জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত | What should be the Aim of Life!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত এই ওয়েবসাইটে আজকে আমরা আপনাদের জানাবো জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত? প্রত্যেক মানুষের জীবনের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ একজন ভালো মানুষ হওয়া এবং নিজের জীবনের প্রকৃত উদেশ্য খুঁজে বের করা,নিজেকে জানা এরপর সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়া। আজকাল অনেকেই পরীক্ষায় ভালো নাম্বার তোলা বা অনেক পয়সা কামানো কে জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য মনে করে। কিন্তু নাম্বার ও পেলে এবং টাকা কামালে ও কেনো না আমরা খুশি থাকা কে মূল লক্ষ্য বানিয়ে খুশির সাথে নিজের স্বপ্ন করি। জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন।
নিজের লক্ষ্য ঠিক করার আগে নিজের পছন্দের জিনিস বের করুন! যেটা আপনাকে ভালো লাগবে সেটার উপরই নিজের চেষ্টা চালিয়ে যান! আপনিও একদিন সফল হবেন ইনশাআল্লাহ!
অনুচ্ছেদ সূচী (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- জীবনের সংজ্ঞা কী?
- কীভাবে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো?
- মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্য কি হওয়া উচিত?
- জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে উক্তি।
- জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার সঠিক সময়
- আমি কীভাবে জীবনের লক্ষ্যে পৌছাতে পারি?
- একজন মানুষের মধ্যে কি কি ভালো গুণাবলী থাকবে?
- মানুষের জীবনের প্রধান কর্তব্য কী হওয়া উচিত?
১. জীবনের সংজ্ঞা কী?জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত!
জীবন মানেই হলো যুদ্ধ করে বেচে থাঁকা।আপনাকে যুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকতে হবে।এই লড়াইয়ের মাঝেই নিজের জীবনের আনন্দ, সুখ খুঁজে নিতে হবে।যেদিন পুরোপুরি যাবে নিজের জীবন কে উপলব্ধি করতে পারবেন এবং সেইভাবে জীবনকে সাজাতে পারবেন সেদিন ই জীবনের প্রকৃত সংজ্ঞা নিজেই খুজে বের করা সম্ভব।
২.কীভাবে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো?জীবনের লক্ষ্য লক্ষ্য কি হওয়া উচিত!
- আপনার লক্ষ্য গুলো কি যথেষ্ট স্মার্ট কিনা?
- আপনার লক্ষ্যের সুনির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা?
- আপনার লক্ষ্য কি বাস্তবসম্মত কিনা?
- লক্ষ্যটি কি আপনার জীবনের ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক?
- প্রতিটি মানুষের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়া।
- নিজেকে জানা।
- নিজের আশেপাশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করা।
- নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে সমাযে প্রতিষ্ঠিত করা
- কোন কিছুকে ছোট করে না দেখা এবং সকলকে সম্মান করা।
জীবন হলো এমন একটি বর্ণময় যাত্রা যা একদিকে যেমন আনন্দ, হাসি, খুশি ও সুন্দর-সুন্দর মুহূর্তের সাথে ভরপুর থাকে তেমন অন্য দিকে জীবনে আমাদেরকে অনেক সময়ই বন্ধুর রাস্তার সম্মুখীন হতে হয়। তবে যাই হোক এই দুটি পরিস্থিতিই আমাদেরকে জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে যায় যা জীবনকে দেখার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করে। জীবনের এই দুটি পরিস্থিতি ছাড়াও সফল ও জ্ঞানী ব্যাক্তিদের উক্তি ও বাণী গুলিও আমাদেরকে জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে থাকে। নিচে কিছু বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি দেওয়া হলোঃ
