গ্রেফতার রিংআইডির পরিচালক!

 ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয় রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলাম। রিং আইডি তে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন এমন একজন  ভাটারা থানায় অভিযোগ করলে, এ মামলাটি সিআইডির  সিডিউল ভুক্ত হওয়ায়  তদন্ত শুরু করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। এবং সত্যতা পেয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।



রিং আইডি একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত হলেও এর মূল আকর্ষণ এর বিষয় হলো টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করা। এটা সোসাল নেটওয়ার্ক হলেও অধিকাংশ মানুষ এটাকে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার না করে টাকা ইনকামের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বিশেষ করে গ্রামের যুবক এবং বেকার ছেলেদের আকর্ষণের শীর্ষে ছিল রিং আইডি। তারা পরিশ্রম ছাড়াই টাকা ইনকামের বিভিন্ন পথের অনুসন্ধান করে, পরিশ্রম ছাড়া যে উপার্জন করা সম্ভব নয় সেটা হয়তো তারা বারবার প্রতারিত হয়েও বুঝবে না। যেখানে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখায় সেখানেই যে বড় ধরনের গলদ আছে এটা হয়তো তারা বুঝেও বুঝেনা।

রিং আইডি একটি বড় সমস্যা এবং অভিযোগ হল পঞ্জি স্কিম এর সম্ভাবনা। পঞ্জি স্কিম হলো এমন একটি মাধ্যম যেখানে নতুন সদস্যদের থেকে টাকা নিয়ে পুরনো সদস্যকে প্রদান করা হয়। চার্লস পঞ্জি নামের এক ব্যক্তির নাম অনুসারে এটার নামকরণ করা হয়। ঠিক একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের আবির্ভাব হয়েছে। এবং কালের গর্ভে সেগুলো হারিয়ে গেছে। 

বিভিন্ন চটকদারি নামে নতুন করে বিভিন্ন সময় এই সকল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এ গড়ে ওঠে এবং টাকা আত্মসাৎ করে রাতারাতি এ সংগঠনগুলো বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে চলে যায়।

কানাডার মন্ট্রিয়েল সিটিতে অবস্থিত রিং কর্পোরেশন এর দ্বারা পরিচালিত একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হল রিং আইডি। কানাডা থেকে যেহেতু রিং আইডি পরিচালিত হয়, তাই যে কোন সময় হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এর মালিকরা কানাডায়  স্থানান্তরিত হলে হাজার হাজার যুবকেরা হাই হুতাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।

২০১৬ সালে একবার খেলাপি হওয়ার জন্য রিং আইডির প্রতিষ্ঠাতা গ্রেফতার হয়। এরপরও আবার নতুন করে এই সংঘ বদ্ধ কার্যক্রম শুরু করে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url