OrdinaryITPostAd

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয়

ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা মশকীর মাধ্যমে মানবদেহে বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত  Dengue এর মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। বছরের এ সময় আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রচুর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চাপ লক্ষ্য করা যায়। তবে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য সার্বিক সচেতনতাই হতে পারে মূলমন্ত্র। 


সংবাদ সূচী :

ডেঙ্গু রোগের কারণ

ডেঙ্গু রোগের ধরন

কীভাবে ছড়ায় ডেঙ্গু জীবাণু? 

Dengue ভাইরাস এর সুপ্তিকালীন সময়

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ 

ডেঙ্গু হলে করণীয়

ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন স্তর

কখন যাবেন হাসপাতালে?

Dengue রোগে রক্তদানের যৌক্তিকতা

ডেঙ্গু এর সাথে হতে পারে করোনাও!

করতে হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ


Dengue রোগের কারণ

Aedes aegyptii  নামক মশকীর দ্বারা মানবদেহে Dengue অর্থাৎ ডেঙ্গু এর সংক্রমণ ঘটে। ডেঙ্গু মূলত একটি ভাইরাস সংক্রমণ যা  Dengue virus নামে পরিচিত। Aedes aegyptii মশকী  Dengue virus এর বাহক হিসেবে কাজ করে। Aedes aegyptii মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে ও ক্রমাগত বিস্তার লাভ করে। ফলে একজন সুস্থ ব্যক্তি Dengue রোগে আক্রান্ত হতে পারে। Aedes aegyptii এর শরীরের সাদা ডোরাকাটা দাগ দেখে এদের শনাক্ত করা যায়।

ডেঙ্গু রোগের ধরন

ডেঙ্গু রোগ ভাইরাসজনিত হলেও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হলো -

i. Type 1 dengue virus

ii.Type 2 dengue virus

iii.Type 3 dengue virus

iv.Type 4 dengue virus

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত  একজন ব্যক্তি যেকোন ধরন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। একেক ধরনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ফলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ভিন্নতার দরুন এর চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তবে বর্তমান সময়ের ডেঙ্গু রোগীদের টাইপ ৩ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের হার বেশি বলে গবেষণায় জানা যায়। কোন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় একাধিক বার Dengue বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন সিরোটাইপের সংক্রমণ ঘটলে তা দেহের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

কীভাবে ছড়ায় ডেঙ্গু জীবাণু? 

সাধারণত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু  জীবাণু একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে। মজার ব্যাপার হল, একজন Dengue রোগীকে কোন এডিস মশা কামড়ালে মশাটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তবে ডেঙ্গু জীবাণু, মশার দেহে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। ঐ আক্রান্ত মশা মানুষকে কামড়ানোর মাধ্যমে মানবদেহে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটায়। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার মাধ্যমে শিশুও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।  এছাড়া ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্ত বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এরূপ প্রতিস্থাপন চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনুমোদিত না হওয়ায় Dengue বা ডেঙ্গু এর সংক্রমণের আশংকা নেই বললেই চলে।

ডেঙ্গু ভাইরাস এর সুপ্তিকালীন সময়

সাধারণত Aedes aegyptii মশা কামড়ানোর ৩-১৪ দিনের মধ্যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই  Dengue আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই সুপ্তিকালীন সময়ে ব্যক্তির দেহে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় না। তাই ডেঙ্গু মৌসুমে সকলকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। Aedes aegyptii এর মূলত বিকেলে সংক্রমণ হার বেশি। তাই  দিনের বেলায় মশারী ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ২-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হতে শুরু করে।

Dengue রোগের লক্ষণ 

ডেঙ্গু রোগের কোন কোন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখলে আপনি বুঝবেন যে আপনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। এমন কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো। আপনি যদি এই লক্ষণ গুলো নিজের মধ্যে বা পরিবারের কারো মধ্যে প্রত্যক্ষ করেন তাহলে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে দেরী করবেন না।  

  • ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক ও সাধারণ একটি লক্ষণ হলো শরীরে তীব্র জ্বরের উপস্থিতি। Dengue বা ডেঙ্গু রোগীর গায়ে সর্বোচ্চ ১০৫° ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এ লক্ষণটি প্রায় প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীর লক্ষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। 
  • ডেঙ্গু জ্বরের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্মণ হল এসময় ঠাণ্ডা বা সর্দি থাকে না। শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লালচে বর্ণ দেখা যায়। 
  • এছাড়া Dengue বা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হিসেবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ও সন্ধিস্থলে ব্যথা হতে পারে।
  • ডেঙ্গু রোগের আরো অন্যতম লক্ষণ হলো মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা।
  • ডেঙ্গু রোগে শরীরে  র‍্যাশ বা লালচে ফুসকুড়ি এবং রক্তজমাট বাঁধার এই লক্ষন গুলো ও  সৃষ্টি হতে পারে।
  • তবে  Dengue বা ডেঙ্গু এর সংক্রমণের কিছু কিছু ক্ষেত্রে র‍্যাশ ওঠার লক্ষণ না ও  দেখা যেতে পারে।
  • ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হিসেবে তীব্র পেটে ব্যাথাও হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ ও রুচি কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যেতে পারে ডেঙ্গু রোগে।
  • ডেঙ্গু রোগে সাধারণ ৪/৫ দিন পর জ্বর স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। কিন্তু বাই ফেজিক ফিভারে ২/৩ দিন পর আবার জ্বর আসার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • ডেঙ্গু রোগের হেমোরেজিক জ্বরের লক্ষণ সবচেয়ে জটিল অবস্থা তৈরী করে। এ সময় ক্ল্যাসিক জ্বরের পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায়।যেমন- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়ার লক্ষণ প্রত্যক্ষ করা যায়। এ অবস্থায় চোয়াল, ত্বকের নীচে,  পায়খানা, কফের সাথে রক্ত দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অসময়ে মাসিক হয় এবং মাসিকের রক্তক্ষরণ শুরু হলে দ্রুত কমে না।


Dengue হলে করণীয়

Dengue বা ডেঙ্গু রোগের অন্যতম জটিলতা হিসেবে রয়েছে শরীরের অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে যাওয়া। তবে প্লাটিলেট কাউন্ট ব্যতীত খালি চোখে তা বোঝা সম্ভব নয়। শারীরিকভাবে জ্বর, শরীর ব্যথার মত সাধারণ লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।  

Dengue বা ডেঙ্গু রোগের প্রকোপকালীন মৌসুমে কোন ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সাধারণ ও প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। তবে Dengue বা ডেঙ্গু রোগীকে অবশ্যই তরল খাবার, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, বিভিন্ন ফলমূলসহ সহজে হজম হয় এমন খাবার দিতে হবে। Dengue বা ডেঙ্গু রোগীর কক্ষে সার্বক্ষণিক মশারীর ব্যবহার  নিশ্চিত করতে হবে যেন রোগী মশা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পরজীবীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে পারে। 

অধিক জ্বর হলে সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। Dengue বা ডেঙ্গু জ্বর একেবারে নেমে না গিয়ে থেমে থেমে বেশ কয়েকবার আসতে পারে। তাই জ্বর ঔষধ সেবনে নিয়ন্ত্রণে রাখাই শ্রেয়। প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য কোন ঔষধ নানাবিধ শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই Dengue বা ডেঙ্গু রোগে অন্য কোন ঔষধ সেবন না করাই উত্তম।

বেশিরভাগ Dengue বা ডেঙ্গু রোগী নিজ গৃহে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে রক্ত জমাট, মলের সাথে রক্ত যাওয়া অথবা বেশ কিছুদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

Dengue রোগের বিভিন্ন স্তর

Dengue বা ডেঙ্গু রোগের সুপ্তিকাল, রোগ লক্ষ্মণ প্রকাশ ও সর্বোপরি সুস্থতা অর্জন পর্যন্ত একজন ব্যক্তিকে রোগের বিভিন্ন স্তর পার করে যেতে হয়। এসব স্তরে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উন্নতি অথবা ক্রমাগত অবনতিও ঘটতে পারে। সুতরাং এটি রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। 

১. Classical Fever Stage

সাধারণত Dengue রোগের সংক্রমণের শুরুই হয় classical dengue fever বা ডেঙ্গু জ্বরের মাধ্যমে। এসময় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। এছাড়া শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে দূর্বলতা ও শরীরে লালচে দাগ দেখা দেয়। তবে Dengue বা ডেঙ্গু রোগের এই স্তর ততটা গুরুতর নয়। বেশিরভাগ Dengue বা ডেঙ্গু রোগী এসময়ের পরই ক্রমশ সুস্থ হতে শুরু করে।  