- “লক্ষ্যের সম্ভাবনা অসীম। ঘটার আগে মানুষের ধারণাও থাকে না একটি লক্ষ্যের ওপর বিশ্বাস তাকে কতটা অনুপ্রাণিত, সাহসী আর সফল করতে পারে”
– জিম রন (সফল উদ্যোক্তা, মোটিভেটর, ও লেখক)
– লেস ব্রাউন (লেখক ও মোটিভেটর)
– সেথ গোল্ডিন (সফল উদ্যোক্তা, লেখক ও মোটিভেটর)
– ম্যানি হ্যাল (বিখ্যাত লেখিকা)
আমি মনে করি এর কোনো নির্দিষ্ট সময় হয় না, তাই এর 'সঠিক' সময় বলেও কিছু হয় না |
আমাদের একেকজনের ক্ষেত্রে এক-একরকম সময় লাগতে পারে এটা করতে | যারা ভাগ্যবান তারা শৈশবেই নির্ধারণ করে ফেলতে পারে | কিন্তু অধিকাংশের ক্ষেত্রেই চিত্রটা এমন নয় | বরং বয়স বাড়ার সাথে-সাথে অভিজ্ঞতা বাড়লে মানুষের যে লক্ষ্যও পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক | সুতরাং যে কোনো বয়সে গিয়েই মানুষকে নিজের লক্ষ্য নতুনভাবে নির্ধারণ করতে হতে পারে |
কোন সময়টা 'সঠিক' আর কোনটা 'বেঠিক' এটা পুরোপুরিই আমাদের মন ও মানসিকতার ব্যাপার | কেউ যতক্ষণ মনে করবে তাঁর নিজের জীবনকে সে আবার নতুন করে সাজাতে পারে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর কাছে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় 'সঠিক' |একজন ছাত্র বা ছাত্রী পড়াশুনা তে কত ভাল ,তার কোন বিষয়ে আগ্রহ বেশী এগুলিকে বুঝতে পারলে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে।চোখ বন্ধ করুন। নিজের ভিতরে দৃষ্টি দিন। মন যেটা করতে আনন্দ পায়, যা আপনাকে কর্মমুখী ও পরিশ্রমী হতে উৎসাহী করে সেই মোতাবেক জীবনের গোল নির্ধারণ করুন।লক্ষ্যটি হতে হবে বাস্তবতার চেয়ে বড়। Think Big, Be Big. ছোট করে স্বপ্ন দেখাটাও অপরাধ। আপনার চিন্তা, পরিকল্পনা থেকেই আপনার বাস্তবতার শুরু। বিশ্বাস যদি হয় ইস্পাত কঠিন, সফলতা আসবেই।জীবনের উত্থান পতন বুঝতে সফল লোকেদের জীবনী পড়ুন। মনে রাখবেন, সাধারণ লোক নিজেরা জীবনে চলার পথে ঘা খেতে খেতে শিখে, সফল লোকেরা অন্যদের জীবন থেকে শিখে, তাদের ভুলগুলো থেকে শিখে। নিজেরা সেগুলো এড়িয়ে চলে, তাই তাদের ভুল কম হয়।
লক্ষ্য অর্জনের সবথেকে এফেক্টিভ উপায় হচ্ছে লক্ষ্য অর্জনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে দেয়া, আপনি যদি মনে করেন একদম একশভাগ পারফেক্ট হয়ে,সবকিছু গুছিয়ে কাজ শুরু করবেন সম্ভবত কাজটা কখনোই শুরু করা হবে না। কারণ একশভাগ গুছিয়ে কাজ করাটা প্রায় অসম্ভব বরং আপনি কাজ শুরু করে আস্তে আস্তে গুছিয়ে নিতে পারবেন। সুতরাং লক্ষ্য অর্জনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব হয় কাজ শুরু করে দিন। কোনভাবেই আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। কোনভাবেই এক্সকিউজ দেয়া যাবে না সামনের মাস থেকে শুরু করব, যদি সত্যিই বড় কোনো কারণ অথবা সমস্যা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার দ্রুত শুরু করা উচিত।সপ্নগুলো থেকে নির্দিষ্ট করে কোন কিছুকে পাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন– সেটা হবেই লক্ষ্য। আপনি যখন লক্ষ্য ঠিক করবেন তখন লক্ষ্যই আপনাকে গন্তব্যে পৌছানোর জন্য উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।
লক্ষ্যে পৌছানেরা প্রথম শর্ত হলো বিশ্বাস। লক্ষ্যে পৌছাতে আমি পারব – এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। যদি বিশ্বাস করেন ”আমি সফল হব”, অবশ্যই আপনি সফল হবেন আর আপনার ব্যবহারে তা প্রকাশ পাবে। আপনি নিজেই নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখতে পাবেন।
