যেভাবে ব্লগ লিখলে মনে হবে প্রফেশনাল ব্লগ!!

 আমরা সবাই জানি ইদানীং ই-কমার্স এর একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে ওয়েবসাইট। অর্থাৎ আমারা ফ্রিল্যান্সিং করে যত অর্থ উপার্জন করি তার মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করা একটি উপায়।ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জনের একটি  পদ্ধতিটি হচ্ছে যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আর অন্য দিকে উইজার রা এসব পোস্ট পড়ে।এতে করে আমাদের ওয়েবসাইট এ শো করা গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন থেকে আমাদের অর্থ উপার্জন হয়। এখানে কথা হচ্ছে যত বেশি ইউজার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তত বেশি পরিমান অর্থ আমাদের একাউন্ট এ জমা হবে। সেই দিক থেকে এই ব্লগ পোস্ট গুলোই কিন্তু অর্থ উপার্জনের মুল ভিত্তি।তাই আমাদের ব্লগ পোস্ট গুলোকে যত বেশি আকর্ষণীয় করতে তুলতে পারব তত বেশি আমাদের ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বেড়ে যাবে।


বন্ধুরা আজকের পোস্টটি হলো কিভাবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি।আমরা যেমন তেমন করে পোস্ট করে দেই ব্লগ গুলো।এর কারনে বেশি মানুষের কাছেও পৌছে না এই পোস্ট গুলো। আমি দেখাব আজকে যে কিভাবে আমরা একটি ব্লগ পোস্ট কে প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে পারি।আর দেড়ি না করে চলো বন্ধুরা শুরু করা যাক।

পোস্ট এর ফর্মাটিং-

কথায় আছে " আগে দর্শনদারী তারপর গুনবিচারী"।অর্থাৎ আগে পোস্টটিকে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে হবে।যখন একটি ইউজার দেখবে আপনার পোস্ট টি এলোমেলো ভাবে সাজানো তখন পোস্ট এর কন্টেন্ট না দেখেই বের হয়ে আসবে পোস্ট থেকে। পোস্ট এর হেডিং থেকে শুরু করে লাস্ট মমেন্ট পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করতে হবে যাতে যে কাউকে আকর্ষণ করে।

বানানের দিকে খেয়াল রাখা-

বাংলা অথবা ইংরেজি যে ভাষায় ই আমরা ব্লগপোস্ট লিখি না কেন কোনো বানান কিন্তু ভুল করা যাবে না।এতে করে যিনি পোস্ট পড়বেন, কিছুক্ষন পোস্ট পড়েই তার মধ্যে একটি বিরক্তিকর ভাব চলে আসবে আর ফলে সে আর পোস্ট টি কন্টিনিউ করবে না।তাই আমাদের উচিত পোস্ট লিখার সময় বানান ঠিক রাখা।

ছবি এড করা-

আমরা যে বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখব তার জন্য একটি ফিচার ইমেইজ প্রথমেই এড করে নিতে হবে।এইযে এই পোস্ট টি যে আমি লিখেছি এই পোস্ট সম্পর্কিত একটি ছবি কিন্তু আমি প্রথমেই ফিচার ইমেজ এ এড করে নিয়েছি।পোস্টটিকে আকর্ষণীয় করার জন্য এমন ফিচার ইমেজ দেওয়া বাধ্যতামূলক।

পোস্ট বন্ধুসুলভ হওয়া-

আমরা যে পোস্টটি লিখব সেটি অবশ্যই বন্ধুসুলভ হতে হবে।আমরা যে লিখা গুলো লিখব সেগুলোতে এমন একটা ভাব নিয়ে আসতে হবে যেনো ব্যাবহারকারীরা ভাবে তার সাথে বন্ধুর মতো গল্প করতেছি। মাঝে মাঝে রসিকতাও করা চলে।এতে যিনি পোস্ট পড়বেন তার মধ্যে বোরিং ফিল টা আসবে না।অনেক বড় পোস্ট হলেও ব্লগ পোস্টটি পড়তে আগ্রহী হবে।

টার্গেট ওয়ার্ড ব্যাবহার করা -

আমরা যে বিষয়ে পোস্টটি লিখব সেই বিষয়টি পোস্ট এ বার বার ব্যাবহার করা।আমি এই পোস্ট টি লিখতেছি ব্লগ সম্পর্কে। আপানা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে আমি এই ব্লগ শব্দটি অনেকবার পোস্ট এ ব্যাবহার করতেছি। এর কারণ হলো যিনি কোনো পোস্ট বিষয়ে গুগলে সার্চ দিবে সেটি যেনো তার সার্চ লিস্টের প্রথম দিকে এসে পড়ে।তাই পোস্ট এ টার্গেট ওয়ার্ড বার বার ব্যাবহার করা উচিত।

পোস্টটি এক্সক্লুসিভ হওয়া-

বর্তমানে কিন্তু হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে এমন ব্লগিং এর। একে অপরের কম্পিটিটর।কে কার আগে এগিয়ে যেতে পারে।তাই পোস্ট গুলো হতে হবে এক্সক্লুসিভ। অর্থাৎ অন্য কোনো ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়নি এমন ব্লগ পোস্ট করতে হবে।আনকমন কন্টেন্ট ব্যাবহার করতে হবে যাতে সবার চোখে পরে এবং পোস্ট পড়তে আগ্রহী হয়।

টাইটেল শক্তিশালী হওয়া-

আমরা অনেকে পোস্ট সুন্দর লিখি এবং কন্টেন্ট ও থাকে ভালো কিন্তু এক জায়গায় এসে আমরা ফেইল হয়ে যাই।সেটি হলো টাইটেল ভালো না হওয়া।টাইটেল হতে হবে এমন যেনো পোস্ট এর পুরো বিষয়টুকু ১ লাইনে ফুটে উঠে।টাইটেল পড়েই যেনো ব্যাবহারকারীরা পোস্ট এ ঢুকে যেতে আগ্রহী হয়ে পরে। তবেই না একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাবে। এখানে একটি দিকে খেয়াল রাখবেন যেনো টাইটেল এক রকম আর পোস্ট টি অন্যরকম না হয়ে যায়।এমন হলে রিপোর্ট খাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।তাই আমাদের উচিত দেখে শুনে পোস্টের টাইটেল নির্ধারণ করা।

শেষ কথা-

মনে রাখবেন বন্ধুরা এইটি কিন্তু কম্পিটিশনের যুগ।এখানে কেউ কাওকে জায়গা ছেড়ে দেয় না।নিজের জায়গা নিজেই তৈরি করে নিতে হয়।ব্লগ পোস্ট গুলো নিজের মতো করে একেবারে আনকমন না করলে কেউ সেটির দিকে ফিরেও তাকাবে না।তাই উচিত নিজের মেধা খাটিয়ে  ভালো একটি পোস্ট ইউজারদের কে উপহার দেওয়া।আর এই পর্যন্ত-ই।সবাই ভালো থাকবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url