OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২২

আজ আমাদের আলোচ্য টপিক হলো অনলাইন ইনকাম করার উপায় ২০২২ নিয়ে। ইহা এক জনপ্রিয় টপিক। আমরা জানি টাকাই জীবন, টাকাই সার্বজনীন। জীবন পরিচালনায় টাকার বিকল্প নেই। এই টাকা ইনকামের অন্যতম একটা প্লাটফর্ম হলো অনলাইন মাধ্যম। তাই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো অনলাইন ইনকাম করার উপায় নিয়ে। অনলাইন ইনকাম করার উপায় ২০২২ জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আসুন জেনে নেই অনলাইন ইনকাম করার উপায় ২০২২ সম্পর্কে। 


অনুচ্ছেদ সূচী(আপনি যে অংশটি পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. অনলাইন ইনকাম (আয়) কি?
  2. অনলাইন ইনকাম কি আধো করা যায়?
  3. অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যম?
  4. অনলাইনের কোন কোন পদ্ধতিতে ইনকাম করা যায়? 
  5. অনলাইন ইনকাম কতোটা নিরাপদ? 
  6. আয়কৃত টাকা হাতে পাবো কিভাবে?
  7. অনলাইন ইনকামে কোনো রিস্ক আছে কিনা?
  8. অনলাইন ইনকাম কি শুধু দেশের গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ নাকি দেশের বাহিরের কোনো প্রজেক্টেও কাজ করা যায়
  9. লেখকের মন্তব্য 

১.অনলাইন ইনকাম(আয়) কি | অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২


অনলাইন ইনকাম বলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো না কোনো ভাবে আয়ের কোনো মাধ্যমকে বুঝায়। যেমনঃ মাইক্রোসফট এর মাধ্যমে, ফ্রিল্যান্সিং সহ আরো অন্যান্য কাজ গুলো করার মাধ্যমে বায়ার যেই পেমেন্ট করেন তাই অনলাইন আয় বলে স্বীকৃত। 


২. অনলাইন ইনকাম কি আধো করা যায়?|অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২


যায়।
অফলাইনে বা সরাসরি যেভাবে একজন কর্মকর্তা তার দক্ষতার মাধ্যমে তার মালিকের কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। তেমনি ভাবে অনলাইনেও একজন দক্ষ ব্যক্তি তার দক্ষতার দরুণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারে। যেমন একজন লোক ওয়েবসাইট ডেবলপ্ট এর কাজ জানে। 

এখন একটা কোম্পানি চাইতেছে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা ওয়েবসাইট বানাতে। তাহলে দূরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির কাজ সম্পাদনা করে দিতে পারে তার(কোম্পানির) সাথে সাক্ষাত করা ছাড়াই। এভাবে আরো অনেক সহযোগিতাই নেয়া যেতে পারে একজন দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে তার সাথে সাক্ষাৎ করা ছাড়াই। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা সাক্ষাত ছাড়াই কাজ সম্পাদন করিয়ে নেয়াকেই অনলাইন কাজ আদায় বলা হয়।


৩. অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যম|অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২


বর্তমানে অনেক গুলো পথ ও পন্থায়ই উন্মুক্ত হয়েছে অনলাইনে কাজ সম্পাদনা করার ও সাথে সাথে ইনকাম করার। যেমন ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর মাধ্যমে যা মানুষ যতো দেখবে ততোই আয়ের টাকার পরিমাণ বাড়বে, কোনো ব্যক্তির ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে, ডাটা এন্ট্রি করে দেয়ার মাধ্যমে, কোনো আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে,  কোন সাইট খোলার মাধ্যমে, সাইটের ভিউ বাড়ানোর মাধ্যমে, কোনে ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে, কারো কোনো কাজ সম্পাদন করে দেয়ার মাধ্যমে,ইবুক, ইমার্কেট সম্পাদনা করা, ছবি ব্যানার ফেস্টুন, পোস্টার তৈরি করে দেয়া সহ আরো অনেক পন্থাতেই আয়ের উৎসে পৌছা যায়। 