২. Haemorrhagic Stage

জ্বরের সঙ্গে যদি প্লটিলেট কাউন্ট এক লাখের কম হয় এবং হিমাটক্রিট ২০% ভ্যারিয়েশন হয় সেটা ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার। Dengue  বা ডেঙ্গু জ্বরের এ পর্যায়ে চোখের সাদা অংশ লালচে বর্ণ ধারণ করে। অধিক সংক্রমণের ফলে চোখের নিচে রক্ত জমাট অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পর্যায়ে শরীরের অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট এর কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং অনুচক্রিকার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমতে শুরু করে। এটি Dengue বা ডেঙ্গু রোগীর জন্য তুলনামূলক গুরুতর একটি পর্যায়।

৩. Dengue Shock Syndrome 

Dengue বা ডেঙ্গু রোগের পর্যায়গুলোর মধ্যে dengue shock syndrome সবচেয়ে মারাত্মক। এই পর্যায়ে দেহে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় ও প্লাটিলেট অনেক কমে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা হ্রাস, কিডনী বিকলসহ নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে Dengue বা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। Dengue বা ডেঙ্গু রোগে সাধারণত মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম। তবে Dengue বা ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু shock syndrome এর কারণেই সবচেয়ে বেশি হয় বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

কখন যাবেন হাসপাতালে?

Dengue রোগের প্রাথমিক স্তরে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হয় না। এমনকি প্লাটিলেট কমতে থাকলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলে অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ও অন্যান্য জটিলতা দেখা না গেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। 

সাধারণত প্লাটিলেট কাউন্ট ২০ হাজার এর নিচে নেমে আসলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি থাকে বলে ধরা হয়। তবে ৫০ হাজারের নিচে নেমে গেলে হাসপাতালে গমন করে রোগীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাই উত্তম। আবার,শারীরিক জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করলে রোগীকে অবশ্যই  হাসপাতালে রুটিন চেক আপের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এতে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার গতি বেগবান হবে।

Dengue রোগে রক্তদানের যৌক্তিকতা

Dengue রোগে অনেকেই রোগীকে রক্তদানের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটি ঠিক নয়। রোগীর শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় Dengue রোগীকে রক্ত অথবা প্লাটিলেট সরবরাহ করতে হয়। সাধারণত প্লাটিলেট কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নেমে গেলে বাইরে রক্ত দেবার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া Dengue রোগী অত্যধিক পানিশূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে স্যালাইন দেয়ার প্রয়োজন হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার পর বিশেষ প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আগে একই রক্তের গ্রুপের রক্তদাতার সন্ধান করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ডেঙ্গু এর সাথে হতে পারে করোনাও!

বর্তমান সময়ের একটি বৈশ্বিক আতঙ্কের নাম করোনা সংক্রমণ। ডেঙ্গু ও করোনার লক্ষ্মণে যথেষ্ট মিল থাকায় এ সমস্যা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। এমনকি একজন ব্যক্তি একই সাথে ডেঙ্গু ও করোনা উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে। তাই রোগ লক্ষ্মণ প্রকাশ পেলে উভয় রোগের জন্যই যথাযথভাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

করতে হবে Dengue প্রতিরোধ

যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। Dengue বা ডেঙ্গু এর জন্যেও এর ব্যতিক্রম নয়। Dengue বা ডেঙ্গু রোগের কোন ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।  তাই Dengue বা ডেঙ্গু  প্রতিরোধে-

  • বাড়িতে ঘুমানোর সময় সার্বক্ষনিক মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • এডিস মশা পরিস্কার পানিতে ডিম পারে। তাই ঘরে ও ঘরের বাইরে টব, বালতি, ফ্রিজ বা এসিতে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে মশার বিস্তার রোধ করতে হবে।
  • পরিবারের সবার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। 
  • বাড়ির পাশের অব্যবহৃত পুকুর থাকলে তা পরিস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরাতন টায়ার,ডাবের খোল ইত্যাদিতে যেন পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • Dengue তে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের। তাই পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

মো. এমদাদুর রহমান উদয়
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url