OrdinaryITPostAd

মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক!

সকালে  ঘুম থেকে উঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত,ব্যস্ততা থেকে শুরু করে বিশ্রামের সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। কিন্তু মোবাইল ফোন এর এই দীর্ঘক্ষণিক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটা বৃদ্ধি করছে তা কি ভেবে দেখেছেন? সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে থাকা মানব দেহে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 



সূচি

  • মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিকসমূহ 
  • রাতে মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমান?
  • মাথার পাশে  মোবাইল ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন অন রেখে ঘুমালে যেসব সমস্যা হতে পারে! 
  • করণীয়

মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিকসমূহ 

একাধিক গবেষণার প্রতিবেদন অনুসারে, যেসব ব্যক্তিরা সার্বক্ষণিক ফোনের সংস্পর্শে থাকে বা রাতে ঘুমানোর সময়ও মোবাইল ফোন মাথার কাছে অথবা শরীরের কাছাকাছি নিয়ে ঘুমায়,তাদের এই বদঅভ্যাস তাদের জন্য প্রাণঘাতী ও হতে পারে । 

চীন ও আমেরিকার দুইটি গবেষণায় এসেছে, যারা সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোন এর সংস্পর্শে থাকে, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি।এর মূল কারণ হচ্ছে রেডিয়েশন।

বর্তমান বেশীরভাগ মোবাইল ফোন তৈরিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়।এই ব্যাটারী থেকে রেডিয়েশনের সময় প্রায় ১০০ টি গ্যাস নিঃসরিত হয় যার মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের মতো মরণঘাতী ও বিষাক্ত গ্যাস।যা অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।

তবে সাধারণত মোবাইল ফোন এর ব্যাটারী থেকে নিঃসরিত গ্যাসের মাত্রা কম হওয়ায় তা প্রাণঘাতী মাত্রার নয়।তবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন ক্যান্সার ও নানারকম মস্তিষ্কের রোগের  সম্ভাবনা বাড়ায়।তাছাড়া, রাতে ঘুমানোর সময় যারা মোবাইল ফোন মাথার কাছে নিয়ে ঘুমায়,মোবাইল ফোন এর জন্য  তাদের শরীরে যেসব সাময়িক ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয় তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে চোখ, নাক ও গলা জ্বলার মতো সমস্যা। 



রাতে মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমান? 

আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস আছে যারা রাতে মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমায়।এতে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকগুন বৃদ্ধি পায়।মোবাইল ফোন চার্জিং এর সময় ব্যাটারীর মধ্যে অনেক রকম রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়া ঘটতে থাকে।এতে ব্যাটারী গরম হয়ে যায়।এই সময় মোবাইল ফোন বা ব্যাটারী থেকে নানারকম গ্যাস নিঃসৃত হতে থাকে।যা মাথার নিকট ঘটলে মস্তিষ্কের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলে।এতে ব্রেইন এর স্বাভাবিক কার্যক্রমের ওপর প্রভাব পড়ে। 

চার্জিং এর সময় অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার ফলে মোবাইল ফোন বিস্ফোরনের মতো দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর সময় মাথার পাশে মোবাইল ফোন চার্জিং না করায় উত্তম।



মাথার পাশে  মোবাইল ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন অন রেখে ঘুমালে যেসব সমস্যা হতে পারে! 

আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারে বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি।রাতে অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন অফ করতে ভুলে যায়।এমন অবস্থায় মোবাইল ফোন মাথার পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।এই অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়।

মোবাইল ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন অন রাখার ফলে- 

  • মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমার সম্ভাবনা থাকে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
  • শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।
  • গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
  • স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কে নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। 
যার কারণে স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব পড়ে। তাই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন এর ডাটা বা ওয়াইফাই কানেকশন অন রাখা উচিৎ নয়।


করণীয়

  • ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন বালিশের বা মাথার কাছে না রেখে একটু দূরে রাখা।এতে ফোনের রেডিয়শনের প্রভাব ঘুমের ওপরে পড়বে না।
  • গবেষকদের মতে, মোবাইল ফোন এর চার্জিংএর সময় রুমের একটা জানালা খুলে রাখা।
  • মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জ করতে না দেওয়া।এতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে যাবে।
  • মোবাইল ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন চেক করে মোবাইল ফোন রেখে দেওয়া।
  • মোবাইল ফোন এর চার্জ অনেক কম থাকলে ব্যবহার না করা,কারণ এ সময় রেডিয়েশন বেশি হয়।
  • মোবাইল ফোন এর পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url