এবং টাকা ইনকাম করা যায়। এমনকি অনলাইনে প্রাইভেট টিউশনি কিংবা কোনো বিষয়ের উপর ট্রেনিং কোর্স কিংবা কোনো ধরনের একাডেমিক কোচিং ও বিষয়ভিত্তিক সেমিনারও আজ কাল অনলাইনে আয়োজন হচ্ছে।

৪. অনলাইনের কোন কোন পদ্ধতিতে ইনকাম করা যায়|অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২

অনলাইন অনেক গুলো মাধ্যমে একজন ব্যক্তি টাকা ইনকাম করতে পারে। 

তন্মধ্যে রয়েছে 


অনলাইন মার্কেটিংঃ 

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। যেনো প্রযুক্তি ছাড়া চলে না।তারই সুবাদে প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যই অনলাইন থেকে কেনাকাটা করার ঝোঁক প্রায় বেড়েই চলেছে। জামা-কাপড়, বইপত্র, ঔষধ, এমনকি দৈনিক রান্না করার সবজিটুকুও অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছি। এবং অর্ডার দেয়ার পর খুব সহজেই অল্প সময়ে সেই পণ্য আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছে দিচ্ছে।

এটাতো গেলো নিজের জন্য কেনাকাটা। এখন যদি এই অনলাইন কেনাকাটার বিশাল প্লাটফর্মে নিজের কেনাকাটার পাশাপাশি অন্যদের কেনাকাটার জন্য উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করি অর্থাৎ নিজেই এই অনলাইন ব্যবসার পলিসি গ্রহণ করি তাহলে এর মাধ্যমে ইনকাম করার একটা পথ উন্মুক্ত হয়ে গেলো। এবং এই পদ্ধতিটা এখন বর্তমানে অনেক সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যমও বটে। এবং এই সাইটে ইনকামের পরিমাণ কম তাও বলা অন্যায় হবে। বরং এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মানুষ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের জন্য বর্তমানে কয়েকটি মাধ্যম খুবই জনপ্রিয়। তন্মধ্যে ওয়েবসাইট ভিত্তিক মার্কেটিং অথবা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং করা বেশি সহজ ও জনপ্রিয়। তাই কেউ যদি চায় এই অনলাইন মাধ্যমকে মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে তবে তাকে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে অথবা একটা ফেইসবুক পেইজ খুলতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় কাজ ও সেটিং গুলো সমাপ্ত করেই সে তার ব্যবসার মার্কেটিং শুরু করতে পারে। এবং অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারে।

সাথে সাথে এখানে আরেকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো যেহেতু এটা একটা ব্যবসা তাই এই ব্যবসা পদ্ধতিতে আপনি আপনার পণ্যটিকে ভোক্তার হাতে তুলে অবশ্যই মার্কেটিং পলিসি, পণ্যের সামগ্রিক আকর্ষণীয় রিভিও, মনোমুগ্ধকর এডভারটাইজ সহ পণ্যের উপকার ও ক্ষতির দিক গুলো কাস্টমারদের কাছে স্পষ্ট রাখতে হবে। তবে শুরুতে এই ব্যবসার ঊর্ধ্বগতি মন্থর হলেও একসময় যখন সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবেন তখন আপনিই হয়ে উঠবেন এই জগতে সেরা একজন উদ্দ্যোক্তা। এবং আপনার ইনকামের রাস্তাগুলোও প্রসারিত হয়ে যাবে। তাই মার্কেটিং পলিসি জানা থাকা ও ধৈর্যক্ষমতা থাকলে আপনি অনলাইনে মার্কেটিং এ হয়ে উঠবেন সেরাদের সেরা। আর আপনার ইনকাম দেখে অন্যরা হবে ঈর্ষান্বিত। 

এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের আরেকটি ধাপ হলো নিজের পণ্য বিক্রি ছাড়াই কিংবা নিজে সেল না দেয়া ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন। এটাকে মার্কেটিংয়ের ভাষায় এফিলিয়েটেড মার্কেটিং বলে। 

বুঝেননি তো?? 
আসেন বুঝিয়ে বলছি। অনলাইন কেনাবেচাকে ই-কমার্স বলা হয়।যে বা যারা এই সাইটে ব্যবসা করে থাকে এবং ওয়েবসাইট ভিত্তিক ব্যবসা করে তারা তাদের ওয়েবসাইটে একটা অপশন রাখে affiliated marketing নামে। এখন এই অপশঅনটি কাজে লাগিয়ে ৩য় পক্ষ ইনকাম করতে পারে। 

