অনলাইন ক্লাসের নামে প্রতিটি শিশুর হাতে পৌঁছে গেছে ফোন!
পৃথিবীব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারনে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর প্রতিটি দেশই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। যদিও বিশ্বের অধিকাংশ দেশই শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসরুমে ফেরাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভেনিজুয়েলা দীর্ঘদিন ক্লাসরুম বন্ধ রেখে বিশ্ব রেকর্ড করে। এর প্রভাব পড়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়। ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী কে অনলাইন ক্লাস এর উপর নির্ভর করতে হয়। অভিভাবক না চাইলেও অনেক ডিজিটাল ডিভাইস শিশুদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। ডিজিটাল ডিভাইস এর সংস্পর্শে এসে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ শিশু ও শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
যদিও অনলাইন শিক্ষাক্রমে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী তেমন কিছু শিখতে পারেনি, কিন্তু অনলাইন ক্লাস এর বদৌলতে প্রতিটি শিশুর হাতে পৌঁছে গেছে ফোন। এতে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার, মাইনক্রাফট ও পাবজিসহ বিভিন্ন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
দেশের প্রতিটা ক্ষেত্র ও প্রতিটা কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চললেও শুধু শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক ভাবে চলছে না। এতে হাজার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে। ইউনিসেফ সহ বিশ্বের অনেক মানবতাবাদী সংগঠন পৃথিবীর শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য অনেক প্রচষ্টা চালিয়েছে।
করোনাভাইরাসের ঢেউ সেই সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থতাই পরিণত করেছে। বর্তমানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে চলে গেছে। তারা এখন বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পেশায় যোগ দিচ্ছে। এতে করে জাতির মেরুদন্ড অর্থাৎ শিক্ষা দিন দিন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
দেশের প্রতিটি পরিবারেই আপনি যদি লক্ষ্য করেন দুই একজন গেমে আসক্ত শিশু অবশ্যই খুঁজে পাবেন। এই শিশুগুলো মানসিক বিকাশ কতটা বাধাগ্রস্থ একবার ভাবলেই অবাক হতে হয়। এই সকল শিশুকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আবার কতটা কাঠখড়ি পোড়াতে হবে ভেবে দেখেছেন?
এই সকল শিশুর মোবাইল আসক্তির জন্য কাকে দায়ী করবেন?
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url