প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল? জানুন বিস্তারিত
razia202
18 Jan, 2023
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় এর মধ্যে অন্যতম। সকলেই কমবেশি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল এই সম্পর্কে জানেন এবং আরো জানতে চান। বর্তমানে প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল তার সম্পর্কে জানা যাবে। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আর্টিকেল সূচিপত্র
বিশ্বযুদ্ধ কি?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কবে হয়েছিল?
প্রথমে বিশ্বযুদ্ধ কেন হয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত রাষ্ট্রগুলো সামরিক শক্তি কেমন ছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী ও পরাজিত রাষ্ট্র কোনগুলো?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের কারণ কি ছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের কারণ কি ছিল?
লেখকের মন্তব্য
1. বিশ্বযুদ্ধ কি?
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বা জাতি যখন প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় অথবা সাহায্যের জন্য অগ্রসর হয় তখন তাকে বিশ্বযুদ্ধ বলে। এই পর্যন্ত পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ -১৯৪৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত
এই দুটি বিশ্বযুদ্ধই মানবজাতির সভ্যতা এবং ইতিহাসের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
2. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কবে হয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালে ২৮ জুলাই এটি দীর্ঘ ৪ বছর স্থায়ী হয়েছিল অবশেষে ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে ইউরোপে। ৬ কোটি ইউরোপীয় সহ আরো সাত কোটি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইতিহাসের অন্যতম এই বৃহৎ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এটি ছিল ইতিহাসের এক অন্যতম রক্ত খই সংঘাত এবং এর ফলে বিশ্বের রাজনীতিতে প্রচুর পরিবর্তন ঘটে এবং বিভিন্ন দেশে বিপ্লবের জন্ম হয়
3. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কেন হয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে এই যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে সারায়েভো হত্যাকাণ্ডকে দায়ী করা হয়ে থাকে। বসনিয়ার জাতীয়তাবাদী গ্রুপ ব্ল্যাক হ্যান্ড এক্ষেত্রে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উগ্রপন্থা অবলম্বনে বাধ্য হয়। তারা অস্ট্রো- হাঙ্গেরি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী আর্চ ডিউক ফ্রান্জ ফার্দিনান্দ ও কাউন্টেস সোফিয়াকে হত্যা করে। অস্ট্রো- হাংগেরির রাজ পরিবার অবৈধভাবে দখল করেছিল বসনিয়া ভূখণ্ড। সেখানে বসবাসরত মুসলমানদের অনেককে গণহত্যার স্বীকার হতে হয় হাঙ্গেরীয় হানাদার বাহিনীর হাতে। পাশাপাশি সেখানে বসবাসরত সার্ভ ক্রয়াডরাও রেহাই পায়নি এ নির্মম হতাযজ্ঞ থেকে। দীর্ঘদিনের এই পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯১৪ সালের ২৮ জুন অস্ট্রীয় যুবরাজ হত্যার মধ্য দিয়ে। জীবনের নানা ক্ষেত্রে সবকিছু হারিয়ে তারা বাধ্য হয়েছিলেন সরাসরি ফার্দিনান্দ কে নির্বংশ করে বসনিয়ার উপর থেকে হাঙ্গেরির অশুভ ছায়া দূর করতে। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর অন্তর্নিহিত ক্ষোভ এবং একে অপরের উপর বিজয় প্রাপ্তির নেশাও উল্লেখযোগ্য।
4. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কতটি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৭০ টি রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল। যুদ্ধের একপক্ষে ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্য, অস্ট্রো- হাঙ্গেরি, জার্মানি ও বুলগেরিয়া। যাদের বলা হত কেন্দ্রীয় শক্তি। যুদ্ধের অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, রোমানিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যাদের বলা হত মিত্রশক্তি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর নাম হল অস্ট্রো-হাঙেরি, সার্বিয়া, রাশিয়া, মন্টিনিগ্রো, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, গ্রেট ব্রিটেন তথা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, সাউথ আফ্রিকা, এবং ব্রিটেনের কলোনির রাজ্যসমূহ, ইতালি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, আমেরিকা, কিউবা, পানামা, গ্রীস, লাইবেরিয়া, চীন, ব্রাজিল, গুয়েতেমালা, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, হাইতি, হন্ডুরাস, জার্মানি, তুরস্ক, বুলগেরিয়া ইত্যাদি।
এই সমস্ত দেশগুলো কেউ কেন্দ্রীয় শক্তি, কেউ মিত্রশক্তি, কেউ বিপ্লবী শক্তি হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সংঘাতে লিপ্ত হয়েছিল।
5. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত রাষ্ট্রগুলোর সামরিক শক্তি কেমন ছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, অংশগ্রহণকৃত যুদ্ধবাজ দেশগুলোর উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন। তারা বিভিন্ন স্থানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং নিশ্চিত করার জন্য এই যুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার জন্য তাদের একটি কারণের প্রয়োজন ছিল। এবং এই হত্যাকাণ্ডের পর তাদের একে অপরের সাথে বিবাদে লিপ্ত হতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল গ্রেট ব্রিটেন। তবে তাদের সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তুলনায় নৌ বাহিনী ছিল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। ১৮ টির মতো ড্রিড নট, ১০ টি ব্যাটল ক্রুজার, ২০টি টাউন ক্রুজার, ২৯ টি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ নিয়ে তখনকার দিনে ব্রিটিশ নৌ বাহিনী ছিল অন্যতম সেরা। অন্যদিকে ১৯১৪ সালের বাস্তবতায় জার্মান সেনাবাহিনী ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী তাদের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান ও নৌবাহিনীর ছিল বেশ শক্তিশালী। যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জল, স্থল ও অন্তরীক্ষে সমানতালে আক্রমণ চালায়। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশ ইতালি শুরু থেকেই যুদ্ধবাজ দেশগুলোর শীতল সম্পর্কে থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হতে পারেনি। আবার ১৯১০ সালের দিকে ফরাসি আর্মি এয়ার সার্ভিস গঠন করা হলে তা ইউরোপের ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হয়। যুদ্ধেও তারা তাদেরই আর্মির উপযুক্ত ব্যবহার করেছিল।
6. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী ও পরাজিত রাষ্ট্র কোনগুলো?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী রাষ্ট্র সমূহ হল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইতালি। পরাজয়ী রাষ্ট্র সমূহ হল জার্মানি অস্ট্রো-হাঙ্গেরী ও তুরস্ক।
7. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা ও হত্যাকাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানা ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত। এই চার বছরের যুদ্ধ কেড়ে নেয় প্রায় এক কোটি সাত লাখ মানুষের প্রাণ। বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে হওয়ার যুদ্ধে নিহত সৈন্য সংখ্যা ছিল ৯০ লাখের কাছাকাছি তেমনি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল ৭০ লাখের ওপর যুদ্ধ শুরু হলে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ছেলে দেয়া হয়েছিল নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে এই যুদ্ধে রাশিয়ার ৩৭ লক্ষ, জার্মানির ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০০, অটোমান সাম্রাজ্যের ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার, অস্ত্র হাংগের ১৫ লক্ষ, ফ্রান্সের ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৮০০, বৃটেনের ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৩৩, ইতালির ৬ লক্ষ ৫০ হাজার, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ লক্ষ ২৬ হাজার সৈন্য হতাহত হয় বলে অনুমান করা যায়।
যুদ্ধে আহত জনগোষ্ঠী উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দেখা দেয়। আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। উদাহরণ হিসেবে রাশিয়ার রোমানভ বংশীয় জার, জার্মানির বংশীয় কাইজার, তুরস্কের ওসমানী খিলাফত এবং অস্ট্রিয়ার রাজ বংশের পতন ঘটে। অপরপক্ষে ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স জার্মানির সাথে বহু বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণ করে। এই চুক্তি পরবর্তীকালে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশ্বকে আরেকটি মহাযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়।
8. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের কারণ কি ছিল?
১৯১৪ সালে গোটা ইউরোপ জুড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন ঘোষণা করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে এবং অনেক আমেরিকান নির্বিঘ্নের এই নীতির সমর্থন করেছিল। তবে ১৯১৫ সালে একটি জার্মান ইউ বোট দ্বারা ব্রিটিশ সমুদ্র যাত্রী লুসিটানিয়া ডুবে যাওয়ার পরে নিরপেক্ষতার সম্পর্কে জনমত বদলে যেতে শুরু করে। ১২৮ জন আমেরিকান সহ প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। জিম্মার ম্যান নামক টেলিগ্রামটি জার্মানি ও মেক্সিকোর মধ্যে জোটের হুমকি দেওয়ার খবরের পাশাপাশি উইলসেন কংগ্রেসকে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিতে বলেছিলেন। আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ এপ্রিল ১৯১৭ এ সংঘর্ষে প্রবেশ করেছিল। এই যুদ্ধে আমেরিকা ফ্রান্সকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিল। এই যুদ্ধের ফলে আমেরিকায় বিপ্লব ঘটেছিল যা ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়েছিল।
9. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের কারণ কি ছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি একটি কেন্দ্রীয় শক্তি হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল। তারা অস্ট্রো-হাঙ্গেরি মিত্র বাহিনী সার্বিয়ার সাথে যুক্ত ঘোষণা করার পর পরই সংঘাত শুরু হয়। জার্মান সৈন্যরা মিত্রবাহিনীর সাথে পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্তে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯১৪ সালে অল্প কিছু সময় যখন পূর্ব প্রুশিয়া আক্রমণ হয়, সে সময় ছাড়া যুদ্ধের সমস্ত সময়ে জুড়ে ব্যাপক আক্রমণ থেকে জার্মান রাজ্যগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদেই ছিল। তবে রয়েল নৌবাহিনীর আরোপিত একটি পাকাপোক্ত অবরোধের কারণে শহরগুলোতে খাবারের সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে ১৯১৬-১৭ এর শীতে যেটি টুর্নীপের শীত নামে পরিচিত ছিল। যুদ্ধের শেষে জার্মানির পরাজয়ের চরম অসন্তোষ ১৯১৮-১৯ সালের জার্মান বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায়। আবার জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। যুদ্ধ চলাকালীন সময় অপুষ্টি, ক্লান্তি, রোগ ও হতাশায় উচ্চহারে মৃত্যু ঘটতে থাকে জার্মানিতে। যুদ্ধে আমেরিকার যোগদান একটি অন্যতম কারণ ছিল। এই সকল কারণে জার্মানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়।
১০. লেখকের মন্তব্য
যুদ্ধ সর্বদাই ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সাথে সামরিক শক্তির সংঘর্ষ তৈরি করেছে। এর ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলো প্রত্যেকেরই প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো প্রত্যেকেই জয়ী হওয়ার আশা রেখেছিল। তবে কিছু সংখ্যক দেশ জয়ী হতে পেরেছিল আবার কিছু সংখ্যক দেশ পরাজিত হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দেশ তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিল। এই যুদ্ধের ফলে কিছু দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল এবং প্রায় চারটি সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই থেকে বোঝা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দুই ধরনের দিক রয়েছে।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url