কিভাবে তাও বুঝিয়ে বলছি। প্রথমে আপনাকে এখানে গিয়ে একটা একাউন্ট খুলতে হবে। অতঃপর বিক্রি যোগ্য বিভিন্ন পণ্যের লিঙ্ক আপনার নিজস্ব একাউন্টে শেয়ার বা পোস্ট দিতে হবে। এখন কেউ যদি সরাসরি ওয়েবসাইট না পেয়ে আপনার একাউন্ট এর পোস্ট থেকে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয়ের অর্ডার দেয় তখন এই ক্রয়ের একটা পার্সেন্ট আপনার একাউন্টে জমা হবে। এটাই আপনার অনলাইন ইনকাম করার এক অন্যতম সহজ উপায়। তবে এই পদ্ধতিতে মার্কেটিং সিস্টেম ও ভোক্তা আকর্ষনের ক্যাপাসিটি থাকা অবশ্যিক।


ব্লগিং করেঃ

ব্লগিং অনলাইনের এক পুরাতন মাধ্যম হলেও বেশ কার্যকরী ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এর মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও নিজের সখ পূরণ করা যায়। সাথে সাথে এই অনলাইন মাধ্যমটির সাহায্যে ইনকামও করা যায়। মূলত এই এই ব্লগিং সাইটটি হলো এক ধরনের নিজস্ব পত্রিকা। এখানে নিজেই লেখক, নিজেই সম্পাদক, নিজেই প্রুফ রাইটার আবার নিজেই পর্যবেক্ষক। নিজের কাছে যা ভালো লাগে বা সহজবোধ্য মনে হয় কিংবা লেখার উপযোগী কোনো টপিক থাকে সেই বিষয়েই কলমের ছড়ি ঘুরাতে পারেন। এবং পাবলিশ করতে পারেন। যাদের সেই বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ থাকবে বা হবে সে ব্লগ সাইটটি পরিদর্শন করবে ও এটা পড়বে। এর সাথে সাথে আপনার ইনকামও হবে। এই আপনি অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটাও কিন্তু একটা ব্লগ।তাই যেই বিষয়টিই আপনাকে আকর্ষিত করে সেই বিষয়েই আপনি লিখতে পারেন এবং ব্লগে পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

এখন রাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এই লেখা লিখবো কোথায়?? কিংবা ব্লগ সাইটে পাবলিশ করবোই বা কিভাবে??
আসেন বলে দিচ্ছি। এই ব্লগসাইটে আপনাকে লিখতে হলে প্রথমে আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে। আর এই একাউন্ট খোলার জন্য দুইটি জিনিস প্রয়োজন। ১. ডোমেইন নেইম(নাম)। ২. হোস্টিং।

ডোমেইন বিভিন্ন সাইটে ফ্রিতে পাওয়া যায় তবে তার পরিধি ও কার্যকারিতা খুব কমই। তাই একটু টাকা খরচ করে ইউনিক ডোমেইন ক্রয় করে নিলে তার লাস্টিং দীর্ঘদিন যাবত ও মজবুত হয়। এই ডোমেইন গুলো বিক্রি করে থাকে বিভিন্ন আইটি কোম্পানিরা যারা সরাসরি দেশের সার্ভারের সাথে কাজ করে থাকে। 

এই ডোমেইন ক্রয়ের পর www.blogger.com লিঙ্কে গিয়ে create your blog নামে ক্লিক করে ভিতরে প্রবেশ করে জিমেইল সেট করতে হবে। জিমেইল আইডি যুক্ত হওয়ার পর টাইটেল দিয়ে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে এখন থেকে এই সাইটে আপনার লেখালেখির কাজ শুরু করতে পারেন। এখন যদি কেউ সেই ওয়েবসাইটটি দেখে, লেখাটি পড়ে, জ্যাম হয় তবে গুগল কর্তৃপক্ষ মাস শেষে এই ভিউজের বিনিময়ে টাকা দেয়।