ব্যর্থতা হল এমন একটি বার্তা যে আপনাকে আবারও চেষ্টা করতে হবে, তবে একটু ভিন্ন উপায়ে। ব্যর্থতা জীবন প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। কোন কাজে ব্যর্থ হলে আপনার জীবন শেষ- এ কথা সঠিক নয়।এমন একটি কাজ বা লক্ষ্য খুজে বের করুন যা করতে আপনি পছন্দ করেন। কোন জিনিষটা করতে সবচয়ে বেশি ¯সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তা সঠিক ভাবে বুঝে জীবনের লক্ষ্য স্থির করার খুবই জরুরী।অনেকেই খুব অল্পতে হতাশ হয়ে পরে বা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। ধৈর্য্য না থাকলে দীর্ঘ মেয়াদী কোন কাজ করা সম্ভব না। জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পথে আপনার অনেক বাধা বিপত্তি আসবে । এই বাধা বিপত্তি বা ধাক্কা জীবনের একটি শিক্ষা। আর এই ধাক্কা অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌছানোর দিকে এগিয়ে আসলে আপনার আতবিশ্বাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। প্রত্যেক সফল মানুষের জীবনের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যর্থতা। কিন্তু তাদের সফলতার রহস্য হলো প্রবল ধৈর্য্য আর ইচ্ছা শক্তি।
এভাবেই ধীরে ধীরে নিজের লক্ষ্যে পৌছাতে হবে তাহলেই জীবনে সফল হওয়া সম্ভব।
৭.একজন মানুষের মধ্যে কি কি ভালো গুণাবলী থাকবে?জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত!
ভাল/খারাপ বলে আসলেই কিছু নেই।একটা মানুষকে আপনার কাছে খারাপ মনে হতে পারে কিন্তু আবার অন্য জন এর কাছে সে ফেরেশতা।
আমরা আমাদের পয়েন্ট অফ ভিউ দিয়ে অন্যদের জাজ করি।কারো নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ তে নিজে কিন্তু আবার খারাপ নাহ।খারাপ/ভাল হচ্ছে একটা পয়সার এপিট/ওপিট মাত্র।
সব কিছুর ই ভাল দিক আছে,আবার খারাপ দিক আছে।আমরা কোনটা দেখব সেটা আমাদের উপর।প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই সতঃ, রজঃ এবং তম তিনটি গুণ থাকে। তবেই গুণের কমবেশি মাত্রা স্বভাবসিদ্ধভাবে মানুষের ভেতর বর্তমান থাকে। মানুষ যখন শত অবস্থায় থাকে তখন তার মতন ভালো মানুষ কেউ নেই। সে একেবারে সাত্বিক, সাদামাটা গোবেচারা মানুষ। এরকম মানুষ কেমন হয় তা আপনি দেখতে চাইলে মন্দির কিংবা মসজিদে পুজো বা নামাজের পরে যারা চুপচাপ শান্ত অবস্থায় আছে তাদের দিকে নজর রাখতে পারেন।একজন ভালো মানুষ সহজেই অন্যদের সঙ্গে মিশতে পারে। সে সবার প্রতি দয়াশীল এবং ভদ্র স্বভাবের হয়। অন্যরা তাকে নিয়ে কী ভাবছে সেই বিষয়ে সে সতর্ক। সে নিজের আবেগ অনুভূতিকে সবার কাছে প্রকাশ না করে লুকিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে। সে নিজেকে কেয়ার করে, পছন্দ করে, ভালোবাসে। সে কারণে সে তার পরিবার এবং দেশকেও ভালোবাসে। বিশেষ করে দেশটির সর্বাঙ্গ যখন সংকটময় ঠিক তখনই সে এগিয়ে আসতে চায়। এটা হওয়া উচিত তাই খুবই স্বাভাবিক সে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে।
‘ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়’। কথাটি কথার কথা নয়। ভালো মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সবার প্রথমে যে বিষয়টি থাকতে হবে সেটি হলো ইচ্ছাশক্তি। যত খারাপ পরিবেশেই আপনি বসবাস করেন না কেন আপনি একজন ভালো মানুষ হয়েই বেঁচে থাকবেন এমন ধরনের ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। ইচ্ছা থাকলেই আপনি পারবেন একজন ভালো মানুষ হতে।
ভালো মানুষ হয়ে টিকে থাকতে অনেক ধরনের পরীক্ষা চালাতে হবে। যেমন ধরুন গরীবদের সাহায্য করা, ভালো কাজ করা ইত্যাদি। আপনি ভালো থাকবেন তখনই যখন আপনি পাশের মানুষটিকে ভালো পথের নির্দেশনা দিবেন। এভাবে নানা ধরনের পরীক্ষা চালিয়ে নিজেকে ভালো রাখুন।
