলোকে ভার্চুয়াল


এখন স্টুডেন্ট এর যদি এসব ব্যাপারে জ্ঞান থাকে তাহলে সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয় পার্ট টাইম জব করতে পারবে। স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম জবের এটি আরেকটি লাভজনক। এখানে কাজ করলে স্টুডেন্ট একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবে ‌‌।

6. অনলাইন জরিপ করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

অনলাইন সার্ভে বা অনলাইনে জরিপ করতে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অথবা একটি ফোন থাকলেই যথেষ্ট। অনেকগুলা ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনলাইন সার্ভে করলে বা অনলাইনে জরিপ করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। তবে ওয়েবসাইটে কাজ করার পূর্বে ওয়েবসাইট টি আসল কিনা সে ব্যাপারে যাচাই করে নিবেন। এমন অনেক ঠিক আছে যেগুলো কাজ করার পর অর্থ প্রদান করেনা। এমন প্রতারণামূলক ওয়েবসাইট হতে সচেতন থাকবেন।

আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু অনলাইনে জরিপ  করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত করা হলো:

  • Opinionnow.in
  • Viewpointpanel.com
  • Ysense.com
  • Neobux.com
  • Tulona.com
  • Paidviewpoints.com
  • Swagbucks.com          
প্রতিটা ওয়েবসাইটে সার্ভে করতে হলে বা জরিপ করতে হলে আপনাকে লগইন করতে হবে।নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তবে অবশ্যই ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।

7.ফটোগ্রাফি করে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


ফটো বিক্রির মাধ্যমে উপার্জন করতে এখানেও আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আইডি খুলতে হবে। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করা হলো আপনাদের সুবিধার্থে।
  • istockphoto
  • Art storefornts
  • SmugMug Alamy
  • PhotoShelter
  • Zenfolio
  • Smile box
  • Photo Galleria.
  • Shutterstock
  • Imageporter    
এসকল ওয়েবসাইটে নিজের আইডি খুলে আপনার সুন্দর ছবিটি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এমন বেশ কিছু সাইট আছে যার মাঝে সাটার স্টক বেশ ভাল ও পরীক্ষিত । এছাড়া ছবি তুলে আয় করার আরো একটা সাইট হল ইমেজ পর্টার । আপনার একটি ছবির প্রতি ১০০০ ভিসিটের জন্যে ২.৬০ ডলার পর্যন্ত পে করে থাকে। আবার আপনি কাউকে রেফার করলে তার আয়ের ১০% আপনার একাউন্টে জমা হবে।

আপনি ডি.এস.এল.আর ক্যামেরা বা স্মার্টফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলতে পারেন, যদি আপনার তোলা ছবি বিক্রি না করতে চান। তাহলে আপনি নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে সেই ছবিগুলো আপলোড করে ভিজিটরের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।একটি ফ্রি ব্লগ ওপেন করে নিন এবং আপনার তোলা সকল ছবি পোষ্ট করুন।তবে মাথায় রাখবেন ছবির পরিমান যেন বেশি হয়।তাহলে ভিজিটর বেশি হবে।কিন্তু যদি ছবির পরিমান কম হয় তাহলে আয় করার চান্স খুব কম।এছাড়া ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করুন।এটার চাহিদা খুব বেশি।আমাদের দেশে আমরা বিভিন্ন ছবি কপিরাইট আইন না মেনে ব্যভার করি।কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে কপিরাইট আইন যথেষ্ঠ কঠোর যার ফলে তাদের প্রতিষ্ঠান বা অ্যাড,ব্যানারের জন্য প্রতিদিন অনেক ছবির প্রয়োজন হয়।তাই তারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে এই ছবিগুলো কিনে নেয়।


7. লেখক এর মন্তব্য | স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব


লেখক হিসেবে আমার মত প্রত্যেকটা স্টুডেন্টের পার্ট টাইম জব করা উচিত। তবে আমি মনে করি অফলাইনে তুলনায় অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে উপার্জন করা একজন স্টুডেন্ট এর জন্য বেশি ভালো। ভালো এবং খারাপ দিক থাকে । যে যে তাকে যেভাবে  ব্যবহার করবে সে তেমন ফল পাবে। নিজের দক্ষতা বাড়াতে এবং সাথে উপার্জন করতে একটা স্টুডেন্টের ছাত্র বয়স থেকে পার্ট টাইম জব করা উচিত। তবে আমার মতে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে টিউশনি টা বেশি ভালো। এতে করে কেন অর্জন হয় ও চর্চা হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেল স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব আশা করছি আপনারা পড়ে উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url