ফ্রিল্যান্সিংঃ

২১ শতকের সময়টা হলো বিশ্ব প্রযুক্তির যুগ। আর এই প্রযুক্তির যুগে ইনকামের(আয়ের) পথ্ব পন্থা গলো
 সুবিস্তীর্ণ। তারমধ্য হতে জনপ্রিয় এক মাধ্যম হলো এই ফ্রিলান্সিং। এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে কেউ কেউ প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এমনকি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারও এই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি যুকব তরুণদের কে উদ্ভুদ্ধ করছেন এবং এই মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে ও দেশকে স্বাবলম্বী করতে যথাযথ উপকরণ সার্ভ করছে। আশা করা যায় এই ফ্রিল্যান্সিংই আগামী ১ দশক পরে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে স্বীকৃত হবে। 

এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের কাজই হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক এবং এতে অনেক গুলো কাজ আছে। এই সকল কাজ জানা থাকলে যে কেউই এই মাধ্যম ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হতে পারে। কাজ গুলো হলো graphic design, web design, website making, web develop, photo editing, video editing, content writing, content creating, data collecting, data entry সহ আরো অনেক কাজ। যার যেই বিষয়ে জানাশোনা আছে সেই সেই কাজ করেই টাকা ইনকাম(আয়) করতে পারে। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে। যেমন ফাইবার ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি। এই একাউন্ট গুলোর মাধ্যমে দেশ বিদেশের বায়াররা তাদের কাজের চাহিদা অনুসারে গ্রাহক খুজে বের করে এবং টাকার বিনিময়ে কাজ করিয়ে নেয়। তাই আপনি যদি এই ফ্রিল্যান্সারদের একজন হতে চান তবে কাজ গুলো শিখে ফেলুন এবং সাথে সাথে একটা একাউন্ট খুলে নিন। নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ইনকামের পথকে সমৃদ্ধ করুন।শুরুতে যদিও এই সাইটে কাজ পেতে এক্কটু বেগ পেতে হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আর বেগ পেতে হবে না। তাই ধৈর্য ধরার বিকল্প নেই।

ইউটিউবঃ

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে টাকা ইনকাম তুলনামূলক অনেক সহজ ও বিশ্বময় এক জনপ্রিয় মাধ্যম। মূলত ইউটিউবে ইনকাম করাটা নিজ সৃজনশীলতার উপর ডিপেন্ড করে। নিজের ভিতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভা দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে নিজের একাউন্টে আপলোড দিতে হয়। এবং যে বা যারা এই ভিডিও দেখবে তার বিনিময়ে ইউটিউব কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে টাকা পে করবে মাসে মাসে। এবং কেউ যদি চায় এই ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করতে তবে চাইলে প্রতি মাসে ১-৫/১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। 

তাই যারা এই ইউটিউবে ইনকাম করতে চায় তাদের প্রথমেই একটা একাউন্ট খুলতে হবে। এবং এই একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটাও অনেক সহজ। এই ইউটিউবে ভিউজার এবং সাবস্ক্রাইবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি এখন তো ইদানীং কিছুদিন আগেই তারআ নিয়ম করেছে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ভিউজ না হলে তারা টাকা পে করবে না। তাই এই সাবস্ক্রাইব ও ভিউজ গেদার করার জন্য ভিডিও গুলোও আকর্ষণীয় করা চাই।যাতে করে ভিউজ আসে এবং সাবস্ক্রাইবার স্থায়ী হয়। 

অনেকে মনে করেন যে মনে হয় ফানি ভিডিও আপলোড দিলেই ভিউজ বেশি হয় তাই এতে তাড়াতাড়ি ইনকাম করা যাবে। কিন্তু এই মেথড ভুল। কারণ এতে সাময়িক ভিউজার পাওয়া গেলেও সাবস্ক্রাইবার পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও স্থায়ী হয় না। তাই ভিউজ গেদার করা ও সাবস্ক্রাইব স্থায়ী করতে অবশ্যই ভালো ও শিক্ষনীয় ভিডিও পোস্ট করা চাই। তবেই আপনি আপনার লক্ষ্যে সফল হবেন। 