আপনি ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করবেন বা আপনার পাশের মানুষটি নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করছেন এই বিষয়টিকে সহজভাবে নিন। কোনোভাবেই এটিকে বাড়াবাড়ি বা দেখানো মনে করবেন না। এসব নেতিবাচক ধারণা মনে রাখলে আপনি কোনোদিনও ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন না।
যেকোনো বিষয়েই ধন্যবাদ বলার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ এমন একটি শব্দ যা আপনাকে অন্যের কাছে ভালো এবং সৎ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। এ কারণে ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকে বড় বিষয়গুলোতেও ধন্যবাদ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শারীরিক কসরত একজন মানুষকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় আপনি থাকতে পারেন যেমন ধরুন সমাজের কোনো খারাপ কাজে আপনি মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেন। এমতাবস্থায় যদি শারীরিক কসরতগুলো করতে থাকেন আপনি মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকবেন। কোনো ধরনের সমস্যা আপনার হবে না।
৮.একজন মানুষের জীবনের প্রধান কর্তব্য কী হওয়া উচিত?জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত!
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেরই একটি লক্ষ্য থাকে। সেটা যে কোনো কিছু হতে পারে। হতে পারে ডাক্তার, এমনকি কারও বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী হওয়াও লক্ষ্য হতে পারে।
তবে আমাদের সবসময় একটি ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে-আমাদের ভেতর যেন আত্মবিশ্বাসটা থাকে এবং কেউ যদি আমাদের কাউকে জিজ্ঞেস করে-তোমার জীবনের লক্ষ্য কী, তখন যেন তাকে খুশি করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে কোনো উত্তর না দেই।কিছু মানুষ আমাদের পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে; কিন্তু তাতে কখনোই আশা ছাড়লে চলবে না। কিছু মানুষ সবসময় তাদের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার অথবা প্রকৌশলী হতে প্রভাবিত করে অথবা যেসব চাকরিতে বেতন বেশি সেসব চাকরিজীবী হতে বলে। আমাদের জীবনের লক্ষ্য উচ্চ বেতনের চাকরি হতে পারে, তবে তা যেন সমাজ উন্নয়নে সহায়ক হয়। হ্যাঁ, চিকিৎসক অবশ্যই একটি সম্মানজনক পেশা। কিন্তু মানুষ শুধু চিকিৎসকদের উচ্চ আয়ের দিকেই নজর দিয়ে থাকে। আমাদের উচিত চিকিৎসকের দক্ষতা, রোগ সারানোর ক্ষমতা, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা ইত্যাদির দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
আমরা যে কাজই করি না কেন, তাতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। কারণ যতক্ষণ এটি সমাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে, ততক্ষণ এটি ভালো কাজ। হ্যাঁ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে চাওয়া হয়তো সবচেয়ে ভালো লক্ষ্য নয়, তবে এটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট লক্ষ্যও নয়। যখন ৫ থেকে ৮ বছর বয়সি শিশুদের কেউ জিজ্ঞেস করে, তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও, তখন সবাই একটি অভিন্ন উত্তর দেয়-‘ডাক্তার হতে চাই’। পরে তারা আবিষ্কার করে আসলে তারা কী হতে চায়। এবং এটাই স্বাভাবিক।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url