ভিডিও দেখে ইনকামঃ

অনেক সাইট রয়েছে যেখানে অনেক ছোটো (৫ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ৩০ সেকেন্ড /এক মিনিট পর্যন্ত) ভিডিও থাকে। কোম্পানি গুলো বিভিন্ন সময় সেইসব ভিডিও গুলো দেখার অফার করে এবং বিনিময়ে টাকা পে করে। তাই এই সব ভিডিও দেখে দেখেও টাকা ইনকাম করা যায়। তাই চাইলে এই মাধ্যমটিও ইউজ করতে পারে। 

তবে এই ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই ক্ষেত্রে অনেকে নিজেদের ভিডিওএর ভিউজ বাড়িয়ে নিয়ে গায়েব হয়ে যায়। টাকা আর পে করে না। তাই চটকদার অফার পেলেই এই কাজে লেগে না গিয়ে যাচাই করা যে তারা সৎ করে কিনা। যদি সৎ হয় তবে এই মাধ্যমটিও ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

অনলাইনে পাঠদান করিয়ে টাকা ইনকামঃ


কে না চায় শিক্ষার্থী পড়িয়ে/টিউশনি/কোচিং করিয়ে টাকা ইনকাম করতে? আমরা প্রায় সবাইই চাই নিজ পড়াশোনার পাশাপাশি পড়িয়ে টাকা আয় করতে। কিন্তু এই একুশ শতকের প্রযুক্তিময় বিশ্বে এই পড়ানো শুধু অফলাইনে সীমাবদ্ধ নাই। বরং এখন এই অনলাইনেও ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এবং তা ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ পর্যন্তও কেউ কেউ ইনকাম করে থাকে। এই পড়ানো হতে পারে একা একা কিংবা বেচেও শিক্ষার্থী পড়িয়ে টাকা আয় করা যায়।এবং এই অনলাইন মাধ্যমে পড়ানো আমাদের দেশেও অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে। তাই যে কেউ চাইলেই এই মাধ্যমটিকে নিজের আয়ের পথ বানাতে পারে। 

৫. অনলাইন ইনকাম কতোটা নিরাপদ| অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২


সম্পূর্ণই নিরাপদ।
একজন বায়ার তার অর্ডার দেয় আর একজন ব্যক্তি তার সেই কাজটা সম্পন্ন করে দেয়। এতে সে তার দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদনা করলে ও সেই কাজ যদি বায়ারের পছন্দসই হয় তবে সেই কাজের বিল সেই বায়ার অবশ্যই পে করে। এতে সরাসরি তারা অনলাইনে কানেক্টেড থাকে এবং গিভ এন্ড টেক সিস্টেমে তারা তাদের সার্ভিস প্রোভাইড করে এবং টাকা উসুল করে নেয়। তাই এতে নিরাপত্তা হীনতায় থাকার সুযোগ নেই।


৬. আয়কৃত টাকা হাতে পাবো কিভাবে|অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২



অফলাইনে আমরা কাজ সম্পাদনা সমাপ্ত হলেই হয়তো টাকা হাতে হাতে পাই নয়তো ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে আমরা টাকা পাই। কিন্তু অনলাইনে আমরা শুধু দুইটি মাধ্যমে টাকা উসুল করতে পারি। ১. ব্যাংকিং লেনদেন যা বড় বড় কোম্পানি বা বাহিরের দেশের মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি গুলোর সাথে করে থাকি। ২. মোবাইল ব্যাংকিং (ডাচ বাংলা, নগদ, বিকাশ)।  এই দুই মাধ্যমেই আমরা এই টাকা হাতে পেতে পারি । 


৭. অনলাইন ইনকামে কোনো রিস্ক আছে কিনা|
অনলাইন ইনকাম করার উপায়-২০২২


অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে শুধু দক্ষতাই গুরুত্বপূর্ণ। কাজে দক্ষ হলে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয় না। তাই বায়ার যেই কাজটি করাতে চাইবে সেই কাজ ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। যে যতো বেশি জানবে সে ততোবেশি কাজের সুযোগ পাবে এবং তার কাজের পরিধিও ততোবেশি প্রসারিত হবে। কাজ জানা থাকলে যে কেউ যে কোনো ভাবে যে কারো কাছ থেকে কাজ নিতে পারে। এবং সেই কাজ সম্পাদন করার মাধ্যমে সে তার প্রাপ্য বিনিময় বায়ারের কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারবে উপরোল্লিখিত মাধ্যম গুলোর সাহায্যে।


৮. অনলাইন ইনকাম কি শুধু দেশের গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ নাকি দেশের বাহিরের কোনো প্রজেক্টেও কাজ করা যায়|অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায়-২০২২



করা যায়।

অনলাইন প্লাটফর্ম এতোই বিস্তৃত যে দেশ ও দেশের বাহিরে সর্বত্রই  কাজ করা যায় ও এর  মাধ্যমে  ইনকাম বা আয়ের পথ উন্মুক্ত করা যায়। একজন ব্যক্তি পৃথিবীর যেই কোনো প্রান্তেই থাকুক সে অন্য দেশ, অঞ্চল কিংবা অন্য কোনো স্থানে থেকেই কাজ করতে পারে এবং তার কাজের বিনিময় লাভ করতে পারে।  যেমন একটি আমেরিকান কোম্পানির কোনো কাজ করানোর প্রয়োজন তখন একজন লোক বা প্রতিষ্ঠান চাই সে বাংলাদেশের হোক ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশের হোক সে বা তারা চাইলে ঐ কাজ তাদের নিজ আবাসস্থলে থেকে সম্পাদন করতে পারে এবং তার প্রাপ্য বিনিময় সেই কোম্পানি থেকে আদায় করে নিতে পারে।


৯.লেখকের মন্তব্য|অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায়-২০২২


 বর্তমান সময়টা তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বব্যবস্থাকে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে গিয়েছে। এখন মানুষ পৃথিবীর যেই কোনো প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তার আওয়াজকে পৌঁছে দিতে পারে। নিজের মত, অভিমত কিংবা পরামর্শ ও সেবা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। যাওয়া লাগে কাছে, থাকা লাগে না পাশে কিংবা দেখা করা লাগে না সামনাসামনি।  দীর্ঘ সময় লাইন আর এপয়েনমেন্ট নিয়ে কাজ জমা।দেওয়ার প্রক্রিয়াও এখন ইতিহাস আর ওল্ড ফ্যাশন।

সেই ধারাবাহিকতায়ই এখন কাজের পরিধিও বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে বিধায় এখন যে কেউই যে কোনো কোম্পানি, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা, আইডিয়া কিংবা দক্ষতা দেখাতে পারে,  তাদের সাথে যোগ দিতে পারে এবং কোম্পানি চাইলে সহজেই তাদের কোম্পানির জন্য যোগ্য,দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোককে তারা সিলেক্ট করতে পারে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। এবং তাকে নিয়োগ দিয়ে নিজেদের কোম্পানির অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

আবার একজন লোক চাইলে কোম্পানির অফিসে না গিয়ে অনলাইনেও সেই কাজ সম্পাদনা করতে পারে এবং নিজের সেবা দিয়ে বেতন গ্রহণ করতে পারে। শুধু তাই না এখনকার সময়ে এই অনলাইন প্লাটফর্ম মানুষকে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ করে দিয়েছে। কোনো জিনিস কিনবে কিংবা বিক্রি করবে তার জন্য তাকে বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই সে কোনো বস্তু ক্রয় কিংবা বিক্রি করে দিতে পারবে।

নিজের ব্যবসা সেবা এবং পদ্ধতিকেও সে এই অনলাইন সিস্টেমে অবিচল রাখতে পারে। অনলাইনে তার পণ্য দেশে বিদেশে বিক্রয় করতে পারবে। এমনকি কেউ চাইলে পড়াশোনা করানো তথা শিক্ষকতা, কোচিং, প্রাইভেট, টিউশনিও এই অনলাইন প্লাটফর্মকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সে তার আয় ইনকামের পথ গুলোকে সাবলীল করতে পারে। তবে এই পথটিতে চলতে অবশ্যই দক্ষতা ও জানা থাকতে হবে।

তাই আজই বৈধ পন্থায় নিজেকে স্বাবলম্বী করতে অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায় গুলোকে ব্যবহার করে নিজেকে স্বাবলম্বী করি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url